জব্দ
জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএফআইইউ
সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে জমা হওয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাড়ে ৩৫০টির বেশি অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে।
জব্দ করা অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগ এবং বিএফআইইউর নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আপসহীন অবস্থানে সরকার
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অর্থপাচার রোধ ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএফআইইউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রভাবশালী কোনো ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে পাচারের তথ্য প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।’
এই কর্মকর্তা ইঙ্গিত দেন যে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে ব্যবসায়ের মালিকানা পরিবর্তিত হতে পারে, পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ প্রধান পদে সাক্ষাৎকার নিয়ে উদ্বেগ
আইনি কাঠামো ও চ্যালেঞ্জ
বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, তদন্ত চলাকালীন ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সর্বোচ্চ সাত মাস সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে পারে। যদি কোনো মামলা দায়ের করা হয়, তবে আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারে।
হাসান বলেন, 'বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে সরকার-টু-সরকারের চুক্তি এটি সহজ করতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের বিধিবিধান প্রায়ই সম্পদ পুনরুদ্ধারকে জটিল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণ করতে পারে যে, ওই অর্থ অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, তাহলে তা উদ্ধার করা কিছুটা সহজ হবে।’
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি আন্তর্জাতিক আর্থিক আইনের জটিলতা নিরসনে একটি শক্তিশালী আইনি দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সরকারের দৃঢ় সংকল্প ও ধৈর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী আইনি লড়াইয়ের দল দরকার।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অর্থ পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এ প্রথা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা সরিয়ে নেওয় হয়, তারপর বিদেশে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং এটি প্রতিরোধে একটি কার্যকরী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।’
স্থগিত অ্যাকাউন্ট এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
সূত্র জানায়, স্থগিত করা অ্যাকাউন্টগুলোর বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই অ্যাকাউন্টগুলো আইনগতভাবে মালিকদের মালিকানায় রয়েছে।
মুজেরি পরামর্শ দেন, বাজেয়াপ্ত তহবিলগুলো অভিযুক্তদের কর্মের দ্বারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিএফআইইউ এখন সিআইডি, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং কর গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি মামলা পরিচালনার জন্য কাজ করছে। এই পদক্ষেপটি অর্থ পাচার মোকাবিলা এবং চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
১ দিন আগে
বেনাপোলে মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড (বাংলাদেশ) বিজিবি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শাহজাদপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে গামছায় মোড়ানো ৩০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে।
আরও পড়ুৃন: মেঘনায় ট্রলারসহ ৫০ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৯
এছাড়া বেনাপোলের আমড়াখালী চেকপোস্ট ও বেনাপোল বিওপিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানে ভারতীয় মদ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, পান মসলা, সিগারেট এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
জব্দ করা মালামালের মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুৃন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
৩ দিন আগে
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দীন এস আলমের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এস আলমের মালিকানাধীন ৩ ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের সড়ক অবরোধ
১৬টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গুলশানের ১০ তলা ভবন এস আলম টাওয়ার, ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমণ্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২ হাজার ৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২ এর দশমিক ৭ হাজার ৮৮৮ একর জমি, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ৩ কাঠা জমির প্লট, পৃথক পৃথক ১ দশমিক ৭২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১ দশমিক ৯ হাজার ৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১ হাজার ৬১ বিঘা জমি ও ১৩১ দশমিক ৪ কাঠা জমি।
১ সপ্তাহ আগে
সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুসহ কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার তাদের ৪৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, বিছনাকান্দি, দমদমিয়া, সোনারহাট, তামাবিল, কালাইরাগ, কালাসাদেক, উৎমা এবং সংগ্রাম বিওপির সদস্যরা মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসব পণ্য জব্দ করে।
জব্দ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বড় সংখ্যার ভারতীয় গরু, বিপুল পরিমাণ চিনি, গার্নিয়ার ক্রিম, সুপারি ও মদ। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ আটক করা হয়।
আটককৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ১৪ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ
২ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে ১৪ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে এসব সিগারেট জব্দ করে সেনাবাহিনীর মাটিরাঙ্গা জোন।
অবৈধ পথে আসা ৬ হাজার ৯৫০ প্যাকেট বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির মাটিরাঙ্গা জোন।
সার্জেন্ট মো. হাসানের নেতৃত্বে টহল দল মাটিরাঙ্গা জোনের আরপি চেকপোস্টে একটি কাভার্ড ভ্যান তল্লাশি করে বিদেশি এসব সিগারেট জব্দ করে। জব্দ করা সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ১৪ লাখ টাকা।
মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এই চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। আটককৃত সিগারেট সীতাকুণ্ড কাস্টমসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
২ সপ্তাহ আগে
সিলেটে কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
সিলেটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট এবং বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের মালামাল জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা মিনাটিলা, কালাইরাগ, বিছনাকান্দি, নোয়াকোট, দমদমিয়া, কালাসাদেক, শ্রীপুর, বাংলাবাজার, লাফার্জ, প্রতাপপুর, পান্থুমাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ী, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ও ট্রাক আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অভিযানে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন ৫ গাড়ি জব্দ
জব্দ হওয়া এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চোরাচালানের মালামাল সমূহের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ২৬ ড্রেজার মেশিন জব্দ
২ সপ্তাহ আগে
ফেনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ২৬ ড্রেজার মেশিন জব্দ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। এ সময় ২৬টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন-৪ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অলিনগর ও চম্পকনগর বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ২২০০/৩-এস থেকে আনুমানিক ৪শ’ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সোনাপুরের ফেনী নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ২৬টি মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৯ লাখ টাকা। উল্লিখিত মেশিনগুলো ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদী থেকে ৮ ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৬
এ সময় ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমার নেতৃত্বে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন-৪ এর ২০ জন সদস্য, সেনাবাহিনীর ১০ সদস্য বিশিষ্ট টহল দল, ছাগলনাইয়া থানার ৭ জন পুলিশ সদস্যের একটি টহল দল অংশগ্রহণ করে।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন-৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান বন্ধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তবর্তী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে বিজিবির নানা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১, ৯ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩টি অভিযানে মোট ৭৫টি মেশিন ও ১৯ লাখ ৬০ হাজার ফুট বালু জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে দুটি ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৮
৩ সপ্তাহ আগে
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় মালামাল জব্দ, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে আসা প্রায় লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মালামালগুলো বহন করা ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৬১ বিজিবি তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী বিওপির টহল কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় ট্রাকচালক ফিরোজ রহমান (৩৪) কুচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা থানার ১৫৪ নগর চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
বিজিবি জানায়, সীমান্তের ৮৪২/১ এস নম্বর মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িমারী আইসিপিতে মালামালসহ ভারতীয় ট্রাক ও ট্রাকচালক ফিরোজ রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মদ এক বোতল, ত্বক ফর্সা করা ক্রিম ৩৯০টি, শীসা তেল ১৬টি, পোকো মোবাইল একটি, ভারতীয় সিম একটি, ভারতীয় মুদ্রা ১ হাজার ১৯০ রুপি, সৌদি মুদ্রা ৫ রিয়াল জব্দ করা হয়।
জব্দ মালামালের মূল্য প্রায় ১লাখ ৪৫ হাজার ২৩৫ টাকা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিককে আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে দুইদিনে পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
১ মাস আগে
সিলেটে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তে দুইদিনের অভিযানে দেড় কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার-শুক্রবার (১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর) বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের কয়েকটি বিওপির জোয়ানরা অভিযান চালিয়ে এসব চোরাচালানের পণ্য জব্দ করে।
বিজিবি জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, প্রতাপপুর, তামাবিল, পান্থুমাই, ডিবির হাওর, সোনারহাট, মিনাটিলা, বিছনাকান্দি, সংগ্রাম, উৎমা, লবিয়া, লাফার্জ, সোনালী চেলা ও নোয়াকোটে অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় চিনি, মহিষ, গরু, কম্বল, সাবান, চা পাতা, চকলেট, সুপারি, পান, ফুচকা, মদ ও ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুইদিনে পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচার করার সময় বিপুল পরিমাণ দেশি রসুন ও শিং মাছ জব্দ করে বিজিবি। এ সময় চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ও মোটরসাইকেল জব্দ কারা হয় বলে জানায় বিজিবি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জব্দ হওয় মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ টাকা বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
১ মাস আগে
সিলেটে দুইদিনে পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
সিলেটে দুই দিনে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
মঙ্গল ও বুধবার (১০ ও ১১ ডিসেম্বর) সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের মালামাল জব্দ করা হয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়রে (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
এতে জানানো হয়, মঙ্গল ও বুধবার সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাবাজার, লাফার্জ, লবিয়া, সংগ্রাম, দমদমিয়া সোনারহাট, বিছনাকান্দি, প্রতাপপুর, পান্থুমাই, উৎমা, মিনাটিলা, কালাইরাগ, কালাসাদেক এবং পাথরকোয়ারীতে অভিযানে ভারতীয় চিনি, কমলা, শীতের কম্বল, সাবান, মোমেটা স্কিন ক্রিম, গরুর মাংস, গরু, চকলেট, সুপারি, বিড়ি, বিয়ার, মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এছোড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ রসুন, শিং মাছ, চোরাচালানী মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকা জব্দ করে বিজিবি। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭১ হাজার ১৫০ টাকা।
কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জব্দ করা চোরাচালানের মালামাল সমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১ মাস আগে