মাংস
সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-মাংসের দাম বেশি
সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলু ছাড়া শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দাম ছিল চড়া।
সবজির দাম কমলেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী হারুন অর রশীদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজিসহ সব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৫ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজির বাজার চালু
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মৌসুমের এই সময়ে আলু, টমেটো ও গাজরের দাম সাধারণত প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু মান ভেদে এসব জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজির মধ্যে।
এই অতিরিক্ত দাম অবসরপ্রাপ্ত এবং নির্দিষ্ট আয়ের গোষ্ঠীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমালে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে।
তবে শুক্রবার কারওয়ান বাজারে শীতকালীন সবজির প্রায় সবগুলোই বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে অসন্তোষ রয়ে গেছে মাছ ও মাংসের বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি জাতের) ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে অনেক স্থানে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন সর্বত্র ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম (মুরগি) ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, সাদা ডিম ৫-১০ টাকা কম। হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং দেশি গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও শরীয়তপুরে অস্বাভাবিক সবজির দাম
কয়েক মাস আগের তুলনায় এখন মাছের দাম বেশি। তবে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ও কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য মাছের মধ্যে আড়াই কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল ও ইলিশ মাছ কেজিতে ৬০০ টাকার নিচে নয়।
কারওয়ান বাজারে কোরাল, বোয়াল, নদীর পাঙ্গাসের মতো বড় সাইজের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১১০০ টাকায়।
দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তার অফিস থেকে অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ ও আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
শফিকুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন জেলার হিমাগার পরিদর্শন করে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ পেয়েছেন, যদিও দাম বাড়তি ছিল।
পেঁয়াজ ও আলুর উচ্চমূল্য অব্যাহত থাকলে সরকার এসব পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশে ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।
খামারের ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষের মাছ দেশের লাখ লাখ দরিদ্রের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।
নাজের বলেন, এ ধরনের সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী তাদের প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও লালমনিরহাটে সবজির দাম আকাশচুম্বী
বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের সুন্দরবনে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ শফিকুল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের বগুড়া নদীতে একটি স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুলকে আটক করে পুলিশ।
এসময় ওই নৌকা থেকে চামড়াযুক্ত সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শফিকুল শেখ বাগেরহাটের রামপালের ভাগা গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বগুড়া নদীতে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় অভিযান চালায়। এসময় সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাসংসহ শিকারি চক্রের অন্যতম সদস্য শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শফিকুল তার এক সহযোগীকে নিয়ে জেলে সেজে অবৈধভাবে সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। এরপর জবাই করে চামড়াসহ হরিণের মাংস বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষণ আইনে মামলা করার পর তাকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হরিণের মাংস কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। শিকারি চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি
সিরাজগঞ্জে চর্বিতে রং মিশিয়ে গরুর মাংস হিসাবে বিক্রির দায়ে দুই বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় ও সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় মাংসের দোকানে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
অর্থদণ্ড হওয়া দুই বিক্রেতা হলেন- মিরপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকার জুলমত আলী ও কড্ডার মোড় এলাকার রেজাউল করিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ জানান, শুক্রবার সকালে ওই দুই দোকানে মাংসের সাদা চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল- এমন গোপন সংবাদ পাই। এর ভিত্তিতে ওই দুই দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়।
তিনি আরও জানান, এ অপরাধে উভয় মাংসের দোকানকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রায় বনবিভাগ ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ক্ষুদ্রচাকশ্রী গ্রামের পলাশ কুমার দাস এবং পিরোজপুর নাজিরপুরে মো. মিলন।
আরও পড়ুন: ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
এ সময় তাদের কাছ থেকে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে আট কেজি হরিণের গোশতসহ পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করেছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে দুটি পণ্য আমদানি করেছিল সাভারের মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ৮০ দিন পর গত ২ আগস্ট সেই পণ্য আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করল কাস্টমস।
যে সময় এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, সে সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ রেখেছিল সরকার। তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন পর পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
কিন্তু আমদানির কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) বায়জিদ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস এবং পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট ছাড়া পণ্য ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনা গেছে, আমদানি করা প্রাণিজ পণ্য চালান ছাড়করণে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০০৫ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক প্রাণি সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র এবং উদ্ভিদজাত পণ্যচালান ছাড়করণে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১১ ও আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাংসের আচার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে পণ্য দুটি আমদানি করলেও কাস্টমস থেকে ছাড় পেতে কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র নিতে পারেনি কোম্পানিটি। মহিষের মাংস আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও, এই মাংস আমদানিতে কোনো পূর্ব অনুমোদন নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে মাংস ছাড় না দিতে চিঠি দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
অনুমতি না থাকায় হিলি স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন কর্তৃপক্ষের কাছে থেকেও কোনো ছাড়পত্র পায়নি মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় বেড়েছে মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং সব ধরনের মুরগির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে মাংসের দাম কমবে: সাঈদ খোকন
ঈদে গরুর দাম ও বহন খরচ বেড়েছে দাবি করে ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে কসাইরা।
হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা ও বাসাবোসহ বিভিন্ন কিচেন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও কসাইরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা (গড়) বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে হাতিরপুল এলাকার কসাই রতন বলেন, রমজানের প্রথম থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যায়।
এছাড়া গরুর দাম বেশি এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রামপুরার গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিবও একই কথা বলেছেন।
এছাড়া প্রতি কেজি মাটন বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
গরুর মাংস কিনতে হাটে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) ৮০০ টাকায় কিনেছি। আমাদের বলার কিছু নেই।’
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, ‘গতকাল বুধবারও ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি) যা আজ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।’
মোরগ (সোনালী) ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সোনালী (মোরগ) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি সাদা লেয়ার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, যা বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
তবে ঈদুল ফিতর উদযাপনে নগরবাসী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সবজির দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
করোনাভাইরাস ঢাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে মাংসের দাম
মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষ, বরের বাবা নিহত
নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়িতে বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেয়া নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বরের বাবা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাতে উপজেলার বগুলাগাড়ি এরশাদের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কনের বাবা ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ১০
নিহত নুরু মিয়া রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে জনাব আলীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে কনে নিয়ে চলে যান বর জনাব আলী।
এদিকে বিয়েতে কনের বাড়িতে ১০০ জন অতিথি যাওয়ার কথা থাকলেও অতিথি যায় প্রায় ২৫০ জন। এ জন্য খাওয়ার সময় মাংস কম পাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
এ সময় কনে পক্ষের লোকজনের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বরের বাবা নুর মোহাম্মদ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আহমদিয়া সংঘর্ষ: পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
পঞ্চগড়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগির মাংস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিছু না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স রুমে ব্রয়লার মুরগির মাংসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন,ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কিনা,এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক প্রচারণায় দেখা যায় যে ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক,হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে; যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ফলে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি তার নজির আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড- ১৯ প্রাদুর্ভাবে। রোগটির প্রকোপের প্রথম দিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।’
তিনি বলেন, দেশে ব্রয়লার মুরগি খুবই সম্ভাবনাময় একটি খাত। চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো রয়েছে,তার পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য,মানুষের কাছে মুরগির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে।
তার মতে, এটি করতে পারলে একদিকে আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠন সহজতর হবে।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির বাজার দ্রুত বিকশিত হবে, মুরগির মাংস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে, আমিষের চাহিদা পূরণে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার বিষয়ে প্রচারণা ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিাইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে; যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় গ্রামে নিজস্ব আঙ্গিনায় হাঁস মুরগি পালন করা হতো। এখন এটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের আমিষের একটা বড় চাহিদা মিটায় এ খাত। ফলে নিজ উদ্যোগে অনেকেই এখাতে এসেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তবে কিছু ভুল ভ্রান্তিমুলক তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এজন্য আমরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পোল্ট্রি খাত বড় ভূমিকা পালন করছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি পোল্ট্রি খাতকে আরও আধুনিক করা এবং এখাতের বিকাশকে সরকারি পৃষ্টপোষকতা দিতে। এ লক্ষ্যে পোল্ট্রি খাদ্য আমদানিতে শুল্কে রেয়াত দিতে এনবিআরকে অনুরোধ করেছি। পোল্ট্রি খাতকে সামনে নিয়ে একটি কল্যাণকর মঙ্গলকর অধ্যায় রচনার জন্য কাজ করছি জাতির জন্য।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ব্রয়লার মুরগির মাংসে,হাড়ে ও কম্পোজিটে মূলত দুইটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসিইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং তিনটি হেভি মেটালের (আর্সেনিক,ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে, যা অস্বাভাবিক নয় এবং তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারে প্রায় ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে এন্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটাল এর পরিমাণ কম রয়েছে।এসময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্তকর্তা ও প্রধান গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম, বিআরসির প্রাক্তন সদস্য পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম এবং গবেষণা টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
হাজীগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি করায় ২ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান মানিক।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জুলহাস উপজেলার কালচোঁ ইউনিয়নের সিদলা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে এবং মনির হোসেন একই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় বাগেরহাটে ১৫ জনকে অর্থদণ্ড
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজার থেকে তাদের দুইজনকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজিম ও সঙ্গীয় ফোর্স।
উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম বলেন, তারা দু’জন শনিবার রাতে শিয়ালটি ধরে জবাই করে। ওই গোস্ত রবিবার বাজারে বিক্রি করতে আনলে দুপুরে তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, ঘটনা সত্য।
তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে ও মুচলেকাও নেয়া হয়েছে যেনো ভবিষ্যতে এই ধরনের জনস্বাস্থ্য বিরোধী ও অপরাধমূলক কাজে জড়িত না হয়।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনের অর্থদণ্ড স্থগিত
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন ভোলায় ১৫ জেলে আটক, ১২ জনের অর্থদণ্ড
সিলেটে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি বন্ধ
সিলেটে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীতে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মাংস মহানগর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির এক জরুরি বৈঠক শেষে তারা এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রি শুরু
এব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)কর্তৃপক্ষ মহানগরী এলাকায় গরুর গোশত ৬০০ টাকা ও ছাগলের গোশত ৮৫০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা যে দামে গরু বা ছাগল ক্রয় করি, সে অনুযায়ী সিসিক নির্ধারিত দামে গোশত বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হয়। আমরা গত এক মাস থেকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসলেও সর্বশেষ সিসিক কর্তৃক ধার্যকৃত দাম ওই ৬০০ ও ৮৫০ টাকাই রেখে দেয়া হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বৃহস্পতিবার থেকে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, সিলেটের বাইরে অন্যান্য স্থানে এ দামের চাইতে বেশি টাকায় গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি করা হয়। আমরা সিলেটের বাইরে থেকে গরু-ছাগল ক্রয় করি। তাই পশুর দাম বেশি পড়ে। আমরা সারাদেশে এক দাম নির্ধারিত করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নেতারা জানান, ব্যবসায়ীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সিলেট মহানগরীতে গরু ও ছাগলের গোশত বিক্রি বন্ধ রাখবেন।