পানি নিষ্কাশন
বেনাপোল বন্দরে হাঁটুপানিতে পণ্য খালাস, দুর্ভেগে পরিবহন কার্যক্রম
টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দরটিতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, একই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যাল সামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।
এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকরাও একই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
১৬৯ দিন আগে
সুনামগঞ্জের হাওরের পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি, বিপাকে কৃষক
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ধীরগতিতে। এতে বিপাকে রয়েছেন স্থানীয় অনেক কৃষক।
জানা গেছে, উপজেলার সব হাওরের পানি সঠিক সময়ে কমে বোরো ধান রোপণ করার প্রায় উপযুক্ত সময় হলেও বেহেলী ইউনিয়নের বাড়িরনামা হাওরের পানি এখনও পুরোপুরি কমেনি। ধীরগতিতে বাড়িরনামা হাওরের এই পানি নিষ্কাশনে বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে বাড়িরনামা হাওরে সরেজমিনে গেলে কৃষকদের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রহমতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মিয়া বলেন, ‘জামালগঞ্জে অন্যান্য হাওরের তুলনায় এই মুহূর্তে আমাদের ছোট এ হাওরে এখনও অনেক জমি পানিতে তলিয়ে আছে। এই পানি আরও আগেই নিষ্কাশন হওয়ার কথা। কিন্তু বাড়িরনামা হাওরের মাঝখানে একটি বিল থাকায় গ্রামের কেউ পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নিতে পারে না। তাই প্রশাসনের সহায়তায় যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।’
শিবপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই হাওরে কয়েকটি গ্রামের কৃষকের প্রায় একশ একর জমি রয়েছে। সময়মতো প্রতি বছর পানি নিষ্কাশন না হওয়াতে আমরা বিপাকে পড়ে যাই।’
বেহেলী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জয়ন্ত তালুকদার বলেন, ‘আমাদের এই হাওরটি যদিও ছোট, তবে এখনও জলমগ্ন রয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি হচ্ছে জলমগ্ন থেকে পরিত্রাণের যেন ব্যবস্থা করে।’
বেহেলী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য যিশু তালুকদার বলেন, ‘এই হাওরে এখনও পানি থাকার কারণে অনেক জমি তলিয়ে আছে। সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার।’
জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার সাহা বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারটা ইউএনও মহোদয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখে। তারপরও আমি ওনাদের সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে সমাধান করার চেষ্টা করব।’
৩৪৭ দিন আগে
বৃষ্টি হলেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে ভালোভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কাদায় মাখামাখি থাকে পথঘাট। যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
আর এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়-বাণিজ্যের উপর। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। কাদামাখা পথের কারণে ক্রেতারাও ত্যক্ত-বিরক্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার, গনিগঞ্জ বাজার, নোয়াখালী বাজার, শান্তিগঞ্জ বাজার, পাগলা বাজার, আক্তারপাড়া মিনাবাজার, ভমবমি বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। একটানা বৃষ্টি হলে এসব বাজারের বেশিরভাগ গলিতে পানি ও কাদা জমে যায়।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
এদিকে উপজেলার গনিগঞ্জ বাজারের প্রধান গলির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। গলির মেসার্স আসমা মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত কর্দমাক্ত পথ চলতে গিয়ে পথচারী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী আবদুল জলিলের দোকানের সামনের অংশে প্রচুর কাদা জমে যায়। এখানে বড় একটি গর্ত থাকায় পানি জমে থাকে। এলাকার মাছের বাজারের পানিও এসে জমা হওয়ায় এই গর্ত থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার কারণে ডেঙ্গুর জ্বরের বাহন এডিস মশার সৃষ্টি হতে পারে এখান থেকে। একই অবস্থা পাথারিয়া বাজারেও। গরুর বাজারের অংশ, প্রধান প্রধান গলিতেও কাদা জমে থাকে। শান্তিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ গলিতেও বৃষ্টি হলে পানি ও কাদা জমে থাকে। যদিও এ বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরির কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা
৮১০ দিন আগে
পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কচুয়ার ৩ শত একর জমির ধান
ইরি-বোরো ধান উৎপাদনের জন্য খ্যাত চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা-কাঠালিয়া বিলের প্রায় তিনশত একর জমির ধান নদীর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নিচু এলাকা ও নদীর জোয়ার হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই বিল। ফলে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় চার হাজার কৃষক।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে বোয়ালজুড়ি খাল। প্রতি বছর ওই খালের পানি দিয়ে বিএডিসি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিল থেকে ধান সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নেই কোন রাস্তা। তাছাড়া খালের উপর কোন সেতু না থাকায় চলাচলের জন্য বাঁশের নির্মিত অস্থায়ী সেঁতু দিয়ে ধান নিয়ে খাল পারাপার হতো কৃষকরা। হঠাৎ জোয়ারের পানিতে ওই সেঁতু তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পরেছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিন দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন পাকা ধান বিনষ্টের আশঙ্কা
কৃষক ও সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, আলিয়ারা-কাঠালিয়ার বিলের চারপাশের ১০ গ্রামের প্রায় চার হাজার কৃষক বিএডিসি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ওই মাঠে ধান চাষ করে আসছে। আগাম বৃষ্টি, বোয়ালজুড়ি ও জোড়াখালের জোয়ারের পানি মাঠে ঢুকে পড়ায় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এই বিলের ফসল। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের নেই কোন ব্যবস্থা।
১২৯৯ দিন আগে
ফ্লাইওভারের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সঠিক হয়নি বলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: মেয়র তাপস
ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনে সঠিক ব্যবস্থাপনা না রাখাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
১৯১২ দিন আগে
কালীগঞ্জে ২ ব্যক্তির দ্বন্দ্বে পানিবন্দী শতাধিক পরিবার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাছ চাষের অজুহাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াবদার) পানি নিষ্কাশনের ক্যানেলের রাস্তা বন্ধ করে করে দিয়েছে দুই ব্যক্তি। এতে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িসহ ফসলি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে।
১৯৫৪ দিন আগে
রাজধানীতে জলাবদ্ধতার দায় ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন উভয়ের: টিআইবি
ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানই দায়ী বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১৯৫৭ দিন আগে
আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে খুলনায় জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে নগরবাসী
আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় রীতিমতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে খুলনা মহানগরী ও জেলার অনেক এলাকা। প্রতিদিনই বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাচ্ছে নগরীর অধিকাংশ ব্যস্ততম সড়ক ও নিম্নাঞ্চল।
১৯৯৫ দিন আগে
সরাইলে পানি নিষ্কাশন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মঙ্গলবার বাড়ির পানি নিষ্কাশন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
২০৭৪ দিন আগে