সরবরাহ
সংকট মেটাতে শিল্পে বাড়তি ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত: উপদেষ্টা
সংকট মেটাতে শিল্পে বাড়তি ২৫ কোটি ঘনফুট (২৫০ মিলিয়ন ঘন ফুট-এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়েছে গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতার কারণে শিল্পে উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। এই পরিস্থিতিটা সম্পর্কে আমরা জানি।’
তিনি বলেন, ‘বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা যারা রয়েছেন, আজকে তারা এখানে ছিলেন। আমরা সবাই মিলে এটা নিয়ে আলাপ করেছি। নতুন নতুন শিল্প হয়ে গেছে। আমরা কিন্তু গ্যাসের সরবরাহ কমাইনি। এখন যে ওনাদের (ব্যবসায়ী) আমেরিকার রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফের কারণে সমস্যা হচ্ছে, এজন্য আমরা এটা সম্পর্কে খুব সংবেদনশীল। এজন্য আমরা কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বুধবার (৭ মে) সচিবালয়ে শিল্পে গ্যাস সংকট নিয়ে শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে যে গ্যাস দেওয়া হত, সেখান থেকে আমরা ১৫ কোটি ঘনফুট (১৫০ এমএমসিএফডি) গ্যাস আমরা বিদ্যুতের পরিবর্তে শিল্পে দেব। এটা হচ্ছে আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত অতিরিক্ত চারটি এলএনজি কার্গো আনব।’
‘এতে আরও ১০ কোটি ঘনফুট (১০০ এমএমসিএফডি) গ্যাস। সুতরাং সর্বমোট শিল্পে গ্যাসের বরাদ্দ ২৫০ কোটি ঘনফুট বাড়বে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমরা শিল্প এলাকায় দেব। আমরা একমত হয়েছি যে, কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করব। শিল্প এলাকাগুলো ওনারা (ব্যবসায়ী) চিহ্নিত করে দেবেন। সেইগুলোতে আমরা সরবরাহ বাড়াব ও এগুলো ক্রমাগত তদারকি করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পদ্যোক্তারা আমাদেরকে আর একটা কথা জানিয়েছেন যে, অবৈধ সংযোগের কারণে ওনারা অনেক ক্ষেত্রে গ্যাস পান না। এ বিষয়ে একটা জয়েন্ট টাস্কফোর্স হবে। সেই টাস্কফোর্সের সঙ্গে কাজ করে খুব দ্রুত এই অবৈধ সংযোগগুলো বিছিন্ন করব। আমরা আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিশেষ করে তিতাস গ্যাস একটা অনলাইন সেটআপ করবে। শিল্প কারখানায় ফিল্ড ভিজিটের মাধ্যমে আমরা যে বাড়তি গ্যাস দিলাম, এর ফলে যে তাদের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এটি নিশ্চিত করব। এছাড়া আগামী বছর ১০০টি কূপ খনন করা হবে।’
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন কুপের অনুসন্ধান করব। আমরা ইতোমধ্যে ওনাদেরকে (ব্যবসায়ী) জানিয়েছি তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে কাজ করে আমরা ২৭ এমএমসিএফডি নতুন গ্যাস পেয়েছি। এগুলো কিন্তু পাইপলাইনে এসে গেছে। আমরা গ্যাস অনুসন্ধানে নজর দিচ্ছি। আমরা ৫০টা যে কূপ খনন করছি, এটা যদি সফল হয় তবে সেখান থেকে আরও ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস আমরা আনতে পারব।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি বলেন, ভোলাতে নতুন করে সিসমিক সার্ভে ও ড্রিলিং করা হচ্ছে। আমরা রিগ (গ্যাস অনুসন্ধান যন্ত্র) কিনতেছি। এখন যে রিগগুলো আছে সেগুলো গভীরে যায় না। এজন্য আমরা একটি ডিপ রিগ কিনতেছি। আমরা বিবিয়ানার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাপেক্স ছাড়াও আমরা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই খননের কাজ করব। ইতোমধ্যে ভোলায় পাঁচটি কূপের টেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সাতজন ভিড়ার দরপত্র কিনেছিলেন। আমরা তাদের বলেছি, দরপত্র তো কিনলেন, কিন্তু জমা কেন দিলেন না। তাদের ফিডব্যাক আমরা পেয়েছি। একটি কমিটি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ডকুমেন্টটা মোডিফিকেশন করা হচ্ছে, টেন্ডারটা আবার আহ্বান করা হবে।’
'আমরা যে নতুন মূল্যে গ্যাস আনি সেই তুলনায় গ্যাসের দাম অনেক কম। তবুও আমরা আপাতত গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। বিদ্যুতের কোনো মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’
বিদ্যুৎ থেকে গ্যাস নিয়ে শিল্পে দিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়ে লোডশেডিং বাড়বে কিনা- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদ্যুৎ থেকে গ্যাস কাট করলে সেই ঘাটতিটা পূরণে তখন আমরা তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাব। এখন আমরা সেগুলো চালাচ্ছি, তবে সেই পরিমাণে চালাচ্ছি না। তখন হয়তো আমরা একটু বেশি পরিমাণে চালাব। আমরা রমজানের সময় বিদ্যুৎকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেচকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখন যে বাম্পার ফলনের কথা বলছেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এর অন্যতম কারণ। এখন আমরা সেই অগ্রাধিকারটা শিল্পকে দেব।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২১১ দিন আগে
সাশ্রয়ী দামে ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার: বন উপদেষ্টা
সরকার সাশ্রয়ী দামে টেকসই ও আধুনিক ডিজাইনের ফার্নিচার সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এজন্য বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি)-কে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে বিএফআইডিসির কর্মকর্তাদের সাথে এক সভায় এসব তথ্য জানান তিনি।
বন উপদেষ্টা বলেন, কর্পোরেশনের সব ফার্নিচারের ডিজাইন ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে ক্রেতাদের পছন্দ মতো যেকোনো ডিজাইনের আসবাবপত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
‘বিএফআইডিসিকে আধুনিক করতে প্রথমে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করতে হবে। রাবার গাছের উৎপাদন বাড়াতে উন্নতমানের ক্লোন আনতে হবে। এছাড়া সুপারি পাতা, বাঁশ ও বেত দিয়ে পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প আনতে হবে,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জহিরুল ইসলাম, পরিচালক (উৎপাদন ও বাণিজ্য) সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া, এনডিসি ও বিএফআইডিসির সচিব জাহান আরা উপস্থিত ছিলেন।
২৬৩ দিন আগে
বাংলাদেশে সস্তায় তেল সরবরাহ করবে আরামকো: রিজওয়ানা
বাংলাদেশে সস্তামূল্যে তেল সরবরাহে সম্মত হয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকার দুটি দেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ সময়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, দেশে ‘নৈতিক পুলিশিং’ কিংবা ‘মব জাস্টিসের’ কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার নারীর বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতাকে সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরআগে গেল ৫ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনায় ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান বলেন, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের জন্য চেষ্টা করেও পারেনি আরামকো।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: রিজওয়ানা
‘প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদল ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন দফায় বাংলাদেশে এলেও স্বাগত জানানো হয়নি। এরপরও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো বাংলাদেশে তেল শোধনাগার নির্মাণে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
এ সময়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, আমাদের দেশ সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি সব সময় সত্যি নয়। বর্তমান সরকার অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আমরা ব্যবসা সহজ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এখন যদি সৌদি বিনিয়োগকারীরা আসেন তবে ভালো একটি পরিবেশ দেখতে পাবেন বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
২৭৫ দিন আগে
যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও সরবরাহ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, বিতরণ ও সরবরাহ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক কাজ।
সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, বিতরণ ও সরবরাহ কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য: বাণিজ্য উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপানোর কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যথাসময়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছানো যাবে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ একটু ধীরগতির হওয়ায় এ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রেস মালিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শিক্ষা উপদেষ্টা তাদের এ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন এবং জাতীয় স্বার্থে পাঠ্যপুস্তক দ্রুত ছাপানোর আহ্বান জানান।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় খুনিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৫০ দিন আগে
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ, চিনি ও খেজুরসহ নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক এনগেজমেন্ট বাড়াতে চায় সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এসময় তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, করাচি-চট্রগ্রাম সরাসরি বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনা, দুদেশের ব্যবসায়ীদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন।
সরকার দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ করে থাকে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে চাল, পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল ও ডাল অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিতরণ মানুষের জীবনকে একটু সহজ করতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়া সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে সদস্য দেশগুলো উপকৃত হবে এবং দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো-মুসলিম সভ্যতার অংশ হিসেবে উপমহাদেশে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত।
ইতোমধ্যে পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় দুদেশই উপকৃত হয়েছে।
এসময় তিনি বাংলাদেশে চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর রপ্তানিতে পাকিস্তান সরকারের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে গম উৎপাদিত হলেও রপ্তানি করা হয় না। তবে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হলে গম রপ্তানিতে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: জীবনযাত্রা সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার
৩৮০ দিন আগে
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ চায় ঢাকা
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। আগামী দিনগুলোতে আরও 'জনগণের সম্পৃক্ততার' ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তিনি ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি অত্যন্ত অতিরঞ্জিত মিডিয়া প্রচারণার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ইউনূসের প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংগঠনগুলোর আহ্বান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা এ ধরনের বক্তব্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়।
ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছার কথা উল্লেখ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারত সরকারের দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যাক্ত করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সরকার সকল ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও সহিংসতা বা ভীতি প্রদর্শন সহ্য করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কনস্যুলার সেবা বন্ধ: মার্কিন দূতাবাস
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে সাহসী ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অজর্ন করেছে।
বৈষম্য ও অন্যায় দূর করার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তি স্বৈরাচার ও নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক নিয়োগ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সাহসী ছাত্র আন্দোলন অচিরেই একটি নিয়মভিত্তিক, ন্যায়পরায়ণ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে বিপ্লবী সংগ্রামে রূপ নেয়।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থী ও জনগণের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে সম্মত হন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
জনগণের, বিশেষ করে যুবসমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার অর্থবহ সংস্কার ও দীর্ঘস্থায়ী রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে সম্পৃক্ততা আবারও অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
৪৭৭ দিন আগে
নিম্নমানের অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প-কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজারে মানহীন অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের সরবরাহ রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
রবিবার (২ জুন) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ডিজাস্টার অ্যান্ড এক্সপ্লোশন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যেকোনো ভবন বা কারখানা নির্মাণের সময় অগ্নি নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মানহীন ফায়ার সেফটি সরঞ্জাম কারা বাজারে আনছে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য ইসাবসহ এই খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অগ্নি নিরাপত্তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
তিনি বলেন, অনেকে বাড়ি নির্মাণে দামি উপকরণ ব্যবহার করেন কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার জন্য কোনো খরচ করেন না। সম্পদ ও জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে ফায়ার সেইফটি এবং সিকিউরিটির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ফায়ার সেইফটির প্রয়োজনীয়তা, যন্ত্রপাতির বাজার ও চাহিদা, আমদানি নির্ভরতা, স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করার কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইসাবসহ ফায়ার সেইফটি ইকুইপমেন্ট শিল্পের অংশীজনদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নকল ও মানহীন সরঞ্জাম বাজারজাতকারীদের তথ্য স্ট্যান্ডিং কমিটিকে সরবরাহের আহ্বান জানান কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. নিয়াজ আলী চিশতি।
বিষয়টি নিয়ে ইসাবের উদ্যোগে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এফবিসিসিআই ও বিএসটিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ইসাব এবং সহযোগী সংগঠনগুলো নকল পণ্য রোধে আরও কঠোর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এনবিআরসহ সব অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনের কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় পর্যায়ে ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্টের উৎপাদন শুরুর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়াও নকল ও মানহীন যন্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতন করা, মানহীন পণ্য আমদানি নিরুৎসাহীতকরণ, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক ফায়ার কোড বা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির ব্যয় হ্রাস, ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ সাজসজ্জায় নিরুৎসাহিতকরণ, ফায়ার সেইফটি শিল্প এবং এই খাতের ট্রেডিং হাউজের জন্য অভিন্ন কাস্টমস ডিউটি নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি কনসালটেন্সি সার্ভিসের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া, পাঠ্যক্রমে অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়কে আরও গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব, মো. আবুল হাশেম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবু নাইম মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন কমান্ডার ফয়সালুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে এফবিসিসিআইর আহ্বান
৫৫০ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর বুধবার(২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছে। এছাড়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) ৮৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সোমবার(২৭ মে) বিআরইবির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে, যা ৯৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ
একই সময়ে ডব্লিইজেডপিডিসি তার ২ লাখ ৮২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহকের ৮৭ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২৫ হাজার জনবল কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য ডব্লিউজেডপিডিসি জনবল নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৫৫৪ দিন আগে
সিলেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন, নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সোমবার (১৫) এপ্রিল সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে আছে। বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।
এদিকে আগুনের ঘটনায় বড় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সিলেট নগরীর বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। তবে সিলেট জেলার বাকী অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুমারগাঁও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানালে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘৩৩কেভি গোলাপগঞ্জ উপজেলা সরবরাহ লাইনের হাইভোল্টেজের তার ছিঁড়ে স্পার্কিং হয় এবং আগুনের সূত্রপাত হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাম্পিং করে রাখা পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্টারে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।
অগ্নিকাণ্ডে সিলেটের অনেকই জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আর পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ৫টি ফিডারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি দুটিও কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। ফলে সিলেট নগরীতে ৩১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ১০টি দোকান
৫৯৮ দিন আগে
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
৬২৫ দিন আগে