জাতীয় পার্টি
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর-আগুন
ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের একদল লোক হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায়,জাতীয় পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলের জাতীয় পার্টির অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
নুর এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
৯৬ দিন আগে
কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করতে পারেন ড. ইউনূস: মোস্তফা হায়দার
আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৬ জুলাই) এমন তথ্যই জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ১২টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।’
এই ঘোষণার প্রত্যাশাকে ‘জাতির জন্য এক আনন্দবার্তা’ হিসেবে অভিহিত করেন হায়দার।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সমাধানে একটি জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র বাস্তবসম্মত উপায়।
পড়ুন: ভাড়াটে লোক দিয়ে দেশ চালানো যাবে না: ফখরুল
‘নির্বাচনের মাধ্যমে অনেক সমস্যারই সমাধান হবে। এটি চলমান অস্থিরতা নিরসনে সহায়ক হবে।’
হায়দার আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন।
‘তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে দুই দফায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর আজ বিকেলে আরও ১৪টি দল–জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
১৩১ দিন আগে
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনগণের ভূমিকা চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠার মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বচ্ছ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে তা চূড়ান্তভাবে জনগণই নির্ধারণ করবে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করেছে তাদের জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এক ধরনের প্রতিশোধ হিসেবে কাজ করবে।
‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপিকে কেন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে? প্রশ্ন তুললেন গয়েশ্বর।
আরও পড়ুন: পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি উভয়েই চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন করুক।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে কাকে প্রত্যাখ্যান করা হবে আর কাকে গ্রহণ করা হবে তা জনগণই ঠিক করবে। তাই অবিবেচনাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কল্যাণ বা শান্তি বয়ে আনবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে 'সংস্কার' শব্দটি কলঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ব্যাপক সমর্থন থাকলেও একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে বা বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিষিদ্ধ হওয়ার যোগ্য, তারা কার্যত নিজেদের নিষিদ্ধ করেছে এবং দেশ থেকে চলে গেছে। এখন তাদের ব্যানার বা স্লোগান দেওয়ার কেউ নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়। ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সেই প্রতিশোধ (আওয়ামী লীগের) নেওয়ার উপায়।
আইন অবমাননার দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার পতনের পর তিনি কীভাবে আইন মানবেন? আইনকে ভয় না পেলে তিনি দেশ ছাড়তেন না, তিনি জেলেই থাকতেন।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
৩৯৫ দিন আগে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠি হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের কাছে ফোন আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
৩৯৯ দিন আগে
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানের ৪ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রপক্ষ আদায় করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
২০১৯ সালের ২৬ মে রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য (এমপি) ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে কাদের খানের অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬০৯ দিন আগে
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
৬৫৫ দিন আগে
‘শরিফার গল্প’ থেকে দুই লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জাতীয় পার্টির চুন্নুর
সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরিফার গল্প’ থেকে বিতর্কিত দুইটি লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, ‘ইদানিং পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র একটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অনেক সময় ভুল আলোচনা হচ্ছে, মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এটি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের গল্প শরিফার গল্প।’
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
সংসদে প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানোর পর হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ ও হিজড়ার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে চুন্নু বলেন, জন্মগত লিঙ্গ ছাড়া নিজেকে ‘অন্য লিঙ্গের’ ভাবাই ‘হিজড়া’। এটা সম্পূর্ণই উপলব্ধির বিষয়। হিজড়া হলো ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ এবং এটি জন্মগত।
তার দাবি, তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ‘রূপান্তরকামীকে’ অন্তর্ভুক্ত করা এবং পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার ধারণাটি মোটেও ভালো বলে মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘হিজড়া নিয়ে কারো কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার ধারণাটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
তিনি বলেন, দেশের মুসলমানদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে শরিফার গল্পের দুই লাইন- ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সবাই আমাকে ছেলে বলত, কিন্তু একসময় বুঝতে পারলাম আমার শরীর ছেলের মতো কিন্তু মনের দিক থেকে আমি মেয়ে’, তা বাদ দেওয়া উচিত এবং মানুষ আর এতে আপত্তি করবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ২৮৩ জন প্রার্থী দেবে: চুন্নু
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
৬৬৯ দিন আগে
জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বেগম এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নানাভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় পার্টি: রওশন
তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের অনেক অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা দলকে দুর্বল করেছিল।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে যেভাবে মানুষকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো তা খুবই দুঃখজনক।
তিনি অবিলম্বে বহিষ্কৃত নেতাদের পুনর্বহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
৬৮২ দিন আগে
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে নিজ বাসভবন সেনপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানাভাবে তার জনপ্রিয়তা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।
এখন যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিভাজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
বিরোধী দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বড় দুটি দল। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা (জাতীয় পার্টি) একমাত্র দল যার ১১ জন সদস্য রয়েছে, আমরা আশা করি জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি সেরকম অবস্থান না দেয়, তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা, সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ‘গত সংসদে আমরা বিরোধী দল ছিলাম। আমরা সব সময় দেশের কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি, সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা আগের মতোই কাজ করব।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৬৮৪ দিন আগে
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
৬৯৪ দিন আগে