টানেল
তিব্বতের তুষারধসে আরও লাশ উদ্ধার, মৃত্যু বেড়ে ২৮
চীনের তিব্বতের একটি মহাসড়কে শুক্রবারের দুর্ঘটনায় আরও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় মহাসড়ক টানেলের বাইরে যানবাহনগুলো তুষারপাতে আটকে গিয়েছিল।
তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমে নাইংচি শহরকে একটি অন্য একটি প্রদেশের সঙ্গে সংযোগকারী টানেলের বহির্গমন এলাকার ছবিতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি খনন যন্ত্র গভীর তুষার খনন করছে।
আরও পড়ুন: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
টেলিভিশনটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উদ্ধার কার্যক্রমে প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মী যোগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টানেলের মুখে প্রচুর তুষার ও বরফ ধসে পড়লে চালকরা তাদের যানবাহনে আটকা পড়ে।
রবিবার থেকে শুরু হওয়া চীনের চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে অনেক লোক বাড়ি ফিরেছিল।
নিংচি প্রায় ১০ হাজার ফুট (তিন হাজার ৪৮মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। আঞ্চলিক রাজধানী লাসা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এই মহাসড়ক পথ ২০১৮ সালে খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৪ জন নিহত
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার এ উপলক্ষে সেতু বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল, যা কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরী দুই শহর’ মডেল অনুসরণ করে নির্মিত এই টানেলটি উত্তরের বন্দর শহরটিকে দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।চীন এই প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির স্তর বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তনের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, কর্নফুলীর দক্ষিণ তীরে অন্তত ১০টি বড় শিল্প গ্রুপ এবং ১৫০ জন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেক্টরে - বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং তেল শোধনাগার - কারখানা স্থাপনের জন্য অগ্রিম জমি কিনেছে।
টানেলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-লেন রোড টানেল প্রকল্পটি অনুমোদন করে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে খরচ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের সর্বশেষ সংশোধনীতে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে টানেল নির্মাণের আগে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হবে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টানেল নির্মাণে সমীক্ষা চলছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
উত্তরাঞ্চলের মানুষের রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগে বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে যমুনা সেতুতে কর্ণফুলীর আদলে একটি টানেল নির্মাণের জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ এর সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প একটি সেতুর প্রয়োজন আছে। দ্বিতীয় একটি টানেলের সমীক্ষা কাজ চলছে। সেটার যদি সঠিক ফলাফল আসে তাহলে ভবিষ্যতে সেখানে একটি টানেল নির্মাণ করা হবে। এই ধরণের একটি চিন্তা-ভাবনার কথা আমরা জেনেছি। এটি বাস্তবায়িত হলে কর্ণফুলীর পর দেশে দ্বিতীয় টানেল হবে যমুনায়।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর স্প্যানে ধাক্কা: গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘যমুনা নদীকে ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আরেকটি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যমুনা নদী অর্থনৈতিক করিডোর। এই নদীতেও তিস্তার মতো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ভাঙনের হাত থেকে জমি রক্ষা করা এবং নদীর পানি ব্যবহার করে কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তা নদীকে ঘিরে অনেকগুলো শাখা নদী। এ নদীগুলোকে ঘিরে আমাদের পরিকল্পনা আছে। প্রতিবছর বন্যার সময় তিস্তা নদী ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙন রোধ করার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। নদীর পানি ধরে রেখে কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানান, তিস্তা নদী ঘিরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনায় আছে, চীন সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর বাইরেও অনেকগুলো দেশ বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশ এবং ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেগুলো পর্যালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
যারা নদী দখল করে তারা ক্ষমতাশালী, নদীর দখল উচ্ছেদে কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নদী দখল করেন তারা সবাই রাঘব বোয়াল না, সাধারণ মানুষও আছেন। সাধারণ মানুষ, যার জায়গা নেই, সে একটা ঘর করলো, সে তো জানে না যে নদী দখল হয়ে গেল। এক্ষেত্রে অসাবধানতা কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে ছিল জোর যার মুলুক তার। কাজেই সেই অবস্থা এখন নেই। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন আবেদন করলে আমরা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি।’
‘শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তো প্রণোদনা দেয়ার সুযোগ নেই। শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে সব নিয়ম মানা দরকার সেগুলো তারা মানেনি। বরং তারা জরিমানার আওতায় আসার কথা। আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। এই সুযোগের যদি সঠিক মূল্যায়ন না করা হয় সেজন্য তাদের অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর তীরে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আমরা কিছুটা সময় দিতে চাই। কারণ এতে অনেক বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশে কেউ কখনও ভাবেইনি- নদীর আবার নিজস্ব জায়গা আছে। এই ভবনাটা তৈরি করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, দীর্ঘদিন রাষ্ট্র সেটা করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সীমানা পিলার দিয়েছি। দখলকারী জেনে গেছে তার স্থাপনা নদীর সীমানায় পড়েছে। তাকে ম্যাসেজও দেয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল উচ্ছেদের কাজ পুরোপুরি বা শতভাগ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিছু মামলা-মোকদ্দমা আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের আইনজীবী প্যানেল কাজ করছে। আমরা বলতে পারি এগুলোতে আমরা সফলতা দেখাতে পারব।’
নদীর সীমানা পিলার স্থাপন ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেগুলোর বিষয়ে আমরা হেয়ারিং নিচ্ছি। অনেকগুলো বিষয় আমরা সমাধান করেছি।’
তিনি বলেন, ‘১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে চাই, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অংশ ছিল। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি, প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের মতো নতুন ও পুরনো নৌপথ তৈরি করতে পেরেছি। আমরা এর সুফল পেতে শুরু করেছি। এবার অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে পানি আসলেও তা বন্যায় রূপ নেয়নি এর অন্যতম কারণ নদীগুলো ধারাবাহিক ড্রেজিং করা।’
আরও পড়ুন: জাতি হিসেবে মর্যাদার জায়গায় গিয়েছি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি পরামর্শ চলছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘যেটির নাম দেয়া হয়েছে যমুনা অর্থনৈতিক করিডোর। এটার সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। সমীক্ষায় সফলতা আসে, কাজটি যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে এখানে লাখ লাখ হেক্টর জমি শুধু সংগ্রহণ করতেই পারব না, যমুনার ভাঙনের একটি সমাধান দিতে পারব। যে জমি সংগ্রহণ করা হবে সেখানে স্যাটলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক করিডোর-১ ও অর্থনৈতিক করিডোর-২ এই দুটি ফেজে কাজটি হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ। বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে মানুষ যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা থেকে রক্ষা হবে। তিস্তা নদী নিয়েও একটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সেগুলো নিয়েও কার্যক্রম চলছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন তিনটি ক্রুজ ভ্যাসেল সংগ্রহ করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে হ্যালিপ্যাডসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আমরা হয়তো ২০২৩ সালের শেষের দিকে এগুলো সংগ্রহ করতে পারবো। বিআইডব্লিউটিসি এই ক্রুজ ভ্যাসেল সংগ্রহ করা হবে।
মাওয়া ঘাটে কবে থেকে ফেরি চালু হবে এবং পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা বিষয়ে তদন্ত কমিটি কি পেল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ (ধাক্কা দেয়ার) যে ঘটনাটা ঘটে গেল। সেটা সেতু কর্তৃপক্ষ বলেছে ধাক্কা লাগে নাই। সিগন্যাল লাইট যখন নামিয়ে দেয়া হয় তখন ভিডিওটা ধারণ করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রিপোর্টারকে (একটি টেলিভিশন চ্যানেলের) আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিলো। দ্রুত নিউজটা ছেড়ে দিয়ে সমগ্র দেশবাসীকে একটা আতঙ্কের মধ্যে রাখা ঠিক হয়নি। আর একটু বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারতো ধাক্কা লাগেনি আসলে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক ঘন্টা পর যখন সেতু কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রী যখন গেলেন তখন দেখলেন সেখানে কোন ধাক্কা লাগেনি। আমি সাংবাদিকদের বলেছিলাম ধাক্কা লাগলে ভেঙে যাবে বা দাগ লাগবে। কিন্তু লাইটেও ক্ষতি হয়নি, সেতুতে কোন দাগ লাগেনি। এই বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী আতঙ্কিত, আমরা বিব্রত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
তাইওয়ানে ট্রেন লাইনচ্যুত, নিহত ৪৮
তাইওয়ানে একটি টানেলের ভেতরে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
হুয়ালিয়েনের কর্মকর্তারা জানান, আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
দেশটির গণমাধ্যমে জানানো হয়, ট্রেনে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
খবরে বলা হয়, হুয়ালিয়েন শহরের কাছে ওই সুড়ঙ্গে প্রবেশের সময় একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষের পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। একটি নির্মাণ প্রকল্পের সামগ্রী পরিবহনের ওই ট্রাক ঠিকমত পার্ক করা না থাকায় রাস্তা থেকে পিছলে রেললাইনে উঠে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ
হুয়ালিয়েনের কাউন্টির উদ্ধার দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ট্রাকটির গতি বেড়ে গেলে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে এবং এতে ট্রেনটির ১-৫টি বগি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টেলিভিশন ফুটেজ এবং অফিসিয়াল কেন্দ্রীয় নিউজ এজেন্সির ওয়েবসাইটে মানুষের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, মানুষ ট্রেনের ছাদ দিয়ে সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
তাইওয়ানের ঐতিহ্যবাহী টম্ব সুইপিং ডে’র দীর্ঘ ছুটির শুরুতেই এ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে, ২০১৮ সালে তাইওয়ানের উত্তর পূর্বাঞ্চলে রেল লাইনচ্যুত হয়ে ১৮ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৮
১৯৯১ সালে স্বশাসিত এ দ্বীপে আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছিল।
করোনা প্রতিরোধে মাগুরা শহরে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাগুরা শহরের প্রধান প্রবেশমুখ ভায়না মোড় ও ঢাকা রোডে স্থাপন করা হয়েছে জীবাণুনাশক বড় দুটি টানেল।