সুইজারল্যান্ড
গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজকের বৈঠকে গুম প্রতিরোধসহ মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন এবং সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন।
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়েছে, এর ফলে গুম হওয়া ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইবুন্যাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।
অধ্যাদেশের ফলে সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইবুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পুর্বানুমতি ব্যাতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুমোদন
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। আবার জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা’ ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং উক্ত অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।
হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ, দপ্তর কিংবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বার্নে হচ্ছে নতুন দূতাবাস
এদিন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের পার্মানেন্ট মিশন রয়েছে। তবে বার্নে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেরই দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। এর ফলে জেনেভার স্থায়ী মিশনেই এতদিন ধরে জাতিসংঘ ও দূতাবাসের কাজগুলো একসঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছিল।
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বার্নে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত, ফার্স্ট সেক্রেটারি, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন অফিস আছে।
আলোচনায় হাদির শারীরিক অবস্থা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়।
হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং খোঁজখবর জানাচ্ছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল (বুধবার) েসিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
২ দিন আগে
সুইজারল্যান্ড: বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে লাখ ডলার জরিমানার মুখে চালক
সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে সুইজারল্যান্ডে এক অতি ধনী চালককে ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, ওই চালক লোজান শহরের এক রাস্তায় গতিসীমা অতিক্রম করে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) প্রতি ঘণ্টা বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এই জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন।
কেন এত বড় পরিমাণ জরিমানা?
জানা গেছে, ওই চালক সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি গতিসীমা লঙ্ঘনের এই ধরনের অপরাধ বারবার করে আসছেন। ভৌদ অঞ্চলে ব্যক্তির আয়, সম্পদ ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে জরিমানা নির্ধারিত হয়।
পড়ুন: মিয়ানমারের বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
এ অঞ্চলের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, দারিদ্র্যগ্রস্তরা কেউ এই অপরাধের জন্য জরিমানার বদলে এক রাতের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়, আর অতি ধনী চালকদের ক্ষেত্রে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক থেকে শুরু করে জরিমানা গুণতে হয়। সম্প্রতি এই অঞ্চলের একটি আদালত রায় অনুযায়ী, গতিসীমা লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রথমে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক (১২ হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা বহন করতে হবে এবং পরবর্তী তিন বছরে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে আরও ৮০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা হতে পারে।
সুইজ সংবাদপত্র ‘টুয়েন্টি ফোর হিউয়ারস’ প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চালক একজন ফরাসি নাগরিক, সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ৩০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম এবং তার শত মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
পুলিশের স্বয়ংক্রিয় রাডার চালককে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গতিসীমায় ৭৭ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতি রেকর্ড করতে দেখেছে। এরপরই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ জরিমানা হিসাব করা হয়।
পড়ুন: সেই ‘সুপারম্যান’ এখন মার্কিন অভিবাসন এজেন্ট
ভৌদ অঞ্চলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র ভিনসেন্ট ডেরৌয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাননি। ঘটনা ঘটেছে গত বছরের আগস্টে এবং চলতি বছরের জুনে জরিমানার রায় দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই চালককে ৮ বছর আগেও একই ধরনের অপরাধের জন্য ১০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডে গতিসীমা লঙ্ঘনের জরিমানা সবার জন্যই কঠোর, এমনকি পুলিশের জন্যও। ২০১৬ সালে জেনেভা শহরের এক পুলিশকর্মী চোর ধারার প্রায় দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা গুণেছিলেন।
১২৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করল সুইজারল্যান্ড
বাংলাদেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময়’ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সুইজারল্যান্ডের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিলর ও সুইস ফেডারেল ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের (এফডিএফএ) প্রধান ইগনাজিও ক্যাসিস।
এফডিএফএ প্রধান দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভার ফাঁকে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, 'আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকালে বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
ক্যাসিস বলেন, সুইজারল্যান্ড এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ক্যাসিস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তার উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশাসক আচিম স্টেইনারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২৫ সভায় ক্যাসিস ইউরোপীয় নীতি এবং ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
সুইজারল্যান্ড যখন ২০২৬ সালে ওএসসিইর সভাপতিত্ব করার প্রস্তুতি নেওয়ার প্রাক্কালে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন তিনি।
দাভোসে অবস্থানকালে এফডিএফএর প্রধান বর্তমানে সুইস বৈদেশিক নীতির আগ্রহের মূল বিষয়গুলোতে একাধিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেছেন।
ক্যাসিসের কর্মসূচিতে ইইউ কমিশনার মারোস শেফকোভিচের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এসময় উভয়েই সুইজারল্যান্ড এবং ইইউর মধ্যে আলোচনার বাস্তব সমাপ্তিকে স্বাগত জানান।
তারা আলোচনার প্যাকেজ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সময়সূচি এবং সংশ্লিষ্ট পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন।
চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি এবং বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কুইন্টিনের সঙ্গে আলোচনার সময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ও আলোচ্যসূচিতে ছিল।
আরও পড়ুন: দাভোসে দ্বিতীয় দিনে ১৪ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
৩৩১ দিন আগে
দাভোসে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস, পরিকল্পনায় ৪০টির বেশি কর্মসূচি
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে জুরিখের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এ সময় জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। এরপর সড়ক পথে বিমানবন্দর থেকে দাভোসের উদ্দেশে রওনা হন ড. ইউনূস।
বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দাভোসে পৌঁছানোর পর সম্মেলনের প্রথম দিন কুরপার্ক ভিলেজে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নৈশভোজে যোগদানসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
দাভোসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। মঙ্গলবার দাভোস সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরপর তিনি শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিনরের চেয়ারম্যান জেনস পেটার অলসেনের সঙ্গে (বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত) বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির শুরুতেই 'জুলাই ঘোষণা' নিয়ে ঐকমত্যের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর এবং মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হিউজেনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের ১১তম শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং ফিনল্যান্ডের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট কাই-গোরান আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক (জ্যেষ্ঠ সচিব) লামিয়া মোরশেদ, প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোসে অবস্থানের আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বেলজিয়ামের বাদশাহ ফিলিপ ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকসহ ৪০টিরও বেশি বৈঠক করবেন তিনি।
২৫ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, মেটা ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের শীর্ষ কর্মকর্তারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে উন্নত ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ অর্জনে তাদের প্রচেষ্টা তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া এই অর্থনীতিবিদ ধারাবাহিক ব্যস্ততার মাঝে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে থাকবেন।
উপ-প্রেস সচিব আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতা ও প্রধান নির্বাহীদের অংশগ্রহণে আগামী ২২ জানুয়ারি ‘কান্ট্রি স্ট্রাটেজি ডায়ালগ অন বাংলাদেশ’ নামে একটি পৃথক বিজনেস রাউন্ডটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বাংলাদেশের জন্য এক বিরল সুযোগ।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ড. ইউনূস
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দাভোস ২০২৫ সালের বার্ষিক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে— ভূ-রাজনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন এবং ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শক্তি রূপান্তর পরিচালনার মতো কর্মপরিকল্পনা।
‘কলাবরেশন ফর দ্য ইন্টেলিজেন্ট এজ’ থিমের অধীনে এ বছরের সম্মেলনের আহ্বান করা হয়েছে।
সম্মেলনে ১৩০টির বেশি দেশের প্রায় তিন হাজার নেতা এবং বিশ্বের ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ মোট ৩৫০ জন নেতা একত্রিত হয়েছেন।
৩৩৩ দিন আগে
সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
ডাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড সফর করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সচিবালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
ডাভোসে ‘শেপিং দ্যা ইন্টেলিজেন্ট এজ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
সুইজারল্যান্ড সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হবেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত এবং এসডিজি বিষয়ক প্রিন্সিপাল কোওর্ডিনেটর।
সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়াও উপদেষ্টা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিতে মালয়েশিয়াকে ড. ইউনূসের আহ্বান
৩৩৮ দিন আগে
সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
একটি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ জনশক্তি দিয়ে সেই দেশটির উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে দেশটির শিক্ষার মান। সুষ্ঠু শিক্ষা চর্চা আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশসহ সার্বিকভাবে একটি দেশটিকে উন্নত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের নাগরিকরা উপভোগ করতে পারে কাঙ্ক্ষিত জীবনধারা। বিগত কয়েক দশক ধরে এমনি মান সম্পন্ন জীবনধারণের মূর্ত প্রতীক হয়ে আছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। শেনজেনভুক্ত দেশটির নানা অঙ্গন জুড়ে অসামান্য সমৃদ্ধি করবে ঘোষণা করে আসছে সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা। চলুন, সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আবেদন প্রক্রিয়া, স্টুডেন্ট ভিসা ও অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কেন সুইজারল্যান্ড উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্স অনুসারে, একটানা ১৩ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশের মর্যাদা পেয়ে আসছে সুইজারল্যান্ড। এর নৈপথ্যে রয়েছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবধর্মী গবেষণা ও সৃজনশীলতা চর্চা। কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০-এর মধ্যে থাকা বিদ্যাপীঠগুলো হলো- ইটিএইচ জুরিখ (৭), ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল ডি লোস্যান (৩৬), এবং ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখ (৯১)।
জীবনযাত্রা যথেষ্ট ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের অষ্টম শিক্ষার্থীবান্ধব শহরটি হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম নগরী জুরিখ।
প্রতিবারের মতো ২০২৪-এ ও পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এ রয়েছে সুইজারল্যান্ড (৬)। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জীবনযাত্রার দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
এছাড়া পরিবেশের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে এই স্থলবেষ্টিত দেশটি। মাত্র ২৩ দশমিক ৩ পলিউশন ইন্ডেক্স নিয়ে নিরাপদ রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্প্রতি কার্বন নিঃসরণের প্রচেষ্টার ওপর মূল্যায়ন করে ১২০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে। এনার্জি ট্রাঞ্জিশনের ভিত্তিতে এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সুইসরা।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইজারল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত সুইজারল্যান্ডের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়:
• ইটিএইচ জুরিখ
• ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল ডি লোস্যান
• ইউনিভার্সিটি অব জুরিখ
• ইউনিভার্সিটি অব ব্যাসেল
• ইউনিভার্সিটি অব বার্ন
• ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা
• ইউনিভার্সিটি অব লোস্যান
• ইউএসআই ইউনিভার্সিটি ডেলা স্ভিজ্জেরা ইটালিয়ানা
• ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট গ্যালেন
• ইউনিভার্সিটি অব ফ্রিবুর্গ
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো:
• হস্পিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
• বিজনেস অ্যান্ড ফাইন্যান্স
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
• ইঞ্জিনিয়ারিং
• মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থকেয়ার
• আইন
• অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স
• সাংবাদিকতা
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইজারল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
এখানে প্রধানত দুটি মৌসুমে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একটি হচ্ছে ফল ও অপরটি স্প্রিং। ফলের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর এই আবেদনগুলো যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তি শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে।
অপরদিকে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং-এ, যার প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ হয় ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি শুরুর মাধ্যমে।
দুটো ভর্তি মৌসুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ফল। কেননা এ সময় অন্য সময়ের তুলনায় আবেদনের জন্য বেশি সংখ্যক বিষয় পাওয়া যায়।
এই আবেদনগুলো কোনো কেন্দ্রীয় সিস্টেমের মাধ্যমে নেওয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• প্রার্থীর স্বহস্তে সই সম্পূর্ণ পূরণকৃত আবেদনপত্র
• দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• বৈধ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি
• বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সাপেক্ষে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
• ব্যাচেলরের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সনদ বা ডিপ্লোমা কিংবা তার সমতুল্য সনদ
• স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের সনদ
• পিএইচডি স্তরের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমতুল্য সনদ
• ভাষার দক্ষতা প্রমাণ স্বরূপ:
• আইইএলটিএস (সাধারণত ন্যূনতম স্কোর ৬ দশমিক ৫)
• টোফেল (আইবিটি) (সর্বনিম্ন স্কোর ৮০)
• পিটিই একাডেমিক (ন্যূনতম স্কোর ৫৮)
• সিভি
• আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণ: সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ সুইস ফ্রাঙ্ক, যা প্রায় ১৪ হাজার ১১৩ থেকে ২১ হাজার ১৭০ টাকার (১ সুইস ফ্রাঙ্ক = ১৪১ দশমিক ১৩ বাংলাদেশি টাকা) সমান
• প্রার্থীর নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত পার্সনাল স্টেটমেন্ট
• ডক্টরাল গবেষণার ক্ষেত্রে যার অধীনে গবেষণা করা হচ্ছে তার নিকট থেকে একটি স্বীকারক্তি চিঠির
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
৪৫০ দিন আগে
প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
স্পেন কেন বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল, আজ তার সবচেয়ে পরিষ্কার প্রমাণ দেখল বিশ্ব। ম্যাচের ৭০ মিনিটের বেশি সময় দশ খেলোয়াড় নিয়ে খেলে, রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে কোনোমতে প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে, চকিতে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের ঘরের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জেনেভায় নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চতুর্থ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার রাতে স্বাগতিক সুইসদের বিপক্ষে বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার পথে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে মাঝের দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস এবং বাকি গোলদুটি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হোসেলু এবং শেষেরটি বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস। অপরদিকে, সুইসদের একমাত্র গোলটি করেন জেকি আমদুনি।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এদিন পুরোনো ধ্বংসাত্মক চেহারায় ফেরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই গোল পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
পাল্টা আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতর থেকে শট নিলে হোসেলুর সেই শট ঠেকিয়ে কর্নারে পরিণত করেন ইয়ান জমারের অবসরের কারণে সুইসদের গোলপোস্ট সামলানো গ্রেগর কোবেল। এরপর শর্ট কর্নারের পর ডান দিক থেকে প্রতিপেক্ষর একাধিক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেন লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে হেডারে বল লক্ষ্যে পাঠান হোসেলু। শূন্যে ভাসা অবস্থায় কোবেল বল ক্লিয়ার করলেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায় ততক্ষণে গোললাইন অতিক্রম করেছে বল। ফলে গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন।
চার মিনিট পরই অবশ্য চমৎকার এক পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বাঁ পাশ ধরে উঠে গিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন ব্রাইল এম্বলো, কিন্তু বেসির ওমেরাজিক বল জালে পাঠালেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায়, অফসাইড ছিলেন তিনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন ১৭ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ। এরপর দ্রুতগতিতে বল নিয়ে উঠে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে তারই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান লামিন। নিকো সেখান থেকে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলে শট নিলেও তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোবেল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়; বল এসে পড়ে ছয় বক্সের বাইরে থাকা ফাবিয়ান রুইসের সামনে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
৪৬৮ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
অধ্যাপক ইউনূস তার কাছে জানতে চান 'টাকা ফেরতের কোনো উপায় আছে কি?’‘চুরি করা অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড সবসময়ই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ও মানদণ্ড মেনে চলতে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশ করা প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ৫ গ্যাসকূপ অনুসন্ধানে আগ্রহী গ্যাসপ্রম, বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তার কাছ থেকে সরকারের অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানতে পারাটা ছিল আনন্দের। সামনে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুইজারল্যান্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করবে।’
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত রেংগলি ড. ইউনূসকে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করবে এবং দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমি সত্যিই আশা করি বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উন্নয়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
৪৭৮ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন সুইস গোলরক্ষক জমের
দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ার শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান জমের। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে খেলায় মনোযোগ দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জমেরের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুইস ফুটবল ফেডারেশন।
এছাড়া ইনস্টাগ্রামে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে জমের লেখেন, ‘সচেতনভাবে ভাবনা-চিন্তা করে সুইজারল্যান্ডের জাতীয় দল থেকে আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘প্রতিবেশি দেশ জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ইউরোয় আমাদের আরও একবার ফাইনালসে খেলার গৌরব অর্জনের পর এখন বিদায় বলার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
২০১২ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় জমেরের। এরপর দেশের হয়ে ৯৪ ম্যাচে গোলপোস্ট সামলেছেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো আসরেও সুইস গোলপোস্টের নিচে অন্তন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে রানার্স-আপ ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরোযাত্রা থামে সুইসদের। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে হারে তারা।
এছাড়া ২০১৬ ও ২০২০ সালের ইউরো আসর এবং ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও খেলেন তিনি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন তিনি। ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় জমেরের সুইজারল্যান্ড।
কয়েক মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখে মানুয়েল নয়ারের বিকল্প হিসেবে থাকার পর গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে যোগ দেন জমের। ওই মৌসুমে ইন্টারকে সেরি-আ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।
এছাড়া বায়ার্নে থাকাকালে একটি এবং সুইস লিগে এফসি বাসেলের হয়ে চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
জমের অবসের যাওয়ায় সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্টের নিচে এখন নিয়মিত দেখা যেতে পারে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলকে। জমের থাকায় জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড। এর তিন দিন পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে খেলবে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা।
৪৮৭ দিন আগে
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড: ম্যাচজুড়ে যা হলো
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। বিশ মিনিট ধরে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখে গোল পায় তারা, কিন্তু বুকায়ো সাকা সমতায় ফেরানোর পর টাইব্রেকারে পিকফোর্ডের সেইভে শেষ হাসি হেসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরাই।
এর ফলে গতবারের মতো এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ১৩টি শটের বিপরীতে ১১টি শট নেয় সুইজারল্যান্ড, যার তিনটি করে লক্ষ্যে ছিল। বল দখলেও লড়াইয়ে ইংল্যান্ড সামান্য (৫২%) এগিয়ে থাকলে সমানে লড়াই করেছে সুইসরা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন কৌশলে পরিবর্তন এনে কিরান ট্রিপিয়ার ও বুকায়ো সাকাকে অবস্থান পরিবর্তন করে মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। এর মধ্যে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ডই। ডান দিকে দিয়ে দ্রুত উঠে বক্সের বাইরে থেকে কাইল ওয়াকারকে পাস দেন সাকা। ওয়াকার সেখান থেকে শট নিলেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি শটটি ফিরিয়ে দেন।
এর পরের মিনিটে আক্রমণে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ডান এনডয়েকে নিষ্ক্রিয় করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোবি মাইনু। পরের মিনিটে সুইজারল্যান্ডের আরও একটি আক্রমণ ইংলিশ ডিফেন্সে প্রতিহত হয়। এবার সুইসদের হেডার বক্সের ভেতর থেকে ফেরান এস্টন ভিলার ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা।
এসময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই দুই/তিন স্তরের রক্ষণ তৈরি করছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলে দলটির ফুটবলারদের জায়গা কমিয়ে সেসব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করছিল সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডেকলান রাইসের দূরের একটি ভালো শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ১৬তম মিনিটে কোবি মাইনুর জোরালো শট সুইস রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে চ্যালেঞ্জের পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন হ্যারি কেইন। তবে তবে আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি দানিয়েল অরসাতো।
১৭তম মিনিটে আরও একবার একক নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন মাইনু, তবে তাও এগিয়ে এসে লুফে নেন ইয়ান জমার।
১৯তম মিনিটে সুইজার্যলান্ডের আক্রমণ ইংলিশ রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর ২১তম মিনিটে ডান দিকে বক্সের মধ্যে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেই গোলমুখে ক্রস দেন সাকা, তবে সেখানে নিজেদের কেউ না থাকায় আক্রমণটি বৃথা যায়।
২৫তম মিনিটে ভিড়ের মাঝ থেকে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ বেলায় জন স্টোনস সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। এরপর বেশকিছু সময় ইংল্যান্ডের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন সুইসরা।
২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে ছয় গজ বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সাকা, তবে সেখান থেকে শট নিলে সুইজারল্যান্ডের একজন ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে কয়েক মুহূর্ত পর ফের বল দখলে নিয়ে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড।
এসময় খেলা কিছক্ষণের জন্য ঝিমিয়ে যায়। দুই দলই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর ৪৫তম মিনিটে সাকার প্রচেষ্টায় একটি ভালো আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষণে কাটা পড়ে সে আক্রমণ। পরের মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড, তবে ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুই বল।
৫৩২ দিন আগে