ক্রিকেট
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
৫ দিন আগে
বিপিএল ২০২৫ টি২০ ক্রিকেটের প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলছে বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) ২০২৫ আসর। ঘরোয়া টি২০ ক্রিকেট উৎসবের মারদাঙ্গা উদ্দীপনায় ভাসছে সারা দেশ। ৭ দলের মোট ৪৬টি খেলার মধ্যে ফেজ-১, ফেজ-২, ও ফেজ-৩ সহ ৩২টি ম্যাচ শেষ। ফেজ-৪-এর ১০টি ম্যাচে কারা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তা-ও নির্ধারণ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের ব্যাটে-বলের যুদ্ধে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কারা, চলুন তা দেখে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ আসরে শীর্ষ ৫ ব্যাট্সম্যান
.
টেবিল: বিপিএল-এর ১১-তম আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের বিচারে সেরা ৫ ব্যাট্সম্যান
ক্রমিক
ব্যাট্সম্যান
দল
মোট রান
ম্যাচ
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান
সেঞ্চুরি
হাফ সেঞ্চুরি
১
তানজিদ হাসান তামিম
ঢাকা ক্যাপিটাল্স
৪২০
১০
১০৮
১
৩
২
মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়
দুর্বার রাজশাহী
৩৭৯
১০
১০০
১
২
৩
লিটন দাস
ঢাকা ক্যাপিটাল্স
৩৪৮
৯
১২৫
১
২
৪
জাকির হাসান
সিলেট স্ট্রাইকার্স
৩৪২
৯
৭৫
-
৩
৫
গ্রাহাম ক্লার্ক
চিটাগাং কিংস
৩৩৫
৮
১০১
১
১
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ঢাকা ক্যাপিটাল্সের এই দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের ১০ ম্যাচে সংগ্রহ মোট ৪২০ রান। এর মধ্যে রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ সেঞ্চুরি। তারা খেলা ম্যাচগুলোর মধ্যে সর্বসেরা হচ্ছে ১০৮ রানের ইনিংসটি।
১০ ম্যাচে সর্বমোট ৩৭৯ রান নিয়ে তালিকার ২ নাম্বারে আছেন দুর্বার রাজশাহীর মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১ টি সেঞ্চুরি, যেখানে সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিলো তার সেরা পারফরমেন্স।
আরো পড়ুন: ‘বাদ পড়ার পর’ জ্বলে উঠলেন লিটন, রেকর্ড বই এলোমেলো
বিপিএল ২০২৫-এ এ পর্যন্ত এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের (১২৫) স্কোরের অধিকারী ঢাকা ক্যাপিটাল্সের লিটন দাস। কিন্তু ৯ ম্যাচে সংগৃহীত রানের হিসেবে তার অবস্থান নেমে এসেছে ৩ নাম্বারে। সেঞ্চুরির ইনিংস ছাড়া বাকি ম্যাচগুলোতে তার ২টি হাফ সেঞ্চুরি আছে।
চতুর্থ ব্যাট্সম্যানের নাম জাকির হাসান, এ পর্যন্ত যার সংগ্রহ ৯টি ম্যাচে মোট ৩৪২ রান। তার দখলে কোনও সেঞ্চুরি নেই, তবে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৭৫ রানের স্কোর।
তালিকার সবশেষে রয়েছেন ইংলিশ ব্যাট্সম্যান গ্রাহাম ক্লার্ক। ৮ ম্যাচে ১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১ টি সেঞ্চুরি সহ তিনি মোট ৩৩৫ রান নিয়েছেন। সেঞ্চুরির (১০১ রান) ইনিংসটিই এখন পর্যন্ত তার সেরা পারফরমেন্স।
১১-তম বিপিএল আসরে আসরে শীর্ষ ৫ বোলার
.
টেবিল: বিপিএল-২০২৫-এ ফেজ-৪ শুরুর পূর্বে সর্বোচ্চ উইকেট বিবেচনায় শীর্ষস্থানীয় ৫ বোলার
ক্রমিক
বোলার
দল
উইকেট
ম্যাচ
ইনিংস/ওভার
এক ইনিংসে সেরা বোলিং
১
তাসকিন আহমেদ
দুর্বার রাজশাহী
২২
১০
৩২.২
৭/১৯
২
আকিফ জাভেদ
রংপুর রাইডার্স
১৫
৭
২৬.৫
৪/৩২
৩
আবু হায়দার রনি
খুলনা টাইগার্স
১৫
৮
৩০.৫
৪/৪৪
৪
খুশদিল শাহ
রংপুর রাইডার্স
১৪
৯
২৪
৩/১৮
৫
আলিস আল ইসলাম
চিটাগাং কিংস
১২
৮
৩১
৩/১৭
১০টি ম্যাচে ৩৮ ওভার ২ বল করে ২২টি উইকেট নিয়ে এখন অব্দি টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের আসনে রয়েছে তাসকিন আহমেদ। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসারের সেরা স্কোর ১৯ রানে ৭ উইকেট।
আরো পড়ুন: আবারও পরীক্ষায় ফেল, সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞা বহালই থাকছে
রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটার আকিফ জাভেদ আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। মাত্র ৭ ম্যাচে ২৬ ওভার ৫ বল করে তিনি উইকেট নিয়েছেন মোট ১৫টি। তার উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স হচ্ছে ৩২ রানের বিপরীতে ৪টি উইকেট।
আকিফ জাভেদের সমসংখ্যক উইকেট নিলেও তার তুলনায় একটি বেশি ম্যাচ খেলার কারণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন আবু হায়দার রনি। ৮ ম্যাচে তিনি বল করেছেন ৩০ ওভার ৫টি, যেখানে তার সেরা বোলিং ছিলো ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট সংগ্রহ।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বোলার পাকিস্তানের খুশদিল শাহ, যিনি খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ৯ ম্যাচে ২৪ ওভার বলের বিনিময়ে তার অর্জন সব মিলিয়ে ১৪ উইকেট। তন্মধ্যে এক ইনিংসে তার সর্বোচ্চ স্কোর ৩ উইকেটের বিপরীতে ১৮ রান প্রদান।
তালিকার ৫-এ আছেন চিটাগাং কিংসের আলিস আল ইসলাম। ৮টি ম্যাচে ৩১ ওভারের মধ্যে তার উল্লেখযোগ্য বোলিং স্কোর ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। আর সব ম্যাচ মিলিয়ে সংগ্রহ করেছেন ১২টি উইকেট।
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শ্রেষ্ঠ ৪ দল
.
টেবিল: ১১-তম বিপিএল আসরে ফেজ-৪ শুরুর পূর্বে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা ৪টি দল
ক্রমিক
দল
ম্যাচ
জয়
পরাজয়
পয়েন্ট
নেট রান রেট
১
রংপুর রাইডার্স
৯
৮
১
১৬
১.২২৩
২
ফরচুন বরিশাল
৮
৬
২
১২
০.৯৯৩
৩
চিটাগাং কিংস
৯
৫
৪
১০
১.০৪৫
৪
খুলনা টাইগার্স
৯
৪
৫
৮
-০.১৪৮
বিপিএল-২০২৫ টুর্নামেন্টে সবথেকে এগিয়ে থাকা দলটি হচ্ছে রংপুর রাইডার্স। ৯টি ম্যাচের শুধু ১টি ছাড়া বাকি সবগুলোতে জয় নিয়ে দলটির সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। সাথে আসরের সর্বোচ্চ নেট রান রেট ১.২২৩।
আরো পড়ুন: সাকিব-লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ দল ঘোষণা
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল ফরচুন বরিশাল ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে হেরে সবগুলোতে জয় পেয়েছে। দলটির সংগৃহীত পয়েন্ট ১২ এবং নেট রানের অনুপাত ০.৯৯৩।
৯টি ম্যাচের ৪টিতে পরাজয় ও ৫টিতে জয় পেয়ে তালিকার ৩ নাম্বারে রয়েছে চিটাগাং কিংস। ১০ পয়েন্ট অধিকারী এই দলটির নেট রান রেট ১.০৪৫।
সবশেষে রয়েছে খুলনা টাইগার্স, যারা ৯ ম্যাচের ৪টিতে জয় পেয়ে সংগ্রহ করেছে ৮ পয়েন্ট। ৫ ম্যাচ পরাজয়ের কারণে দলের নেট রানের অনুপাত দাড়িয়েছে -০.১৪৮।
পরিশিষ্ট
বিপিএল ২০২৫-এ এখন পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে থাকা ব্যাট্সম্যানরা হচ্ছেন তানজিদ হাসান তামিম, মোহাম্মদ এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, জাকির হাসান, এবং গ্রাহাম ক্লার্ক। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটধারী বোলারদের মধ্যে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আকিফ জাভেদ, আবু হায়দার রনি, খুশদিল শাহ, এবং আলিস আল ইসলাম। ব্যাট ও বলের পারফরমেন্স নির্বিশেষে সামগ্রিক ভাবে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা দলগুলো হলো- রংপুর রাইডার্স, ফরচুন বরিশাল, চিটাগাং কিংস, এবং খুলনা টাইগার্স।
আরো পড়ুন: পিএসএলের ড্রাফটে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
২ সপ্তাহ আগে
বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট কাটার উপায়: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যাংকের শাখাসমূহ
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, মহা সমারোহে শুরু হলো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ)-এর ১১তম আসর। এই টি২০ টুর্নামেন্ট চলবে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, যাতে দর্শকরা সরাসরি খেলা উপভোগ করতে পারেন। টিকিটগুলি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে পাওয়া যাবে।এবার চলুন, বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচের টিকিট ক্রয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়ে নেয়া যাক।
অনলাইনে বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট কাটার পদ্ধতি
.
নিবন্ধন
প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সরাসরি www.gobcbticket.com.bd সাইটে যেয়ে নিবন্ধন করা। হোমপেজের উপরে একদম ডানপাশে ‘রেজিস্টার’-এ ক্লিক করলে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে। এখানে নাম, ইমেইল ঠিকানা, মোবাইল ফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নাম্বার এবং বর্তমান ঠিকানা সরবরাহ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, জন্ম তারিখ অবশ্যই এনআইডি বা পাসপোর্টের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
নিচের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ও প্রাইভেসি পলিসি স্বীকার করে টিক মার্ক দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। এরপর প্রদান করা ইমেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বরে একটি ৬ অংকের ওটিপি পাঠানো হবে। এটি প্রদান করার মাধ্যমে ইমেইল বা ফোন নম্বরটি ভেরিফাই করতে হবে। যাচাই সফলভাবে সম্পন্ন হলে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি সম্পূর্ণ হবে।
আরো পড়ুন: বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিফটিতে জ্বলে উঠলেন ইয়াসির-এনামুল
লগইন
এবার পূর্বে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইটে লগইন করলে আসন্ন ম্যাচের শিডিউল এবং টিকিট মূল্য সমন্বিত একটি পৃষ্ঠা প্রদর্শিত হবে।
আসন নির্দিষ্টকরণ
কাঙ্ক্ষিত ইভেন্টের টিকিট কিনতে 'বাই টিকিট নাউ'তে গেলে টিকিট বুকিংয়ের বিস্তারিত সংক্রান্ত একটি স্ক্রিন প্রদর্শিত হবে। এখানে গ্যালারি, ব্লক, লেভেল এবং টিকিটের সংখ্যা বাছাই করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এই পদ্ধতিতে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয় করা যাবে। বাছাই কার্য সম্পন্ন হলে নিচে ভ্যাটসহ টিকিট বাবদ মোট খরচ দেখানো হবে।
টিকিটের মূল্য পরিশোধ
অতঃপর, ‘কনফার্ম অ্যান্ড মেক পেমেন্ট’-এ প্রেস করলে একটি পপ-আপ বার্তার মাধ্যমে ১০মিনিটের মধ্যে মূল্য পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হবে। এখানে ‘কন্টিনিউ’ দিলে সরাসরি ‘ইপে’-এর ইন্টারফেসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অনলাইন পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেটওয়ে, অনলাইন ব্যাংকিং ও কার্ড ব্যবস্থা। এগুলোর যেকোনো একটি বাছাই করে, একদম নিচে ‘পে নাউ’-এ প্রেস করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলেই টিকিট বুকিং হয়ে যাবে।
এর ফলে ‘গো বিসিবি টিকিট’ সাইটে ইউজার ড্যাশবোর্ডে বুকিং ডিটেইলস-এ টিকিট স্ট্যাটাস-এ ‘পেইড’ দেখাবে।
আরো পড়ুন: জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
ই-টিকিট ডাউনলোড
‘ভিউ ডিটেইলস’-এ গেলে টিকিট ডিটেইলসের পেজটি প্রদর্শিত হবে। এখানে ‘মার্ক ইওর ক্যালেন্ডার’ চিহ্নিত বক্সে কার্সার নিয়ে গেলে ছোট দুটো বক্সে নাম ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হবে। তথ্যগুলো প্রদান করে সাবমিট দেওয়ার পরে ওপরে ‘রিকোয়েস্ট টিকিট’-এ প্রেস করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আসা পপ-আপ বার্তায় ‘কনফার্ম রিকোয়েস্ট’ দিলেই চলে আসবে কাঙ্ক্ষিত ই-টিকিট। এই সফট কপিটি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।
এছাড়াও, ‘বুক টিকিটস অন দ্য গো’ নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করেও টিকিট কেনা যাবে। অ্যাপটির আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড দুটো ভার্সনই এই ‘গো বিসিবি টিকিট’ সাইটে পাওয়া যাবে।
কোন ব্যাংক থেকে বিপিএলের টিকিট কেনা যাবে
অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও থাকছে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা। কাগুজে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের ৭টি শাখায়।
এগুলো হলো:
· মিরপুর ১১-এর মিরপুর শাখা
· ঢাকা চেম্বার ভবনে অবস্থিত মতিঝিল শাখা
· জসিম উদ্দিন রোডের উত্তরা শাখা
· গুলশান ১ এবং ২-এর মধ্যবর্তী গুলশান শাখা
· ধানমন্ডি পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের ধানমন্ডি শাখা
· কামরাঙ্গীর চর শাখা
· পল্টন স্কাউট ভবনের ভিআইপি রোড শাখা
আরো পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে টাইগাররা
বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট মূল্য
· আসনের ক্যাটাগরির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে টিকিটের দাম। ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে আসন বিন্যাস নিম্নরূপ:
· গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের উপরের ও নিচের উভয় স্তরের জন্য ২ হাজার টাকা
· ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি নর্থ বা মিডিয়া ব্লক ও ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ সাউথ বা কর্পোরেট ব্লকের জন্য ১ হাজার টাকা
· ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি সাউথ (কর্পোরেট ব্লক)-এ আসনের জন্য ৮০০ টাকা
· জিরো ওয়েস্ট জোন-এর প্রায় ৩০০টি আসনের প্রতিটির টিকিট ৬০০ টাকা
· ক্লাব হাউস উত্তর (শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড) ও দক্ষিণ (শহীদ মুস্তাক স্ট্যান্ড)-এর জন্য ৫০০ টাকা
· সাউদার্ন ও নর্দার্ন গ্যালারির জন্য ৩০০ টাকা
· ইস্টার্ন গ্যালারিতে ২০০ টাকা
শেষাংশ
‘গো বিসিবি টিকিট’ ওয়েবসাইট এবং মধুমতি ব্যাংকের ৭টি শাখা বিপিএলের ১১তম আসরের টিকিট ক্রয়কে আরও সহজতর করেছে। অনলাইন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়াটি উপরোক্ত ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও সম্পন্ন করা যাবে। সর্বমোট ১১ ধরণের আসনে বিপরীতে এবারের টিকিট মূল্য বণ্টন সর্বনিম্ন ২০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন: বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
১ মাস আগে
ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ‘ব্যাগি গ্রিন’ টুপি নিলামে
সর্বকালের সেরা ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত ব্যাগি গ্রিন টুপিটি নিলামে উঠেছে। নিলামে টুপিটে বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার কিছু বেশি।
বিখ্যাত ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহ্যামস টুপিটি নিলামে তোলে। নিলাম অনুষ্ঠানে টুপিটিকে ‘সূর্যে রং জ্বলে যাওয়া ও জীর্ণ’ বলে উপস্থাপন করা হয়। তবে তা বিশেষ এই টুপিটির মূল্য নির্ধারণে কোনো প্রভাব ফেলেনি। নিলামের ওঠার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয়ে যায়।
৩ লাখ ৯০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলারে টুপিটি বিক্রি হয়। এর সঙ্গে নিলামঘরের ফি যুক্ত করে মোট মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
১৯৪৭-৪৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় টুপিটি পরেছিলেন স্যার ব্র্যাডম্যান। ওই সিরিজে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম সেঞ্চুরি করেন। ঘরের মাঠে সেটিই ছিল তার শেষ সিরিজ।
২ মাস আগে
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ ফিল সিমন্স ঢাকায়
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নবনিযুক্ত প্রধান কোচ ফিল সিমন্স টাইগারদের সঙ্গে তার প্রথম দায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকায় পৌঁছেছেন। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে তার দায়িত্ব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা সিমন্সের সঙ্গে ছয় মাসের জন্য চুক্তি করেছে, যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পর্যন্ত।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ববর্তী কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার পর সিমন্সকে বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এরপর, টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে।
এদিকে, বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলও ঢাকায় পৌঁছেছে।
দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টটি ২১ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হবে আর দ্বিতীয় টেস্টটি ২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে খেলা হবে।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে, আসছেন ফিল সিমন্স
৩ মাস আগে
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য যে একেবারেই মামুলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলাররা কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারলে সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শুরুতে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.১ ওভার বা ৪৯ বল হাতে রেখেই তা টপকে গিয়েছে ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা
১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন ভারতীয় ব্যাটাররা। মাঝে তিনটি উইকেট পড়লেও ভারতের রানের ফোয়ারা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেনি তাসকিন-মোস্তাফিজরা।
দলের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২৯ এবং ১৯ বলে ২৯ রান করেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
৪ মাস আগে
নিজের ‘এক্সপায়ার ডেট’ দেখতে পাচ্ছেন না আনচেলত্তি
বয়স ছাড়িয়েছে ৬৫ বছর, এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক সফলতা পেয়ে চলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বয়স বাড়লেও কোচিং থেকে এখনই অবসরে যাওয়ার কথা ভাবছেন না এই ইতালিয়ান।
মঙ্গবার রাতে লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আলাভেসকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ কোচিংয়ের মাইলফলক স্পর্শ করবেন আনচেলত্তি।
এই ম্যাচের আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন রিয়াল মাদ্রিদ বস। সেখানে সাংবাদিকরা তার অবসরে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তুললে বিষটি স্পষ্ট করেন তিনি। অবসরের প্রশ্নে মাদ্রিদে আরও অনেক বছর থেকে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: ভালো খেলার চেয়ে ম্যাচ জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আনচেলত্তি
তার ভাষ্য, ‘এই কাজটি আমি ভালোবাসি, তাই (নিজের) ভবিষ্যত নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাই না। ক্যারিয়ারে বেশকিছু বড় বড় ক্লাবের কোচ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। বিশ্বের সেরা ক্লাবে (রিয়াল মাদ্রিদ) আমি ৩০০তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছি। এই ডাগআউটে বসে এমন অর্জন সত্যিই বিশেষ কিছু, অলৌকিক বিষয়ের চেয়ে এটি কম কিছু নয়।’
‘খেলোয়াড়দের ক্লান্তির সঙ্গে আমার ক্লান্তির তুলনা করবেন না। হ্যাঁ, প্রেসার (চাপ) আছে সত্যি, তবে আমি তা উপভোগ করি। এই মুহূর্তে আমি নিজের কোনো এক্সপায়ার ডেট (কোচ হিসেবে) দেখছি না। আসন্ন আরও অনেক বছর আমি এখানেই থাকতে চাই।’
কার্লো আনচেলত্তির তত্ত্বাবধায়নে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত লা লিগায় টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
গত মৌসুমে মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছিল রিয়াল, দুটিই তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। ৩-১ ব্যবধানে প্রথমবার তারা হারে লা লিগায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছিল ৪-২ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
টানা ৩৮ ম্যাচ জিতে লা লিগায় টানা সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তের রয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪৩ ম্যাচ জিতে এই রেকর্ড এখন বার্সেলোনার। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে পরের বছরের মে মাসের মধ্যে কোচ লুইস এনরিকে ও এর্নেস্তো ভালভার্দের তত্ত্বাবধায়নে ওই রেকর্ড গড়ে কাতালান জায়ান্টরা।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আগামী ২৭ অক্টোবর বার্সেলোনার বিপক্ষেই ওই রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের। এরপর ৩ নভেম্বর ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেবে তারা।
অবশ্য এই গৌরব অর্জনে তার আগে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। আলাভেস ম্যাচের পর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সেই আতলেতিকো মাদ্রিদ। শুধু তা-ই নয়, চলতি মৌসুমের মাদ্রিদ ডার্বিটি আবার অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর সিভিতাস মেত্রোপলিতানোয়। ফলে সেখানে কঠিন পরীক্ষা দিয়েই উৎরাতে হবে ভিনিসিউস-এমবাপ্পেদের।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তির ‘কৌতুকে’ ভড়কে গিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম
তার পরের দুই প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল ও সেল্তা ভিগো। নতুন কোচ মার্সেলিনোর কোচিংয়ে এ মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালো করেছে ভিয়ারিয়াল। তাদের খেলায়ও এসেছে যথেষ্ট ধার, গত কয়েক ম্যাচেই তা স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া, গত কয়েক মৌসুম ধরে ভুগতে থাকা সেল্তা ভিগোও এবার দারুণ ছন্দে রয়েছে। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে ক্লাউদিও গিরালদেসের শিষ্যরা। ভিয়ারিয়াল, বার্সেলোনার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারলেও ম্যাচজুড়ে তাদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই সব বাধা অতিক্রম করে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারে কিনা, তা দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে ক্লাবটির সমর্থকরা।
৪ মাস আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক ওভারে ৩৯ রানের রেকর্ড
রান তোলায় নতুন উচ্চতা দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেটি এক ইনিংস বা ম্যাচে নয়, এক ওভারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভানুয়াতুর বিপক্ষে এক ওভারে ৩৯ রান নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে সামোয়া।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সামোয়ার এপিয়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ভানুয়াতুর বোলার নালিন নিপিকোর ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকান সামোয়ার ডারিউস ভিসের। ওভারে আরও তিনটি নো বল হওয়ায় মোট ৩৯ রান ওঠে, আর তাতেই হয়ে যায় বিশ্বরেকর্ড।
এটি শুধু আন্তর্জাতিক টি-টেয়েন্টিতেই নয় ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়েই এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্রুততম ফিফটি হাঁকালেন স্টোকস
ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিপিকোর প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন ভিসের। এর পরের বলটি নো বল হলে পরের বলে ফ্রি হিটে আবারও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলে সোজা শট দিলে বল গিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডের স্টাম্পে লাগলে ডট বল হয়। এরপর টানা দুটি নো বল করেন নিপিকো, যার শেষটি লং লেগের ওপর দিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে দেন ভিসের। আর ওভারের শেষ ডেলিভারিটিও উড়িয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এক ওভারে ৩৬ রানই ছিল সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড। সেটিও হয়েছে পাঁচবার। এর মধ্যে তিনবার ছয়টি ছক্কায়, বাকি দুবারের একবার দুই ব্যাটার এবং আরেকবার এক ব্যাটারের কৃতিত্বে।
৫ মাস আগে
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৭ মাস আগে
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৭ মাস আগে