সেচ
সেচ ও রমজানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম চালু
চলতি সেচ মৌসুম, পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বিদ্যুৎ ভবনে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
৫ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে মোবাইল ফোন যোগাযোগ এই অফিস সময়ের পরেও চালু থাকবে।
কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগের নম্বরগুলো হলো: ০২-৪৭১২০৩০৯ এবং ০১৭৩৯০০০২৯৩।
বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ১৮ জন কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো অভিযোগের সমাধান প্রদান করবেন। যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন অফিস আদেশ ৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
আররও পড়ুন: জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
খুলনাঞ্চলে যেসব কারণে বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়নি
টানা আট মাস অনাবৃষ্টি, মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ, গরম বাতাসের ঝড়ো হাওয়া ও প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা না থাকায় খুলনায় এবার বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান মাড়াইয়ের পর ১০ শতাংশ চিটে পাওয়া যাচ্ছে। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি হয়েছে হাইব্রীড জাতের।
কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ছিলেন মৌসুমে খুলনা জেলায় ২ লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন ধান উৎপাদিত হবে, তা হয়নি।
খুলনা জেলায় এ মৌসুমে ৫৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল। আবাদ হয় ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ডুমুরিয়া জেলায়, ২১ হাজার হেক্টর জমিতে।
আরও পড়ুন: কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে ধান কাটলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক
কৃষি কর্তৃপক্ষ ২ লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শেষ হয়েছে। অল্প-স্বল্প মাড়াই বাকি। প্রতি হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধান ৪.৯৬ মেট্টিক টন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৪.৯৫ মেট্টিক টন।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, টানা আট মাস অনাবৃষ্টি। বোরো সেচের ওপরেই নির্ভরশীল। বীজতলা থেকে শুরু করে মার্চ পর্যন্ত ভূ-গর্ভের পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হয়। কালবৈশাখীর ঝড়ে ১১০ হেক্টর জমির বোরো আক্রান্ত হয়। দাপদাহ জনিত কারণে ১৯ হেক্টর জমির বোরো ফসল ক্ষতি হয়। পুরো মৌসুমে বোরো ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহনশীল। গত মাসে খুলনায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বয়ে যায়। সবমিলিয়ে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
জেলায় হাইব্রীড জাতের বোরো আবাদের পরিমাণ বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মিজানুর সদ্দার (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে ধানক্ষেতে সেচ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান।
নিহত মিজানুর মাগুরা সদরের বেলনগর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত অলিয়ার সদ্দারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
মিজানুরের চাচাতো ভাই মুক্তার হোসেন জানান, শনিবার সকালে মিজানুর মাঠে ধানের ক্ষেতে পানি দেয়ার কাজ করছিলেন। এ সময় পানির মোটরটির ফিতা কেটে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তিনি মোটরটির ফিতা মেরামতের পর বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার এসআই শ্যামা প্রসাদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএডিসির সেচ চার্জ ৫০ শতাংশ হ্রাস
কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ চার্জের হার ৫০ শতাংশ হ্রাস করেছে।