খেলাধুলা
শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সুযোগ তৈরির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
শিশুরা যাতে খেলাধুলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে, সেই সুযোগ তৈরি করতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
খেলা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও দলগতভাবে গল্প বলা এবং অন্যান্য রাইড উপভোগের মাধ্যমে সারাদেশের শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, এই আয়োজন শিশুদের একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি খেলাধুলা, নতুন প্রযুক্তিসহ আরও অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘যদিও এখন খেলাধুলার সুযোগ সীমিত তবুও আমাদের যতটা সম্ভব সেই সুযোগ তৈরি করা উচিত।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের বিভিন্ন প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিক গুণাবলী ও দেশপ্রেমে সজ্জিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল’ নামে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মানের শিশু উৎসব শুরু হয়েছে।
শিশুরা যাতে গেম খেলার মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নীতি, নৈতিকতা ও সংস্কৃতি শিখতে পারে সেজন্য www.sheikhhasina.gov.bd নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুুন: তথ্য কমিশনকে আরটিআই আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বেসরকারি খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।’
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হতে পারে তাই প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও হকির মতো বিভিন্ন খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের ফুটবল খেলার উৎকর্ষ সাধনে শেখ কামাল বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন।
শেখ হাসিনা জানান, তার ভাই কামাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
কামাল স্পন্দন ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি জানান, তার ভাই ইলেকট্রিক অর্গানের মতো আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন লোকগানকে জনপ্রিয় করেছেন।
কামালের অভিনয় দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি নাটকেও ভালো অভিনয় করতেন।
কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত শক্তিশালী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে তার নেতা হওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না।’
ছোটবেলা থেকেই শেখ কামাল দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার ভাই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আজ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো আমাকে এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না!
তিনি বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়রা সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সুনাম বয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তার সরকার অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বেসরকারি খাতকে স্থানীয় প্রতিভার সন্ধান করতে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন এরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের গৌরব ও সুনাম বৃদ্ধি করবে।’
এসময় ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি’ বিতরণ করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এই বৃত্তি দিচ্ছে।
মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ১২ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি থেকে অনার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ২৪ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলুন: স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী
একই অনুষ্ঠানে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক এবং নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ কামালের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে: স্কুলশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিয়ে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা হল শরীরচর্চার মাধ্যম। খেলাধুলা মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং মনকে আরও উদার করে তোলে… এছাড়া খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনায়ও মনোযোগ দিতে হবে। একটি স্বাধীন দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাইমারি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাইমারি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের শিশুরা পড়াশোনা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভালো পারফরম্যান্স করবে।
তিনি আরও আশা করেন যে তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে দেশের জন্য মর্যাদা বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছি। তবে আমরা আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তোমরা হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল শক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, ছোট শিশুদের সবসময় সুশৃঙ্খল জীবন বজায় রাখতে হবে, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কথা শুনে চলতে হবে, তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও প্রতিবন্ধী মানুষের সঙ্গে ভাল আচরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, তোমাদের সবাইকে মানবিক গুণ নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশে আন্তঃবিদ্যালয়, আন্তঃ-উপজেলা ও আন্তঃজেলা, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মত বৃহত্তর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি একই সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, গল্পের বই পড়া, ইতিহাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বইয়ের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে বাংলাদেশ: সিএনএনকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তোমাদেরকে সবদিক থেকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এখন থেকে মনে রাখবে যে তোমরা সবচেয়ে যোগ্য হবে এবং নিজেদেরকে সবচেয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিভাগের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ঘাটাইল, টাঙ্গাইল) এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলার গ্র্যান্ড ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্র্যান্ড ফাইনাল খেলায় নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ-২০২২ এর শিরোপা জিতেছে।
রংপুর বিভাগের পূর্ব পঞ্চপুকুর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয় (নীলফামারী সদর) জমকালো ফাইনাল খেলায় ঢাকা বিভাগের বিনোদপুর কলেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (রাজবাড়ী সদর) হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ-২০২২ এর শিরোপা জিতেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত দেশব্যাপী টুর্নামেন্ট-২০২২-এ ৬৫ হাজার ৫২৯টি বিদ্যালয়ের মোট ১১ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩ জন ছেলে এবং ৬৫ হাজার ৫২৮টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৬টি মেয়ে অংশগ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রী দুইটি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার (৪ গোল) জাহিম এবং সেরা খেলোয়াড় মনিরুল ইসলাম, উভয়েই পূর্ব পঞ্চপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, তারা দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে প্রাইজমানির পাশাপাশি গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল পান।
বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ স্কোরার বাঞ্ছারামপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নুর নাহার আক্তার এবং নলমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুমি শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রাইজমানিসহ যথাক্রমে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল পান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
খেলাধুলা করলে মাদকমুক্ত থাকা যায়: শেখ সালাহউদ্দিন
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেছেন, খেলাধুলা করলে খারাপ চিন্তা আসে না, মাদকমুক্ত থাকা যায় ও শরীর ভাল থাকে। বাংলাদেশে ক্রীড়াবিদরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন খেলোয়াড়রা।
রবিবার দুপুরে খুলনার লবণচরায় গুলজান সিটি প্রাঙ্গণে ক্রীড়াক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য খুলনা জেলার দেশবরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের সহযোগিতায় খুলনা জেলার সাবেক ক্রীড়াবিদদের এই মিলন মেলায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরা কারাগারকে মাদকমুক্ত ঘোষণা
সংসদ সদস্য আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতার জন্য খুলনায় তিনটি মিনি স্টেডিয়ামসহ দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেক স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। চিকিৎসা ও যোগাযোগের মান উন্নয়নের জন্য খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান রয়েছে। খুলনা শিশু হাসপাতালে ১৫ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যার লভ্যাংশ দিয়ে গরীব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা করা হচ্ছে। হার্ট, কিডনি ও ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য খুলনায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ১৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ময়ুর নদের সংস্কারের কাজও চলমান রয়েছে। এসকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে খুলনা শহর তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক ক্রীড়াবিদ অধ্যাপক জাফর ইমাম, ক্রীড়াবিদ মো. আসলাম শেখ ও ইউনুছ আলী গাজী। এসময় জেলার সাবেক ক্রীড়াবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য খুলনা জেলার ৭০ জন সাবেক ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলার মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধন, প্রশিক্ষণের সময় মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মানসিক শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত বেশি প্রশিক্ষণ দেবেন, তত বেশি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবেন।’
সেপ্টেম্বরে ২০২২ সালের সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বুধবার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ট্রফি বাংলাদেশে আনার জন্য নারী ফুটবলারদের হাতে পুরস্কারের অর্থ এবং আর্থিক সম্মানী তুলে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে চারবারের ফাইনালিস্ট ও স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ জিতে নেয় বাংলাদেশ নারী দল।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রীড়াবিদদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে জাতি হিসেবে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে কষ্টার্জিত বিজয় অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এটা অবশ্যই মনে রাখবেন। আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করেছি এবং খেলাধুলায়ও জয়লাভ করব। আপনাদের এই মনোভাব থাকতে হবে। তবেই সফলতা আসবে।’
গত ১৪ বছরে খেলাধুলার উন্নয়ন বিষয়ে শেখ হাসিন বলেন, ‘আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রীড়া খাতের উন্নয়নের চেষ্টা করছি। প্রতিটি জেলায় একটি করে স্টেডিয়াম আছে এবং সেই স্টেডিয়ামটি প্রতিটি খেলার জন্য ব্যবহার করা হবে।’
প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামগুলো সব ধরনের খেলাধুলার জন্য ব্যবহার করা হবে এবং স্কুলপর্যায়ে তাদের বার্ষিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর জন্য ব্যবহার করতে পারে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘তার সরকার বেশ কয়েকটি উপজেলায় ১২৫টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে এবং দ্বিতীয় ধাপে এরকম আরও ১৮৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১৭৩টি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: মানুষ কথা বলবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে দেশের ক্রীড়া খাতের উন্নয়নে সরকার প্রতিটি জেলায় ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ করবে এবং প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি থাকবে।
তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও সাহিত্য শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ব্রাজিল, পর্তুগাল, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে খেলোয়াড়দের পাঠিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে সরকার ‘সবার জন্য ক্রীড়া’ নীতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে, খেলাধুলায় যায়ই না।’
তিনি অভিভাবকদের এ বিষয়ে তাদের সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে এবং নিয়মিত খেলার মাঠে নিয়ে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে বলেন এবং স্থানীয় ক্রীড়া উন্নয়নে অবদান রাখতে বলেন। তিনি বলেন, ‘তারা অন্তত তাদের সংস্থায় ক্রীড়াবিদ নিয়োগ করতে পারে যাতে তাদের জীবিকা নিশ্চিত হয়।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাবিনা খাতুন এবং যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারুণ্যের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা যেমন শরীরকে সুস্থ-সবল রাখে, তেমনি মনকেও প্রফুল্ল রাখে, প্রশস্ত করে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এআইইউবি মাঠে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এআইইউবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুল এ. হাসান, প্রকৌশল বিভাগের ডিন ড. সিদ্দিক হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আর দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ, গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মেধা-মনন-শিল্প-ক্রীড়াচর্চা সোনার মানুষ গড়ার হাতিয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই মানবিক মূল্যবোধের চর্চাতেও অগ্রণী হতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পর্যন্ত আমরা রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আওতায় এনেছি। এবছর বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন খেলাধুলায় দেশের ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত হাজার প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে।
এ দিন সমাপ্ত আন্তবিশ্ববিদ্যালয় কাবাডি প্রতিযোগিতায় ছাত্র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন গণবিশ্ববিদ্যালয় ও রানার আপ ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি এবং ছাত্রী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ও রানার আপ গণবিশ্ববিদ্যালয় দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবদের হৃদয়ে যে পাকিস্তান সেটিই বেরিয়ে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী রক্তের বন্ধন: তথ্যমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফিল্ডিং মিস করার কারণেই আমরা হেরেছি: আকরাম খান
বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফিল্ডিং মিস করার কারণেই আমরা হেরেছি। আমাদের বাজে ফিল্ডিংর কারণে তা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বিসিবি কাউন্সিলর কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ক্রিকেটার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিসিবি থেকে পদত্যাগ করছেন আকরাম খান, জানালো পরিবার
এই সময় আকরাম খান বলেন, চাঁদপুর জেলাটি ইলিশের জেলা হিসেবে যেমন পরিচিতি পেয়েছে, একদিন এই জেলার ক্রিকেটারদের কারণে চাঁদপুর আরও পরিচিত পাবে।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে যদি আমাকে ভালো জায়গার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমি ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে চাঁদপুরে মাঠ তৈরি করে দিবো। এর আগেও খেলোয়ার হিসেবে চাঁদপুরে এসেছিলাম।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার আকরাম খানের ছোট ভাই আকবর খানের মৃত্যু
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১১ জেলার মধ্যে চাঁদপুরের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এই জেলা থেকে আরও ভালো ক্রিকেটার তৈরি করতে হলে নিয়মিত অনুশীলনীর ব্যবস্থা করতে হবে। আর যদি নতুনভাবে মাঠের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ক্রিকেটাররা মাঠে সারা বছরই অনুশীলন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ডমিঙ্গো অন্যরকম, বললেন আকরাম খান
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রশংসা আইসিসি চেয়ারম্যানের, উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে আইসিসি প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এমএম ইমরুল কায়স গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইসিসির চেয়ারম্যানকে বলেছেন ক্রিকেটের বিশ্ব পরিচালনা সংস্থার সহায়তা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়েই তিনি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা, বাবা এবং ভাইয়েরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশের পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট দলেরই অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স তাকে ক্রিকেটের উন্নয়নের সাক্ষী হতে এই সফরে অনুপ্রাণিত করেছে।
গত আইসিসি নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাউন্সিল নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচ উন্নয়নে সহায়তা করব।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনের সফরে বারক্লে রবিবার ঢাকায় আসেন এবং পরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ দেখতে পূর্বাচল যান।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক বারক্লে ২০২০ সালে ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবেন না মুশফিক
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টেস্ট সিরিজ ২০২২: লাইভ স্ট্রিমিং কোথায় দেখতে পারবেন?
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ব্যস্ততার ধারা অব্যাহত রেখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ২০২২। এই উদ্দেশ্যে গত ৮ মে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। দেশ দুটির তুলনামুলক অবস্থানকে ছাপিয়ে শত সম্ভাবনার দোলাচলে ভাসছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা। বাংলাদেশের বিগত কয়েকটি ম্যাচের মত এই সিরিজটিও বাংলাদেশিরা স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করতে পারবে। পাশাপাশি ঘরে বসে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুযোগ তো থাকছেই। সেই সরাসরি খেলা দেখার প্ল্যাটফর্মের তথ্যসহ শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফরের আদ্যোপান্ত নিয়েই এই ফিচার।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ২০২২ এর সময়সূচি
ছোট্ট এই টেস্ট সিরিজটিতে টেস্ট ম্যাচ থাকছে মাত্র দুটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি ) ইতোমধ্যে তার সময়সূচি নিশ্চিত করেছে। ১৫ মে রবিবার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি চলবে ১৯ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। দ্বিতীয় ম্যাচের তারিখ ঠিক হয়েছে ২৩ মে সোমবার ভেন্যু ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। ২৭ মে শুক্রবার এই টেস্টের শেষ দিনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে টেস্ট সিরিজটির।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় পূর্বনির্ধারিত সফর করবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল
চূড়ান্ত সিরিজ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কা স্বাগতিকদের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। দুদিনের এই ম্যাচটি খেলা হবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। তিনটি ম্যাচই বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ যে চ্যানেলগুলোতে দেখা যাবে
বরাবরের মত বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিটিভি (গাজী টিভি) এবং টি স্পোর্টস (তিতাস স্পোর্টস)। চ্যানেলগুলোর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও ম্যাচগুলোর লাইভ পাওয়া যাবে। দেশের বেসরকারি মার্কেটিং এজেন্সি ব্যানটেকের ব্যানারে প্রতিটি লাইভ সম্প্রচারিত হবে। কেননা প্রতিষ্ঠানটি বিসিবির কাছ থেকে টেস্ট সিরিজটির অনলাইন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি টিভি সম্প্রচারের স্বত্ব কিনে নিয়েছে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের দুই দলের স্কোয়াড
শ্রীলঙ্কা টেস্ট স্কোয়াড (মোট ১৮ জন)
দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (সহ-অধিনায়ক), কামিল মিশারা, ওশাদা ফার্নান্দো, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, কামিন্দু মেন্ডিস, নিরোশান ডিকভেলা, চামিকা কারুনারাত্নে, কাসুন রাজিথা, সুমিন্দা লক্ষণ, আসিথা ফার্নান্দো, বিশ্ব ফার্নান্দো, দিলশান মাদুশাঙ্কা, লাসিথ এমবুল্ডেনিয়া, প্রবীণ জয়াবিক্রমা, রমেশ মেন্ডিস এবং কুশাল মেন্ডিস (ফিটনেস সাপেক্ষে খেলবেন)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল
বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড (মোট ১৬ জন)
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল খান, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, রহমান রাজা, মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলী চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, কাজী নুরুল হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম (ফিটনেস সাপেক্ষে)।
সবশেষ বলতে হয় যে ম্যাচ পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে থাকলেও বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ ২০২২’র দিকে উৎসুক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে গোটা বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টেস্টে দুই দেশে ক্রিকেট যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে মোট ২২ বার। এখানে শ্রীলংকার জয় পেয়েছে ১৭টিতে আর বাংলাদেশের অর্জন মাত্র একটি। চারটি ম্যাচে ড্র নিয়ে উভয় দল সমান সমান অবস্থানে আছে। সুতরাং সম্ভাব্যতায় জয়ের হাওয়া শ্রীলঙ্কানদের দিকে। এরপরেও যেহেতু ক্রিকেট খেলায় কোনো কিছুই আগে থেকে নিশ্চিত বলা যায় না, তাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভক্তরা প্রহর গুনছে জয়োল্লাসের।
আরও পড়ুন: রবিবার ঢাকায় আসবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল
শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকলের জন্য খেলাধুলা, ব্যায়াম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, জাতি গঠনে এগুলো অনিবার্য উপাদান।
বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩-২০২০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে এসব ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এবং সম্পৃক্ত করার সুযোগ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের শিশুরা দেশের ভালো মানুষ ও যোগ্য নাগরিক হয়ে উঠবে। আমার বিশ্বাস এর ফলে তাদের মন থাকবে সতেজ, তারা ভুল পথে যাবে না।