ভারতের পেট্রাপোল বন্দর
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোলের সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আবারও সচল হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে এ পথে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া শুরু করে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। এতে আমদানি পণ্যের গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়তেও দেখা গেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো সুপার স্বপন কুমার দাস বলেন, ঈদ উপলক্ষে বন্দর তিনদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানি চালু হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ৩ দিন বেনাপোলে আমাদনি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছিল পেট্রাপোল বন্দরে। আমদানি রপ্তানি শুরু হওয়ায় তা কমতে শুরু করেছে। এখন বাণিজ্য শুরু হওয়ায় সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে একমাসের লকডাউন ঘোষণা করলেও দুই দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার জন্য ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কার্যালয় নবান্ন থেকে এক বার্তায় ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ ট্র্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বাণিজ্য বলেন, ‘দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
২ দিন পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ‘জীবন জীবিকা বাঁচাও’ কমিটির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ায় দুইদিন পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার ট্রাক
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে তৈরি পোশাক ও শিল্প কারখানার কাঁচামাল এবং খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই প্রায় ৫ হাজার ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।