স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সুপেয় পানি সরবরাহই হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভবিষ্যতের বাংলাদেশে সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিকালে ঢাকায় ইউনিসেফ আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ত পানির কারণে জীববৈচিত্র্য এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সুপেয় পানির উৎসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ পানের স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে। সেজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অর্থাৎ ভূউপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে।
জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মোট ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে এবং ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) যেখানে মোট প্রায় ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্প দুটির উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই নগরায়ন, নগর পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের জীবন মানের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. শের আলী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, এএফডি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কট্রিস, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিডে। এছাড়াও প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সিটি করপোরেশনগুলোর আইনগত ও আর্থিক অসঙ্গতি দূর করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনগুলোর কাজের গতি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, জনগণ যাতে সহজে ও ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশে সেবা পায় সেজন্য আমরা সবাই কাজ করছি।
তিনি বলেন, জনগণের সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দেশের সব সিটি করপোরেশন আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং আইনগত অসঙ্গতিগুলো দূর করে যাতে সুষ্ঠুভাবে জনগণকে সেবা দিতে পারে সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে গেলে নানা রকমের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আসবেই, সে সমস্ত সমস্যাকে সমাধান করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রকার অসহযোগিতা পেলে সেক্ষেত্রে সব বাধা দূর করা হবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের তথ্য আগে থেকে সিটি করপোরেশন জানলে সমন্বয়টা ভালো হয় এবং সবাই তাদের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাবে যাতে ভোগান্তি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সমন্বয়হীনতা দূর করে নির্বিঘ্নে সেবা প্রাপ্তির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জায়েদা খাতুন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তফা, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত মেয়র কুমিল্লা হাবিবুর আল-আমিন।
আরও পড়ুন: ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভর্তুকি হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাবলম্বী হতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই ও উন্নত সেবা প্রদান করার জন্য সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।
তিনি কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।
তাজুল ইসলাম এ সময় ঢাকার আশেপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রাজধানী ঢাকাতে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে এই নদীগুলো দূষণমুক্ত করে এগুলোর নাব্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুপেয় পানি মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। ওয়াসার আগে অনেক ঘাটতি থাকলেও সেগুলোর সমাধান করে বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকাতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: ১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় এবং সরকার বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৪০০-৩৬০০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২১৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট সিটি করপোরেশনে ৩৭৫ মেট্রিক টন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৫০০ মেট্রিক টন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১ হাজার মেট্রিক টন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩৫০ মেট্রিক টন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১২০ মেট্রিক টন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১০০০ মেট্রিক টন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১০ মেট্রিক টন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪০০০ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
মন্ত্রী বলেন, মোট বর্জ্যের প্রায় ৩৯ শতাংশ আসে ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন: দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের অর্থায়নে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি চারটি কোম্পানির প্রস্তাবনা নির্বাচন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে।’
এছাড়া মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেডিকেল ইনসিনারেশন স্থাপনের জন্য 'ওয়েস্ট কনসার্ন'-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুর্নীতি বলতে আমরা আর্থিক দুর্নীতিকেই বেশি বুঝে থাকি। কিন্তু নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করাও অনেক বড় দুর্নীতি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান সম্ভব’ শীর্ষক এক পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে গেলে স্মার্ট জনপ্রতিনিধি ও স্মার্ট জনগণ দুটোই লাগবে। জনপ্রতিনিধি ও জনগণ তাদের নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেই দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের যে পথ-নকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্য অর্জনে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার বলতে শুধুমাত্র বাজেট বা টাকা-পয়সা দিয়ে সহায়তা বুঝায় না, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করাও বুঝায়। সক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে ধরনের অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই সরকারের লক্ষ্য।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা ও তাদের কাজের মূল্যায়নের উপরও জোর দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
তিনি বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের খারাপ বলা উচিত নয়। কারণ, অনেক জনপ্রতিনিধি নানা ধরনের ভালো কাজ করছেন, তাদের সেই ভালো কাজের মূল্যায়নও সমাজে প্রয়োজন।
মন্ত্রী এ সময় শিক্ষিত তরুণ সমাজের রাজনীতিতে আসার প্রয়োজনের কথা বলেন। তা না হলে অযোগ্য লোক সমাজকে নেতৃত্ব দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নত বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকার- কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আইন দ্বারা এই দুই ব্যবস্থার কাজের পরিধি সুনির্দিষ্টভাবে ভাগ করা রয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে- স্থানীয় সরকার তাদের নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করছে কিনা, তাদের রাজস্ব আয়ের নানা ধরনের উপায় সৃষ্টি করতে পারছে কিনা এবং স্থানীয় মানুষকে তাদের সমস্যার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারছে কিনা।
আরও পড়ুন: পানির সঙ্গে সহাবস্থান নিশ্চিত করেই আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা সাজাতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
চাহিদা, এডিবির পোর্টফোলিওর মূল বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ এবং মন্ত্রণালয়কে আরও নিবিড়ভাবে সহায়তা করার লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিদল।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় কী ধরনের প্রকল্প নেওয়া সম্ভব, আন্তঃসম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য পৌরসভা বন্ড চালুকরণের সম্ভাব্যতা, গ্রামীণ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর নাব্য রক্ষা এবং নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় নদীর দূষণ, দখল ও নাব্য রক্ষায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে মত বিনিময় হয়।
বৈঠকে পরামর্শক দলে ছিলেন- সাউথ এশিয়ার ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক তাকেও কনিশি, এডিবির বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিংসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রধানরা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এডিবি চলমান দ্রুত নগরায়ন এবং মৌলিক নগর অবকাঠামোর জন্য অগ্রাধিকার বিবেচনা করে বড় শহরগুলোতে জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং শহরগুলোকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে বৈঠকে জানানো হয়। মডেল শহর গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় এডিবির আগ্রহ রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সমঝোতাবিষয়ক অ্যাম্বাসেডর স্টেফান ক্রুজাটের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপে এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এএফডি) বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত আলোচনা শেষে এ সম্পর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রকল্পে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) অর্থায়ন করেছে, যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৪১৫ দশমিক ০৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নতুন ধারণা খুঁজতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে সংগঠিত করে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে নতুন নতুন ধারণা খুঁজে বের করতে হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিসমূহের সাথে এক মত বিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম।
আরও পড়ুন: নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। গ্রামের ৬১ শতাংশ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে পল্লী উন্নয়ন একাডেমিগুলো গবেষণার মাধ্যমে নীতি ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়াও তিনি গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে তবে তা যতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন যেন সঠিক কাজে লাগে তা তদারকি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প গুলোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো যেন মানুষের জীবনে অর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অবকাঠামো উন্নত হওয়ায় শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো সহজ হয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশের গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া এলজিইডি সম্পাদিত বিভিন্ন প্রকল্পের গুণগত মান এখন অনেক বেড়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সুবিধা এখন সহজেই গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নতিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবদান তাই অনস্বীকার্য।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং প্রশাসনিক বিষয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে আজকাল গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুবসমাজের আয়ের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা যেমন কমেছে, সঙ্গে গ্রামের অর্থনীতিও শক্তিশালী হচ্ছে।
মন্ত্রী এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে দেশের অর্ধেক উপজেলা পর্যায়ে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, শিগগিরই বাকি উপজেলাগুলোতে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যাতে বিভিন্ন কাজের মান ঠিক থাকে।
তিনি এ সময় গ্রামের বিভিন্ন রাস্তার লোড ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে গ্রামের রাস্তাঘাটেও এখন ভারী যানবাহন চলাচল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন থেকেই আমাদের সে অনুযায়ী অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট তৈরি করতে হবে। তবে কখনো কখনো ব্যয় সংকোচন নীতি নিতে গিয়ে অল্প পরিমাণ টাকার জন্য কাজের গুণগতমান যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দিয়ে বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করে নিতে হবে। তিনি এ সময় বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়নের বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়ন পেলে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলগুলো প্রার্থীদের মনোয়ন দিতেও পারে, না-ও দিতে পারে; তাতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আইন থাকার পরেও এটা সম্ভব কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনটা যেভাবে করা আছে, তাতে করে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে। কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দিয়ে প্রতীক দেয়, সেখানে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরও বিকল্প আছে। কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারে। আমি আইনটি দেখেছি, আইনটি ঠিক আছে।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যদি মনে করে, দলীয় মনোনয়ন দেবে, সেক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু দল যদি মনে করে, তারা মনোয়ন দেবে না বা কোথাও কোথাও দেবে, কোথাও দেবে না, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে।’
আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আইন সংশোধনের করার দরকার পড়বে না।ি
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, বসত বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা বাসার ভেতর জমা পানি প্রতি তিনদিনে একবার পরিষ্কার করার উপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল ও এর মেডিকেল বর্জ্য এবং বিভিন্ন থানায় জব্দকৃত যানবাহনে যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেজন্য বছরের প্রথম থেকেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আরও জোর দিতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরানের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গতবছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এবছর তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি।
এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানিকৃত কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চলতি বছরে সারা দেশব্যাপী ডেংগু প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন।
সারাদেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনকে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী