চমেক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: চমেকে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
একে একে মারা যাচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শিশুরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সোহেল (৫) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিসাধীন চার শিশুর মৃত্যু হলো।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক শিশু ও দুই নারী। তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), আমেনা খাতুন (২৪)।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সোহেল নামে আরও এক শিশু পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হওয়াসহ শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাসানচরে দগ্ধ ৫ শিশুসহ ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া গত সোমবার ভোরে মোবাশ্বেরা ও সন্ধ্যায় রবি আলম নামে আরও দুই শিশু মারা যায়।
উল্লেখ্য গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সী শিশু মুবাসসারা নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চমেকে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এর আগে গত শনিবার রাসেল (৩) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর মধ্যে- রাসেল ও মুবাসসারা নামে দুই শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পাঁচজন বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে- রোসমিনা ৫০ শতাংশ, রবি আলম ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুন ৮ শতাংশ, সোহেল ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
চমেকে চুরি যাওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, আটক ২
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া পাঁচদিন বয়সী নবজাতককে ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে ফেনীর পশুরাম থানায় অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চমেক হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) থেকে নবজাতকটি চুরি হয়।
জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল।
তার মায়ের নাম আসমা বেগম এবং বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, ২ নারী আটক
দুপুর ২টার পর ওয়ার্ডে গিয়ে শিশু চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন তারা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সকে জানানো হলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, রাতে অভিযান শুরু করে ভোরে শিশুটিকে ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নাসিমা ও পারুল নামে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের শিশুও এনআইসিইউতে ভর্তি ছিল।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ৫ দিন বয়সী এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। তার মায়ের নাম আসমা বেগম ও বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
নবজাতকের মা আসমা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাটি রয়েল হাসপাতালে ডেলিভারি হয়েছিল। আমরা চমেক হাসপাতালে এসেছি গত পরশু। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুদের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। সকালে আমার মা বাচ্চার দেখাশোনা করেন এবং এরপর নাস্তা করতে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ২টার পর ফিরে এসে আমার মা আমার মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। তখন তিনি কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে আমার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চান। খোঁজাখুঁজি করার পরে আমার মেয়েকে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
বাবা আবু নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা তাদের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। এই সময়ে বাচ্চা বের হওয়ার মতো কিছু দেখা যায়নি। তার পরেও আমরা বড় স্ক্রিনে আবার দেখতেছি। এর পরের ফুটেজও দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছুটা কনফিউশনে আছি। এর আগেও একবার চমেক থেকে একটি বাচ্চা চুরির অভিযোগ পেয়েছি, পরে ওই বাচ্চাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। এনআইসিইউ একটি নিরাপদ ইউনিট এবং বাইরের কাউকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বিকাল ৫টার দিকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তদন্ত শুরু করি।’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে আমি চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে যাই, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় আহত এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় অপর কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ইলিয়াছ (৪৭) খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার বাবুর্চি শাহজাহানের বাড়ির মৃত মো. আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
গ্রেপ্তার সমীরণ নাথ (৪৩) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামের দিলীপ কানঙ্গের বাড়ির মৃত প্রফুল্ল নাথের ছেলে।
এর আগে, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে ফরেনসিক বিভাগে টাকা-পয়সা ভাগাভাগি নিয়ে প্রবর্তক মোড় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইলিয়াছ।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে মারামারিতে আহত একজন মারা গেছেন। অভিযুক্ত সমীরণ নাথকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
চমেক ফরেনসিক বিভাগের অফিস সহায়ক শাহীন আলম বলেন, প্রায়ই টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে সমীরণের সঙ্গে ইলিয়াছের বাড়াবাড়ি হত। সমীরণ মা-বাবা তুলে ইলিয়াছকে গালাগাল দিত। তাই রাগ করে অনেকদিন ইলিয়াছ অফিসেও আসেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের মিলিয়ে দিয়েছিল।
এরইমধ্যে রবিবার সমীরণ লাঠি দিয়ে ইলিয়াছের মাথায় বাড়ি দিলে তাকে মেডিকেল নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইলিয়াছের ছেলে মো. ইমতিয়াজ বলেন, আমার বাবাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক। আমার বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এভাবে বাবাকে হারাব কল্পনাও করিনি। আমি আমার বাবা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আরও পড়ুন: মগবাজারে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসচাপায় নিহত ১, আহত ১
রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চমেকে ২১ দিন ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন গরিব অসহায় রোগীরা। গত ২১ দিন ধরে বন্ধ সিটি স্ক্যান পরীক্ষা। কিন্তু চালু করার উদ্যোগ নেই।
জানা গেছে, শুধু সিটি স্ক্যান নয় বন্ধ রয়েছে- এমআরই, ব্র্যাকি থেরাপি, ক্যাথল্যাব। অচল রয়েছে ডজন খানেক মেশিন।
৪ আগস্ট মেশিনের পার্টস নষ্ট হওয়ার ফলে গরিব রোগীদের প্রতিদিন হাসপাতালের বাইরের রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে সিটি স্ক্যান করাতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেশি টাকা ব্যয় এবং দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে চমেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান পরীক্ষা সেবা শুরু হয়। এভাবে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেবা অব্যাহত থাকে। তবে ওই বছরই আগস্ট মাসে পুরোনো সিটি স্ক্যানটি অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর ৪ বছর সিটি স্ক্যান বন্ধ থাকে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: চমেকে ১৫০ শয্যার বার্ন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-চীন চুক্তি সই
পরে ২০১৮ সালে নতুন একটি সিটি স্ক্যান বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও এক বছর পর ১৯ সালের দিকে নতুন মেশিনের সেবা চালু হয়। এভাবে চলছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। মাঝে কয়েকবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দেয়। সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ জুন মেশিনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সে মাসের ২৩ জুন মেশিনটি সচল হয়। কিন্ত কয়েক দিন না যেতে ৪ আগস্ট তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
সিটি স্ক্যান সচল থাকতে প্রতিদিন ৫০ জনের পরীক্ষা করানো যেত। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলত এই সেবা। পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার ও ৪ হাজার টাকা। কিন্তু চমেক হাসপাতালের ২ হাজার টাকার এ ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। আর হাসপাতালের চার হাজার টাকার এ ফি বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে রোগীদের।
জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত সালমা বেগম চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যান। চিকিৎসক তাকে ৩টি পরীক্ষা দেয়। তারমধ্যে সিটি স্ক্যান, আরও একটি পরীক্ষা এভারকেয়ারে করতে পরামর্শ দেন। ব্র্যাকি-থেরাপি ঢাকা গিয়ে করতে পরামর্শ দেন। কারণ এটি চট্টগ্রামে আরও কোথাও নেই। আগে চমেক হাসপাতালে করা হতো। মেশিনটি অচল প্রায় এক বছর। তাই সেবাও বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসক দেখানো ছাড়া আরও কোনো সেবা পাওয়া যায় না হাসপাতালে। ওষুধ, পরীক্ষা সব বাইরে থেকে করতে হয়। আমাদের মতো গরিব রোগীদের দেখবার যেন কেউ নেই।
চন্দনাইশের বাসিন্দা রাকিব হাসান জানান, স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগ নিরূপণের জন্য চিকিৎসক তার সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। হাসপাতালে সেবা বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে তার সিটি স্ক্যান করাতে হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে সিটি স্ক্যান মেশিনটি স্থাপন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৯ সালের মার্চে এই সিটি স্ক্যান মেশিনটির সেবা পুরোপুরি চালু হয়। মেশিনটির ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ারেন্টির মেয়াদ রয়েছে।
চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ৬ জুন মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৩ জুন সচল করা হয়। কিন্ত চলতি মাসের ৪ আগস্ট থেকে অচল হয়ে পড়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে দুটো সিটি স্ক্যান। তার মধ্যে একটি দীর্ঘ বছর ধরে অচল। যেটি সচল ছিল তাও আর নেই। সব রোগীদের বাইরে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। বাড়তি টাকা যাচ্ছে। গরিব রোগীদের চিকিৎসা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। মেশিনটি সচল করতে কাজ চলমান রয়েছে। তাও আরও কয়েকদিন লাগবে।
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান জানান, সিটি স্ক্যানসহ অচল হয়ে পড়া সব মেশিন খুব দ্রুত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা দ্রুত মেরামত করে চালু করতে পারব।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডায়ালাইসিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা ফের বন্ধ ঘোষণা
চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা ফের বন্ধ ঘোষণা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থাপিত কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (২১ জুন) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশের মাধ্যমে এটি বন্ধ ঘোষণা করে।
আগামী বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে এই সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডায়ালাইসিস পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেড।
চমেক হাসপাতালের নিচতলায় স্থাপিত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যান্ডরে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা শত শত কিডনি রোগী ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে সাঁটানো নোটিশে বলা হয়, অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে আগামী বৃহস্পতিবার ২২ জুন থেকে স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) কর্তৃক সার্ভিস পেমেন্ট পরিশোধে বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ও অসহযোগিতার কারণে হঠাৎ করে এ চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
আরও পড়ুন: চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
তিনি এ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে তিনি আন্তরিক নন।
নোটিশে বলা হয়, আগামী ২২ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) কর্তৃক সার্ভিস পেমেন্ট পরিশোধে বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ও অসহযোগিতার কারণে হঠাৎ করে এ চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ফরিদা ইয়াসমিনের নাম ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করে সেবা বন্ধ বা চালুর ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এমনকি এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে তিনি আন্তরিক নন বলে উল্লেখ্য করা হয় ওই নোটিশে।
নোটিশে আরও বলা হয়- দীর্ঘদিন ধরে একই যুদ্ধ করে আমরা সম্পূর্ণভাবে ক্লান্ত, কেন হঠাৎ করে সেবা বন্ধ হলো। ডায়ালাইসিস এর মতো জরুরি সেবা বন্ধ করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের নেই। কিন্তু এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে সেবা চালু রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
চলমান সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সকল রোগীদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আমি যতটুকু জেনেছি তারা আজকেও ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বিল পাচ্ছে।
আর বকেয়া থাকবে ১৯ কোটি টাকা। সেটিও ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। এ জন্য সেবা তো বন্ধ করতে পারে না। এটি এমন সেবা যা বন্ধ করলে জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্যান্ডর কর্তৃপক্ষ যে ভাষায় নোটিশ দিয়েছে, সেটিও আপত্তিজনক। তারা অধিদপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছে।
একই সঙ্গে তার মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছে।
বিষয়টি জানতে স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার (ব্যবসা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ মনজুর রহমানকে ফোন করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে হঠাৎ করে এ সেবা বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণকারী রোগীরা।
এর আগে কাঁচামাল সংকটে অজুহাতে ফি বাড়ানোর ঘোষণা নিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে ডায়ালাইসিস সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখে স্যান্ডর।
এছাড়া ৮ জানুয়ারি ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করা নিয়ে আন্দোলনে নামে রোগীরা। এতে পুলিশের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ হয়।
এ নিয়ে মামলা এবং মোস্তাকিম নামে এক রোগীর ছেলে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন।
পরবর্তীতে সেই মোস্তাকিম জামিনে বের হয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ করে আদালতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন ও এসআই আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সেটি তদন্ত পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে হাড়ভাঙা রোগীর কিডনি অপসারণের অভিযোগ
বাংলাদেশের প্রথম ব্রেন ডেড নারীর কিডনি প্রতিস্থাপনে জীবন বাঁচল ২ জনের
চমেকে ১৫০ শয্যার বার্ন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-চীন চুক্তি সই
চীন সরকারের অনুদান সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি বার্ন ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদশে সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু.আনোয়ার হোসনে হাওলাদার এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়নে চুক্তি সই করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
চীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান দেং বোকিং, ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধতন কর্মকর্তারা এবং চীনের একটি এক্সপার্ট টিম চীন সরকাররে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাক্ষরিত বাস্তবায়ন চুক্তির আওতায় চীন সরকারের সম্পূর্ণ অনুদান সহায়তায় চমেক হাসপাতালে ১৫০ শয্যা বিশিষ্টি একটি বার্ন ইউনিট স্থাপিত হবে। ওই ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে দেবে।তিনি বলেন, নির্মিতব্য বার্ন ইউনিটে একটি বহিঃবিভাগ, একটি অন্তঃবিভাগ, একটি জরুরি বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড, মহিলাদের জন্য ১০টি এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য ৫টি এইচডিইউ বেড থাকবে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে দুই বছরের মত সময় লাগবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকার মতই চট্রগ্রামেও আগুনজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ঘটে চলেছে। এজন্য চট্রগ্রামে ঢাকার মানের একটি বার্ন ইন্সটিটিউটের প্রয়োজন ছিল।
জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের ৫০০ বেডই প্রায় পূর্ণ থাকে। ঢাকায় এই একটি বার্ন ইন্সটিটিউট থাকায় এর ওপর চাপ পড়ছে। চট্রগ্রামে ১৫০ বেডের বার্ন ইন্সটিটিউট চালু হলে এ চাপ কিছুটা কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি শিগগিরই আমরা আরও নতুন করে ৫ বিভাগে ৫ টি বার্ন ইন্সটিটিউট নির্মাণকাজ হাতে নিয়েছি। এতে করে দেশে ৭টি উন্নত মানের বার্ন ইন্সটিটিউট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলে বাংলাদেশ-ভুটানের চুক্তি স্বাক্ষর
সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
চমেকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ: গ্রেপ্তার মোস্তাকিম জামিন পেলেন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলাকালে গ্রেপ্তার হওয়া রোগীর সন্তান মো. মোস্তাকিম জামিন পেয়েছেন।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: দরিদ্রদের জন্য কিডনি ডায়ালাইসিস ব্যয় কমান: আলোচনায় বক্তারা
তবে জামিন শুনানীকালে আদালতে মোস্তাকিমকে হাজির করা হয়নি।
আদালতে রবিবার শুনানীকালে মুস্তাকিমের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব ও তার প্যানেল আইনজীবীরা।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তার পক্ষে আইনজীবি নিয়োগ দেয়া হয়।
মানবাধিকার আইনজীবি অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান মো. মুস্তাকিমের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলনরত রোগী ও তাদের স্বজনরা এবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এর আগে দুইদিন টানা ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেছিল রোগীরা।
হাসপাতালের সামনে প্রধান ফটকে রাস্তায় অবস্থান নেয়ায় সড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়েছেন আন্দোলনরত রোগী ও রোগীর স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
আন্দোলনরত রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রতিমাসে একজন রোগীকে আট বার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয়। এরমধ্যে দুইবার দুই হাজার ৭৯৫ টাকা করে পরিশোধ করলেও বাকি ছয়বারই ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হতো একজন রোগীকে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে এসে দু’বারের পরিবর্তে তা চারবার করা হয়। তাও আবার ফি বাড়িয়ে দুই হাজার ৯৩৫ টাকা করা হয়েছে। আর বাকি চারবার ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে।
এতে প্রতি রোগীর ডায়ালাইসিস ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে রোগীরা এবার রাস্তায় নেমেছে। সকাল থেকে তারা সড়কেই বসে আছে। একারণে রাস্তায় যানজট লেগে গেছে।’
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান বলেন, ‘সড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ চা-শ্রমিকদের