তারেক রহমান
তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি। তিনি আবেদন করলেই সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত ইস্যু করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ছেলের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হলেও সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি বলে জানান তিনি।
তার কথায়, তারেক রহমানের পরিবার বা বিএনপির পক্ষ থেকেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে এখনো সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।
এর আগে, গেল রবিবারও (৩০ নভেম্বর) তিনি জানিয়েছিলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার এক দিনের মধ্যেই ‘ওয়ান-টাইম ট্রাভেল পাস’ প্রদান করতে সক্ষম। তার ভাষ্যে, ‘আজ জানালে কালই আমরা পাস দিতে পারব, আর পরশুদিনই তিনি দেশে ফেরার ফ্লাইটে উঠতে পারবেন।’
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন তারেক রহমান। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান এবং তার কয়েক দিন পরই (১১ সেপ্টেম্বর) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সরকারের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা পুরোপুরি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আর এ বিষয়ে যে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেলেই সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২ দিন আগে
দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি: তারেক রহমান
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশ-বিদেশের সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
তারেক রহমান লিখেছেন, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।
তিনি আরও লিখেছেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তার নিউমোনিয়া দেখা দেয়। তার কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। ফলে একটির চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সিসিইউতে তার চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবশেষ গেল রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। একইসঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৩ দিন আগে
দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়: তারেক রহমান
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের সিসিইউয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিকের আন্তরিকতা ও প্রার্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে, বর্তমান সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সীমিত।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। তার রোগমুক্তির জন্য দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল স্তরের নাগরিক আন্তরিকভাবে দোয়া অব্যহত রেখেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার রোগমুক্তির জন্য দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার সর্বত সহায়তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
দেশ বিদেশের চিকিৎসক দল বরাবরের মত তাদের উচ্চমানের পেশাদারত্ব ছাড়াও সর্বোচ্চ আন্তরিক সেবা প্রদান অব্যহত রেখেছেন। বন্ধুপ্রতীম একাধিক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও উন্নত চিকিৎসাসহ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে।
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, খালেদা জিয়ার প্রতি সকলের আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে তার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের প্রতি দোয়া অব্যহত রাখার জন্য ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
তারেক লিখেছেন, এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়ামাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।
৬ দিন আগে
কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থে বিএনপিকে ব্যবহার করতে না পারে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার, দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার ও কাউকে ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই সম্মেলন থেকে আমরা কি দুটি অঙ্গীকার করতে পারি? প্রথমত— যেকোনো মূল্যে আমরা দলের সিদ্ধান্তের পেছনে ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং দ্বিতীয়ত— নেতাকর্মীদের কেউ যেন ব্যক্তির স্বার্থে বিএনপিকে ব্যবহার করতে না পারে। আসুন আমরা একসঙ্গে এই দুটি শপথ নিই।’
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি দলের ঐক্য অটুট রাখা যায়, তবে জনগণের রায় ধানের শীষের পক্ষেই যাবে।
বিএনপির শক্তি জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে নিহিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের পাশে থাকা এবং জনগণকে দলের পাশে রাখা জরুরি। ‘সবকিছুর ওপরে বিএনপির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষ, মানুষ আর মানুষ—বাংলাদেশের মানুষ।’
বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মানুষ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে এবং সেই আন্দোলন অবশেষে স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন পতনের পর এ সরকার কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলোর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই প্রস্তাব আড়াই বছর আগেই দেশের মানুষের সামনে বিএনপি উপস্থাপন করেছে।
বিএনপি নেতার দাবি, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেছে। মতামতের কোনো কোনো বিষয়ে হয়তো মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, মানুষের নিরাপত্তা ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রশ্নে কারও সঙ্গে কোনো দ্বিমত নেই।
এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, নির্বাচনে আসেন না কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিন
তিনি বলেন, জনগণের অভিমত ও ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করবে।
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। বিএনপির ৩১ দফা এজেন্ডা সফল করতে ও জনগণের রায় পেতে হলে সারাদেশে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আপনাদের অনেকের মনে আছে, স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার কয়েক দিন পরে আমি একটি কথা বলেছিলাম যে স্বৈরাচার তো বিদায় হয়ে গেছে, পালিয়ে গেছে, অদৃশ্য শক্তি কিন্তু ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আজকে থেকে প্রায় এক বছর আগের কথা কিন্তু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
তিনি আবারও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করতে না পারে বা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বড় দলে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে একবার নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারণী পর্যায় সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিটি সদস্যের কর্তব্য হলো সেই সিদ্ধান্তের সমর্থনে কাজ করা।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনারা কি কারও ব্যক্তিগত কর্মী, নাকি আপনারা ধানের শীষের কর্মী, বলেন তো আমাকে। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্মী, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে যখন একটি সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে যেকোনো মূল্যে তা বাস্তবায়ন করা।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঐক্য অপরিহার্য। যেমন একটি পরিবারে সবাই প্রবীণদের সিদ্ধান্ত মেনে চলে, তেমনি দলের সদস্যদেরও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৭৫ দিন আগে
বিএনপিকে তরুণদের আস্থা পুনর্গঠন করতে হবে: তারেক রহমান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আস্থা পুনর্গঠন করতে হবে। এটি দলটির একটি বড় দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব বলেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান তারেক রহমানের
বিএনপি নেতা জানান, নানা অভিযোগে এখন পর্যন্ত দলের সাত হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের মতো অভিযোগে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক, এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই।
তারেক রহমান বলেন, এইভাবেই আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই — বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবলমাত্র ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।
বিএনপি সবসময় যুগের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের আধুনিক করেছে এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিএনপি নেতা আরও জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে তাদের নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
তার ভাষ্যে, নারীর অংশগ্রহণ, তরুণ নেতৃত্ব ও পেশাজীবীদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে দেশ এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। বিএনপিকে তারা এমন একটি দল হিসেবে পরিচিত করতে চান—যা সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তি’র চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা, তাই আমাদের পদক্ষেপগুলোকেও হতে হবে নতুনভাবে চিন্তা-নির্ভর। তবে আমরা ইতিহাসকে অস্বীকার করি না; বরং তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে চাই।
তারেক রহমান স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন; জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গিয়েছেন। আজ আমরা তাদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছি নতুন যুগে; যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হবে রাষ্ট্রগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
তিনি বলেন, আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও জনগণের সেবায় নিবেদিত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করবো যে, বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।
৭৭ দিন আগে
শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে। সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘জনাব তারেক রহমান মেধা, যোগ্যতা, শ্রম ও নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগ্রামে আমরা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি এবং তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখেছি। তার নেতৃত্বে এই জাতি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, শিগগিরই ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের একসপ্তাহে আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ পথে যারা কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের সবার প্রতি নসিহত, দেশ এখন নির্বাচনী আবহে আছে, সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশকে অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। কোনো অতিরিক্ত সাংবিধানিক বা বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত নয়।
পড়ুন: আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, অতিরিক্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থা’, ‘সুপার-সাংবিধানিক ব্যবস্থা’ বা ‘বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ’— সব একই জিনিস বোঝায়। এগুলো তখনই দরকার যখন স্বাভাবিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, এখনও আমাদের সংবিধান বহাল আছে এবং রাষ্ট্র সেই অনুযায়ী চলছে। তাহলে এগুলো কেন করতে হচ্ছে, কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে, আমরা তো একটা স্ট্যাবল জাতি চাই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক ধারা মেনেই গঠিত হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। সংবিধানিক ধারাবাহিকতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, তাই এখন সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও কোনো কারণ নেই।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাহলে কি ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ভেঙে গেছে? অবশ্যই না! তাই আমরা আশা করি, সবার মধ্যে সুস্থ বুদ্ধির উদয় হবে, তিনি বলেন।
সালাহউদ্দিন বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টাসহ সবাইকে আহ্বান জানান যেন তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক নীতির মধ্যে থেকেই কাজ করেন এবং মতামত দেন, যাতে দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুমের রাজনীতি বন্ধ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
৮৮ দিন আগে
গ্রেনেড হামলা: তারেকসহ সব আসামির খালাসের রায় আপিলেও বহাল
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস করে হাইকোটের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে তারেক রহমান-বাবরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ সময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ১৯ মার্চ এ মামলায় সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামি খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়। নিহত হন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
ভয়াবহ এ হামলার তদন্তে নামে বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সে সময় অভিযুক্ত হন ২৮ জন। অভিযোগপত্র দেয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শুরু হয় বিচার।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নতুন করে তদন্ত শুরু করে। টানা ৪১০ দিন টিএফআই সেলে নিয়ে পুনরায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় মুফতি হান্নানের। সম্পূরক চার্জশিটে যুক্ত করা হয় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ আরও অনেককে।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত ফাঁসির দণ্ড দেন বাবরসহ ১৯ জনকে। যাবজ্জীবন হয় তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনের।
তবে ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর ওই রায় বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, সম্পূরক চার্জশিট এবং বিচারের পুরো প্রক্রিয়াই ছিল বেআইনি।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এই বিচারপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি হলো। ফলে মুক্তি মিলেছে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সবার।
৯২ দিন আগে
আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও কিভাবে সহজ করা যায়—সেগুলো করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ময়মনসিংহ টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি আমাদের আস্থা ও সম্মান রয়েছে। ভাষার বহুত্ব, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্য বোধ, ভিন্নজাতের সংরক্ষণ এবং এসবের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করা হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি এটিই আমাদের অঙ্গীকার। বিএনপি ক্ষতায় গেলে প্রতিটি অধিকার বাস্তবায়ন করবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একটা ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ নির্যাতনের শাসনের পরে একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং সেই বাংলাদেশে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, একটা চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশে। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে। একটা উগ্রবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রকার উগ্রবাদের কথা বলে মানুষকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে, বিভাজন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে, একসঙ্গে ঠিক একাত্তর সালে যেমন আমরা লড়াই করেছিলাম আমাদের ভূখন্ডের জন্যে, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেইভাবে আমরা আজ আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করব, লড়াই করে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান এখন পর্যন্ত যে কাজ করেছেন—তাতে সকল জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে ১৫ জন আদিবাসী তরুণীর একটি দল তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মনোমুগ্ধকর দলগত নৃত্য পরিবেশন করে।
সমাবেশে দেশের সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
৯৬ দিন আগে
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তারেক রহমানের নিন্দা, তদন্তের আহ্বান
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ঘটনা তদন্তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং কাকরাইলে সংঘটিত সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।’
‘আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক অত্যন্ত নাজুক সময়ের মধ্যে আছি, যার প্রথম পদক্ষেপ হলো জাতীয় নির্বাচন। সম্মিলিতভাবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আজকের ঘটনার মতো অস্থিতিশীল ঘটনাগুলো যেন আর না ঘটে এবং গণতন্ত্রের পথ থেকে আমাদের দূরে ঠেলে না দেয়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ও এর জোটসঙ্গীরাসহ গণতন্ত্রপন্থী অংশীজনদের অবশ্যই সংযম ও সহনশীলতা বজায় রাখতে হবে। গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত চেতনাকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। দেশকে অবশ্যই দলবাজি, সহিংসতা ও বর্তমান অস্থিতিশীলতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই, তবে আমাদের সহিংস জনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়তে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে আমাদের এই মব ভায়োলেন্সের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখা, আইনের শাসন সমুন্নত রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশ গড়ে তুলতে হবে।’
কেবল গণতান্ত্রিক পথে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সফল হতে পারি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
৯৬ দিন আগে
কৌশল নয়, জনগণের রায়ের মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করুন: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রায়কে ঠেকাতে নয়, বরং রাজনীতির মোকাবিলা রাজনীতির মাধ্যমেই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ মন্তব্য করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয় রোধে অপকৌশলের বা শর্তের বেড়াজালের আশ্রয় নিচ্ছেন। জনগণকে রায় দেওয়ার সুযোগ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা না করে রাজনীতিকে রাজনীতির মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করে তারেক বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ— ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলার।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবাক করা বিষয় হলো, আজ ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকার নয়, বরং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দল—যারা একসময় রাস্তায় নেমে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সহযাত্রী ছিলেন—তাদের আচরণ এখন উৎখাত হওয়া স্বৈরাচারী সরকারের মতোই বিএনপির বিজয় ঠেকানোর প্রবণতা দেখাচ্ছে।’
তারেক অভিযোগ করেন, একসময় ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপির বিজয় ঠেকাতে দেশকে বিশাল কারাগার ও পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আজকের ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও কিছু দল ও গোষ্ঠী আছে, যারা আশঙ্কা করছে নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে সরকার গঠনের জন্য। এই ভয় থেকেই তারা অশুভ কৌশল নিচ্ছে এবং বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা শর্ত আরোপ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—রাজনীতির মোকাবিলা রাজনীতির মাধ্যমেই করুন। জনগণের শক্তির ওপর ভরসা ও আস্থা রাখুন। যদি বিএনপির বিজয় জনগণের মধ্য থেকেই আসে—তাহলে শুধুমাত্র বিএনপির জয় ঠেকাতে জনগণের রায় দেওয়ার অধিকারকে বন্ধ করবেন না।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
অনুষ্ঠানে তারেক বলেন, দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখনো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়।
তিনি বলেন, ‘জনগণের জানার অধিকার আছে তারা কাকে ভোট দিচ্ছে এবং কোন ব্যক্তি তাদের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে যাচ্ছেন। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে ভোটারদের জানার কোনো স্বচ্ছ উপায় থাকে না যে, কোন ব্যক্তি নির্বাচিত হচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি যদি জাতির প্রতিনিধি হয়ে সংসদ বা সরকারে যেতে চান, তবে অবশ্যই সরাসরি জনগণের মুখোমুখি হতে হবে, তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে এবং ভোটের মাধ্যমে তাদের ম্যান্ডেট নিতে হবে।
পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে আইআরআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পিআর পদ্ধতি ও আরও কিছু ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে—তা সময়ের সঙ্গে সহজভাবে মিটে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যারা ধোঁয়াশা তৈরি করছে, তারা হয়তো অজান্তেই গণতন্ত্রের পথকে বাধাগ্রস্ত করছে। একই সঙ্গে তারা উৎখাত হওয়া ফ্যাসিবাদী সরকারের পুনর্বাসনের পথও প্রশস্ত করতে পারে।’
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তারেক বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর দেওয়া বিবৃতি কিংবা নতুন শর্ত জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিষয়ে সব দলের ঐকমত্য প্রয়োজন না হলেও স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার মতো ইস্যুতে ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে সবার ঐক্য জরুরি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান তারেক। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গ করা হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তারেক বলেন, অতীতে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা মূলত অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা অবৈধ লোভ থেকে হয়েছে, ধর্মীয় কারণে নয়। তিনি যোগ করেন, ‘কোনো কারণেই কাউকে হামলা বা অবিচারের শিকার হতে না দেওয়াটা রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ১৬ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছে এবং দেশের বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন এক ধরনের প্রবল প্রচেষ্টা চলছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার। এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এই জাতিকে স্বাধীনতা, ভূখণ্ড ও পরিচয় দিয়েছে। আর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান মানুষকে দিয়েছে গণতন্ত্রের স্বপ্ন। ‘উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে স্মরণ করতে হবে।’
পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি মহাসচিব চরমপন্থার উত্থান সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশে এর বিস্তার কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।তিনি সবাইকে বিভেদমূলক রাজনীতি এড়িয়ে একসঙ্গে কাজ করে জাতীয় পরিচয় রক্ষা, অস্তিত্ব সুরক্ষা ও দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
কেউ যেন সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের তিনি আহ্বান জানান।
সাম্প্রদায়িকতায় বিএনপি বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার দল বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করে একটি রংধনু জাতি গড়ে তুলতে চায়।
অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
১০৫ দিন আগে