গলা কেটে হত্যা
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা রশিদা খানমকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১০ মার্চ) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় দেন।
আসামি নাহিদ ইমরান সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী জেবুন্নেসা জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নিয়ন ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণ হওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মায়ের কাছে টাকা দাবি করতেন।
কিন্তু মা টাকা দিতে অস্বীকার করায় এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যা করেন।
ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর নিয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি (১৪) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর কানিপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের মেয়ে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুলু মন্ডল দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে গাইবান্ধা জেলা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তার শ্বশুর (চাঁন মিয়া) বাড়ি চলে আসেন।
স্ত্রীর সঙ্গে বুলু মন্ডলের ঝগড়া লেগেই থাকতো। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার তার বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে এক পর্যায়ে মেয়ের কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে গলায় কোপ দেয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কিশোরকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
এতে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃষ্টি উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মেয়েকে গলাকেটে হত্যার পর বুলু মন্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজে শরীরে আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মনিরুজ্জামান জানান, লাশ ময়নাতদন্ত করাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
চাঁদপুরে প্রবাসীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে কিশোরকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে খুর দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই যুবক।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের রায়হর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর মুস্তাকিম (১৭) ইউনিয়নের চরশাখচুড়া গ্রামের সূর্যত আলীর ছেলে। তিনি একজন অটোরিকশা চালক ও মাইক অপারেটর ছিলেন।
অভিযুক্ত সজল মিয়া (২০) চৌকা গ্রামের মুর্শেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
ঘটনার পর গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা নাজনীন ও পাগলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত মুস্তাকিম আনসার নগর মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে মাইক অপারেটিয়ের কাজ করতে যায়। কাজের ফাকে রাতে মাহফিলের সামনে মেলায় যায়। মেলার মধ্যে মুস্তাকিমের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় সজল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সজলের সঙ্গে থাকা খুর দিয়ে মুস্তাকিমের গলায়, কাধে ও হাতে আঘাত করে।
এ সময় দুজনের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে তারা মিয়া (১৯) ও বাবুল (২০) খুরের আঘাতে আহত হন। স্থানীয়রা মুস্তাকিমকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিলা খাতুন ওরফে ওজোলা (৪০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় আহত হয়েছেন আব্দুল করিম নামে এক প্রতিবেশী। শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে ওই গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
নিহত ওজোলা খাতুন একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম ও ছেলে সাইদুল ইসলাম মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম আটক হওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, করিম তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করতেন। তাকে কুপ্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় হত্যা করেছেন। পরে করিম আত্মহত্যা করতে নিজেই নিজের গলায় কোপ দেন।
তবে পুলিশ বলছে, পরকীয়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম, তার ছেলে সাইদুল ইসলাম মান্নান ও জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী জামিলা খাতুন ওরফে ওজেলাকে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বাড়ির গোসলখানার ভেতর থেকে ওজোলা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত আব্দুল করিমকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে প্রবাসীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরে প্রবাসীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রবাসী শিকার ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আশেক এলাহি বাবু নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার প্রবাসী ইমরানকে গ্রেপ্তার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও টিম গোয়েন্দা দল। হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
অভিযুক্ত আশেক এলাহী বাবু ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) সুজনের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে এ হত্যকাণ্ডের পর নিহতের বোনের দায়ের করা খুনের মামলায় তাকে প্রধান আসামি করা হয়। তার বাড়ি জেলার শাহরাস্তির ওয়ারুক এলাকায়।
নিহত বাশারের বাড়ি ফরিদগঞ্জের লক্ষীপুর গ্রামের দালালবাড়ি আর স্ত্রী ফারজানার বাড়ি একই উপজেলার জাখনি গ্রামে।
স্বজনরা জানায়, ফারজানার সঙ্গে ইমরান বাশারের বিয়ে হয় দশ বছর পূর্বে। স্বামী প্রবাসে থাকায় বড় বোনের দেবর আশেক এলাহীর সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ফারজানা।
এর আগে এসব ঘটনার কারণে স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদও হয় ফারজানার।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, তাকে শুক্রবার আদালতে চালান দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের পর ছেলেরও মৃত্যু
রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৯ জুন) রাতে কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের পাশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত ব্যবসায়ী সোলায়মান মিয়া (৫৮ কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি বড়বাড়ী এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন ভূমি ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোলায়মান মিয়া কাঞ্চন বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনে একটি কল এলে সেখান থেকে চলে যান। রাত ৮টার দিকে সোলায়মান মিয়াকে গলা কেটে হত্যার পর পৌরসভার কালাদি এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের পাশে লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৪
চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জে ঘুমন্ত বড়ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ঘুমন্ত বড়ভাইকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ছোটভাই পলাতক রয়েছে। রবিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম ফকিরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বড়ভাই আবু রায়হান (২৭) ও হত্যাকারী ছোটভাই রোমান (২৪) একই গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান ফকিরের তিন ছেলে আবু রায়হান, রোমান ও জামান (১৮)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রায় এক বছর আগে রোমান প্রেম করে বিয়ে করে। পরিবারের কেউ তা মেনে নেয়নি। এ ছাড়া টাকা-পয়সা নিয়ে ওই পরিবারে বিরোধ চলছিল। মা-বাবা একঘরে ও পাশেই অন্য একটি ঘরে একই খাটে ঘুমান তিন ভাই। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাত ৯টার দিকে খাবার খেয়ে তিন ভাই ঘুমাতে যান। বড়ভাই রায়হান ও ছোটভাই জামান শুয়ে পড়লেও রোমান চেয়ারে বসেছিলেন। রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রায়হানকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে রোমান পালিয়ে যায়। এ সময় বড়ভাই রায়হানের গোংগানির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ছোটভাই জামানের। তখন তার মা-বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই রায়হান খুন হয়েছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রোমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে লিটন বিশ্বাস(৩০) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে লিটন বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে লিটনের দেহবিহীন মস্তক উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ।
আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লিটনকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ির মালিককে হত্যা: ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
যশোরের কেশবপুরে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ঋষিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চঞ্চল দাস (২৫) কেশবপুরের একটি সেলুনে কাজ করতেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি কলাবাগানে চঞ্চলের চিৎকারে শুনে সেখানে গিয়ে তাকে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত শ্বাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পুত্রবধূ আটক
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
নিহত চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাসের অভিযোগ, পাড়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের নারী নির্যাতনের একটি মামলা চলছিল। মামলা নিয়ে বিরোধের কারণে তার ছেলে খুন হয়েছে বলে জানান তিনি।
জয়পুরহাটে নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় শিপন আক্তার (৪৪) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে দুথইল-নয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিপন আক্তার একই গ্রামের তোজাম সরকারের স্ত্রী।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত গতরাতে শিপন আক্তার ঘরের দরজা খোলা রেখে দুই সন্তানসহ একটি বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার সকালে উঠে গলা কাটা অবস্থায় শিপনের লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত ভাবে পরিবারের সদস্যরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল হোসেন এ বিষয়ে জানান, তদন্ত করে প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে মা ও শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২ আসামি গ্রেপ্তার
ঘুমন্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী আটক