ছাত্র
কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানে সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এই আন্দোলনের সফলতা অর্জনে তাদের (ছাত্রদের) উৎসব করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘এই অর্জন ধরে রাখতে তারা কিছু পরিপক্ক বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন নাশকতা ও সন্ত্রাসকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে তারা যে আস্থা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেসব দায়িত্বহীন কথাবার্তা বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছেন যে নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গ্রেপ্তার করা বন্ধ না হলে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। আমার প্রশ্ন হলো, মেট্রোরেল ভাঙচুর, বিটিভিতে নাশকতা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আক্রমণ ও নাশকতার উন্মক্ত লালসা যে গোষ্ঠী চালিয়েছে, সেটাকে মির্জা ফখরুল আন্দোলন বলতে চান কি না? আর এটা যদি আন্দোলন হয়, তাহলে কার বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন, এটা আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটেও ব্যর্থ নয়। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছেন। ২০১৮ সালে তো প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের আগেও সেই কোটা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারই আপিল বিভাগে আপিল করেছে। তারপর সেই আদেশ স্থগিত।’
তিনি বলেন, একটা জিনিসকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আনতে হলে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। যেহেতু একটা বিচারাধীন বিষয় আদালতে ছিল, সেই আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কোটাবিরোধী অন্দোলনরত শিক্ষাথীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা ঝড়ো হয় ষোলশহর রেল ষ্টেশনে।
সংঘর্ষ শুরু পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ ছিল।
এর আগে দুপুরে চবি স্টেশনে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চাবি কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ ৩টা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
এর আগ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন আটকে আন্দোলনের এক সমন্বয়কারীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর আড়াইটায় শাটল ট্রেনে করে শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাদের লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ধাওয়া দেন। অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে ধরে নিয়ে প্রক্টরের কাছে গিয়ে তার ভর্তি বাতিলের দাবি জানান। ছাত্রলীগের নেতারা শাটল ট্রেনের চালককে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আজ সকালে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন যে দুপুর আড়াইটার সময় শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর রেলস্টেশনে সমবেত হবেন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে শাটল ট্রেনে উঠতে না পারেন, এজন্য ট্রেনের প্রতিটি বগির সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান শাটল ট্রেনের চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’
এদিকে, শাটল ট্রেন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারা আন্দোলন করুক সেটাতে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কটুক্তি করবে সেটা আমরা মেনে নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমরা কোনো হামলাও করিনি। রাফি নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় পেয়ারা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাকিব হোসেন নামে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত নাকিব হোসেন ওই এলাকার নাসির হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।
দুপচাঁচিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ইমরান বলেন, ‘দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিও অফিস মাস্টারপাড়া এলাকায় পুকুরের ধারে রয়েছে পেয়ারা গাছ। ওই পেয়েরা গাছ ঘেষেই বৈদ্যুতিক খুঁটি।’
‘নাকিব দুপুরে ওই গাছ থেকে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে পা ফসকে যায় এবং নিজের ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটির টানা তার ধরে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে সে পুকুরের পানিতে ছিটকে পড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হনুমানের মৃত্যু
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির কারণে পিছিয়ে পড়ছে ছাত্ররা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি ২০২৪ এর ফলাফলে এমন প্রবণতাই দেখা গেছে। কেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা খারাপ ফল করছে- তা প্রধানমন্ত্রীসহ অনেককেই ভাবতে বাধ্য করেছে।
ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। ঘরে থাকলেও মোবাইল ফোনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে। ফলে পিছিয়ে পড়ছে ছেলেরা। এছাড়া ছাত্রীরা ক্লাসে যেমন মনোযোগী, আবার বাসায় পড়ালেখার ক্ষেত্রেও তাদের তেমন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। সেই তুলনায় ছাত্রদের মনোযোগ কম। অনেকে মেধাবী, কিন্তু ক্লাসে মনোযোগ না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো- ছেলেদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়ার প্রবণতা। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং লেখাপড়ায় বেশ পরিশ্রমী। একই সঙ্গে নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর বেশকিছু পদক্ষেপের কারণে শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি: ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, মেয়েদের থেকে ছেলেরা পিছিয়ে। ছাত্রীদের এগিয়ে যাওয়াকে সবাই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে ছাত্ররা ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সবদিক দিয়ে এগিয়ে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যেখানে ছেলেরা ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে মেয়েরা। ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেয়ের বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।
চলতি বছরের ১২ মে সকালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'ছেলেরা সংখ্যায় কম এবং কেন ফলাফলে তারা মেয়েদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে,এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’ এক্ষেত্রে বেশ তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ভালো কথা। কিন্তু আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিশোর গ্যাং, কেন ছেলেমেয়েরা এ পথে যাবে, এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের পড়াশোনা করা দরকার, তারা কাজ করতে পারে, বিভিন্ন কাজে যোগ দিতে পারে। কিন্তু এ লাইনে (কিশোর গ্যাং) কেন গেল, সেটা আমাদের বের করতে হবে। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, তাদের একটা সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসা, সেটা আমাদের করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ছাত্রীদের জন্য আমরা অনেক বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি- দীর্ঘদিন ধরে উপবৃত্তি দেওয়া হয়। তবে সেগুলো এখন ছাত্র ও ছাত্রী সবার জন্য সমানভাবে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যদি সেটা যথাযথভাবে কাজ না করে, আমরা সেগুলো পরির্তন করে ছাত্ররাও যাতে সমানভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন। ছেলেরা পিছিয়ে পড়ার আর কী কারণ থাকতে পারে আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘ছেলেরা পড়ছে কম, বাইরে ঘুরছে বেশি। পাশাপাশি মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকছে, ফলে ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
তিনি বলেন, ছেলেদের পিছিয়ে থাকার কারণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি, ক্লাসে অনুপস্থিতি, বাবা-মায়ের অবাধ্যতার প্রবণতা বেশি। ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী। এদিক থেকে মেয়েরা অনেকটা পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থাকে ও লেখাপড়ায় পরিশ্রমী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কয়েকটি জরিপ দেখেছি, নিজেও পর্যবেক্ষণ করেছি, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটার হাতে বাবা-মা মোবাইল তুলে দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটার হাতে দিচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো চিন্তা থেকে দিচ্ছে না। তাতে মেয়েটা পড়াশোনায় মনোযোগ দিচ্ছে। আর ছেলেটা ফেসবুক, গেমিংয়ে সেটা ব্যবহার করছে। এভাবে ছেলেরা পড়ালেখায় ক্রমেই অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। সবকিছুর একটা বয়স ও সময় আছে। একেবারে ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রের হাতে যখন স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে, তখন সে এটার সঠিক ব্যবহার কতটা করবে সে প্রশ্ন থেকে যায়।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রীদের মধ্যে অনেক সচেতনতা বেড়েছে, দেশের শিক্ষার জগতে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করি। মেয়েদের কেন পড়তে হবে, সাবলম্বী হতে হবে- তা নিয়ে তো বাংলাদেশে কয়েক দশক ধরে খুব নিবিড়ভাবে কাজ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। সেটার তো একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এটাই কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে। এসএসসি, এইচএসসি বলেন, আর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বলেন, মেয়েরা এগিয়ে আছে, আর ছেলেরা পিছিয়ে পড়ছে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, বর্তমানে ছেলে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাপকহারে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করছে। এছাড়া তারা গেমিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছে। এতে পড়ার সময় তো নষ্ট হচ্ছেই। পাশাপাশি পড়ালেখায়ও অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ ও উপবৃত্তি চালুর মতো সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে শিক্ষায় মেয়েদের অংশ নেওয়া ও ফলে সফলতা দুটোই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, ‘ছেলেরা এখন অল্প বয়সে হিরোইজম দেখাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তুলছে। হিরোইজম দেখাতে অনেক ছেলে বাবা-মাকেও তোয়াক্কা করছে না। মেয়েদের মধ্যে যে মূল্যবোধ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে, সেটা ছেলেদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা বোঝাতে হবে। তাহলে ছেলেরাও সমানতালে শিক্ষায় এগিয়ে যাবে।’
এছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছেলেরা প্রযুক্তির ভয়ংকর ছোবলের শিকার। হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, বাসায় ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবে সারাক্ষণ মগ্ন থাকে। প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মগজধোলাই হয়ে যাচ্ছে। এদের মেধা-মননে লেখাপড়ার চেয়ে নানা রকম অপসংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে কিশোর অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে। ক্লাস ছেড়ে কিশোররা দলবেঁধে ঘুরছে পাড়া-মহল্লায়—এমন চিত্র চোখে পড়ছে সব এলাকায়। অনেকে কম বয়সে জড়িয়ে পড়ছে রাজনীতিতেও। এতে মেধাবী ছাত্ররা পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়ছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহটা বেশি দেখা যায়। তাদের মধ্যে একে-অন্যের চেয়ে কীভাবে ভালো ফলাফল করবে, তা নিয়ে প্রতিযোগিতা বেশি। এজন্য বরাবরই তারা ভালো করছেন।
এছাড়া, মেয়েরা লেখাপড়ায় পরিশ্রমী এবং নারী শিক্ষায় সামাজিক সচেতনতাও বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং মেয়েদের উপবৃত্তির আওতায় আনায় মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া বেড়েছে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ছেলেরা পিছিয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে কোনো গবেষণা নেই। বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখছি মাধ্যমিক শিক্ষায় অংশ নেওয়া ও সফলতা দুটোই এগিয়ে আছে মেয়েরা। তবে সম্প্রতি পাড়া-মহল্লায় দেখা যায়, উঠতি বয়সী ছেলেরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। যে বয়সে স্কুলে সময় দেবে, এর পরিবর্তে সে তখন ক্লাসের বাইরে। আমি মনে করি অভিভাবকরা দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে ব্যর্থ। অপরদিকে আমাদের সমাজব্যবস্থায় মেয়েরা ঘরমুখী। পরিবারের চাপের মধ্যে তারা বাসার বাইরে খুব কম সময় যেতে পারে। ফলে তারা বেশি সময় পড়ালেখায় ব্যয় করতে পারছে। যার ফলে ফলাফল ভালো করছে।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
ছাত্রকে আছাড় দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মাদারীপুরে আট বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বেদম মারধর করার পর আছাড় মেরে তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৬ নভেম্বর) মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া এলাকার জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতির আক্রমণে শিশু নিহত
এদিকে সোমবার (৬ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে আহত ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ফায়েজ হাওলাদার মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়াচর গ্রামের সবুজ হাওলাদারের ছেলে এবং অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জামিয়া কাসেমিয়া রওতুল উলুম ক্যাডেট কেয়ার মাদরাসায় নুরানি বিভাগের শিক্ষক।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে অভিযুক্ত শিক্ষক নাযেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়েজকে ঘুম থেকে তুলে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। কিন্তু শিক্ষকের কথা মতো না দাঁড়িয়ে, শ্রেণিকক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফায়েজকে বেত্রাঘাত করেন মাহাদী হাসান। একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফায়েজকে তুলে আছাড় দেন শিক্ষক মেহেদী হাসান। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ফায়েজকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। পরে জানানো হয় তার স্বজনদের। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে শিশুটির মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। পরে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
এদিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিশু নিহত
পারিবারিক কলহের জেরে খুলনায় বাবার আছাড়ে শিশু নিহত
জাবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংসদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদকে।
যুগ্ম আহ্বায়ক জানার্লিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের হাসিব জামান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রায়হান শরীফ এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ইসহাক সরকার।
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে রবিবার (৮ অক্টোবর) “এসো নষ্ট স্রোতের বিপরীতে সুন্দরের সহযাত্রী হই” এই স্লোগান সামনে রেখে কর্মীসভার মধ্য দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটির অন্যন্য সদস্যরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, আকাশ আহমেদ, ইমন, কাউসার আহমেদ, তানজিম আহমেদ, ফাতেমাতুজ জোহরা, সাব্বির হোসেন। দুইটি পদ কো অপ্ট রাখা হয়েছে।
নবগঠিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপক শীল৷ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম মিমো, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান হক মুক্ত এবং সদস্য এ্যানি সেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম, জাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হিমু এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিহাব উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল, ছাত্রফ্রন্ট নেত্রী সোহাগী সামিয়াসহ অন্যন্য নেতাদের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
নিহত জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ (১৮) চন্দনাইশস্থ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকার জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছেলে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার সময় অতিবৃষ্টির কারণে নিজ বাড়ি থেকে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবার সময় আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার তার লাশ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, পানিতে ডুবে নিখোঁজ এক যুবকের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
সিরাজগঞ্জে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিন মোল্লা। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় যে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইয়াসিন মোল্লা (১২) বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল গ্রামের আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে ও উপজেলার শেরনগর শাহী মাদরাসার ছাত্র। ইয়াসিন মোল্লা কোরআনের হাফেজ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, অবশেষে থানায় মামলা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে ওই মাদরাসায় চলে যায় হাফেজ ইয়াসিন। এর মধ্যে একবার সে বাড়িতে আসে এবং আবার মাদরাসায় চলে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে মাদরাসা থেকে জানানো হয় ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলছেন, এ বিষয়ে এখনও থানায় অবহিত করা হয়নি। তবে বিষয়টি জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
তেঁতুলিয়া নদীতে ট্রলারডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ৪