জিপি
আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
পিরোজপুর জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেনারেল প্র্যাকটিশনারসহ (জিপি) আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর হামলা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন— পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জিপি এম মতিউর রহমান, সাবেক পিপি খান মো. আলাউদ্দিন, সাবেক জিপি শহিদুল হক খান পান্না, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা ইরতিজা হাসান।
এদের মধ্যে খান মো. আলাউদ্দিন একটি মামলায় পরোয়ানাভূক্ত আসামি।
গত ১৮ অক্টোবর হওয়া একটি মামলায় তাদের রবিবার (২ মার্চ) অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। সেই মামলাগুলোতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন তারা। পরে রবিবার সকালে জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত জামিনের মেয়াদ এখনও শেষ না হওয়ায়, আদালত জামিন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষের ওপর হামলা, শিক্ষকদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী
এদিন আদালতে তাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে, আদালত চত্বরে ভিড় করতে থাকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিলও করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
পরে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। পুলিশ দ্রুত তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে খান মো. আলাউদ্দীন একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি এবং অন্য ৪ জনকে একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।’
২৭৭ দিন আগে
চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৪৫৪ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ৪৫৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশেষ প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।
নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৫৪ জনের মধ্যে ৩৫১ জনকে চট্টগ্রামে এবং ১০৩ জনকে সিলেটের আদালতগুলোতে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অফিস থেকে এ সম্পর্কিত দুটি নিয়োগ আদেশে জারি করা হয়।
উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা পৃথক নিয়োগ আদেশে বলা হয়, বর্ণিত দুটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, এদের অধীন আদালতসমূহ, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনালে আগে নিয়োগ দেওয়া সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ আদেশের ছকে বর্ণিত আইজীবীদের তাদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে স্ব-স্ব জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই নিয়োগ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
৪১৪ দিন আগে
তথ্য সুরক্ষায় তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তথ্য সুরক্ষা আইন তথ্য সুরক্ষার জন্য প্রণীত হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে নয়।
তিনি বলেছেন, 'একটি আইন যেভাবে পাস হয় সেভাবে আমরা এটি জাতীয় সংসদে নেবো। তার মানে এই নয় যে, এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনা হবে না। এটা নিয়ে যখন সেমিনার হয় তখন আমি বলেছিলাম এটি কন্ট্রোল করার জন্য না এটা প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুযায়ী ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে।’
আরও পড়ুন: আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সঙ্কট নিরসন
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংসদে তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া উপস্থাপন করব। এর মানে এই নয় যে স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে পরামর্শ শোনা হবে না।’
এছাড়া সরকার বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, আগে পিপি ও জিপিদের বেতন ছিল দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা। এখন আমরা প্রস্তাব যেটা আছে সেটা হলো ৬৪ জেলাকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। বড় জেলা, মাঝারি জেলা ও ছোট জেলা। আমরা প্রস্তাব করেছি বড় জেলার যিনি পিপি হবেন, তার বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি জেলার পিপির বেতন হবে ৪৫ হাজার টাকা, ছোট জেলার ৪০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে, কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সেজন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় আগামী নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। কারণ জিপি-পিপিদের দায়িত্ববান হওয়ার জন্য এবং তাদের একটা সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাটামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন।’
বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় জিপি-পিপিদের নিয়োগ দেয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই প্রথম পিপিদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করি। সেক্ষেত্রে আমরা একটি বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি এ ব্যাপারে একটু ধীর গতিতে যাচ্ছিলাম, কারণ আমার টার্গেট ছিল ৫০ হাজার টাকা। কারণ তখন বিজ্ঞ পিপিরা বলেছিলেন, এটাতেই রাজি হয়ে যেতে, তাই তখন আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।’
জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ পিপি সার্ভিসটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে না। ৩০ শতাংশ থাকবে ফর ডেজিগনেটেড পারপাজেস। বিশেষ বিশেষ কাজে তাদের নিয়োজিত করা হবে।’
‘সেটার নিয়োগ হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আমি এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।'
এটা কি আগামী নির্বাচনের পরে করা হবে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চেষ্টা করবো এখনই করার জন্য।’
‘জিপি-পিপিদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও তাদের সম্মান রক্ষা ও তাদের কাছ থেকে দায়িত্ব আদায় যথেষ্ট হবে। বলছি না এটাই সবচেয়ে যথেষ্ট, ইট ইজ ভেরি গুড ফার্স্ট স্টেপ’ বলেন আনিসুল হক।
ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশনে মামলাজট কমাতে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেছেন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, লিগ্যাল এইড সার্ভিস নিয়ে বলেছি। একটি বিষয় তুলে ধরেছি, সেটা হলো কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের কম্পাউন্ডেবল এবং নন কম্পাউন্ডেবল যে ধারাগুলো রয়েছে। কম্পাউন্টেবল ধারায় যে বিজ্ঞ বিচারকরা মামলা করতে আসবেন, তাদের উৎসাহিত করবেন, তারা যাতে আদালতের বাইরেই নিষ্পত্তি করে আসেন। এই নিষ্পত্তির ওপর আদালত যদি একটা অর্ডার দিয়ে দেন তবে সেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে যাচাই করে যাতে মামলা নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ বিষয়ে বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংশোধনও করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার ছাড়া মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা: আইনমন্ত্রী
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি: আইনমন্ত্রী
১০৪৪ দিন আগে
বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জিপির ৩৫৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তিন হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ২.৮ শতাংশ কম।
১৮৭৩ দিন আগে
জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পণ্য ক্রয়ে আকর্ষণীয় অফার পাবেন জিপির স্টার গ্রাহকরা
করোনাভাইরাস মহামারি সংকট মোকাবিলায় দেশ ও দেশের মানুষকে সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন (জিপি)। এ সময়ে গ্রোসারি, স্বাস্থ্য ও মেডিসিন সেবা ও পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলোর সাথে পার্টনারশিপ করেছে কোম্পানিটি।
১৯৯৬ দিন আগে
করোনাভাইরাস: জিপি কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করতে বলা হচ্ছে
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের (জিপি) যেসব কর্মী সরাসরি গ্রাহক সেবার সাথে জড়িত নন তাদের বাসা থেকে অফিস করার জন্য বলা হয়েছে।
২০৯০ দিন আগে
গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে ১,০০০ কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নিরীক্ষা দাবির পাওনা এক হাজার কোটি টাকা সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দিতে গ্রামীণফোনকে (জিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
২১১৫ দিন আগে
জিপি ও রবির থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, জানতে চায় বিটিআরসি
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- পাওনা বকেয়া পরিশোধ না করায় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবির টু-জি ও থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
২২৮৩ দিন আগে