সেনাবাহিনী
মিয়ানমারের বিজিপি-সেনাবাহিনীর সদ্যস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ঢোকা মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর লোকদের ফেরত নিয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশ থেকেও নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যেরা আসার ঘটনা ঘটেছে তা নয়, ভারতেও কয়েক শ' লোক ঢুকেছে। তাদেরকে তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ তাদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আমাদের দেশেও পালিয়ে এসেছে।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে, মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, আলোচনা চলছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে, সরকার সেটি মোকাবিলা করতে পারছে না’বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমরা রাখি না। যেটি ঘটছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান বাহিনীসহ অন্যান্যদের সংঘাত চলছে। সে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এবং দুজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক। এ সবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দুই দেশের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, সেখানে আমি তাকে বলেছি যে অন্তত প্রত্যাবাসনটা শুরু করার জন্য। তার কথাবার্তায় আমার যেটি মনে হয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনটা শুরুর ব্যাপারে একমত। কিন্তু তাদের বর্তমান আভ্যন্তরীণ যে সংকটগুলো চলছে, সেই কারণে এই মুহূর্তে তারা পারছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত যে সমস্ত মানুষ আমাদের দেশে আছে, তাদেরকে সসম্মানে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান এবং সেই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
তিনি বলেন, 'বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই, শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা'
'বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন'এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপির দুই-তিনজন নেতা টেলিভিশনে কথা বলেন, সেখানেই শুধু তারা আছে, অন্য কোথাও বিএনপির অবস্থান নাই। তারা এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। কারাগারে অনেক মানুষেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কারাগারে থাকা আমাদের দলেরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ইতোপূর্বে। এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আসলে বিএনপির এখন কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে প্রচন্ড ভুল করেছে, এটি যে তাদের সুসাইডাল ডিসিশান ছিল। এজন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মীরা এখন প্রচন্ডভাবে হতাশ, সেই হতাশা কাটানোর জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা যে এখনও টিকে আছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে তারা।
আরও পড়ুন: প্রথম সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা মিশনের সংবর্ধনা
মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ ভূখন্ডে আসা একটি মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের নয়াপড়া সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
বিজিবির সদর দপ্তর জানায়, নয়াপাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসা অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে তৎপর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের সময় বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় এই প্রাণঘাতী শেলটি ফেলে রেখে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজিবি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন
সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান এবং নতুন সিজিএস ও পিএসও’র দায়িত্ব পালনে তার দিক-নির্দেশনা চান তারা।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
নতুন সিজিএস ও পিএসওকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তাদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা ইতিবাচক অবদান রাখবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে বেসামরিক প্রশাসনের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
সংসদ ভেঙে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট ইনসানিয়াতের
সংসদ ভেঙে দিয়ে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট দায়ের করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্যদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের ১০ নম্বর(এনেক্স) আদালতে রিটটি দায়ের করেন দলটির চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।
রিটে বলা হয়, মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ প্রভাব ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকারের প্রধান বাধা হলো সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত বলেন, বিগত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।’
আরও পড়ুন: দল হিসেবে ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’কে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ
ইমাম হায়াত বলেন, ক্ষমতাসীন দলীয় সংসদ সদস্যদের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা নিরাপত্তা। বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা দেখেছি প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জীবন হানিকর আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্রয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা অস্ত্র ও গুলি-বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, বুথ থেকে গণনা পর্যন্ত আস্থাশীল সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ব্যতীত নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
ইমাম হায়াত বলেন, জালিয়াতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া যে কোনো প্রকার প্রহসনের নির্বাচন জনগণের নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা অস্বীকার এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংসাত্মক এবং গণতন্ত্রের উৎখাতের শামিল।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
তিনি বলেন, মুক্ত স্বাধীন ভোটাধিকার, জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন এবং নিরাপদ নির্বাচন দেশ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জনগণের সবার দাবি যা নিছক কোনো দল বা ব্যক্তির বিষয় নয়।
ইমাম হায়াত বলেন, দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের অধিকার এবং মালিকানার স্বার্থে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নির্বাচনের আদেশ চেয়ে এবং সংসদ না ভাঙ্গা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর একই বিষয়ে দলটির দায়ের করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
পুনঃতফসিল দিয়ে সেনাবাহিনীর অধীনে ভোট চেয়ে করা রিট খারিজ
সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবিতে করা রিট খারিজ (নট প্রেসড রিজেক্ট) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাইদুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও তাহমিনা পলি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, রিট আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার (মেনটেইনেবলিটি) গ্রাউন্ডে খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হার্টের রিংয়ের দামে বৈষম্য কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আদালত বলেছেন, রিটকারী সঠিকভাবে আসেনি।
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কোনো নোটিশ না পাঠিয়ে সরাসরি রিট দায়ের করেছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিট আবেদনে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
রিটে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়।
রিট দায়েরের পর ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত সেদিন বলেছিলেন, গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোট প্রদানে বাধা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
তিনি আরও বলেছিলেন, সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে রিট আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ৮ মে উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। তাদের নিবন্ধন নম্বর-৪৬। দলটির নির্বাচনী প্রতীক আপেল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী
খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়ি থেকে অপহৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (প্রসীত গ্রুপ) ৩ সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের প্রত্যন্ত অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এ অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে অপহৃতদের হাত বাঁধা ও মুখ ঢেকে থাকা অবস্থায় দেখতে পান তারা। উদ্ধার অভিযান শেষে অপহৃত ৩ জনকে পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহরণকারীরা উদ্ধারকারী দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের কালেক্টর নিহত
বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারিও বলেছেন, তাদের বাহিনী গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইডিএফ বাহিনী বর্তমানে বিস্তৃত পরিসরে অপারেশনাল আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার মধ্যে আকাশ, সমুদ্র ও স্থল থেকে সম্মিলিত এবং সমন্বিত আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার (১৪ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েল সফর করেছেন, যেখানে এক সপ্তাহ আগে হামাস নজিরবিহীন হামলা করেছিল।
তার কার্যালয়ের তথ্যানুসারে, নেতানিয়াহুর এই সফর মূলত ‘ভবিষ্যতে যা ঘটবে তার জন্য প্রস্তুত’ হতে সৈন্যদের উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা।
শনিবারও গাজা স্ট্রিপ থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলি বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১০ হাজার রকেট হামলা প্রতিহত করেছে।
অন্যদিকে, আইডিএফ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
এদিন আইডিএফ গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে দ্বিতীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে এবং তাদেরকে উপকূলীয় ছিটমহলের দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার দুটি প্রধান রুট দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুমতি দেয় এবং পরে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে।
ইসরায়েলের গণহারে গাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে যাওয়ার নির্দেশটি মিশর, সৌদি আরব এবং তুর্কিয়েসহ আরব লীগ, জাতিসংঘ ও ডব্লিউএইচওসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।
আইডিএফ-এর মতে, তাদের বিমান হামলায় হামাস কমান্ডো বাহিনীর একজন কমান্ডার আলী কাদি নিহত হওয়ায় গত সপ্তাহে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা শুরুর কারণ।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন, ইসরায়েল হামলার পূর্বাভাস না দিয়ে ভুল করেছে।
তিনি আরও সতর্ক করেছেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর হামাস গাজা উপত্যকার ‘আর সার্বভৌম বা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না’।
হানাগবি বলেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
হামাসের সঙ্গে কোনো আলোচনার প্রচেষ্টা চলছে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
উত্তর ইসরায়েলে আইডিএফ ও লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ রবিবার থেকে পাল্পাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান গুলি চালাচ্ছে। যা যুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্টের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাত অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। এসময়ে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ২১৫ জন এবং আহত ৮ হাজার জন।
এদিকে ইসরায়েলি মিডিয়া শুক্রবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১৩০০ ছুঁয়েছে এবং প্রায় ৩৪০০ জন আহত হয়েছে।
কেএনএফ-সেনাবাহিনীর গোলাগলিতে আহত ১, আটক ১
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে একজন কেএনএফ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রুমা বাজারসংলগ্ন জিঅং পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কেএনএফ সদস্যের নাম বয়রাম বম (২৫)। তার বাড়ি উপজেলার ব্যাথেল পাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে কেএনএফ এর ৬/৭ জনের একটি সশস্ত্র দল জিঅং পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য যায়। সে সময় সেখানে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের একটি টহল দল সেখানে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফ নেতা গ্রেপ্তার
এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ কেএনএফ সদস্যকে অস্ত্রসহ ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির পায়ে ও পেটে গুলি লেগেছে। আহত কেএনএফ সদস্য এখন রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনগণ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেইজে এ ঘটনার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে এবং আহত ব্যক্তি তাদের কোনো সদস্য নয় বলেও তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৯জন সেনাসদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে।
সামরিক ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, দেশে জঙ্গি সহিংসতা ক্রমে বাড়ছে এটা তার লক্ষণ।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নুতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় পাঁচ সেনা আহত হয়েছে।
তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, আহতদের সংখ্যা ২০।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দাবি করেনি।
তবে পাকিস্তানি তালেবানদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
কারণ তারা ২০২২ সাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বারবার হামলা করছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরুর পর থেকে এ অঞ্চল বিদ্রোহীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
এমনকি তারা প্রকাশ্যে আফগানিস্তানে বসবাস করছে।
বান্নু উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রাক্তন জঙ্গি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত। কয়েক বছর আগ পর্যন্ত যেটি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
কয়েক বছর আগে দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, এই অঞ্চলের সব জঙ্গিঘাটি নির্মূল করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে ফের উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ ধারণা করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নামে পরিচিত স্থানীয় তালেবানরা এই এলাকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানি তালেবান একটি পৃথক গোষ্ঠী হলেও আফগান তালেবানদের সহযোগী।
২০২১ সালে মার্কিন ও ন্যাটোবাহিনী তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের পর আফগান তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গির্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২৯
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
সেনাবাহিনীতে যোগ্য, বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন: প্রধানমন্ত্রী
নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা বাছাই করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-এর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাগত দক্ষতা ও তুলনামূলক মূল্যায়ন করে এটা (সিদ্ধান্ত) আপনারা নেবেন। সেইসঙ্গে যুক্তিপূর্ণ ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেটা যেন হয়। অফিসারদের ভেতরে কমান্ড করার মতো ক্ষমতা আছে অথবা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যোগ্যতা আছে কি না- সেই বিষয়টার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেবেন। কাজে আমি আশা করি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচারের সঙ্গে এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে কাজ করা, তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়া, তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগানো -এই বিষয়গুলো আপনাদের বিবেচনায় রাখা দরকার।
আরও পড়ুন: দেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আরব আমিরাত
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী আমাদের সেনাবাহিনী। আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি । কারণ শান্তিটা হচ্ছে আমাদের মূল কথা । একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ হচ্ছে উন্নয়নের পূর্ব শর্ত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে থেকে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বাহিনী সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। তারা অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। কাজের মান ও নির্দিষ্ট সময়সীমা বজায় রেখে কাজ করছে।
যেকোনো সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া কোনো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অফশোর উইন্ড এনার্জিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব ডেনমার্কের