সেনাবাহিনী
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিপক্ষ বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ৫৬
সুদানের সামরিক বাহিনী ও একটি শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে শনিবার রাজধানী ও অন্যান্য এলাকায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের আশা এবং বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কায় এই ঘটনায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটির চিকিৎসক সিন্ডিকেট শনিবার রাতে জানিয়েছে, অন্তত ৫৬ জন নিহত ও ৫৯৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তবে সুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট জানিয়েছে, পশ্চিম দারফুর অঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেরোওয়েতে সামরিক ও আরএসএফ সদস্যসহ অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এই সংঘর্ষের ফলে সশস্ত্র বাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গ্রুপের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা রয়ে গেছে। এই উত্তেজনার কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি বিলম্বিত হয়েছিল, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটিকে গণতন্ত্রে স্বল্পমেয়াদী রূপান্তরে ফিরিয়ে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্লু নীল প্রদেশে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত: সুদানীয় কর্তৃপক্ষ
এক দিনের তীব্র লড়াইয়ের পরে সামরিক বাহিনী আরএসএফের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে, পরিবর্তে এটি ‘বিদ্রোহী মিলিশিয়া’ নামে অভিহিত করে। কঠোর ভাষা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের যৌথ পরিকল্পনাকারী প্রাক্তন মিত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট তাৎক্ষণিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যুর বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে তাদের মধ্যে অন্তত ছয়জন রাজধানী খার্তুম ও এর সিস্টার সিটি ওমদুরমানে অবস্থান করছেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ দারফুর প্রদেশের রাজধানী নিয়ালার আশেপাশে অন্তত আটজন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পদত্যাগ করলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী
বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
বান্দরবানের থানচিতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা রবিবার একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং অপর দুই সেনা আহত হয়।
নিহত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে টহল দল রবিবার দুপুরে মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যাওয়া একটি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যায়।
আইএসপিআর জানায়, দুপুর ১টার দিকে সশস্ত্র কেএনএ সদস্যরা অতর্কিতভাবে একটি অ্যামবুশ ভ্যানটেজ পয়েন্ট থেকে টহল দলের ওপর গুলি চালায়, এতে ওয়ারেন্ট অফিসার ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও দুজন আহত হন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
আইএসপিআর জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা অর্থের জন্য বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থানচিতে চলমান সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী গ্রুপ। ব্যর্থ হয়ে তারা ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ১২জন শ্রমিককে অপহরণ করে।
তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক বুলেটে আহত হয়েছেন এবং চারজন শ্রমিক এখনও কেএনএ-র হাতে জিম্মি রয়েছে।
বাকি সাত শ্রমিককে মুক্তিপণের জন্য ছেড়ে দেয়া হলেও তারা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করার হুমকি দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেএনএ বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধের হুমকি দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতিকে একটি নোটিশ পাঠায়।
কেএনএ সদস্যদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে জেলা প্রশাসন ১২ মার্চ (রবিবার), ২০২৩ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৪-২০তম গ্রেডে অসামরিক স্থায়ী/অস্থায়ী পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদন করতে হবে।
বয়সসীমা: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৯ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
আবেদন ফি: ২০০ টাকা।
আবেদনের শেষ সময়: ৯ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
পদ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণি, আবেদনের যোগ্যতা ও আবেদন ফরমের জন্য ক্লিক করুন
https://www.army.mil.bd/Job-Circulation-Details/span-stylecolor-333333-fontfamily-trebuchet-ms-arial-helvetica-sansserif-fontsize-14px-textalign-justify-backgroundcolor-f7f7f7permanent-civilian-post-in-bd-armyspan-40
পদের নাম:
১। ফিটার ২। বারবার ৩। বুক বাইন্ডার ৪। অপারেটর হিট ট্রিটমেন্ট ৫। ইউডিসি
৬। টেইলার ৭। প্যাকার ৮। এমটি ড্রাইভার/ ড্রাইভার/ সিএমডি ৯। কম্পাউন্ডার
১০। ফায়ার-ক্রু ১১। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১২। নিরাপত্তা প্রহরী ১৩। সহিষ ১৪। মালী ১৫। হেড মেকানিক ১৬। অফিস সহায়ক/বার্তাবাহক ১৭। বাবুর্চি (ইউ) ১৮। পাম্প অপারেটর ১৯। বেঞ্চ ফিটার (এসএস-২) ২০। ফায়ারম্যান ২১। আয়া ২২। ভিউয়ার ২৩। বাবুর্চি (মেস) ২৪। বাবুর্চি ২৫। অফিস করণিক ২৬। সহকারী বাবুর্চি/মশালচী ২৭। স্টোরম্যান ২৮। ইলেক্ট্রিশিয়ান ২৯। বাবুর্চি (হাসপাতাল) ৩০। ওয়েল্ডার (এসএস-২) ৩১। মেসওয়েটার ৩২। ইনসেক্ট কালেক্টর ৩৩। পেইন্টার ৩৪। ধুপি ৩৫। ওয়ার্ডবয় ৩৬। টিসিএম-৩ ৩৭। মিল্ক ডেলিভারিম্যান ৩৮। ইএন্ডবিআর ৩৯। শ্রমিক/ইউএসএম ৪০ । ফার্ম লেবার (বুলক কার্ট ড্রাইভার)।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিদপ্তরের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন করবেন যেভাবে
বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
বুরকিনা ফাসোতে পৃথক হামলায় নিহত ২৮
বুরকিনা ফাসোতে দুটি পৃথক হামলায় সেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। রবি ও সোমবার এসব হামলা চালানো হয়। পৃথক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী ও এক আঞ্চলিক গভর্নর এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্যাসকেডস অঞ্চলের গভর্নর কর্নেল জ্য চার্লস দিত ইয়েনাপোনো জানিয়েছেন, পশ্চিম বুরকিনা ফাসোর কোমো প্রদেশে কোট ডি'ভোয়ার সীমান্তে রবিবার অজ্ঞাত সশস্ত্র লোকদের হাতে ১৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫৫
তিনি আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা প্রদেশের লিঙ্গুয়েকোরো গ্রামে দুটি মিনি-বাস আটক করে।
এছাড়া মোট ২৪টি মিনি বাসের মধ্যে নয়জন যাত্রীকে মুক্ত করা হয়েছে এবং দুটি মিনি কারে আগুন দেয়া হয়েছে এবং অন্য যাত্রীদের অপহরণ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কর্মকর্তা বলেছেন, যে গ্রামের কাছ থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল সেখানে সোমবার গুলিবিদ্ধ ১৫ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনী মঙ্গলবার একটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার সেনা প্রদেশের ফালানগাউতু এলাকায় অজ্ঞাত সশস্ত্র হামলাকারীদের হামলায় ১০ জন সেনা, দুই সেনা সহায়ক এবং এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে চরমপন্থীদের হাত থেকে ৬৬ নারী-শিশু মুক্ত
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
সেনাবহরে যুক্ত হলো তুর্কিয়ের তৈরি টাইগার মিসাইল
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ধারায় এবার সেনাবহরে নতুন সংযোজিত হয়েছে তুর্কিয়ের তৈরি ‘টাইগার মিসাইল সিস্টেম’। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শিলখালী টেকনাফ ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে এ ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বেলা ১১টার কিছু পর বিকট শব্দে টিউব থেকে ছুটে যায় মিসাইল, যা ৪ মিনিটের মধ্যে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জে গিয়ে আঘাত আনতে সক্ষম হয়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর টিউব থেকে ছোড়া হয় দ্বিতীয় মিসাইল। এভাবে সেনাবহরে যুক্ত নতুন টাইগার মিসাইল সিস্টেমের সফল ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ
সফল মিসাইল ফায়ারিং শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস-এর ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত তুরস্কের তৈরি টাইগার মিসাইল সিস্টেম আমাদের আভিযানিক সক্ষমতাকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে লালথান জুয়েল নামের কেএনএফের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়নের আর্থা পাড়া ও বাছলাং পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনার পর আতঙ্কে ওই এলাকার কয়েকটি পাড়ার শতাধিক নারী পুরুষ রুমা উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্হল থেকে অস্ত্র গুলি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কেএনএফ এর সশস্ত্র সদস্যরা পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে এমন খবরে সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান চালালে অস্ত্রধারীরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।
এ সময় উভয় পক্ষে গোলাগুলিতে এক কেএনএফ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তবে তার নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
ঘটনার সময় আহত বেশ কয়েকজন কেএনএফ সদস্য সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও দশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন শিবলি জানিয়েছেন, আতঙ্কে রুমা উপজেলায় অবস্থান নেয়া শতাধিক নারী-পুরুষদের সকালে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২০ সাল থেকে পাহাড়ে বম সম্প্রদায়ের কিছু বিপথগামী যুবক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ১২ জঙ্গি ও ১৪ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেয়া যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব জানান তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে এই কার্য-অধিবেশন হয়।
আরও পড়ুন: সামরিক-অসামরিক প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, 'গতবারও আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও এসেছি। আমি কিন্তু কোন প্রতিনিধি পাঠাইনি। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পরপর দু'বছর সশরীরে উপস্থিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে, এটাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছি আমি।'
তিনি বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনে মাঠ পর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি বড় ভূমিকা রাখেন তারা হলেন ডিসিগণ। ডিসিরা আছে, বিভাগীয় কমিশনাররা আছে; বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা যে সকল কর্মকাণ্ড করি, সেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা অসম্ভব।'
'আমি তাদেরকে এই সিগন্যালটা ক্লিয়ারভাবে দিয়ে গেলাম- আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাচ্ছে, সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত যেকোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে।'
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, অনেক সিকিউরিটি দায়িত্ব পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছে। অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসাগুলো তারা বলেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরাও বলেছি বর্তমান সেনাবাহিনীতে নিচের পর্যায়ে সবার ভেতরে একটা অনুভূতি এসেছে যে, সিভিল প্রশাসন আগের তুলনায় আমাদের সঙ্গে অনেক ফ্রেন্ডলি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক ভালো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। এই যে আমাদের একটা কালচারাল ডিফারেন্স, সেনাবাহিনী তাদের মত করে কাজ করছে, বেসামরিক প্রশাসন তাদের মত করে কাজ করছে। উদ্দেশ্য একই কিন্তু কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়ে থাকে।'
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'যত আমরা এগুলো দূর করতে পারব নিজের কাজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয় উই উইল বি আবেল টু পারফর্ম হোয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য পিপল অফ দ্য কান্ট্রি।'
মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাপ্রধান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি তার।
আরও পড়ুন: যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ২৪ দেশের সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী দখল নেয়ার পর মিয়ানমারের অস্ত্র শিল্পের প্রসার ঘটেছে: রিপোর্ট
অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানি মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরি করতে তার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। যা ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির শান্তিকামী জনগণের ওপর নৃশংসতায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্বাধীন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন।
মিয়ানমারের জন্য বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদের সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটি কীভাবে অস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং একটি গণ ও জনবিরোধী আন্দোলনকে প্ররোচিত করে তার বিবরণ দেয়া হয়েছে।
৫০ বছরের সামরিক শাসনের পরে গণতন্ত্রের পথে প্রায় এক দশকের অগ্রগতির পর দেশটির জান্তা বাহিনী ফের নির্বাচিত বেসামরিক নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে।
এরপর নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে। যার জেরে সেনাশাসন বিরোধীরাও হাতে অস্ত্র তুলে নেয়।
জাতিসংঘের কিছু বিশেষজ্ঞ এই পরিস্থিতিকে গৃহযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রাজনৈতিক বন্দিদের সহায়তা সমিতি, সহিংসতায় দুই হাজার ৭০০টিরও বেশি বেসামরিক মৃত্যুর কথা নথিভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ২৭৭টি শিশু রয়েছে এবং ১৩ হাজারেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।
যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সামরিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে সমর্থন করছে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
প্রতিবেদনে এই ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুবিধা দিচ্ছে না, তা যেন তারা নিশ্চিত করে।
মিয়ানমারের দেশীয় অস্ত্র শিল্পের বিস্তার ঘটেছে। অন্যদিকে, কিছু দেশ অস্ত্র ব্যবসায় বা অস্ত্র উৎপাদনে জড়িত ব্যক্তি ও কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
গত অক্টোবরে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ একজন ব্যবসায়ী অং মো মিন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ট্রেজারি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, অং মো মিন্টে মিয়ানমারের হয়ে অস্ত্র চুক্তির কাজ সহজতর করে।
তার ভাই হ্লেইং মো মিন্ট এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত ট্রেডিং কোম্পানি ডাইনাস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এর একজন পরিচালক মায়ো থিটসারকেও নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করা হয়েছিল।
নভেম্বরে মার্কিন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মারাত্মক বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে সামরিক বাহিনীতে বিমান সরবরাহকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কোনো ব্যক্তিগত অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই এই ধরনের কোনো কোম্পানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
এতে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় কারখানাগুলো এখনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রযুক্তি ও বিদেশি সাপ্লাই চেইন, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং আপগ্রেড ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে সরঞ্জাম পাঠানোর ওপর নির্ভর করে।
একটি বিবৃতিতে কাউন্সিল বিশেষজ্ঞ ক্রিস সিডোটি অনুরোধ করেছেন, সরকার তদন্ত করবে এবং যেসব সংস্থা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ‘বেসামরিকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ’ এ ব্যবহৃত অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করে সেসব সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
মানবাধিকার আইনজীবী এবং ২০১৭-২০১৯ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্য সিডোতি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের দুর্ভোগ থেকে লাভবান হওয়া বিদেশি কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
গত বছর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের একটি প্রতিবেদনে রাশিয়া, চীন, ইউক্রেন, ইসরায়েল, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনে কোম্পানির নামকরণের কিছু লিঙ্কের রূপরেখা দেয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ অস্ত্র তৈরির শিল্পের বিকাশের একটি প্রধান কারণ হল অস্ত্র, সামরিক বিমান এবং অন্যান্য অস্ত্র আমদানি নিষেধাজ্ঞা বা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন ছোট অস্ত্র ও হালকা অস্ত্র তৈরিতে স্বাবলম্বী।
এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অস্ত্র তৈরির ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে- অ্যাসল্ট রাইফেল এবং মেশিনগান থেকে শুরু করে মর্টার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং আর্টিলারি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন আইটেম।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ জার্মানিতে শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী
ইউক্রেনের নতুন সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ বাড়িয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।প্রায় ৫০০ সৈন্যের ব্যাটালিয়নকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরাতে এই প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। যারা আগামী আগামী পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
রবিবার জার্মানিতে এই সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মিলি সোমবার গ্রাফেনউয়ার প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করছেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সৈন্যরা কয়েকদিন আগে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে। জার্মানিতে তাদের ব্যবহারের জন্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে কখন থেকে সেই প্রশিক্ষণ শুরু হবে তা বললে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন।
তথাকথিত সম্মিলিত অস্ত্র প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর দক্ষতাকে বাড়ানো যাতে তারা আক্রমণ চালাতে বা রুশ আক্রমণের যেকোনও ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকে। তারা সম্মিলিত আর্টিলারি, বর্ম এবং স্থল বাহিনী ব্যবহার
করে যুদ্ধে তাদের কোম্পানি- এবং ব্যাটালিয়ন-আকারের ইউনিটগুলোকে আরও ভালভাবে সরানো এবং সমন্বয় করতে শিখবে।
রবিবার তার সঙ্গে ইউরোপে ভ্রমণরত দুই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময়, মিলি বলেছিলেন সমন্বিত এই জটিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনীয়রা নতুন অস্ত্র, আর্টিলারি, ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা তাদের অঞ্চলগুলো পুররুদ্ধার করবে, যা রুশ বাহিনী ১১ মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে।
মিলি বলেছিলেন, ‘এই সমর্থন ইউক্রেনের পক্ষে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ,’ ‘এবং আমরা আশা করছি এখানে অল্প সময়ে এটি একসঙ্গে টানতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লক্ষ্য হলো সমস্ত আগত অস্ত্র এবং সরঞ্জাম ইউক্রেনে সরবরাহ করা যাতে নতুন প্রশিক্ষিত বাহিনী এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হয় ‘বসন্তের বৃষ্টিপাতের কিছুটা আগে। সেটা হবে আদর্শ।’
রাশিয়া কিয়েভ, উত্তর-পূর্ব শহর খারকিভ এবং দক্ষিণ-পূর্ব শহর ডিনিপ্রো সহ বিস্তৃত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এ পৌঁছেছে।
মিলি বলেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত করতে চান যে প্রশিক্ষণটি সঠিক ধারায় রয়েছে এবং অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে কিনা এবং এটি নিশ্চিত করতে চান যে এটি সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে ভালভাবে চালিত হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটিতে শ্রেণিক্ষে পাঠদান এবং মাঠের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা ছোট স্কোয়াড দিয়ে শুরু হবে। এবং ধীরে ধীরে বড় ইউনিটে রূপান্তরিত হবে। এটি জটিল যুদ্ধ অনুশীলনের মাধ্যমে শেষ হবে এবং একটি সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন ও একটি সদর দপ্তর ইউনিটকে একত্রিত করবে।
এখন অবধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব হলো ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আরও তাৎক্ষণিক যুদ্ধক্ষেত্রে সরঞ্জাম সরবরাহের দিকে, বিশেষ করে কীভাবে দেশে মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থার বিস্তৃত অ্যারে ব্যবহার করা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তিন হাজার ১০০ টিরও বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যকে নির্দিষ্ট অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার মধ্যে হাউইজার, সাঁজোয়া যান এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম রয়েছে, যা এইচআইএমএআরএস নামে পরিচিত। অন্যান্য দেশগুলোও তাদের সরবরাহ করা অস্ত্রের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে।
গত মাসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ধারণাটি হলো ‘তাদেরকে এই উন্নত স্তরের সম্মিলিত প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষম করে তোলা যা তাদেরকে কার্যকর সম্মিলিত অস্ত্র পরিচালনা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করতে সক্ষম করে তুলবে।’
মিলি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড এবং বিশেষ অভিযানিক বাহিনী যারা প্রশিক্ষণ দিচ্চিল তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে যায়। এই নতুন প্রচেষ্টাটি মার্কিন সেনাবাহিনী ইউরোপ ও আফ্রিকার সপ্তম আর্মি ট্রেনিং কমান্ড দ্বারা করা হচ্ছে। এটি আক্রমণের আগে তারা যা করে আসছিল তার ধারাবাহিকতা হবে। অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্ররাও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
সেনাবাহিনীতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ, আটক ১
চাপাইনবাবগঞ্জে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।আটক মুনিরুল ইসলাম (৫৭) লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত এরফান আলীর ছেলে।
র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,একজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১২লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের দল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার রাত ৭ টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ভুয়া নিয়োগপত্র,একটি চেক,তিনটি ভুয়া সিল ও একটি স্ট্যাম্প প্যাডসহ মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে সে।
এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আটকে থাকা লিফট থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, এনজিও পরিচালক আটক
বেনাপোল সীমান্তে ১৫ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, আটক ২