জব্দ
মেহেরপুরে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
মেহেরপুরে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিনসহ গোলাম মোস্তফা ডাকু (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ মেহেরপুর কোম্পানি ও গাংনী সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
গোলাম মোস্তফা ডাকু গাংনী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌগাছা (ভিটাপাড়া) গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে র্যাব ব্যাটালিয়ন-১২ কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়ের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ কার্যালয়ের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ওয়াহিদুজ্জামান জানান, আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা ডাকুর বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে গাংনী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ১৪৪৩ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
প্রসঙ্গত, গোলাম মোস্তফা ডাকু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
৯৫ দিন আগে
যৌথবাহিনী অভিযানে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন অস্ত্রসহ মাদকদ্রব্য জব্দ, আটক ৩
লক্ষ্মীপুরে যৌথবাহিনী অভিযানে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটকের দাবি করেছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মজিদের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন—পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মনির হোসেন মেম্বারের ছেলে আহম্মদ আল মারুফ রবিন (৩৪), আহম্মদ আল আরেফিন রিমন (২৯) এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার তোফায়েল আহম্মদের ছেলে এহসান আহম্মেদ (২৪)।
আরও পড়ুন: নাটোরে কোটি টাকার নকল যৌন উত্তেজক ওষুধ জব্দ
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি এলজি পিস্তল, তিনটি রামদা, পাঁচটি ছুরি, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ৮৩ পিস ইয়াবা, এক সেট সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম, নগদ ৩৬ হাজার টাকা, মাদকের ব্যবসার হিসাব সংবলিত চারটি খাতা এবং ইয়াবা প্যাকেট করার জন্য ব্যবহৃত এক বান্ডিল ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রাহাত খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এ অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, ইয়াবা, নগদ টাকা ও মাদক ব্যবসার কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। আটক তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১৮ দিন আগে
বেনাপোলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় টানা পাঁচদিন অভিযান চালিয়ে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় দুইজন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে যশোর ৪৯ বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকেরা হলেন— খুলনার কয়রা থানার ইসলামপুর গ্রামের রুস্তম মাতবরের স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৪০) ও ঢাকার মিরপুরের কোর্টবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ময়নাল মোল্লা (৩৫)।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (২৩ জুন) থেকে শুক্রবার (২৭ জুন) রাত পর্যন্ত সীমান্তের বেনাপোল বিওপি, বেনাপোল আইসিপি, ঘিবা, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও আমড়াখালী চেকপোস্ট এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অভিযানে স্বর্ণের বার, ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, শাড়ি-থ্রিপিস, কম্বল, ওষুধ, কাজু বাদাম, চাদর, চকলেট, কসমেটিকস ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদকসহ অর্ধ কোটিও বেশি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মোট মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিদিনের জব্দের পরিমাণ অনুসারে, সোমবার ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকার, মঙ্গলবার ১৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, বুধবার ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা, বৃহস্পতিবার ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪০ টাকা ও শুক্রবার ১১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার পণ্য জব্দ করা হয়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধনিায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, চোরাকারবারিরা এসব পণ্যের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৫৯ দিন আগে
সিলেটে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী তামাবিল, সংগ্রাম, দমদমমিয়া এবং সোনালীচেলা বিওপির টহল টিম অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্কিন ব্রাইট ক্রিম, অরিস সিগারেট, সনপাপড়ি, বিস্কুট, চকলেট ও গরু জব্দ করে। এ ছাড়া, অভিযানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বাংলাদেশী বারকী নৌকাও জব্দ করা হয়। এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে তিনজন ভারতীয়সহ পুশ ইন করা ৭৮ জন উদ্ধার
এ বিষয়ে কর্নেল নাজমুল হক জানান, সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ অভিযানেরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিপুল পরিমানে চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’
আটক করা মালামাল নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০১ দিন আগে
টুঙ্গিপাড়াসহ ঢাকা-খুলনায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ
শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ঢাকা, খুলনা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় থাকা জমিগুলো জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর বারিধারায় থাকা ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের প্লট।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে খুলনার দিঘলিয়ায় ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি, যার মূল্য ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
শেখ রেহেনার নামে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় থাকা ১৯ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকর নামে খুলনার দিঘলিয়ায় থাকা ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ
অনুসন্ধানকালে অভিযুক্তদের এ স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তারা যেন এটি বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে না পারেন এ জন্য তা জব্দের আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে ২৯ এপ্রিল সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
এছাড়া কয়েক দফায় পুতুলসহ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা অন্তত ১ হাজার ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ২২ হাজার ১১৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
২১৮ দিন আগে
পুতুলের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ফ্ল্যাট জব্দের আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে গুলশানের এ ফ্ল্যাটের দাম ৫৭ লাখ টাকা।
সেখানে বলা হয়, ‘সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিস্পত্তির আগে এ সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ফ্ল্যাট জব্দ করা প্রয়োজন।’
গত ১১ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা ধানমন্ডির সুধা সদন বাড়ি জব্দ, একইসঙ্গে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও আটটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব সম্পদের বাজার মূল্য ৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৩২০ টাকা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৪ মার্চ পুতুলের নেতৃত্বাধীন সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব এবং গত ১৮ মার্চ শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এসব হিসাবে ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
২১৯ দিন আগে
ছাতক সীমান্তে ভারতীয় ৬৫ দুম্বা ও ছাগল জব্দ
সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় ২৮ টি দুম্বা ও ৩৭ টি রাম ছাগল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী সুরমা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভারতীয় এসব প্রাণী জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)।
জব্দ করা দুম্বা এবং ছাগলের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: শেরপুরের গজনী অবকাশ চিড়িয়াখানার সাত প্রজাতির ১৭ প্রাণী জব্দ
এ ব্যাপারে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদকে টার্গেট করে চোরাকারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেজন্য চোরাই পথে এসকল পশু ভারত হতে পাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব দুম্বা ও ছাগল জব্দ করা হয়। পশুগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২৩৪ দিন আগে
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দ করা পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০ টাকা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগ্রাম, দমদমিয়া, লবিয়া, কালাইরাগ, তামাবিল, বাংলাবাজার, শ্রীপুর ও বিছনাকান্দিতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে— মোবাইল ডিসপ্লে, মেলনোর ক্রিম, ক্লোবিটা ক্রিম, গোমেলা ক্রিম, ফোমিং ফেস ওয়াশ, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, আল্ট্রা ব্রাইট ক্রিম, স্কিন সাইন ক্রিম, হোয়াইট টোন ক্রিম, চকলেট, ক্লোপ জি ক্রিম, হেয়ার ফল সিরাম, চিনি, গ্লোটাবেট সি ক্রিম, সানস্কিন জেল, গরু, শুটকি, সুপারি, বিয়ার, মদ। বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৪৫ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৫১০ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিলেটের সোনালীচেলা, নোয়াকোট, বিছনাকান্দি, বাংলাবাজার, কালাসাদেক, সোনারহাট, প্রতাপপুর ও সদর অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
পণ্যগুলো হলো— ভারতীয় নিমেসুলাইড ট্যাবলেট, পন্ডস ব্রাইট বিউটি ফেসওয়াস, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, প্রিমিয়াম মিল্ক লাচ্ছা সেমাই, কর্ণফ্লেক্স মিক্স, ট্যাং, ফ্যাশন হার্বস গোল্ড ক্রিম, নূপুর, জিরা, মাল্টা, সুপারি, আঙ্গুর, গরু, চিনি, ছাগল ও মদ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৩ কেজি ৬ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক এসব পণ্য জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা এই বিপুল পরিমাণ চোরাচালানের মালামাল জব্দ করেছে। আটক মালামালগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক মালামালের মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ৫১০ টাকা বলেও জানান তিনি।
২৫২ দিন আগে
ক্রিকেটার সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ
চার কোটি টাকার চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ মার্চ) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। এদিন তার গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল।
তবে বনানী থানা পুলিশ এ সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বাদীপক্ষের আইনজীবী রাফি আহসান সাকিবের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে
পরে আদালত সাকিবের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
অপর আসামিরা হলেন— সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গাজী শাহাগীর হোসাইন, ডিরেক্টর ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। মামলায় সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্মকেও আসামি করা হয়।
আসামিদের ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত। ওই দিন ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তবে সাকিব ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত। পরবর্তীতে গাজী শাহাগীর হোসাইনও আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন পান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানিটির কার্যক্রম সাতক্ষীরায়। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে এক কোটি ও টার্ম লোন হিসেবে দেড় কোটি টাকা বনানী শাখার আইএফআইসি ব্যাংক থেকে নেন। পরবর্তীতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে নেওয়া টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় ব্যাংকটি এই টাকা মেয়াদি লোনে পরিবর্তন করে। টাকা ফেরত চেয়ে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়ার পর কোম্পানিটি ব্যাংককে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয়।
আরও পড়ুন: তামিমের সংকটাপন্ন অবস্থা এখনো কাটেনি, জানালেন চিকিৎসক
তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। পরে ঋণের টাকা ফেরত চেয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা আইন অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তবে নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন পার হলেও তা না পেয়ে আদালতে এসে মামলা করেন।
২৫৫ দিন আগে