গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
গণতন্ত্র-গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করেননি আবদুস শহিদ: বক্তারা
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মরহুম আবদুস শহিদ গণতন্ত্র-গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি—তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আবদুস শহিদ গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। সাংবাদিকদের রুটি-রুজির প্রশ্নেও ছিলেন সোচ্চার তিনি।
স্মরনসভার শুরুতে আব্দুস শহিদ ও গতকাল প্রয়াত নয়াদিগন্ত সম্পাদক, বর্ষিয়ান সাংবাদিক আলগীর মহিউদ্দিনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় স্মরনসভায় বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, দ্য নিউ নেশনের সাবেক এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম মহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিক মুহাম্মদ ও রাশেদুল হক, আবু বকর, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ মনওয়ার জাহান কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক আবদুস শহিদ ছিলেন অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। সারাজীবন সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেন। ওপার থেকে সংসদ সদস্যের স্থলে সাংসদ, মরহুমের স্থলে প্রয়াত, কররে স্থলে সমাধি বর্তমান যেসব শব্দ আমদানি শুরু হয়, তখন তিনি এর কট্ট্রর বিরোধীতা করেন। আমাদের ওপারের এসব শব্দ লিখতে দিতেন না। এ সময়ের তরুণ সাংবাদিকদের আদর্শবান সাংবাদিক হতে নীতিনৈতিকতা ও আদর্শকে ধারণ করতে তাকে স্মরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, দলীয় রাজনীতির প্রভাবে সাংবাদিক সমাজ আজ বিভক্ত। সে কারণে আবদুস শহিদরা যে ভূমিকা রেখেছিলেন, এখন তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে যেমন সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতার মান নিম্নগামী হয়েছে, তেমনি সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই দ্বিধাবিভক্তির কারণে সাংবাদিকরা যথার্থ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, আবদুস শহিদ সত্য কথা বলতে ভীত ছিলেন না। কারাবরণ করেছেন, চাকরিচ্যুত হয়েছেন, কিন্তু সত্য প্রকাশে আপস করেননি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তার এই আপসহীন ভূমিকা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক আবদুস শহিদ পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো জীবনযাপনের জন্য নিজের কাজকে সীমিত করেননি। তিনি সর্বসাধারণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এ জন্য ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করতেও দ্বিধা করেননি তিনি। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন, সততা ও আপসহীনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
খুরশীদ আলম বলেন, আবদুস শহিদ ছিলেন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী। তিনি সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। একজন নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল ও কর্মপাগল সাংবাদিক ছিলেন। তিনি চৌকস ফোরাম লিডার ছিলেন। তিনি অকপটে সত্য কথা বলতে পারতেন।
বাকের হোসাইন বলেন, আবদুস শহিদ খুব লিবারেল মানুষ ছিলেন। কোনো বিরোধ চরমপর্যায়ে নিয়ে যেতেন না। তাই তাকে বলতাম আপসকামী মানুষ। মোট কথায় তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন। তিনি ডিইউজের কোনো বলয়ের নেতা ছিলেন না। তিনি সবার নেতা ছিলেন।
১০৩ দিন আগে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের পাশে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্ব এখন বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র বিশ্বের বিবেক এখন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকামী সব দেশই মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন একটি বার্তা দিয়েছেন যে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে (মোমেন) গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত না রাখার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে সেদিকে কড়া নজর রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বলেছে।
ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের পরিবর্তে বিশ্ব সম্প্রদায় ও গণতন্ত্রকামী দেশগুলো কেন শুধু বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সামনে আমরা কীভাবে অপমানিত হয়েছি তা প্রকাশ পেয়েছে।’
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সিলেট বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও নিরাপদে ফেরার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার: বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলীকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিং থেকে জোরপূর্বক গুম করা হয় বলে জানা গেছে।
খসরু বলেন, গুম, মিথ্যাচার ও মিথ্যা ও ভুতুড়ে মামলার রাজনীতি করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে বর্তমান সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (আওয়ামী লীগ সরকারকে) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে… বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদও দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাঁচ সিটি নির্বাচনে সরকারের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: ফখরুল
৯৬৫ দিন আগে
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এবং পশ্চাদগামী বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এই বছর বাংলাদেশকে ১৫২ তম স্থানে রেখেছে। বরাবরের মত এবারো ছিল মোট ১৮০ টি দেশ। হন্ডুরাসের পরে ৪৯.৭১ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্কের ঠিক আগেই।
গত ২০ এপ্রিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সারণী থেকে এ তথ্যটি জানা যায়। এর কারণ দর্শানোর সময় তারা ‘কঠিনতর রাজনীতি’ শব্দটি উল্লেখ করেছিল। এছাড়াও, তারা কোভিড-১৯ মহামারির পরিণতির কথাও উল্লেখ করেছে। তারই সূত্র ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতার বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ করেছে আরএসএফ। এভাবে, ৭৩ টি দেশে সাংবাদিকতা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ বা গুরুতরভাবে প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়ে পড়েছে। বিষয়টি দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে কঠিনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কেননা এটি করোনাভাইরাসের মতোই ধ্বংসাত্মক।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইমলাম
এক নজরে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স মুক্ত সাংবাদিকতার ভিত্তিতে দেশগুলোর র্যাঙ্কিংয়ের একটি বাৎসরিক তালিকা। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার নামে একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা, সংক্ষেপে আরএসএফ, তালিকাটি সংকলন এবং প্রকাশ করে। সংগঠনটি ২০০২ সাল থেকে তথ্য স্বাধীনতা অধিকার রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তালিকাটি প্রকাশ করে আসছে। এরা মূলত ১৮০ টি দেশকে র্যাঙ্ক করে মুক্ত সাংবাদিকতার নীরিখে।
জরিপ প্রশ্নাবলী
আরএসএফ ৭ টি সাধারণ মানদণ্ড অনুসরণ করে ৮৭ টি প্রশ্নাবলি সমন্বিত একটি জরিপের মাধ্যমে ইনডেক্সটি তৈরি করে।
এগুলো হল- বহুত্ত্ববাদ (মিডিয়া জুড়ে মতামত), মিডিয়া স্বাধীনতা, পরিবেশ এবং স্ব-বিবাচন, আইনগত কাঠামো, স্বচ্ছতা, অবকাঠামো, গালাগালি।
জরিপের উত্তরদাতারা হলেন আরএসএফের অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহ। এরা হলেন পাঁচটি মহাদেশের ১৮ টি বেসরকারি সংস্থার ১৫০ জন সংবাদদাতা যারা বিশ্ব জুড়ে স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিক, গবেষক, আইনবিদ এবং মানবাধিকারকর্মীরাও এই জরিপে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্কোরিং
চূড়ান্ত স্কোরটি মূল্যায়নের জন্য আরএসএফ কর্মীরা প্রেস অপরাধের শিকার ও অপরাধী উভয়কেই পর্যবেক্ষণ করে। ভুক্তভোগীরা হলেন সাংবাদিক, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং মিডিয়া সহকারী, অন্যদিকে নাশকতাসমূহ আসতে পারে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী, গোপন সংস্থা বা ত্রাস সৃষ্টিকারী গ্রুপ থেকে।
আরএসএফ ২০ টি ভাষায় অনুবাদ করে জরিপ প্রশ্নগুলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেয়। অতঃপর প্রাপ্ত উত্তরের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশকে স্কোর দেয়া হয়।
সবচেয়ে ভালো বুঝাতে শূন্য পয়েন্ট এবং সবচেয়ে খারাপের বুঝাতে ১০০ পয়েন্ট দেয়া হয় । তদনুসারে, আরএসএফের একটি রঙিন স্কোরিং পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে দেশগুলোর প্রেসের স্বাধীনতার অবস্থানকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২১ এর প্রথম সারির দেশগুলো হলো যথাক্রমে- নরওয়ে- ৬.৭২, ফিনল্যান্ড- ৬.৯৯, সুইডেন-৭.২৪, ডেনমার্ক - ৮.৫৭, কোস্টারিকা-৮.৭৬, নেদারল্যান্ডস- ৯.৬৭, জামাইকা - ৯.৯৬, নিউজিল্যান্ড - ১০.০৪, পর্তুগাল- ১০.১১, সুইজারল্যান্ড - ১০.৫৫।
অপরদিকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২১ এ সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে- ইরিত্রিয়া - ৮১.৪৫, উত্তর কোরিয়া - ৮১.২৮, তুর্কমেনিস্তান - ৮০.০৩, চীন- ৭৮.৭২, জিবুতি - ৭৮.৬২, ভিয়েতনাম - ৭৮.৪৬, ইরান- ৭২.৭০, সিরিয়া - ৭০.৬৩, লাওস - ৭০.৫৬, কিউবা - ৬৩.৯৪।
বাংলাদেশের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স
৪০.১১ স্কোর নিয়ে ১৮০ টি দেশের ভীড়ে ১৫২ সংখ্যাটি মূলত বাংলাদেশী সাংবাদিকদের স্বাধীনতার অবস্থা প্রতিনিধিত্ব করছে। গত দশ বছরে, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ চিত্রটি তুলে ধরা হলো যথাক্রমে-
২০১১- র্যাঙ্কিং ১১২
২০১২- র্যাঙ্কিং ১২৯
২০১৩- র্যাঙ্কিং ১৪৪
২০১৪- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৫- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৬- র্যাঙ্কিং ১৪৪
২০১৭- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৮- র্যাঙ্কিং ১৪৬
২০১৯- র্যাঙ্কিং ১৫০
২০২০- র্যাঙ্কিং ১৫১
গত বছর, করোনভাইরাস মহামারী এবং তাৎক্ষণিক লকডাউনের কারণে উদ্বেগজনকভাবে পুলিশ এবং বেসামরিক সহিংসতার বৃদ্ধি পেয়েছিল সংবাদমাধ্যমগুলো কেন্দ্র করে। মহামারী এবং সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে রিপোর্ট করার কারণে অনেক সাংবাদিক, ব্লগার এবং কার্টুনিস্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ভার্চুয়াল সুরক্ষা আইনে "অপপ্রচার" এর জন্য কমপক্ষে চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ডিত করা হবে। ফলস্বরূপ, স্ব-সেন্সরশিপটি অথবা স্ব-বিবাচনটি তুলনামূলকভাবে একটি অসামঞ্জস্য পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলো কারণ সম্পাদকরা কারাবাস বা তাদের মিডিয়া আউটলেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছিলো।
আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশের মিডিয়া মার্কেটপ্লেসের জন্য দ্রুত উন্নতির একটি সম্ভাবনা আছে। কারণ অনেক অফলাইন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম শিল্পের অবদানে অংশ নিয়েছে এবং যা বর্ধমান বাজারে প্রভাব ফেলছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, বেসরকারী মালিকানায় থাকা বড় বড় বাংলাদেশী এজেন্সিগুলি মুল ধারায় চলে এসেছে। অতঃপর দেশব্যাপী প্রচুর মিডিয়া এখন দেশের অভ্যন্তরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলির নাগালের মধ্যে রয়েছে।
তাই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একটি সামঞ্জস্য অবস্থান ধরে রাখতে প্রয়োজন সুষ্ঠু আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধার সাথে মত প্রকাশের চর্চা।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স: এক ধাপ পিছিয়ে ১৫১তম স্থানে বাংলাদেশ
সমাপনী
ওয়াল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের নির্বিশেষে সমালোচনা সত্ত্বেও, তথ্যের প্রচলন শর্তহীন স্বাধীনতার দাবি করে। তবে এটি বলাই বাহুল্য যে, পেশাদার প্রতিবেদনের জন্য ন্যূনতম নৈতিকতা প্রয়োজন। অন্যথায়, জ্ঞান সত্যতার বাইরে চলে যেতে পারে। একজন সাংবাদিকের অবশ্যই তাকে প্রদত্ত ক্ষমতাটি যত্ন সহকারে পরিচালনা করা প্রয়োজন। একইভাবে, তাদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রতিটি সরকারী ও বেসরকারী মহলগুলোর স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা উচিত। একমাত্র এ অবস্থাতেই সাধারণ মানুষ সত্যটা জানার আশা করতে পারেন।
১৬৫৭ দিন আগে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফাই রাইটসের
মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নির্বিচারে সাংবাদিকদের আটক করেছে, অনেককে আত্মগোপনে থাকার হুমকি দিয়েছে এবং প্রস্তাবিত আইন কার্যকর করেছে যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড় বাধা।
১৭৫১ দিন আগে
দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশকে অতীতের মতো দারিদ্র্যক্লিষ্ট দেশ হিসেবে চিহ্নিত না করে দেশের সফলতাগুলো তুলে ধরার জন্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি শনিবার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
১৭৬৩ দিন আগে
মন্তব্যের আগে ইউরোপ-আমেরিকার দিকে তাকান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার আগে ইউরোপ-আমেরিকা-ভারত-পাকিস্তানের পরিস্থিতির দিকে বিএনপিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রবিবার বলেন, তাহলেই তাদের তুলনায় আমাদের পরিস্থিতিটা বুঝতে পারবেন।
২০৩৫ দিন আগে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক, হতাশামূলক ও অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইস্যুতে কিছু কূটনীতিকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক, হতাশামূলক ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
২০৩৭ দিন আগে