মৃত
ভূমিকম্প: তুরস্ক, সিরিয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে উদ্ধারকারী দল। তবে উদ্ধার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে তারা।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পে বুধবার মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে আরও সাহায্য পাঠানোর জন্য তুর্কি সরকারের প্রতি আহ্বানের মধ্যে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান কাহরামানমারাসে একটি ‘তাঁবুর শহর’ পরিদর্শন করেছেন। মানুষ বাধ্য হয়ে সেখানে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে তাবুতে বসবাস করছে।
তিনি প্রতিক্রিয়ার প্রথম দিকে ঘাটতি স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে কাউকে ‘রাস্তায় পড়ে থাকতে দেয়া হবে না।’
দুই ডজনেরও বেশি দেশের উদ্ধারকারী দল হাজার হাজার স্থানীয় জরুরী কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি এসেছে। কিন্তু সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর শক্তিশালী আফটারশকগুলো থেকে ধ্বংসের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে সিরিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধে বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। যেখানে অনেকেই এখনও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছেন৷
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ৯০০০ জনের বেশি নিহত
প্রাক্তন সাংবাদিক ওজেল পিকাল জানায়, তুরস্কের শহর মালতয়াতে উদ্ধার করা লাশগুলোকে মাটিতে পাশাপাশি রাখা হয়েছিল। কম্বলে আবৃত ছিল, যখন উদ্ধারকারীরা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন কিংবা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য যানবাহনের আসার অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তিনি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আটটি লাশ উদ্ধার করার দৃশ্যও দেখেছিলেন।
পিকাল নিজেও উদ্ধার প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তাপমাত্রা মাইনাস ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস (২১ ফারেনহাইট) এ নেমে যাওয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু মানুষ ঠান্ডায়ও মারা যেতে পারে।
পিকাল টেলিফোনে এপিকে বলেন, ‘আজকের দিনটি সুখকর নয়, কারণ আজ পর্যন্ত মালত্যায় কোনো আশা নেই।’ ধ্বংসস্তূপ থেকে কেউ জীবিত বের হচ্ছে না।
পিকাল বলেন, শহরে একটি হোটেল ভবন ধসে পড়েছে, যেখানে শতাধিক লোক আটকে থাকতে পারে।
তিনি জানান, যে এলাকায় তিনি ছিলেন সেখানে উদ্ধারকারীদের ঘাটতি ছিল এবং ঠান্ডা স্বেচ্ছাসেবক ও সরকারি দলের উদ্ধার প্রচেষ্টা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই অঞ্চলে
রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলাফেরা ও প্রবেশাধিকারও ব্যাহত হয়েছে।
পিকাল বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে আমাদের হাত কিছুই তুলতে পারে না। কাজের জন্য যন্ত্রপাতি প্রয়োজন।’
সিরিয়ায় এক দশকেরও বেশি গৃহযুদ্ধের কারণে একটি অঞ্চলে দুর্ভোগের মাত্রা খুবই বেশি ছিল। যুদ্ধের কারণে দেশের অভ্যন্তরে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেক মানুষ তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে কত মানুষ আটকা পড়ে থাকতে পারে তা স্পষ্ট নয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার পেরিয়েছে।
হোয়াইট হেলমেট নামে পরিচিত একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন জানায়, সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে এবং বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ জন মারা গেছে।
সোমবারের ভূমিকম্প এবং একাধিক শক্তিশালী আফটারশকের পর নিহতের মোট সংখ্যা ১১ হাজারে পৌঁছেছে। আহত হওয়ার সংখ্যা আরও কয়েক হাজার।
জাপানের কাছে ২০১১ সালে উৎপত্তি হওয়া একটি ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। তুরস্ক বা সিরিয়া এখনও নিখোঁজদের সংখ্যার পরিসংখ্যান প্রকাশ না করলেও ‘বিধ্বংসী’ ভূমিকম্পের পরে পোপ ফ্রান্সিস তার সাপ্তাহিক সাধারণ শ্রোতাদের প্রার্থনা এবং সংহতি প্রদর্শনের জন্য বলেছেন।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৬৪০
সিরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় মারা যাওয়া ১০০ জনেরও বেশি সিরীয়দের লাশ বাব আল-হাওয়া সীমান্ত দিয়ে দাফনের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সীমান্তের সিরীয় অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা মাজেন আলুশ বলেছেন, আরও ২০টি লাশ সীমান্তে তাদের পথে রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, তারা সবাই সিরিয়ান শরণার্থী যারা যুদ্ধকালীন দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
এখনও আটকে পড়াদের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে, তুরস্কে উদ্ধারকারী টিম পোলিশ জানায়, তারা ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে দুই সন্তানের বাবা-মা এবং ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
ভূমিকম্পের প্রায় দুই দিন পর উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কেন্দ্র কাহরামানমারাসের একটি ধসে পড়া অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিন বছর বয়সী ছেলে আরিফ কানকে উদ্ধার করে।
ছেলেটির শরীরের নীচের অংশ কংক্রিটের স্ল্যাব এবং পেঁচানো রডে আটকে থাকার কারণে ঠান্ডা থেকে রক্ষায় জরুরি কর্মীরা তার ওপর একটি কম্বল দিয়ে দেয়। কারণ আরেকটি ধসের আশঙ্কা মাথায় রেখে তারা সাবধানে তার কাছ থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলে।
ছেলেটির বাবা এরতুগ্রুল কিসিকে আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল। যখন তার ছেলেকে উদ্ধার করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছিল তখন তিনি কাঁদছিলেন।
তুর্কি টেলিভিশনে দেশে নাটকীয় উদ্ধারের ঘটনাটি সম্প্রচারের সময় একজন সাংবাদিক ঘোষণা করেছিলেন যে ‘আপাতত কাহরামানমারাসে আশার নাম আরিফ কান।’
কয়েক ঘন্টা পরে আদিয়ামান শহরে তার বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীরা ১০ বছর বয়সী বেতুল এদিসকে উদ্ধার করে। এসময় উপস্থিতরা করতালির দেয় এবং তার দাদা তাকে চুম্বন করেছিলেন। তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সময় তার সঙ্গে আদর করে কথা বলেছিলেন।
সোমবার বিকালে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি শহরে, বাসিন্দারা একটি কান্নারত নবজাতককে তার মৃত মায়ের সঙ্গে নাভির কর্ড দ্বারা সংযুক্ত দেখতে পান।
শিশুটির স্বজনরা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)কে জানিয়েছেন, ছোট্ট শহর জিন্ডারিসে একটি ভবন ধসে বেঁচে যাওয়া শিশুটির পরিবারের বাকি সবাই মারা গেছে।
কিন্তু এই ধরনের গল্পগুলো ভূমিকম্পের দুই পরও ছিল। সোমবার ভোরের এই ভয়াবহ ভূমিকম্প একটি বিশাল এলাকাকে ধ্বংস করে দেয়। হাজার হাজার বিল্ডিং ধসে পড়ে। হিমশীতল তাপমাত্রা এবং চলমান আফটারশকগুলো উদ্ধার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে।
তুরস্কে বেঁচে যাওয়া অনেককে গাড়িতে, বাইরে বা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুমাতে হয়েছে।
২৭ বছর বয়সী আয়সান কার্ট এপিকে বলেছেন, ‘আমাদের তাঁবু নেই, গরম করার চুলা নেই, আমাদের কিছু নেই। আমাদের বাচ্চাদের অবস্থা খারাপ। আমরা সবাই বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছি এবং আমাদের বাচ্চারা ঠান্ডায় বাইরে আছে। আমরা ক্ষুধা বা ভূমিকম্পে মারা যাইনি, তবে আমরা ঠান্ডায় জমে মরব।’
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ৬৪০
সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধ এবং রাশিয়া-সমর্থিত সরকারি বাহিনী বেষ্টিত সীমান্তে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার কারণে সহায়তা প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সিরিয়া নিজেই যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিত্যক্ত এলাকা।
অঞ্চলটি প্রধান ফল্ট লাইনের ওপরে থাকায় প্রায়শই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ১৯৯৯ সালে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে অনুরূপ শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ৩৭
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এসময়ে নতুন করে ৩৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৫ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮২ জনে পৌঁছেছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১৮৩
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৮৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার এক দশমিক ৯৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩১২ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ৮৮
করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ১৪০
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
গাজীপুর ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।
মৃত ফিলিং স্টেশন কর্মী সিরাজুল ইসলাম (২৮)।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান,
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: নিহত বেড়ে ২
৪০ শতাংশ দগ্ধ সিরাজুল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তিনি বলেন, একই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আনোয়ার (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে, মঙ্গলবার একই হাসপাতালে আল আমিন (৩০) নামে আরেক শ্রমিক মারা যান। এছাড়া সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পারভেজ (৩৩) , মিঠু মিয়া (২৬) মারা যায়।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। দগ্ধদের প্রথমে তাহিরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসি) নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে এদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা!
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময়ে আরও ৫২৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩৫২ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৭৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ২৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ১৪৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে এক হাজার ৫৯৮ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৫৪৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ০১ জানুয়ারি থেকে ০৩ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১৩ হাজার ৫১১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৩০৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৫ হাজার ৬১৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ১১ হাজার ৮৮৪ জন ঢাকার এবং বাকি তিন হাজার ৭৩১ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার তিনজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৬১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৬৮
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৩৫
করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার আরও ১৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এসব লাশের মধ্যে নারী ৩০ জন, শিশু ২১ জন এবং পুরুষ ১৭ জন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় জানান, মঙ্গলবার রাতে তৃতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আর মাত্র চারজন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকা ট্র্যাজেডি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ২৫ জন এবং সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২৫ জন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানান, নদীর পানি নামতে শুরু করেছে, নদীর তলদেশে কাঁদার মধ্যে আটকে পড়া লাশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ভাটির দিকে ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুডুরি দল স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত লাশগুলো শনাক্ত করে স্বজনদের হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
অনুকূল আবহাওয়া ও নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে দ্রুতই লাশ উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫
মঙ্গলবার দুপুরে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।
এসময় মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য অবহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের শুরুর দিকে আউলিয়ার ঘাটে ওয়াই মডেলের ব্রিজ নির্মাণ শুরু হবে। ইতোমধ্যে নকশাসহ একনেকে প্রকল্পটি পাস হয়েছে।
২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রিজটির খুব শিগগিরই টেন্ডার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া নৌকাডুবিতে কর্মহীন মানুষ যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবার পূর্ণবাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষে মৃতের প্রত্যেক পরিবারকে সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ২৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল লাশ উদ্ধারের পর পরিবারগুলোর অবস্থা বিবেচনা করে কার জন্য কি করা যায় সেটা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিখোঁজের যে তালিকা করা হয়েছে, শেষ ব্যক্তিটিকে উদ্ধার করা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
পরে রেলমন্ত্রী মৃত পরিবারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতাও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বোদা উপজেলা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ডুবুরিরা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
নিহতদের মধ্যে কবিতা রানী (৫০) নামে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অপর ৯জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১২ জন শিশু।
তিনি বলেন, তারা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা পেয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফেরার সময় ট্রলারটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। যাত্রীদের বেশিরভাগই হিন্দু পুণ্যার্থী ছিল।
সেদিন নদী থেকে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) তিনি মারা যান।
নিহতের নাম ইয়াসিন (১২) ।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো.বাচ্চু মিয়া জানান, ইয়াসিনের শরীরে ২৮ শতাংশ পোড়া ছিল। তিনি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি জানান, তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৫ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই
গত ৩০ আগস্ট কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় বাড়ির গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয় সদস্য গুরুতর দগ্ধ হন। হাসপাতালে আনার কয়েক ঘণ্টা পর দগ্ধ মারিয়া আক্তার (৮) মারা যায়। শাহাদাত হোসেন (২০) ও তার দাদি বেগম (৬০) শুক্রবার মারা যান। সোমবার একই হাসপাতালে দগ্ধ পান্না বেগম (৫০) মারা যান এবং মঙ্গলবার সোনিয়া আক্তার (২৬) মারা যান।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫
ভিয়েতনামে কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৩২
ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলে একটি কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বিন দুং প্রদেশের থুয়ান আন শহরের বহুতল ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এসময় কয়েকজন কর্মচারী এবং গ্রাহক ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরের দিন আবার আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মাঝে বাণিজ্য বৃদ্ধি চান প্রধানমন্ত্রী
ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে অন্তত একটি কারাওকে রুম এবং একটি স্টোরেজ রুমে প্রবেশ করা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে কয়েকজন ভবনটির ওপর তলা থেকে লাফ দেন। এছাড়া দমকলকর্মীরা ট্রাক থেকে মই ব্যবহার করে অন্যদের উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গম, ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করবে সরকার
দেশটির প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে এবং দ্রুত আগুনের কারণ খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভবনটির দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মানুষে-মানুষে বন্ধন বাড়িয়ে তুলতে পারে শিল্প: ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত
ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ২০৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ: আট মাসে মৃত্যু ২২
এদের মধ্যে ১৫৭ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৫১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮০৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৩২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২১৩ রোগী হাসপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট সাত হাজার ১১৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচ হাজার ৮২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ছয় হাজার ২৮১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার ১৩৯ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ১৪২ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
দেশে করোনায় শনাক্ত ২৩০
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন ২৩০ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৮ এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১২ হাজার ৭৬১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ২ মৃত্যু
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৬৬৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৫
এ সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ২৭১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২১৪