কারাগার
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে হাজির হওয়া অভিযুক্ত কর্মকর্তারা জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন— র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সকালে অভিযুক্তরা তিনটি মামলায় আদালতে হাজির হন। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তিনটি মামলায় মোট ৩৪ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রয়েছেন।
প্রথম মামলায় ১৭ জন, দ্বিতীয় মামলায় ১৩ জন এবং তৃতীয় মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হাসিনাকে দুটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। মোট অভিযুক্ত ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে হেফাজতে আছেন।
এই তিন মামলার মধ্যে দুটি হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম, র্যাবের টিএফআই এবং সেনাবাহিনীর জেআইসি সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায়।
অন্যটি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে।
এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্টের মাজারগেট, মৎস্য ভবন, কাকরাইলসহ একাধিক স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের লক্ষ্য করা গেছে।
এর আগে গত (৮ অক্টোবর) বুধবার আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এরপর গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানানো হয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর আমলে নেওয়ার জন্য শুনানি শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
৪৪ দিন আগে
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এম ই এস বিল্ডিং নম্বর-৫৪'কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত কর্মকর্তা এবং একজন এলপিআরে, অর্থাৎ অবসরোত্তর ছুটিতে ছিলেন। এছাড়া মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ নামের আরেকজন সেনা কর্মকর্তা অদ্যাবধি অনুপস্থিত রয়েছেন। তার কোনো সন্ধান এখনও কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) দায়ের করা মামলাগুলো নিয়েই মূলত আলোচনা হয়।
গত বুধবার আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত গুমের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে ২৫ জন সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। দুই মামলায়ই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক শুরু
২৮ আসামির মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে নির্যাতনের অভিযোগ এবং ১৩ জনের বিরুদ্ধে যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল (জেআইসি)-এ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
পরোয়ানা জারির দিনই তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর কর্মকর্তারা। তবে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, পরোয়ানার কপি এখনো সেনাসদরে পৌঁছায়নি। তারপরও তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ‘২৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, ১ জন এলপিআরে এবং ১৫ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ১৬ জনকে সেনাসদরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে হাজির হয়েছেন ১৫ জন। তারা পরিবার থেকে আলাদা অবস্থায় থাকছেন। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ এখনও উপস্থিত নন।’
৫৩ দিন আগে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে
শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার(২৯ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ঢাবি শিক্ষক ডিবি হেফাজতে
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’।
জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীরা অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী এলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
গোলটেবিল বৈঠকের অংশগ্রহণকারীদের ঘেরাও করে রাখে। পরে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। রাতে শাহবাগ থানা পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি করে।
অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও আইনজীবী জেড আই খান পান্নার।
৯৮ দিন আগে
দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে
জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা ৬ কর্মকর্তা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে ২৪ এপ্রিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরও ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
১০৭ দিন আগে
মানিকগঞ্জ কারাগারে ইউপি সদস্যের মৃত্যু
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক অবস্থায় বাবুল হোসেন (৫৫) নামের ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত বাবুল হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. হুমায়ূন কবির খান বলেন, ‘বাবুল হোসেন কিছুদিন ধরে কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে তার বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, বাবুল হোসেনকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে মৃত্যু, জেল সুপার-ওসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
ওসি জানান, গড়পাড়ায় শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি ছিলেন তিনি। গত চার মাস ধরে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন।
১৩৪ দিন আগে
দিনাজপুরে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
দিনাজপুরের জেলা কারাগারে তিন মামলায় অন্তরীণ শামসুল হক মণ্ডল নামে একজন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
শামসুল হক মণ্ডল (৪৭) রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বন্দরপাড়া গ্রামের মোকাম মণ্ডলের ছেলে।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসাইন জানান, গত বছরের ১৮ জুন থেকে তিন মামলায় দিনাজপুরের জেলা কারাগারে রয়েছে বন্দি ছিলেন শামসুল হক মণ্ডল। ৪০২ ধারায় তার ৫ বছরের সাজা ছিল। ওই মামলায় গত ২৬ জুন জামিনে মুক্তির আদেশ পেয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত বিচার আইনে আরেক মামলায় ২ বছরের সাজা কার্যকর থাকার পাশাপাশি আরেকটি মামলা বিচারাধীন ছিল তার বিরুদ্ধে। এ কারণে তাকে কারাগার থেকে ছাড় পাননি তিনি।
আরও পড়ুন: টোলপ্লাজায় ৬ জনের মৃত্যু: দেড় কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
আজ (বুধবার) ভোরে ফজরের নামাজের সময় সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে তাৎক্ষণিক কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করতে পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
১৪২ দিন আগে
মাদকাসক্তদের জন্য পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাদকাসক্তদের জন্য সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র’ নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি সাতটি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৪’ প্রণয়ন করেছে। এই নীতিমালার আওতায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রথম ব্যাচের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।’
এর ফলে আভিযানিক ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় আরও সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ এবং তারুণ্যেরই বিজয়। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু ও কিশোরদের এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।’
এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। শুধু আইনের প্রয়োগে এর সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস বা নতুন ধরনের মানসিক প্রভাবসৃষ্টিকারী মাদকদ্রব্যের (এনপিএস) আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে।’
‘এসব মাদক নিয়ে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব নতুন মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এগুলোকে আইনের তফসিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।
খোদা বখস চৌধুরী বলেন, ‘যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হন, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
নাসিমুল গনি বলেন, ‘মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী, সেরা তিনটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তাছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির ও বার্ষিক মাদক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
এর আগে, বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। এরপর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অংশগ্রহণে নির্মিত মাদকবিরোধী স্টল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শুধু মাদকের বাহকদের নয়, গডফাদারদেরও ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৬২ দিন আগে
দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী
দুদিনের রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। গত মঙ্গলবার কারাগার থেকে তাকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়।’
‘পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গত রবিবার বিকালে পুলিশ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নূর মোহসীন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
গত ২০ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট দেশের বাকি সিটি করপোরেশনগুলোর মতো টানা তিনবার নির্বাচিত মেয়র আইভীকেও অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর মিনারুল হত্যা মামলায় প্রথমবার আসামি করা হয় সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। গত ৯ মে সকালে শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। জুলাই-অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা অন্তত ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে।
মিনারুল হত্যা ছাড়া আরও দুটি মামলাতে আইভীকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, মিনারুল হত্যা মামলাটিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেছেন আইভীর আইনজীবী।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীমের আদালতে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন। পরে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২ জুন তারিখ ধার্য করেন।
১৯০ দিন আগে
গোপালগঞ্জ কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে রতন মোল্লা (৪৫) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) দুপুরে তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রতন মোল্লার বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মুজিব মোল্লার ছেলে।
নিহত রতনের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান জানান, ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রতনকে গত ১৯ মে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গতকাল (বুধবার) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রতন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ট্রলিচাপায় নারী নিহত
এ ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আফতাব জিলানী বলেন, ‘রতন মোল্লা নামে একজন হাজতিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে জেলা পুলিশ। রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
১৯৭ দিন আগে
নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিনের শুনানির জন্য আগামী ২২মে দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম)ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন সকাল ৯টার দিকে নুসরাত ফারিয়াকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বাদে তাকে এজলাসে নেওয়া হয়।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই বিল্লাল ভূঁইয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি শেষে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গতকাল (রবিবার) দুপুরের দিকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ভাটারা থানাধীন এলাকায় এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা গত ২৯ এপ্রিল তা এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আটক
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ নায়িকাকে।
রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
২০২৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত।
২০০ দিন আগে