পর্যবেক্ষণ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
রুশ ফেডারেশনের ইসির একজন সদস্য এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান আন্দ্রেই শুতভ বলেন, ‘রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এলা পামফিলোভার পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামী ১৭ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এই আমন্ত্রণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে রুশ প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময় এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা হয় বলে উল্লেখ করেন শুতভ।
এর আগে ক্যামেরুন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, নামিবিয়া, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে ও সিআইএস ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ফেডারেশনের চারটি নতুন অঞ্চলের নির্বাচনে কাজ করা বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ফেডারেশন কাউন্সিল ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
রাশিয়ান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ তিন দিনের জন্য ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে এটিই হবে প্রথম তিন দিনের নির্বাচন।
আন্দ্রেই শুতভ বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেক নাগরিকের জন্য, নির্বাচন একটি ছুটির দিন এবং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
শুতভ বলেন, 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলতে গেলে আমি উল্লেখ করতে চাই, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতো আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বড় ধরনের সুবিধা, কারণ আমরা যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে ভোটাররা নিরাপদ বোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য ৪ সদস্যের একটি অভিজ্ঞ কারিগরি দল পাঠিয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে দলটির পৌঁছানোর বিষয় নিশ্চিত করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, দলটি রবিবার থেকে কাজ শুরু করবে।
এর আগে ইইউ একটি কারিগরি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা ইসিকে জানিয়েছিল।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি বলেন, 'বাজেট সীমাবদ্ধতার' কারণে ইইউ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না।
আরও পড়ন: তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অক্টোবরের শুরুতে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জানিয়েছি যে অক্টোবরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট -এর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মঙ্গলবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাস।
তিনি আরও বলেন,‘আপনারা আমাকে আগে যা বলতে শুনেছেন তা আমি পুনরাবৃত্তি করব যে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র স্বার্থ হলো তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হোক এবং শাসন ক্ষমতায় কে আসবে তা বাংলাদেশের জনগণ বেছে নেওয়ার অধিকার রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন অন্যান্য দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাদের সমস্যা উত্থাপন করে তখন আমরা তাদের কথা শুনি এবং আমরা তাদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি তা আমরা বিবেচনা করি। আমরা এটিকে লঙ্ঘন হিসাবে দেখি না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (৩০ জুলাই)।
সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকাস্থ নির্বাচন কমিশন (ইসি) মিলনায়তন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে ইসি।
দুই সিটিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা সকাল ৬টা থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং ২ হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষে ৩৬৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাসিক নির্বাচন: গভীর রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে আ.লীগ নেতা আটক
৩৪৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রতি ১০ সেকেন্ড পর পর অটোরোটেশনসহ ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন এবং রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
মানবাধিকারের ওপর দারিদ্র্যের প্রভাব পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ সফর করবেন। আগামী ১৭ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত এই সফর করবেন তিনি।
দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগকৃত স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ডি শ্যুটার বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কীভাবে এ অর্জন অক্ষুন্ন রাখা যায় এবং সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সমানভাবে এর সুফল নিশ্চিত করা যায়।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সামরিক সরকারের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
‘এ সফরের ফলে আমি উক্ত বিষয়ে আরও বেশি শুনতে ও জানতে পারব এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ুজনিত অভিঘাতের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত রাখতে ও সকলের জন্য মানসম্পন্ন জীবনমান নিশ্চিতকরণে সরকার যাতে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখতে পারে সেসব বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারব।’
সফরকালে, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের কিছু স্থান এবং কক্সবাজার পরিদর্শন করবেন। তিনি এসব স্থানের স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যপীড়িত সম্প্রদায় ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা নিরূপণে ডি শ্যুটার দারিদ্র্যের ওপর বাংলাদেশের শ্রম আইন, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহায়ণ, এবং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রভাবসমূহ পর্যবেক্ষণ করবেন। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, তৈরি পোশাক কর্মী, এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ যেসকল গোষ্ঠী দারিদ্র্য বৈষম্যের শিকার তাদের অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ মে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় ডি শ্যুটার তার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শসমূহ ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁতে একটি সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পেশ করবেন। কেবল সাংবাদিকদের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
সত্য ও সত্য বলা মানুষগুলোকে আক্রমণ করা বন্ধ করতে হবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব
প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখাইনের উদ্দেশে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল
প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইন রাজ্যের মংডুর পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টার দিকে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ দিয়ে নৌপথে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়। যেখানে তিন নারীসহ ২০ রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক এবং ছয়জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য দুটি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) স্পিডবোটসহ ১৬ বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির 'নীরব সাক্ষী' জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ: রাষ্ট্রদূত মুহিত
তিনি জানান, প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুতি ও সেখানকার পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবেন। একই দিন সন্ধ্যা নাগাদ তারা ফিরে আসবেন।
মূলত প্রত্যাবাসন হলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যেখানে তাদের রাখা হবে, সে জায়গাটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করবেন।
জানা গেছে, এর আগে বাংলাদেশ থেকে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। ওই তালিকা থেকে ফেরত নিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম দফায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জনকে নির্ধারণ করে দেশটি। সেখান থেকে ৪২৯ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল মিয়ানমার। পরে গত ১৫ মার্চ ১৯ সদস্যদের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশের টেকনাফে এসে ১৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ৪৮০ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মিয়ানমারে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতকে আরও বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
জামায়াত সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণের নিন্দা মানবাধিকার কর্মীদের
যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারণাকারী ও মানবাধিকার কর্মীরা বাংলাদেশের মানবাধিকার সম্পর্কে প্রকাশিত সাম্প্রতিক মার্কিন প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীর “সমাবেশ করার স্বাধীনতার” পক্ষে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তা করেছিল, তারা বলেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অনুসারে: “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তম মুসলিম রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামের নেতা ও সদস্যরা তাদের সংবিধানপ্রদত্ত বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন না এবং সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের কারণে জামায়াত প্রার্থীরা দলের নামে নির্বাচন করতে পারছেন না।”
এবিষয়ে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে এ মন্তব্য উদ্বেগজনক, কারণ এটি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সঙ্গে মিলে গণহত্যা, অপহরণ, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ এবং নারীর বিরুদ্ধে নানা ধরণের সহিংসতার প্রমাণিত রেকর্ড রয়েছে। এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে আল-বদর ও আল-শামস নামে এর (জামায়াতের) সামরিক শাখাগুলো ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য দায়ী।”
তিনি বলেন, “গণমাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে চালানো পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন দেখে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল তা কারও চোখ এড়াবে না... আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল।”
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি প্রশ্ন করেন, কেউ কি কল্পনা করতে পারে যে নাৎসি পার্টিকে জার্মানিতে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে?
আরও পড়ুন: নিবন্ধন অবৈধের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতির ২ মাস সময় পেল জামায়াত
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল “অনেক পর্যবেক্ষকের মতে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিচারকার্য করেছেন” মার্কিন প্রতিবেদনের এ মন্তব্য বিষয়ে এই মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী বলেছেন: “কিসের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ত্রুটিযুক্ত বলা হয়েছে তা আমার জানা নেই। যেহেতু যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কোনো কোনো মহল কেন এমন মন্তব্য করছে তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমি দেখিনি, তাই আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে, ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে কাজ করার আমার যে অভিজ্ঞতা আছে তাতে বলতে পারি তাতে অভিযুক্তের আত্মরক্ষার অধিকারকে সম্পূর্ণ সম্মান দেখানো হয়েছিল।”
অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি এবং বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থনকারী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মার্কিন প্রতিবেদনের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “জামায়াত এখনো তাদের মদদপুষ্ট জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নানা ধরনের নেতিবাচক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “জামায়াত একটি গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিস্ট দল যারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না। এ কারণে হাইাকোর্ট এ দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে, সরকার জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেনি।”
বিবৃতিতে আরও সতর্ক করা হয়েছে যে মার্কিন প্রতিবেদনে জামায়াত সম্পর্কে “অসত্য” প্রতিবেদন জামায়াতের নেতৃত্বে “মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ” উস্কে দিতে পারে।
বিবৃতিতে সাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন: বিচারপতি শামসুল হুদা; সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক; ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ; অধ্যাপক অনুপম সেন; সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার; বিশিষ্ট শিল্পী হাশেম খান ও রফিকুন্নবী; লেখক ও যুদ্ধাপরাধ গবেষক শাহরিয়ার কবির; ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এবং লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ জীবনযাপনের স্বার্থে ঢাকায় সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব ওয়ার্ডে স্থাপনা ও ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের বাড়ি: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
সম্প্রতি রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও গুলিস্তানের সিদ্দকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত রবিবার (১২ মার্চ) এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
নাগরিকদের নিরাপদ জীবন-যাপনের স্বার্থে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্থাপনা ও ভবনের সুয়ারেজ (পয়ঃনিষ্কাশন) লাইন ও গ্যাসলাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাত দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পর পর্যবেক্ষণে যদি পয়ঃনিষ্কাশন লাইন ও গ্যাস লাইনের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে প্রতি আট সপ্তাহ পর পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা সিটিতে অবস্থিত ভবন-স্থাপনাগুলো নিয়মিত তদারকি ও সিটিতে বসবাসকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
গণপূর্তসচিব, বিদ্যুৎসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর অবহেলা। ঢাকা শহরে থাকা হাজার হাজার স্থাপনা বা ভবনের পয়নিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো এ বিষয়ে সক্রিয় নয়। যে কারণে রিটটি করা হয়।
দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্যাস ও পয়নিষ্কাশন লাইন তদারকির জন্য সাত সদস্যের একটি করে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি থাকবে। আট সপ্তাহ পর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
অভিবাসী শ্রমিকের অধিকার: নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ চায় জাতিসংঘ
জাতিসংঘের বিশেষ দূত সিওভান মুল্লালি অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিতে অভিবাসীকর্মী গ্রহণকারী দেশগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জরুরি মনোযোগ চেয়েছেন।
বুধবার বিকালে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রমিক অভিবাসনে অনেক মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। নারীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং শ্রমিক হিসেবে তাদের অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার।’
মুল্লালি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত পর্যায়ে শক্তিশালী তদারকির ওপর জোর দিয়েছেন। কারা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে, আগমনের সময় কী ঘটছে, তাদের সুরক্ষা এবং আর্থিক সমস্যাগুলোর বিষয়েও তিনি জোর দেন।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিজ্ঞতার মূল্যে এটি একেবারেই উচিত নয়।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের সুবিধাসহ মহিলাদের জন্য নিরাপদ এবং নিয়মিত সুযোগ সম্প্রসারণে এই অবস্থার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গৃহীত দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং এটি একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ যে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের বৈষম্য ছাড়াই কর্মসংস্থানের সুযোগ অব্যাহত রয়েছে।
মুল্লালি বলছিলেন যে কিছু প্রাপক দেশে তারা যে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলো দেখতে পান তা সমাধান করা অপরিহার্য।
বিশেষ করে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো খুবই গুরুতর নির্যাতন। ‘হ্যাঁ, এটি কাজের একটি চলমান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হয়েছে।’
জাতিসংঘের বিশেষ দূত এ বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে তার সরকারি সফরের সময় মানব পাচারের মানবাধিকার সমস্যাগুলোও মূল্যায়ন করেছেন।
তিনি ভুক্তভোগীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং পাচারের কার্যকর প্রতিরোধের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।
প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল শ্রম অভিবাসন প্রেক্ষাপটে পাচারের ঝুঁকি, সেইসঙ্গে উদ্বাস্তু, আশ্রয়প্রার্থী এবং রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের ঝুঁকি।
যৌন শোষণের উদ্দেশ্যে পাচার এবং সব ধরনের শোষণের জন্য শিশু পাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত উদ্বেগগুলোও পরীক্ষা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
এরমধ্যে জলবায়ু-সম্পর্কিত স্থানচ্যুতি এবং সরাসরি প্রভাবিত ব্যক্তিদের, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের মহিলা এবং মেয়েরা ও আদিবাসীদের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ দূত কক্সবাজার ও সিলেট ভ্রমণ করেন। তিনি সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ সংস্থার প্রতিনিধি এবং ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
বিশেষ দূত ২০২৩ সালের জুনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তার সফরের একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবী অপরিবর্তনীয় জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী