বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী: প্রথম পুরস্কার পেল ‘রাজা বাবু অগি’
সিলেটের বিশ্বনাথে আয়োজিত এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে পার্সিয়ান প্রজাতির বিড়াল ‘রাজা বাবু অগি’।
‘খরগোশ, কবুতর, বিড়াল ও পাখি’- ক্যাটাগরিতে বিড়ালটি প্রথম স্থান অধিকার করে।
প্রদর্শনীতে আসা দর্শণার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সাত মাস বয়সী ভিনদেশি এই বিড়ালের মালিক মরিয়ম আক্তার প্রিয়া নামের এক কিশোরী।
আরও পড়ুন: বিড়ালদের নতুন ঠিকানা ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’
পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেয়া হয় একটি ক্রেস্ট ও চেক।
মরিয়ম আক্তার প্রিয়া জানান, ‘বিড়াল পোষা আমার অন্যতম শখের বিষয়। আর আগেও আমি দুটি বিড়াল পুষেছি। চার মাস ধরে রাজা বাবু অগিকে লালনপালন করছি। প্রিয় এই বিড়ালটি বেশ কয়েক মাস আগে সিলেট শহর থেকে ১২ হাজার টাকায় কিনেছিলাম। এখন তার বাজার মূল্য প্রায় ২৩ হাজার টাকা।
প্রিয়া আরও জানান, ‘আমার বাবার পরামর্শেই আজকের প্রদর্শনীতে রাজা বাবু অগিকে নিয়ে এসেছিলাম। প্রিয় বিড়াল প্রথম পুরস্কার পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।’
উল্লেখ্য, সারা দেশের মতো শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বনাথ উপজেলায়ও দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন খামারিদের খরগোশ, পাখি, কবুতর, টার্কি, গাড়ল, মহিষ, গাভী, ষাড়, মোরগ, তিতির, ছাগল, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিড়ালের র্যাম্প শো!
ভোলায় বিপন্ন প্রজাতির বনবিড়াল উদ্ধার
বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
সিলেটের বিশ্বনাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে বহুগুণ। রোগ-বালাই না থাকায় অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকেছে সরিষা চাষে।
এবার উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জন এখন সর্বত্র। অপরূপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মুখেও হাসির ঝিলিক। মনে হয় তারা তাদের জমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
এবার উপজেলায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না এ সরিষার চাষ। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দশঘর, রামপাশা, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর এলাকায় কিছুটা চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে অলংকারী ইউনিয়নে।
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মূলত তাদের এ সরিষা চাষ। এবার ফসলি জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হবে মনে করছেন কৃষকরা। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আশা করছেন এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা পাঁচ থেকে ছয় মণ উৎপাদন হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।
এ কারণে সরিষা আবাদে এখানকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি করে সরিষা চাষ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার সরিষা চাষি জমসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সার, বীজ ও পরামর্শ পেয়ে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর জানান, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সরিষা চাষ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরর চেয়ে বেশি।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার বীজও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার
সিলেটের বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে এক নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ ব্যক্তিটির নাম মো. সেবুল মিয়া। তিনি বিশ্বনাথের পুরান সৎপুর গ্রামের আশ্বদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নিখোঁজের ছয় মাস পর নারীর কঙ্কাল উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালের আশপাশে একটি জ্যাকেট, এক জোড়া স্যান্ডেল ও একটি কোমরে বাঁধা কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে অন্যান্য কাগজের সঙ্গে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করে।
সেই পরিচয়পত্রের সুবাদে সেবুল মিয়ার পরিবারকে জানালে তার ভাগিনা ছয়ফুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কঙ্কালটি সেবুলের বলে নিশ্চিত করেন।
ছয়ফুল ও সেবুলের ভাই ফারুক মিয়া জানান, তিনি (সেবুল) মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। দুই মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেলে তার মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর থেকে তাকে আর এলাকায়ও দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে সিআইডি, পিবিআই, সিলেট ক্রাইম সিন টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে পুলিশের পক্ষে জানানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি সেবুল মিয়ার কঙ্কাল। কঙ্কালটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বরিশাল মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার
চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মানব কঙ্কাল উদ্ধার
বিশ্বনাথে হাওরে মিললো বৃদ্ধের লাশ
সিলেটের বিশ্বনাথে হাওরে মিললো এক বৃদ্ধের লাশ।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আশক আলী (৭২) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আশক আলী সোমবার সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি। তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থানে তার লাশ পানিতে ভাসতে দেখলে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
বিশ্বনাথে সাঁকো থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘পলো বাওয়া উৎসব’- শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এই উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
এই উৎসব আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। কেননা গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ১৫দিন বিলে মাছ ধরায় আটল (নিষেধাজ্ঞা) নেই।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। পানি ও কচুরিপানা বেশি না থাকায় মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন গ্রামবাসী।
শিকারকৃত মাছের মধ্যে ছিল- বোয়াল, শোল, মিরকা, কার্পু, বাউশ ও ঘনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
গোয়াহরি গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছরের মাঘ মাসের পহেলা তারিখ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু এবার বিলে মাছ বেশি থাকায় এলাকাবাসী মিলে এসময় পলো বাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে পলো বাওয়া হবে। এই পনের দিনের ভিতরে বিলে হাত দিয়ে মাছ ধরা হবে এবং কেউ চাইলে পেলান জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পারে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে বিলে নেমে শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপঝপ পলো বাওয়া।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে গোয়াহরি বিলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। যাদের পলো নেই তারা মাছ ধরার ছোট ছোট বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান।
এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ছোট ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের পুরুষ-মহিলা, দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছেলে-বুড়ো মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বিল থেকে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মাছ শিকার হয়েছে।
গোয়াহরি গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব মজার বিষয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক গোয়াহরি মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি একটি মাদরাসার শিক্ষক। এই মাছ ধরায় অংশ নিতে পেরেছি তাই আমার খুব আনন্দ লাগছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফুজামান বলেন, আমি পলো বাওয়ায় অনেক বছর দেখিনি। আমার ভাগ্য ভাল এবার এ উৎসব দেখতে পারলাম। আমার খুবই ভাল লাগছে। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
জায়গা নিয়ে বিরোধ, বিশ্বনাথে লন্ডন প্রবাসীসহ ২১ জন আটক
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই প্রবাসী ভাইয়ের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় নারীসহ ২১ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর ২১ জনকে ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ এবং অপর সাতজন নারীকে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মন্নান উরফে মসকুদ আলী ও তার ভাই আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলীর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে আদালতে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তি করতে স্থানীয় পঞ্চায়েতসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেন পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানও।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৩: জয় দিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের যাত্রা শুরু
এরই মধ্যে শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের প্রবাসীসহ ২৮জন নারী-পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তাদের মধ্যে ২১জনকে শনিবার বিকালে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ এবং মানবিক দিক বিবেচনায় শিশুসহ সাত নারীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কদ্দুছ উরফে চিকন আলী (৬০), একই গ্রামের মৃত কটু মিয়ার ছেলে টুনু মিয়া (৩২), সাজু মিয়া (৩০), মৃত হাফিজ আলীর ছেলে আবুল মিয়া (৪৫), নানু মিয়ার ছেলে শরীফ আহমদ (১৯), আলকাছ আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৩২), মৃত খুর্শেদ আলীর ছেলে সেবুল আহমদ (৪৮), আর্শ্বব আলীর ছেলে রোহান উদ্দিন জাফর (১৯), মৃত ছিদ্দিক আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), নানু মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০), জুনু মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৫), চান্দশীরকাপন গ্রামের মৃত আমজদ আলীর ছেলে ছালেক মিয়া (২৫), ধীতপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর মেয়ে রিয়া বেগম রুবি (৩০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর পূর্বভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৬), ওসমানীনগর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের আইন উল্লাহর ছেলে রাসেল উল্লাহ (২৪), খাপন খালপাড় গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে লাল মিয়া (২৪), মৃত আমজদ খানের ছেলে কামরুল খান (২৪), মোল্লারগাঁও গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল মতিন (৪৩) সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া গ্রামের মৃত আফিজ আলীর ছেলে কফিল আহমদ (২৩) ও কুবাজপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (২৪)।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়েই আমরা অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ২৮ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়। এরপর তাদের মধ্যে ২১ জনকে আদালতে পাঠানো হয় এবং সাতজন নারীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
জার্মানির স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈম পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। ইউরোপের দেশটি থেকে প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এসেছেন মারিয়া। বৃহস্পতিবার রাজকীয় ও বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেলো তাদের বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েকে ঘিরে বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহামদের বাড়িতে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভুরিভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে, আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে।
রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরনের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।
আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান, ‘মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগিরই দেশটি থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।’
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম-মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ‘সারা জীবন যেন আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি, সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে
বিশ্বনাথে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
সিলেটের বিশ্বনাথে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের পশ্চিম চান্দশীরকাপন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহিম আহমেদ (১৮) বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কোনারাই গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১০
জানা গেছে, পরীক্ষায় অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পথেই এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথপুরমুখী যাত্রীবাহী বাস ও বিশ্বনাথমুখী সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় সিএনজির যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। তাদের সবাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাস ও সিএনজি হেফাজতে নেয় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ফাহিম নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বাস ও সিএনজি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভোলায় স্কুল শিক্ষকসহ নিহত ২
সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধে ৩৫ বছর বয়সী যুবক খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল ইসলাম (৩৫) ওই গ্রামের হাফিজ আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাইফুলের বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে লোকজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে পুকুরের পানিতে ডুবে রুবেল মিয়া (১১) নামে এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোর মারা গেছে। বুধবার (৫ অক্টোরব) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শফিক মিয়ার কলোনীর পাশের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
রুবেল নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার করমশী গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে ওই কলোনীতে বসবাস করে আসছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ছোটকাল থেকেই রুবেল মিয়া বাক প্রতিবন্ধী ও মৃগী রোগী। ঘটনার দিন সকালে সকলের অগোচরে পুকুরে গেলে অসাবধানতাবশত পানিতে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পুকুর থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন প্রতিবেশিরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুকুরে ডুবে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রুবেলের বাবা মাসুক মিয়া বলেন, এটি নিছকই দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় কারো প্রতি আমাদের কোন সন্দেহ বা অভিযোগ নেই।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজহার তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু