ফোন
৯৯৯-এ ফোন: গভীর সমুদ্র থেকে ২১ জেলে উদ্ধার
মাছ ধরার সময় সমুদ্রের মাঝখানে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ১৫ দিন ধরে ভেসে থাকা ২১ জেলেকে বুধবার উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুর রহমান জানান, গত ১৬ মে এমভি জুনায়েদ নামের একটি ফিশিং ট্রলার ভোলা থেকে সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
কিন্তু মাঝ সাগরে যাওয়ার পর হঠাৎ করে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং ট্রলারটি ডুবে যায়।
তারপর থেকে সমুদ্রে লক্ষ্যহীনভাবে ভাসছিল তারা।
তিনি আরও জানান, পরে জেলেরা কোনোভাবে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসকে (৯৯৯) কল করতে সক্ষম হয় এবং খবর পেয়ে কোস্টগার্ড গভীর সাগর থেকে ২১ জেলেসহ ট্রলারটিকে উদ্ধার করে।
আবদুর রহমান বলেন, মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে জেলেসহ ট্রলারটি হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া প্রাথমিকভাবে জেলেদের চিকিৎসা ও খাবার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগর থেকে ৪৪ জেলে উদ্ধার
৯৯৯-এ ভাইয়ের ফোন: দুবাই পাচারকালে তরুণী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে ভুয়া ভিসায় দুবাই পাচারকালে বিমানবন্দর থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-খিলক্ষেত মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুল করিম ব্যাপারির ছেলে মো. আবদুল খালেক (৪৩) এবং কুমিল্লার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. ফয়েজুল্লাহ সবুজ (৫৩)।
জানা যায়, ২৬ বছর বয়সী বড় বোন এক পরিচিত লোকের মাধ্যমে পার্লারে কাজ করার জন্য দুবাই যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু ভিসার কপি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা ঢাকার ইউএই দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ভিসাটি ভুয়া।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল করে ডুবন্ত স্পিড বোট থেকে প্রাণে বাঁচল ১২ চীনা নাবিক
কিন্তু ততক্ষণে প্রতারক চক্রের সঙ্গে তার বোন রওনা দিয়ে দিয়েছেন এবং তার কাছে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতারক চক্র তার বোনকে নিয়ে ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। কারণ, ওইদিন রাত ৯টার ফ্লাইটে তার বোনের দুবাই যাওয়ার কথা রয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় বিমানবন্দর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের এক শিক্ষার্থী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তার বোনকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মিজানুর রহমান কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল মিজানুর তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর থানা ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান।
৯৯৯ ডিসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার খোঁজ-খবর নিতে থাকেন।
পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনাজ বেগম ৯৯৯ কে জানান, তারা ওই তরুণীর যাত্রা স্থগিত করে তাকে তার ছোট ভাই ও স্বামীর কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) প্রতারকচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯-এ ছেলের ফোনে উদ্ধার
ছেলের আত্মহত্যা চেষ্টা, ৯৯৯-এ বাবার ফোনে উদ্ধার
বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
রিয়েলমি দেশের বাজারে নিজেদের ‘সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন’ ফোন রিয়েলমি সি৫৫ উন্মোচন করেছে।
এটি এই সেগমেন্টের একমাত্র ফোন যাতে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক ফাস্ট চার্জার, ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ ও সানশাওয়ার ডিজাইন রয়েছে। আগ্রহী ক্রেতারা প্রি-বুকিং করে জিতে নিতে পারেন এক লাখ টাকা।
রিয়েলমি সি৫৫ ফোনের ৬ জিবি র্যাম/১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্ট ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় এবং ৮ জিবি র্যাম/২৫৬ জিবি রম ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য)।
ব্যবহারকারীদের স্মুথ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ফোনটির ক্যামেরা, স্টোরেজ, চার্জ ও ডিজাইন - এ চারটি ক্ষেত্র নিয়ে আসা হয়েছে সেগমেন্ট-সেরা আপগ্রেড।
রিয়েলমি সি৫৫ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে সানশাওয়ার ও রেইনি নাইট দু’টি রঙে। ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও হেলিও জি৮৮ চিপসেটসহ ৬ দশমিক ৭২ ইঞ্চির এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের স্ক্রিনের এই ফোনটি দুর্দান্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
রিয়েলমি সি৫৫ স্মার্টফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরার পাশাপাশি ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বিঅ্যান্ডওয়াই (ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট) লেন্স রয়েছে। উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য এই সিরিজের আগের ফোন সি৩৫ এর তুলনায় রিয়েলমি সি৫৫-এ ৫৪ শতাংশ সেন্সর সাইজ এবং ৫৩ দশমিক ৮ শতাংশ রেজ্যুলেশন বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্ভাবনী ইমেজ মোড, ফিল্টার ও প্রোলাইট ইমেজিং টেকনোলোজির সুবিধার মাধ্যমে ফোনটি কম আলোতেও সেরা ক্যামেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
ডিভাইসটির ৮ জিবি ডায়নামিক র্যাম, যা ১৬ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজ, যা এক টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে।
এছাড়া, রিয়েলমি সি৫৫ এ রয়েছে ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক চার্জার, যা এই সেগমেন্টের সেরা। ফোনটি শতভাগ চার্জ হতে সময় নিবে মাত্র ৬৩ মিনিট। পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি।
রিয়েলমি সি৫৫ ফোনে প্রথমবারের মতো (অ্যান্ড্রয়েড ফোনে) মিনি ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন চার্জিং স্ট্যাটাস, ডেটা ব্যবহার ও স্টেপ কাউন্টসের নোটিফিকেশন পাবেন।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে ফোনটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক রিয়েলমি ইউআই ৪.০, ফাস্ট-সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও ৩৬০ ডিগ্রি ফ্রি সোয়াইপ-সহ মাল্টিফাংশনাল এনএফসি। চারটি সেগমেন্ট সেরা ফিচারের কারণে রিয়েলমি সি৫৫ ‘চ্যাম্পিয়ন’ ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিস্তারিত জানতে ভিসিট করুন এই ঠিকানায় - https://realmebd.com/c55-prebook/
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
বর্ণিল আয়োজনে রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট উদযাপিত, দারাজে বিক্রির রেকর্ড!
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১
সম্প্রতি উন্মোচিত হওয়া তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি’র সর্বাধুনিক স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০ ও সি৩১ এখন দেশব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে। নতুন এ ফোনগুলো রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত ও ফ্যাশনেবল জীবনধারায় অনুপ্রাণিত করবে।
দেশের যে কোন মোবাইলের দোকান থেকে ব্যবহারকারীরা এ ডিভাইস দু’টি ক্রয় করতে পারবেন। এবারের ঈদে এ মূল্যের মধ্যে উন্নত প্রসেসর ও ডিসপ্লের ফোন নারজো ৫০ (৪জিবি/৬৪জিবি) মাত্র ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি, নান্দনিক ডিজাইনের রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি কেনা যাবে মাত্র ১২ হাজার ৯৯০ টাকায়।
ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা প্রদানে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে রিয়েলমি। দু’টি স্মার্টফোনই https://click.daraz.com.bd/e/_6j5tR দারাজের ফ্ল্যাশ সেল চলাকালীন সময়ে পাওয়া যাবে।
গেমপ্রেমীদের জন্য রিয়েলমি’র নারজো সিরিজের সর্বাধুনিক ফোন হলো নারজো ৫০। এ মূল্যের মধ্যে এ ডিভাইসটিই একমাত্র ফোন যেখানে একসঙ্গে হেলিও জি৯৬ প্রসেসর ও ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট রয়েছে। টানা ফোন ব্যবহার ও গেম খেলার জন্য ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ডিভাইসের চার্জ ফুরিয়ে যায় তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ, ডিভাইসটির ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জের সাহায্যে মাত্র ৭০ মিনিটের মধ্যে ডিভাইসটি ফুল চার্জ হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে গেমিং স্মার্টফোন রিয়েলমি নারজো ৫০, দাম মাত্র ১৬,৪৯৯ টাকা
এছাড়াও, রিয়েলমি নারজো ৫০ ডিভাইসে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা সুন্দর ও নিখুঁত ছবি তুলতে পারবেন।
অন্যদিকে, রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটি এন্ট্রি-লেভেল স্মার্টফোনের ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে চমৎকার ডিজাইন ও স্টাইলিশ ফোন। এ ফোনটিতে ৮.৪ মিমি. এর মতো পাতলা ও এতে ডায়নামিক টেক্সার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি+ডিসপ্লে’র এ ফোনটিতে তরুণদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে টাইগার সিরিজের ইউনিসক টি৬১২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ইউনিসক টি৬১২ হলো একটি ১২এনএম প্রসেসর, যা ১.৮২ গিগাহার্জ পর্যন্ত বাড়ানো যায় এবং এতে রয়েছে করটেক্স এ৭৫ স্ট্রাকচার, যা একটি শক্তিশালী ও নিরবিচ্ছিন্ন পারফরমেন্স প্রদান করবে। রিয়েলমি সি৩১ ডিভাইসটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রিয়েলমি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভজি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ফাইভজি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভজি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটের শীর্ষে রিয়েলমি
ডিসি’র মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ফোন
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করেছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি ডিসির নম্বরটি ক্লোন করে রাজশাহীর তিনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করেছে।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীর দুর্গাপুর, পবা ও বাঘার ইউএনওকে ফোন করে প্রতারক চক্র।
বাঘার ইউএনও পাপিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমাকে ফোন করা হয়। ফোন করে একটা মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। বলা হয়, এটা ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার নম্বর। এই নম্বরে যেন যোগাযোগ করি। কিন্তু কণ্ঠস্বর এবং কথা শুনেই আমি ডিসি স্যারের নম্বর ক্লোন করার বিষয়টি বুঝতে পেরে লাইন কেটে দেই। নইলে আমার নম্বরও ক্লোন হওয়ার ঝুঁকি ছিল।’
আরও পড়ুন: নবীনগর ইউএনও’র সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, রাজশাহীর তিন ইউএনও এ ধরনের ফোন পাওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। তবে কেউ প্রতারিত হননি। অন্য কেউ প্রতারিত হয়েছেন এমন খবরও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি রাজশাহীর পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানিয়েছেন। পুলিশ প্রতারককে খুঁজে বের করবে।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক তাকে বিষয়টি জানানোর পর থেকেই এই প্রতারক চক্রটি ধরতে অভিযান শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই চক্রটি ধরতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এসপি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ইউএনও’র ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ
দিনাজপুরে ওসির নম্বর ক্লোনিং করে চাঁদা দাবি
বঙ্গোপসাগরে নৌযান বিকল, ৯৯৯-এ ফোনে ১০০ পর্যটক উদ্ধার
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক পর্যটকের কল পেয়ে বঙ্গোপসাগরের পারকী উপকূলের বিকল নৌযানের ১০০ যাত্রীকে উদ্ধার করে নিরাপদে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছে দিয়েছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকী সমুদ্র সৈকতের কাছে থেকে জাহিদুল ইসলাম নামে বিকল নৌযানের এক পর্যটক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চান।
রবিবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযানে করে নারী, শিশুসহ অন্তত ১০০ জন পর্যটক গত ৩১ ডিসেম্বরে সাগরপথে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একদিন সেখানে অবস্থানের পর গত ১লা ডিসেম্বর তারিখে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিছুদূর আসার পর তাদের নৌযান বিকল হয়ে পড়ে এবং তাদের নৌযানের তলা ফুটো হয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এসময় নৌযানের একজন যাত্রী জাহিদুল ইসলাম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের বিপদের কথা জানান এবং উদ্ধার সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি আরও জানান, সে সময় কলার তাদের সঠিক অবস্থান জানাতে পারেননি। তিনি শুধু জানাতে পেরেছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকী সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি আছেন তারা।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল রাজেশ কুমার রায় এই কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল রাজেশ তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানান। কোস্ট গার্ড উদ্ধারকারী দল কলারের সঙ্গে কথা বলে চট্টগ্রাম কোস্ট গার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযানে রওনা দেয়। অবশেষে পারকী উপকূলের সন্নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগর থেকে বিকল নৌযানের নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন পর্যটক ও বিকল নৌ যানটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার
৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নৌযান বিকল হয়ে পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতায় উদ্ধার হলেন শিশুসহ ৩৮ পর্যটক। কক্সবাজারের নাফ নদীতে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক পর্যটকের ফোন কলে বিকল নৌযান মেরামত করে পর্যটদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল রাজু আহমেদ একটি কল রিসিভ করেন। আকবর হোসেন নামে একজন কলার কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাফ নদী থেকে ফোন করে জানান, তারা ১২ জন নারী ও ২ শিশু সহ মোট ৩৮ জন পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান (ট্রলার) যোগে যাত্রা করেছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহীর এবং স্থানীয় কিছু পর্যটক ছিলেন।
যাত্রার কিছুক্ষণ পর তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও নৌযানের চালক ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেনি। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শাহরিয়ার রুবেল এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) জনাব নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় কাজ পরিচালনা করেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল একজন ইঞ্জিন মেরামতকারী মেকানিক সহ রওনা হয় তাদের উদ্ধার করতে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এ.এস.আই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মিজান ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সকলে মাঝে বিতরণ করা হয়। এরপর মেকানিক ইঞ্জিন মেরামত করে দিলে পর্যটকদের নিয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যায়।
ফোন দিলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন
সিরাজগঞ্জে হটলাইন নম্বরে ফোন করলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন কনসেন্টর। করোনায় শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীকে অক্সিজেন দেবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম। এ অক্সিজেন পেতে রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে রোগী সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত এ সেবা চলবে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিজ বাসভবনে ১০টি অক্সিজেন কনসেন্টর উদ্বোধনকালে ওই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থানীয় এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের ২০০ এমটির ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’
তিনি আরো বলেন, ০১৫৩৩-১৯৯৪৩৯ ও ০১৭২৫-৭১৩৪৬৮ নম্বরে ফোন করলে শ্বাসকষ্টের করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন কনসেন্টর। বৈদ্যুতিক কানেকশনের মাধ্যমে বাতাস থেকে অক্সিজেন তৈরি করবে এ মেশিন। এটি পরিচালনার জন্য ১০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। উল্লেখিত দুটি হটলাইন নম্বরে ফোন করলে সবসময় এ অক্সিজেন সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবকরা নিযুক্ত থাকবেন।
এদিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে করোনা বেড ৫০ থেকে ১’শটিতে উন্নীত করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়েও করোনা বেড বাড়ানো হচ্ছে এবং হাইপ্রো অক্সিজেন ক্যানোলা আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে কল দিলেই মিলছে অক্সিজেন সেবা
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল খান, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, আ’লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনি, যুবলীগ নেতা একরামুল হক, ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবিব খোকা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাজারে এলো সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি
দেশের তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন রিয়েলমি ৮ ৫জি যাত্রা শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দুটি স্মার্টওয়াচ-রিয়েলমি ওয়াচ ২ ও রিয়েলমি ওয়াচ ২ প্রো বাজারে নিয়ে এসেছে রিয়েলমি।
শনিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট ডিভাইসগুলো উন্মোচন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫জি’র পপুলাইজার হিসেবে রিয়েলমি আশাবাদী যে, এই প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল বিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
সবার জন্য ফাইভজি প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে রিয়েলমি ৮ ফাইভ জি’তে রয়েছে ডাইমেনসিটি ৭০০ ফাইভ জি প্রসেসর। এতে আছে ৮জিবি র্যাম, আছে ৫ জিবি ডায়নামিক র্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা যা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার হাইপার স্লিম বডি ও ১৮৫ গ্রাম ওজনের রিয়েলমি ৮ ৫জি বাজারের সবচেয়ে হালকা ৫জি স্মার্টফোন। রিয়েলমি ৮ ৫জি এবং ইউনিভার্সল পিকচার্সের ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৯’ এর কোলাবরেশন থাকায়, এই স্মার্টফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে জনপ্রিয় ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। এই সিনেমার গতিময় হেডলাইট থেকে ধারণা নিয়ে তা ফোনের পেছনে ব্যবহার করে তরুণদের জন্য ডায়নামিক স্পিড লাইট ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। এই ফোনে আরও রয়েছে ৯০ হার্জ ফুল এইচডি, আছে আলট্রা-স্মুথ ডিসপ্লে এবং ৫,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি।
আরও পড়ুন: বাজারে আসছে রিয়েলমির সাশ্রয়ী ৫জি স্মার্টফোন
৫জি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে, রিয়েলমি ৫জি একাডেমির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেখানে প্রথম পর্বে ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন টেক উদ্যোক্তা রিসালাত সিদ্দিক, আমাদের জীবনের প্রতিটি খাতে ৫জি প্রযুক্তি যেসব সুবিধা নিয়ে আসছে সেগুলো তুলে ধরেছেন।
এছাড়া তারুণ্যের আইকন এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৫জি’র বিভিন্ন দিক আলোচনা ছাড়াও, ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ৯ এর সাথে একযোগে ৫জি’র স্পিড এবং পারফরমেন্সের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে রিয়েলমি। সম্প্রতি রিয়েলমি একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে যেখানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, গবেষণা সংস্থা ও রিয়েলমি’র বক্তারাসহ একজন টেক রিভিউয়ার ৫জি প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং তাদের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন।
৫জি স্মার্টফোন ছাড়াও রিয়েলমি প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য দুটি স্মার্টওয়াচও নিয়ে এসেছে। রিয়েলমি ওয়াচ ২ প্রো আকর্ষণীয় সব স্পোর্টস ফিচারে ভরপুর। এতে রয়েছে ১.৭৫ ইঞ্চির বড় কালার ডিসপ্লে এবং ১০০টি স্টাইলিশ ওয়াচ ফেস। তাছাড়া, রিয়েলমি ওয়াচ ২ প্রো দিয়ে ব্যবহারকারীরা সঠিক জিপিএস, রক্তে অক্সিজেন ও হৃদস্পন্দন শনাক্তকরণের মতো আরও অনেক স্মার্ট ফাংশন অনায়েসে উপভোগ করতে পারবেন।
অন্যদিকে, ২.৫ সেন্টিমিটার রঙিন টাচস্ক্রিন সম্বলিত রিয়েলমি ওয়াচ ২ দিয়ে ব্যবহারকারী ১২ দিনের ব্যাটারি লাইফ, ৯০টি স্পোর্টস মোড, লাইভ ওয়াচ ফেস এবং স্মার্ট এআইওটি নিয়ন্ত্রণের মতো ফিচারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। এই ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের জীবনকে রাঙিয়ে তুলবে। এই স্মার্টওয়াচ দিয়ে অক্সিজেনের স্তর এবং হার্টের রেট পর্যবেক্ষণ করাও সম্ভব।
আগামী ৩ বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে, তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ফাইভ জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। রিয়েলমি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভ জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি আরও অনেক এআইওটি পণ্য তরুণ ক্রেতাদের জন্য বাজারে নিয়ে আসবে। ৫জি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সবার জন্য ৫জি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি আগামী দিনে আরও বেশি বেশি স্মার্ট ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বাজার সম্প্রসারণে কাজ করবে রিয়েলমি-দারাজ
অসাধারণ ডিজাইনের স্মার্টফোনটি বাজারে পাওয়া যাবে সুপারসোনিক ব্লু এবং সুপারসোনিক ব্ল্যাক এই দুটি কালারে। আগ্রহীরা শুধুমাত্র ইভ্যালিতে ১০ জুলাই রাত ১০:১০ মিনিট থেকে এই স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন ১৯,৯৯০ টাকার অবিশ্বাস্য মূল্যে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত ডেলিভারি গ্যারান্টিসহ স্মার্টফোনটি কিনতে ভিজিট করুন - https://cutt.ly/Buy_realme8_5G ।
এদিকে, রিয়েলমি ওয়াচ ২ এবং রিয়েলমি ওয়াচ ২ প্রো বাজারে পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৪,২৯৯ ও ৫,৪৯৯ টাকায়।