পোশাককর্মী
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ওই কারখানার এক পোশাককর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবারের (৩০ অক্টোবরের) ঘটনায় নিহত ইমরান হোসেন (৩০) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভুমবাড়িয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-আরেফিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর কারখানার পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
উল্লেখ্য, ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা মূল বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পঞ্চম দিনের মতো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের কারণে বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড খোলা ছিল। এই খবর বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা ওই কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনের আহ্বান জানান। শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ না দিলে তারা গেট ভেঙে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করেন।
এক পর্যায়ে কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-আরেফিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, গাড়িতে আগুন
গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ: শ্রমিক নিহত
ত্রিশালে বাসচাপায় ৬ জন পোশাককর্মী নিহত
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশালের চেলেরঘাট এলাকায় বাসচাপায় ৬ জন পোশাককর্মী নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন।
বু্ধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ত্রিশালের জেসমিন আক্তার (৩৫), সিরাজুল ইসলাম (৪০), সোহেল মিয়া (২৮) ও সদর উপজেলার লিটন মিয়া (৩০)। হতাহতরা সবাই পোশাককর্মী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ধাক্কায় লেগুনা খাদে পড়ে নিহত ৪
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকালে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী এস এস ট্রাভেলসের একটি বাস ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে চাকা পাঙচার হলে বাসের যাত্রীরা অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সকাল ৮টার দিকে রাসেল স্পিনিংয়ের একটি বাস রাস্তার পাশে নিয়ে যাত্রী তুলছিল।
এ সময়ে পেছন থেকে একটি বাস দ্রুত গতিতে যাত্রীদের ওপর উঠে পড়লে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, নিহতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছেন। আহত ৬ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাককর্মী নিহত, আটক ১
গাজীপুরে পিকআপ ভ্যানচাপায় এক গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৬ জুন) নগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার সরকার বাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শরিফা আক্তার (২৫) ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, শরিফা তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বাসন থানার আউটপাড়া এলাকার চান মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি পেনাসিয়া নামক একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আটক পিকআপ ভ্যানচালক মো. মারফত আলী (২৬) জামালপুরের ইসলামপুর থানার ডিগ্রিচর গ্রামের আন্দার আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শরিফা আক্তার তার দুই সন্তানের চুল কাটাতে ওই এলাকার একটি সেলুন নিয়ে যায়। সেলুনের ভিতরে সন্তানদের রেখে তিনি সামনে অবস্থান করছিলেন। সেসময় ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি এসে তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে শরিফাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানোয়ার জাহান জানান, লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক চালক ও পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৬ জন আহত
নেত্রকোনায় নতুন করে আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত
নেত্রকোনায় কোন রকম লক্ষণ ছাড়াই জেলার বাইরে থেকে আসাদের নমুনা পরীক্ষা করে রবিবার নতুন করে আরও দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জনে।
‘লকডাউনের’ মধ্যেই ঢাকা ফিরছে হাজার হাজার মানুষ
সারা দেশে অঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ। যাদের বেশিরভাগই পোশাক কারখানার কর্মী।