জীবন
পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় লাভলী আক্তার ও ইমতিয়াজ মোল্লা দম্পতি পেঁয়াজ বীজ চাষে সাফল্যের বাতিঘর হয়ে উঠেছেন। যা স্থানীয়ভাবে ‘কালো সোনা’ হিসাবে খ্যাত।
ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার লাভলী আক্তার ও ইমতাজ মোল্লা দম্পতি গত একযুগ ধরে পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদ করছেন। মাত্র দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করে ৪০ বিঘায় প্রসারিত করেছেন এই দম্পতি। যার ফলে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে তাদের নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবনে যেমন বেড়েছে জৌলুস, তেমনি জীবনযাপনে এসেছে ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন।
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে আর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে নিয়ে এখন তাদের ব্যয়বহুল সংসার। যা এই ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বদৌলতে তাদের কাছে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছর তারা উপার্জনের টাকায় নিজেদের স্থাবর সম্পত্তিও বাড়াতে পারছেন। নতুন করে কিনছে জায়গা-জমি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
লাভলী আক্তার বলেন, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে দেখি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পেঁয়াজ বীজের চাষ করছেন। তিনিও পুরোদস্তর স্বামীকে সহায়তায় নেমে পড়েন। এতে প্রথম বছরেই ভালো আয় হয় তাদের। এরপর আর থেমে থাকেননি তাদের সমৃদ্ধির যাত্রা।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বীজের টাকা দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে বিল্ডিং দিয়েছি। প্রতিবছরই নতুন জমি কিনছি। এক সময় যা ছিল অকল্পনীয়, এখন তাই বাস্তব আমাদের কাছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মণ পেঁয়াজ বীজ পাবেন বলে আশা করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এই বীজের আবাদ করতে এক লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে তাদের এবার প্রায় কোটি টাকার মতো লাভ থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ‘জীবন (GBon)’ বিটিসিএলের লাইফ লাইন হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, এরই পথ বেয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার বনশ্রী এলাকার চার হাজার, বাবু বাজার এলাকায় ছয় হাজার, উত্তরা এলাকায় ১৮ হাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক হাজার, জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় ১০ হাজার, শেরে বাংলানগর এলাকায় ১৬ হাজার, রমনা এলাকায় ১২ হাজার, খিলগাঁও এলাকায় আট হাজার, নীলক্ষেত এলাকায় ১৪ হাজার, মিরপুর এলাকায় ১৫ হাজার, গুলশান এলাকায় ১০ হাজার, গেন্ডারিয়া এলাকায় তিন হাজার, যাত্রাবাড়ী এলাকায় তি হাজার, দিয়াবাড়ী এলাকায় ছয় হাজার, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আট হাজার, মগবাজার এলাকায় ২০ হাজার, বারিধারা এলাকায় ছয় হাজার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০, গাজীপুর জেলায় চার হাজার, নরসিংদী জেলায় দুই হাজার ৩০০, মানিকগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, টাঙ্গাইল জেলায় তিন হাজার, রাজবাড়ী জেলায় দুই হাজার ৩০০, শরিয়তপুর জেলায় তিন হাজার, ফরিদপুর জেলায় তিন হাজার, মাদারীপুর জেলায় তিন হাজার, কিশোরগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০ সক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সেবা জীবন।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করল ঢাকা বিভাগ।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিমন্ত্রী ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ‘জীবনের’ বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এর আওতায় পাঁচ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্যে ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে, ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
সবার জীবনকে অর্থবহ করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে তার সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনকে অর্থবহ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের জীবনকে অর্থবহ করতে চাই এবং এইভাবে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার বহুল প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
অংশগ্রহণকারী ও সুবিধাভোগীরা তিনটি জেলা-গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট এবং রংপুর এবং সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে যুক্ত ছিলেন।
দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে: বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা তার শক্তির উৎস। ‘সুতরাং, এই বিশ্বাস এবং আস্থা রাখুন। আমি আপনার কাছ থেকে এটা চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনেক আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে -- কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের আঘাত, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সেইসঙ্গে অগ্নিসংযোগ সহিংসতা।
তিনি বলেন, যেহেতু জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সবকিছু মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তার সরকার এমনকি তৃণমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনের দিনটি সত্যিই বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। তিনি বলেন, দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের জন্য আজীবন পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের অধীনে মোট ছয়টি পরিকল্পিত প্যাকেজের মধ্যে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা এবং প্রবাসী নামে চারটি প্যাকেজ প্রাথমিকভাবে চালু করা হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রগতি প্যাকেজ বেসরকারি চাকরিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করবে, অন্যদিকে সুরক্ষা স্ব-কর্মসংস্থান ব্যক্তিদের জন্য, নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য সমতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। আর বাকি দুটি প্যাকেজ পরে চালু করা হবে।
১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নাগরিক ৬০ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে অবসর জীবনের সময় পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
৫০ বছরেরও বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি এই স্কিমে যোগ দিতে পারেন তবে ব্যক্তিকে একটানা ১০ বছর ধরে কিস্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জন্মদিনে ফিরে দেখা: আইসিসির টুর্নামেন্টে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক ১০টি মুহূর্ত
আজ জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে 'মাস্টার ব্লাস্টার' শচীনের আইকনিক কিছু মুহূর্ত ফিরে দেখি-
১৯৯২ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ রান
১৯৯২ সালে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করে প্রথমবারেই তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন।
তার স্কোর ওই ম্যাচে ভারতকে ৫০ ওভারে ২১৬/৭ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। পাকিস্তান সেদিন ভারতের কাছে ৪৩ রানে হেরে যায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রান
অজয় জাদেজা চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হওয়ার পর ১০৭ বলে ৮৪ রানের এব দৃর্দান্ত ইনিংস খেলেন শচীন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩০/৬ রান করে ভারত।
ম্যাচে শচীন তার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন; তবে ভারত ম্যাচটি হেরে যায়।
এছাড়া শচীন তার অভিষেক বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক এবং ৪৭ দশমিক ১৬ গড়ে ২৮৩ রান করেছিলেন।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ রান
অজিদের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে টেন্ডুলকার দলের পক্ষে মজবুত দেয়ালের ভূমিকা রাখেন।
সেদিন ৮৪ বলে ১৪ চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের মতো বিশ্বমানের বোলারদের তিনি ঘাম ছুটিয়েছিলেন।
কিন্তু মিডল অর্ডার টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় এবং ভারত ১৬ রানে হেরে যায়।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেতে নেমে লিটল মাস্টার অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ বলে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪১ রান করে ভারতকে ৩০৭/৮ পৌঁছে দেন।
এছাড়া তিনি স্টিভ ওয়া, মাইকেল বেভান এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো খেলোয়ারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান
বাবার মৃত্যুর কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ মিস করার পর টেন্ডুলকার ১০১ বলে ১৬ চার এবং তিনটি ছক্কায় ১৪০ রান করেন।
তার রান ভারতকে ৩২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। টুর্নামেন্টে পরপর দুইটি হারের পর এ জয় তাদের আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন: 'সবচেয়ে ধনী টি-টোয়েন্টি লিগ' চালু করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব
আরও জীবন বাঁচাতে আগামী দুই-এক দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: তুর্কি রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন যে তার দেশ দুটি ভূমিকম্প এবং বহু আফটারশকের আঘাতের পর বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আরও জীবন বাঁচাতে আগামী এক দুই দিন হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নাগরিক আক্রান্ত হননি।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে আজ
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত একজন প্রাক্তন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত (সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত) যিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর একটিতে নিযুক্ত ছিলেন এবং তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
তার দ্রুত উদ্ধারের জন্য দোয়া চেয়ে রাষ্ট্রদূত তুরান বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, তার সম্পর্কে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।,
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা নগদ সহায়তা পেতে আগ্রহী নন তবে শীতবস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ বাংলাদেশ থেকে পেতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার গত সন্ধ্যায় একটি সামরিক বিমানের মাধ্যমে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সমস্ত সরকারি দপ্তরসমূহে পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি ঘটনা যা আমরা ভুলব না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন ও সংহতি রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: তুরস্ক, সিরিয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
জীবনের কথায় শুভ ও মিথিলার ‘ভালোবাসো যদি’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে গান দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন সঙ্গীতশিল্পী কাজী শুভ। নতুন গান তৈরি ও স্টেজ শো নিয়েই চলছে তার নিয়মিত ব্যস্ততা। সম্প্রতি মুক্তি পেল নতুন আরও একটি গান।
‘ভালোবাসো যদি’ শিরোনামে গানটিতে কাজী শুভর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী মিথিলা মিলন। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটির সুর করেছেন কাজী শুভ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাফি মোহাম্মদ।
শনিবার (৫ নভেম্বর) ম্যাক্সব্যাগ এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পেয়েছে। এর ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। এতে অভিনয় করেছেন তন্ময় ও চিত্রালী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রশংসিত ‘নদীরক্স’
গান প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী কাজী শুভ বলেন, ‘প্রতিটি গান আসলে ভালোলাগা থেকেই করা। জীবন ভাইয়ের কথা বরাবরই দারুণ লাগে। আমার সুর ও রাফি মোহাম্মদের সঙ্গীতায়োজনে চেষ্টা করেছি আলাদা কিছু একটা করতে। বাকিটা শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন। আর আমার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মিথিলাও বেশ ভালো গেয়েছেন।’
কাজী শুভ তার অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গান প্রকাশ করছেন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। সম্প্রতি সেখানেও নতুন একটি গান প্রকাশ হয়েছে। ‘ভাইঙ্গা দিলা বিশ্বাসের ঘর’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন আর এক আশরাফুল, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে রয়েছেন আহমেদ সজীব।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর অ্যালবাম নিয়ে এলো ‘ব্যান্ড স্টোন’
কবীর সুমনের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গাইবেন আসিফ
স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
আসছে ২৫ আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস এর উদ্যোগে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী (রোহিঙ্গা) সমস্যা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জুন ২০২২ এর হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী ক্যাম্পের মানুষগুলো দৈনন্দিন ও দীর্ঘমেয়াদি সকল প্রয়োজন মেটাতে মানবিক সাহায্যের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল।
এই মানবিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকার শুরুতেই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে তাদের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারের সহায়ক হয়ে এই সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায়। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি)’র সহায়তায় এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কক্সবাজারে পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) নামে একটি আন্তর্জাতিক অপারেশন যাত্রা শুরু করে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব, কাজী শফিকুল আজম বলেন:‘সংকটটি ইতোমধ্যেই একটি জটিল ও দীর্ঘায়িত বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত হয়েছে। এজন্য, শরণার্থী ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে বর্তমানে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ। আমরা এই সঙ্কট নিরসনের জন্য প্রতিশ্রুতি ও সহায়তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
ক্যাম্পের মোট জনগণের ৫১ শতাংশই শিশু এবং প্রায় ৫২ শতাংশ নারী ও কিশোরী। প্রতি তিনটি পরিবারের মধ্যে একটির সদস্যরা সহজেই মানব পাচার, বাল্যবিয়ে, যৌন শোষণ ও নিপীড়ন ইত্যাদির শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ক্যাম্পে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন-স্বল্পমেয়াদী আশ্রয়কেন্দ্র, টেকসই আবাসন, সৌরচালিত পানি সঞ্চালন নেটওয়ার্ক, দুর্যোগ নিরসনসহ গৃহীত স্থায়িত্বশীল উদ্যোগ অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
আইএফআরসি-র এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক পরিচালক, আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বলেন, ‘ক্যাম্পে বাইরে থেকে যা দৃশ্যমান, তা গত পাঁচ বছরের অনেক উদ্যোগের ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থাকে তাদের এই অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যা দৃশ্যমান নয় অথচ ক্যাম্পে বসবাসরত মানুষের জীবনে ঘটে চলেছে, তা হচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, তাদের কোনো কাজ বা চলাফেরার স্বাধীনতা নেই, বরং কম হলেও অনিবার্যভাবে আছে বিষন্নতা, পাচার, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতাসহ অন্যান্য সহিংসতার শিকার হবার ঝুঁকি। যেহেতু কোন স্থায়ী সমাধান এখনও নিশ্চিত নয়, মানবিক সহায়তা হিসেবে জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বিনোদন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার উপরও জোর দেওয়া দরকার।’
পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কক্সবাজারের ভৌগলিক অবস্থানের জন্য, যা অতিমাত্রায় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ। এই এলাকা হরহামেশাই জলোচ্ছ্বাস, বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়সহ ভারি বর্ষণের শিকার হয় যার ফলে ভূমিধ্বস, জলাবদ্ধতা, ঘরবাড়ির ক্ষতি, ঘনঘন আগুন, মহামারি যেমন কলেরা, ডেঙ্গু, এবং ডিপথেরিয়াসহ বিভিন্ন দুর্যোগ এই এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। তার উপর ক্যাম্পের ঘনবসতির কারণে কলেরা ও কোভিড মাঝে মাঝেই অতিমারির আকার ধারণ করে।
আইএফআরসি, বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রধান সঞ্জিব কাফলে বলেন, ‘এই সংকট আইএফআরসি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং দুরূহ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম। গত পাঁচ বছর ধরে ক্যাম্পে সুরক্ষাসহ যাবতীয় মানবিক সহায়তা প্রদানে, আইএফআরসি ও তার সহযোগী ন্যাশনাল সোসাইটিগুলো বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টকে সহায়তা করে আসছে। কোভিড-১৯ এর অভিজ্ঞতার আলোকে, আইএফআরসি এখন প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির উপর কাজ করছে। তাই কক্সবাজারের বাস্তুচ্যুত এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে আইএফআরসি'র বর্তমান কৌশল হচ্ছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত কম্যুনিটিতে সমন্বিত কম্যুনিটি সহনশীলতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকরন এবং কার্যকর দুর্যোগ সাড়াদান ইত্যাদিতে মনোযোগ বৃদ্ধি।’
আইএফআরসি এবং অন্যান্য সহযোগী ন্যাশনাল সোসাইটির যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এই জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ও তা বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আশ্রয়, স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা, ওয়াশ, জীবিকায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষার মানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। সেই সাথে সুরক্ষা, জেন্ডার ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্তর্ভুক্তিকরণ, জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করা এবং জবাবদিহিতা ইত্যাদিকে মূলধারায় নিয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে ভারত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আটকাপড়া অভিবাসীদের অভিবাসন যাত্রার সময় জীবন বাঁচাতে এবং তাদের ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন রিভিউ ফোরামের (আইএমআরএফ) সাধারণ বিতর্ক পর্বে এ কথা বলেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম কোনো অবস্থাতেই জোরপূর্বক অভিবাসীদের ফেরত না পাঠানোর আহ্বান জানান ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশগুলোর প্রতি।
আরও পড়ুন: অভিবাসীদের মানবাধিকারের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাপী সংহতির আহ্বান বাংলাদেশের
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ যেভাবে একজন তরুণ আইটি উদ্যোক্তার জীবন বদলে দিয়েছে
মুন্সি সোহাগ হোসেন এক সময় ভ্যান চালাতেন এবং পড়াশোনার খরচ যোগাতে দোকানে কাজ করতেন। তবে তিনি এখন মাগুরার একজন তরুণ আইটি উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছেন।
মাগুরা সদরের হাজরাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন ২৪ বছর বয়সী যুবক সোহাগ।
২০১৬ সালে ভারতীয় আইসিসিআর স্কলারশিপ পেয়ে গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে আইটি বিষয়ে স্নাতক করার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন সোহাগ।
স্নাতক শেষ করার পর ২০২০ সালে আইটি সেক্টরে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল সেক্টর বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।
স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সোহাগ মাগুরা সদরে ‘পলিটেকস’ নামে একটি ফার্ম গড়ে তোলেন, যা তার জীবন বদলে দেয়।
সম্প্রতি সোহাগের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কীভাবে একটি স্থায়ী বাড়ি তার পড়াশোনায় সহায়তা করেছে এবং ডিজিটাল বিপ্লব তাকে একজন আইটি উদ্যোক্তা করে তুলেছে।
১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে নোয়াখালীতে নদী ভাঙনে তাদের বাড়িঘর এবং সমস্ত সম্পদ হারিয়ে তার পরিবার উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। এরপর ১৯৮৬ সালে তারা মাগুরায় চলে আসেন। শেষে ১৯৯০-এর দশকে গৃহহীন পরিবারের জন্য তৈরি গুচ্ছগ্রামে একটি বাড়ি পান তার মা সখিনা বেগম।
পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা: জয়
২০১৭ সালে সোহাগ তার বাবা মুন্সি আবুল হোসেনকে হারিয়েছেন। তিন ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে তিনি পরিবারে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্য দুই ভাইয়ের ভাঙ্গারি (ছোট) ব্যবসা আছে।
সোহাগ বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। মাগুরা আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১২ সালে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়ন বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন।
হঠাৎ করেই ভারতীয় স্কলারশিপ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
সোহাগ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন দিনমজুর। দরিদ্র্য হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে যাওয়া।’
স্কুল জীবনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে অনেক অপমান শুনতে হয়েছে। আমি যখন পড়াশোনায় ভালো করতাম, তখন সচ্ছল পরিবারের অনেক ছাত্র আমাকে অপমান করত। তবে কেউ কেউ আমাকে উৎসাহিত করেছেন।
২০২০ সালে সোহাগ যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন আইটি সেক্টরে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ডিজিটাল বাংলাদেশে স্ব-কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বানে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
সোহাগ তার আশেপাশের মানুষের প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য 'পলিটেকস' নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছেন।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি ছাড়াই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষ
তিনি বলেন, ‘আমরা মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসনের জন্য একটি বড় ডেটা-ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার তৈরি করেছি যাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রকৃত তথ্য জানতে এবং সেই অনুযায়ী তাদের জন্য পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়।’
তার প্রতিষ্ঠানটি এখন একই উদ্দেশ্যে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় আরেকটি ডেটা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করছে।
তিনি জানান, তার ফার্ম বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করে এবং মাসে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করে। তার ফার্মে তিনজন প্রকৌশলী ও দুজন বিপণন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা সিকমেড, তিরুপতি ইন্টারন্যাশনাল, শেরপাস্পেসের মতো কিছু বিদেশি কোম্পানির সাথেও কাজ করছি।
এছাড়াও সোহাগের ফার্ম যুব সম্প্রদায়ের জন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং সাইবার-নিরাপত্তা জ্ঞানের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘কীভাবে ব্যবসাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপ দিতে হয় সেই বিষয়ে আমি প্রায় ৪০ জন ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার, সোহাগ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে (ডিজিটাল বাংলাদেশের) একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। তিনি আইটি আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং ব্যবহার করে একজন আইটি উদ্যোক্তা হয়েছেন।’
পড়ুন: বৃষ্টির পর ঢাকা শহরে এডিস মশার আতঙ্ক বেড়েছে
আশ্রয়ণ-২: ৫৯ বেদে পরিবারের স্থায়ী ঘর নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন
‘আমরা যদি স্থায়ী আশ্রয় পাই, আমরা আমাদের দুই ছেলেকে স্কুলে পাঠাব’- কথাটি বলছিলেন বেদে নারী রঙ্গিলা।
বেদে হলো যাযাবরের মতো একটি নৃ-তাত্ত্বিক সম্প্রদায়। দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি এই বেদেরা।
রঙ্গিলা দুই ছেলের মা- আকাশ (৫) ও রবিউল(৩)। তার স্বামী আলাউদ্দিন বানর ও সাপের খেলা দেখায়।
চার সদস্যের এই বেদে পরিবারটি বর্তমানে অন্যান্য বেদে পরিবারের মতো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বড়বাজার ইউনিয়নের বাদেদিহি গ্রামে একটি ‘ঝুপড়ি ঘরে’ (বেদেদের ছোট ও অস্থায়ী ঐতিহ্যবাহী ঘর) বাস করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে উপহার হিসেবে তার পরিবার দুই ডেসিমেল জমিসহ একটি স্থায়ী বাড়ি পেতে যাচ্ছে বলে জানান রঙ্গিলা।
তার পরিবারের মতো মোট ৫৯টি বেদে পরিবার কালীগঞ্জের বড়বাজার ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মাজদিয়া বাওড় সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাড়ি পেতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে ৩১টি পরিবার বাদেডিহি গ্রামের এবং ২৮টি পরিবার কালীগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত কাশিপুর গ্রামের।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে টেকসই ঘর পাবে প্রায় ৬৫,৪৭৪ পরিবার