শিক্ষক
গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিটস্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: ভৈরবে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে জার্মান প্রবাসী শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শিক্ষক নুর ইসলাম গোয়ালন্দ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওয়াজেত আলী খানের ছেলে।
মৃত নুর ইসলামের ভাতিজা আসাদুজ্জামান রুমি বলেন, নুর ইসলাম বুধবার সকালের দিকে প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাড়ির আঙিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে গিয়ে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, তিনি ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের কারণে বুধবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বিয়ের বাজার শেষে ট্রেনে কাটা পড়ে চাচা-ভাতিজির মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক: বাকৃবি শিক্ষক সমিতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা।
তারা বলেন, প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। উপরন্তু, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এর আওতাভুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার পেশাকে রীতিমতো অবমাননা করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।
এসময় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, একটি অসাধু মহল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, প্রজ্ঞাপনটি একটা চক্রান্ত। শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই কাজটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোথাও শিক্ষকদের মান-মর্যাদা কখনও নিচু করা হয় না। এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও বাতিলের দাবি জানাই।
শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতারা ছাড়াও এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধনে যোগ দেন।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে।
হঠাৎ এমন প্রজ্ঞাপনের ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
বাকৃবিতে তিন দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠিত
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তালা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে ভুক্তভোগী শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তদন্ত শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ৩ জন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ গত ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে তার হাত-পা টিপেয়ে নেন।
একপর্যায়ে কক্ষে আর কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ওই ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপিড়ন করেন। ঘটনার পর শিশুটি ভীতসন্ত্রস্ত্রভাবে বাড়িতে এসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।
এঘটনায় সন্দেহের একপর্যায়ে শিশুটির মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ফাঁস হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দেন শিশুটির পিতা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরবর্তীতে শিশুটির পিতা তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তালা থানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) এম. এম. সেলিম জানান, শিশুটিকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ পাবার পর ঘটনার তদন্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধিত ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা (১০/২০২৪) রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরের নেতৃত্বে শুক্রবার দিবাগত রাতে ফতেপুর গ্রামের বাড়ি থেকে শিক্ষক সুভাষ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক শিক্ষককে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশ জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগেই শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১০ জেলে গ্রেপ্তার
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাইকে ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ, কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ মাইকে বাজানো বন্ধ করা এবং কটূক্তি করার অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) দুপুরে ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
আটক প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম কলেজটির আরবি বিভাগের শিক্ষক।
জানা যায়, মাইকে ভাষণ চালানোর সময় তৌফিকুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানান কটূক্তি করে মাইকটি বন্ধ করে দেন। পরে অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলেজে জড়ো হয়ে বিচার দাবি করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ভাষণের দিন। দিনটি উপলক্ষে কলেজে নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম এসে হঠাৎ করেই ভাষণটি বন্ধ করে দেন।
এসময় তিনি কটূক্তি করে বলেন, ‘মরা মানুষের ভাষণ শুনে কী হবে? সে তো কবরে আছে। বরং আমার ভাষণ শোন তোমাদের কাজে লাগবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন জানান, একজন শিক্ষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি ও ৭ মার্চের ভাষণ বন্ধ করে চরম অপরাধ করেছেন। বিষয়টি পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন আইরন জানান, একজন রাষ্ট্রদ্রোহী হলেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে। প্রভাষক তৌফিক এর আগেও জাতির পিতা সম্পর্কে কটূক্তি করে রেহায় পাওয়ার কারণে আবারও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
তবে নিজের অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ষড়যন্ত্র বলছেন প্রভাষক তৌফিকুল ইসলাম।
ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও-ভারপ্রাপ্ত) আন্জুমান সুলতানা জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. তৌফিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন। এরপর আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ৫৫ রেস্তোরাঁ থেকে ১২টি ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার, আটক ৫৭
ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম দীপু ও আরও কয়েকজন তার রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনের উপর শুনানি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, বাবা-মার পরই শিক্ষকের অবস্থান। পরিবারে বাবা-মা আর সামাজিক জীবনে শিক্ষকই হলেন বাবা-মা। তারা যদি এই রকম কাজ করেন তাহলে তাকে কী বলা যায়? তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। রক্ষক এ ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার গণিত শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, মুরাদ হোসেন শিক্ষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। আজীবন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিন ওই স্কুলের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা শিকার মাত্র।
ঘটনার দিন অভিযোগকারী মেয়ের মা স্কুলের বাইরে প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন, কখন এ ঘটনা ঘটল- এমন প্রশ্ন তুলে আসামিপক্ষ বলে কথিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত ২২ তারিখে তিন সদস্যের কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দেয় যেখানে মুরাদকে নির্দোষ বলা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া সোমবার রাতে ভিকারুননিসা স্কুলের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বস্তিতে আগুন
বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ার কাহালুতে আব্দুল মোমিন নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাহালু থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
মৃত আব্দুল মোমিন কাহালু উপজেলার বিরকেদার ইউনিয়নের অবিলম্ব গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, আব্দুল মোমিনের লাশ হাফেজিয়া মাদরাসার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিনের ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটপাত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে একটি মাদরাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নাছির উদ্দীন নামে এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার হোস্টেল সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি নাছির উদ্দিন আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জিকু বড়ুয়া বলেন, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নাছির উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলা ও আদালতের নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি মাদরাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মাদরাসা শিক্ষক নাছির উদ্দিনের নামে মামলা করেন। পরে তদন্তে দেখা যায় একই ভাবে আরও তিন শিশুকে পালাক্রমে যৌন নির্যাতন করেছেন ওই শিক্ষক।
এই ঘটনায় তদন্ত শেষে নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি নাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রবিবার এ মামলায় রায় দিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৮নং বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যৌন হয়রানির অভিযোগটি গুরুতর। এজন্য একটা এজেন্ডা নিয়ে এই বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সিন্ডিকেট চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষক মতিন কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ করেন চবির রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয় থিসিস চলাকালীন ওই শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
হালখাতা করেও ধারের অর্ধেকের বেশি টাকা ওঠেনি শিক্ষকের
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় এম এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বন্ধুদের দেওয়া ধারের টাকা সময়মতো তুলতে না পেরে হালখাতার আয়োজন করেন। এই হালখাতার দিন ঠিক করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পাওনাদারদের চিঠি দেন। সেই চিঠিতে দেওয়া নির্ধারিত দিন গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হালখাতার আয়োজনে কোনো প্রকার কমতি ছিল না। আন্ধারীঝাড় বাজারের সিঙ্গাড়া হটস্পট নামের একটি দোকানে আয়োজন করা হয় এই হালখাতা। এ উপলক্ষে রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয় দোকানটি। ছিল চেয়ার-টেবিল, টাকার বাক্সের সামনে সাঁটানো হয় শুভ হালখাতার ব্যানার।
ধারের টাকা পরিশোধে আসা ব্যক্তিদের আপ্যায়ণ করা হয় মাংস বিরিয়ানি দিয়ে। প্যাকেটে করে সবাইকে তা দেওয়া হয়। কেউ খেয়ে গেছেন, আবার কেউ নিয়ে গেছেন।
যারা টাকা পরিশোধ করেছেন তাদের নাম খাতা থেকে কাটা হয়েছে। এদিকে, টাকা যারা ধার নিয়েছিলেন তারা বাদেও পুরো বিষয় দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। খোঁজখবর নেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা
হালখাতায় টাকা পরিশোধ করতে আসা সোলাইমান ইসলাম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে শিক্ষক আউয়ালের কাছে ৩ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছিলাম। হালখাতার চিঠি পেয়ে প্রথমে হতভম্ব হলেও আজ হালখাতা করলাম। বিরিয়ানি খেয়ে ধারের টাকা পরিশোধ করেছি।’
জব্বার মিয়া নামে আরেকজন বলেন, ‘সাড়ে ৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম কয়েক মাস আগে। আজ হালখাতায় পরিশোধ করলাম। বিষয়টা ভালো লেগেছে। এতে ঋণমুক্ত হলাম।’
একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আউয়ালের মন অনেক বড়। তিনি বন্ধু-বান্ধবদের টাকা ধার দিয়ে আনন্দ পান। সেই টাকা তোলার জন্য আজ হালখাতার আয়োজন করেছেন। বিষয়টি নেগেটিভলি না নিয়ে পজেটিভলি নেওয়া দরকার। কারণ, ধার নিয়ে মানুষ এখন দিতে চায় না। সেটা তোলার জন্য এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করায় তাকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা
নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি পরিচালনা করার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন।
নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আশরাফ।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা- ২০০৮ এর ১৪ নম্বর বিধিসহ অন্য আইন লঙ্ঘন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ওই তিন শিক্ষক গত ৩ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেছেন বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: কারণ দর্শানোর নোটিশের সংখ্যা প্রায় ৫০০