বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
সরকার বারবার সময় দেওয়ার পরও ১২ বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে, এমন ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাসিক সভা থেকে সেই সিদ্ধান্ত আসবে।
১৮ টি বেসরকারি ভার্সিটি- লিমিট ক্রস করে ফেলেছে। যারা ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। কারো ১২, ১৫, ১৮, ২০ বছরের বেশি হয়েছে, এখানে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কোনোটির ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে, কোনো কোনোটির ১৫, ১৮, এমনকি ২০ বছর হয়ে গেছে, এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি
ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া ব্যাপারে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও যায়নি। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে তিন মাস আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এই সংখ্যা হবে ১৮টি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে বলা হয়, ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘এটি বলা যাবে না। তবে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাসিক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুব দ্রুতই মাসিক সভা হবে। সেখানে ১২ বছরের উপরে হয়ে গেছে, কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি—এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যেতে পারলে অনুমোদন বাতিলসহ অনেক বিকল্প আছে। তবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর কতদিন সময় দেবেন জানতে চাইলে ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘২/৩ মাসে তো আর যেতে পারবে না। সময় দিলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে৩/৪ বছর সময় লাগবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভার্সিটির ১২, ১৫, ২০ বছর হয়ে গেছে, এখনও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে ইউজিসির মাসিক সভায় বহু ধরনের সিদ্ধান্ত আসবে। কাউকে সতর্ক, কাউকে সময় দেওয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা স্থাপনের অনুমতি দিতে গাইডলাইন হচ্ছে
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১১৭ ভার্সিটির মধ্যে বেশিরভাগেরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। স্থায়ী ক্যাম্পাস সংখ্যা অনেক কম। তারপরও তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ, দুটির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাকি ১২ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে আলাদা সময় দেওয়া হয়েছিল।
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় যে ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ই রাজধানী ঢাকায়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ঢাকার সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি।
এদিকে, রাজধানীর সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে গত শনিবার খিলগাঁও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের অর্ধসমাপ্ত স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে সাত বছর, পরে আরও পাঁচ বছর সময় পায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।
২০৮ দিন আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষায় আসছে সার্ভিস রুল
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষায় সার্ভিস রুল না থাকায় নানা ভোগান্তি ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তারা। স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চাকুরিচ্যুতির ঘটনাও অহরহ ঘটে থাকে। এসব অনিয়ম বা বৈষম্য রোধে সার্ভিস রুল অনুসরণ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা গেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারীভাবে আর বরখাস্ত করার সুযোগ থাকবে না। শিক্ষকসহ অন্যান্য কর্মর্কতা-কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মোচন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সময় শিক্ষকরা ভয়েস রেইস করে, কোনোভাবে হয়ত কথা বলে বা বিভিন্নভাবে হয়ত যৌক্তিক কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি হয়তো ভালো লাগলো না, তখন তাকে চাকরিচ্যুত করে দেন। এটি শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও হয়।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ‘এজন্য প্রতিটি ভার্সিটিতে সার্ভিস রুল থাকতে হবে এবং যা হবে, তা সার্ভিস রুল অনুযায়ী করতে হবে। তাই আমি মনে করি শিক্ষকদের নিরাপত্তায় এটি বড় একটি পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগ: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি
তিনি আরও বলেন, এই সব বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি ভার্সিটির সার্ভিস রুল তৈরি করা হয়েছে কিনা? তৈরি করা না হলে অতি শিগগিরই করতে হবে। আমি খুব কম সময়ের মধ্যে। আগামী ২ সপ্তাহ মধ্যে করতে হবে। প্রতিটি ভার্সিটিতে চিঠি দিয়েছি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সদস্য বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আউট সোসিং থেকে শুরু করে প্রতিটি পদে, অধ্যাপক পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ বা চুক্তিটি সার্ভিস রুল অনুযায়ী করতে হবে। তাহলে প্রত্যেকের চাকরি নিরাপদ হবে।
তিনি আরও বলেন, সার্ভিস রুল অনুযায়ী কাউকে চাকরি থেকে বাদ দিতে হলে সময় দিতে হবে, কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তাকে আগে সতর্ক করতে হবে এবং সময় জানিয়ে চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ চাকরিতে তার অধিকারটা প্রটেক্ট থাকতে হবে।
এছাড়াও পাবলিক ও প্রাইভেট ভার্সিটির বেতন অনেক কম। সার্ভিস রুল থাকলে সেখানে বেতন কাঠামো থাকবে। এটি আমরা আবার সময়ে সময়ে রিভিউ করব। দেশে বেসরকারি ১১৭ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছে। ১১৭টি সার্ভিস রুল থাকতে হবে।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চাকরিজীবনে বেশ কিছু সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা দেখা যায়। যেমন- বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছ ও লিখিত সার্ভিস রুল (চাকরি সংক্রান্ত নিয়মনীতি) নেই। এমনকি থাকলেও তা কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হয় না। ফলে চাকরিচ্যুতি, পদোন্নতি, ছুটি বা শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অনির্ধারিত বা স্বেচ্ছাচারীভাবে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
চাকরিচ্যুতির ভয়
শিক্ষকদের স্বাধীন মত প্রকাশ, গবেষণা বা সমালোচনামূলক আলোচনা অনেক সময় বাধাগ্রস্ত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কোনো পূর্ব নোটিশ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই অনেক সময় শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা ন্যায্য অভিযোগ করার সুযোগ পান না।
এছাড়াও প্রশাসন বা মালিকপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হয়, না করলে হয়রানির শিকার হন তারা। অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষের দায়িত্ব বা প্রশাসনিক কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়।
বেতন অনেক কম
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই ন্যূনতম বেতন স্কেল পান না। বেতন কাঠামোও অনিয়মিত। ইনক্রিমেন্ট বা ছুটি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা বা গবেষণার মান বিবেচনা না করে অযোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
২১২ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ
কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রথমে সড়কের একপাশ অবরুদ্ধ করলেও পরে পুরো মহাসড়কে অবস্থান নেয় তারা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে রামপুরা ব্রিজ থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত উভয় দিকের রাস্তা বন্ধ রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, অবরোধের কারণে বনশ্রী-বাড্ডা সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিকল্প পথ হিসেবে হাতিরঝিল ও বাড্ডা লিংক রোড বেছে নিচ্ছেন।
বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এনএসইউ, আইইউবি, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে দুই দিকের সড়ক বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শিক্ষার্থীরা নতুন বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করলেও পরে তারা সরে যায়।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে প্রাইম-এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বনানী রোডে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক বলেন, 'বনানীতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। তাদের সড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
এছাড়াও ঢাকার উত্তরায় বানৌজা সেন্টারের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে আইইউবিএটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে সোয়া ১২টা থেকে যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন জানান, বেলা ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়াও বিকালে মৌচাক মোড় অবরোধ করে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় এক ঘণ্টার জন্য মালিবাগ, মগবাজার ও শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এদিকে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস বিশ্বাস জানান, দুপুর ২টার দিকে মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেয় বিক্ষোভকারীরা। এরপর থেকে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
৫০৭ দিন আগে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির ও সেক্রেটারি জেনারেল কাজী আনিস
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিষ্ঠাতা-উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. কাজী আনিস আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মঙ্গলবার (৩০ মে) এপিইউবির বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচনে তাদের আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
নির্বাচনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী (বিইউবিটি) এর অধ্যাপক শফিক আহমেদ সিদ্দিক ভাইস-চেয়ারম্যান; ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস বাংলাদেশ এর ড. আনিস আহমেদ সেক্রেটারি জেনারেল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর ইশতিয়াক আবেদিন জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর কেবিএম মঈন উদ্দিন চিশতি, ট্রেজারার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কার্যনিবাহী পরিষদের অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যরা হলেন- একেএম এনামুল হক শামীম, পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; নজরুল ইসলাম বাবু, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি; কাজী রফিকুল আলম, আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এ্যন্ড টেকনোলজী; সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, ব্রাক ইউনিভার্সিটি; জনাব শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি; চৌধুরী নাফিজ সরাফত, ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; মো. সবুর খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, এক্সিম ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি; আব্দুল হাই সরকার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রিয়াদ আহমেদ তুষার, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; মো. রেজাউল করিম, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং কাইয়ূম রেজা চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী (বিইউবিটি) এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু সালেহ এর নেতৃত্বে চার সদস্যের নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) এর কার্যনিবাহী পরিষদের নির্বাচন নির্বাচন ২০২৩ পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
৯১৯ দিন আগে
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, উচ্চশিক্ষার মান দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
ইউএনবির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইউজিসি সদস্য এ কথা বলেন।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, উচ্চশিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে হলে এ বিষয়ে আসন সংখ্যা কমাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি ক্লাসে ৩৫-৫০ জন শিক্ষার্থী থাকা উচিত। প্রয়োজনে বেশি সেকশন করে কম করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশে কখনও কখনও একটি বিভাগে ২০০০-৩০০০ শিক্ষার্থী থাকে, যা শিক্ষার মানকে অনেকাংশে ক্ষুণ্ন করে। আমরা যদি আসন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারি তবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নত হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বজিৎ বলেন, শিক্ষার কোয়ালিটি ধরে রাখতে হলে যেমন ভালো শিক্ষক প্রয়োজন তেমন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও জরুরি। পাশাপাশি আসন সংখা কম থাকতে হবে। বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকলে কোয়ালিটি ধরে রাখা কঠিন।
তিনি বলেন, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিত এবং বেশি সেকশন রাখা উচিত। এছাড়া প্রত্যেকটি শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি শিক্ষা অর্জনে কারিকুলাম থেকে শুরু করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট অত্যন্ত জরুরি। দক্ষ ও ভালো শিক্ষককের পাশাপাশি অবকাঠামো এবং শিক্ষকদের ট্রেনিং ব্যবস্থা থাকতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, একটি ভালো শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ইউজিসির মনিটরিং সিস্টেম সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, আমরা সব সময় গুণগত মান বজায়া রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বলছি। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষায় কোয়লিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই আমরা সতর্ক করেছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ ইউজিসির
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। উচ্চশিক্ষার মান বজায় রাখতে আমরা সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করছি। বিশেষ করে আমি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখি সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেকগুলো ভালো মানের পড়াশোনা চালাচ্ছে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ রয়েছে। যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে কঠোর বার্তা দিয়ে মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ আরও জানান, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ছয় মাসব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে, যাতে শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান এর সমস্যা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে এবং আমাদের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার চিন্তাভাবনা করছি, তবে আমাদের দেশে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা রয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের ইউজিসির জনবলের সংখ্যা কম, সে কারণে হয়তো মনিটরিং ব্যবস্থা সেরকম হয়নি এটা আমাদের দুর্বলতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করার আহ্বান ইউজিসির
অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে কেমন শিক্ষার কোয়ালিটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ থেকে আমরা শিক্ষায় কতটুকু কোয়ালিটি এটি আসলে নির্ভর করে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। আমাদের দেশে যেমন কিছু পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের পড়াশুনার মান অনেক ভালো, যা বিদেশ থেকেও কম নয়। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সবক্ষত্রে আমরা এখনো অন্যান্য দেশ থেকে ভালো না হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেকদুর এগিয়েছি। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো পড়াশোনার মান রয়েছে আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় খারাপ হয়েছে তবে এটি পর্যায়ক্রমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানদণ্ডে একত্রিত করা যাবে না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান ভালো জানতে চাই বিশ্বজিৎ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি ভাল এটা আলাদা পার্থক্য করা বিষয় না। একেকটি একেক ধরনের শিক্ষা অর্জন করা হয় সেটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভাল শিক্ষা অর্জন করা যেতে পারে আবার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অর্জন করা যেতে পারে হয়তোবা সেইক্ষেত্রে কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো করছে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুব ভালো করছে। সেটি নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয় ওপর।
আরও পড়ুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
১১৬৯ দিন আগে
এইচএসসির ফল প্রকাশের আগে শিক্ষার্থী ভর্তি নয়: ইউজিসি
উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
১৮৪৯ দিন আগে
করোনাভাইরাস: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া বন্ধের আহ্বান ইউজিসির
করোনাভাইরাসের এ সংকটময় সময়ে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া ও মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
২০৬৮ দিন আগে