ব্যবসায়ী
আসন্ন বাজেটে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আসন্ন বাজেটে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি), ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) ও জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত 'ফিসক্যাল ইস্যুজ ফর ন্যাশনাল বাজেট ২০২৫-২৬ টু ফস্টার ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস গ্রোথ' শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
রবিবার (৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
মাসরুর রিয়াজ এবং স্নেহাশীষ বড়ুয়া এফসিএ তাদের মূল প্রবন্ধে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাসের মতো মূল চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া শাসন ও ঋণ ব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন তারা।
তারা রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবণতাও উল্লেখ করে নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং ব্যাপক আর্থিক সংস্কার অপরিহার্য বলেও জোর দেন তারা।
করের পরিধি সম্প্রসারণ, ভ্যাট ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বড়ুয়া।
একটি প্যানেল আলোচনার সময় শিল্প নেতারা এই অগ্রাধিকারগুলোর প্রতিধ্বনি করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে এমন কর সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে এবং একটি দায়িত্বশীল ও স্বচ্ছ বাজেট উপস্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে দেশ
তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পদক্ষেপ ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে বৃহত্তর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদে কর ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার প্রত্যাশিত কর নীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আখতার একটি সংহত কর ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন এবং রাজস্ব প্রশাসন থেকে করনীতি প্রণয়নকে পৃথক করার সুপারিশ করেন।
জেবিসিসিআই সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া (জুন) ব্যবসা সহজ করার পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, মারুবেনি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড মানাবু সুগাওয়ারা, যুগ্ম মহাসচিব ইউজি আন্দো, সাবেক এনবিআর সদস্য ড. আবদুল মান্নান শিকদার এবং সরকারের সাবেক সচিব মো. আফজাল হোসেন।
সেমিনারে ব্যবসায়ী ও সরকারি উভয় খাতের বিস্তৃত অংশগ্রহণকারীরা জড়ো হন।
আরও পড়ুন: প্রতিবছরের মতো এবার বাজেট লাফিয়ে বাড়বে না: এনবিআর চেয়ারম্যান
২১৫ দিন আগে
ডিসি সম্মেলন: করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা
জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না; সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসাথে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন; সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরকেও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন—সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগন যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়; তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।
আরও পড়ুন: আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে-তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।
চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।
২৯১ দিন আগে
আজকের আমলাই ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী: ড. দেবপ্রিয়
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমলারা এখন নানা পরিচয়ে মানুষের সামনে হাজির হন, যা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত 'সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা' শীর্ষক নাগরিক সম্মেলন ২০২৪-এ তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৮ ও৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশ এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহযোগিতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিন: সরকারকে ড. দেবপ্রিয়
সম্মেলনে দেবপ্রিয় বলেন, ‘আজকে যে আমলা, কাল সেই রাজনীতিবিদ, পরের দিন সে ব্যবসায়ী। এটাই তো সমস্যা হয়ে গেছে। উনারা বহুরূপে এখন আমাদের সামনে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে এই তিনটি একই হয়ে গেছে।’
এই জননীতি বিশ্লেষক এর আগে অংশগ্রহণকারীদের কাছে একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কে বেশি ক্ষমতাধর- আমলা, রাজনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী।
এ প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আমলারা।
এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে আলোচনা করেছি। সেসব আলোচনায় আমরঅদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে এই তিন পরিচয় একই ব্যক্তির হয়ে গেছে।’
ড. দেবপ্রিয় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন।
স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন হলে সাধারণ অজুহাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্তের সংস্কৃতি রোধ করা যায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ দেওয়া যায়।
সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি প্রতীক ব্যবহারের বিধান প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির আরেক সম্মানতি ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালি দয়ারত্নে প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শ্বেতপত্র: দুই বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করলেন দেবপ্রিয়
৩৬১ দিন আগে
মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
মেহেরপুর গাংনীতে মোটরের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহিন আলম নামে এক বালু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
শাহিন বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার রেজাউল হকের ছেলে।
গাংনী পৌর সভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন বলেন, শাহিন কাজ শেষ করে নিজ বাড়িতে গোসল করার জন্য বিদ্যুৎ চালিত মটরে পানি নিতে যান। মটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক আতিকুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আতিকুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই শাহিনের মৃত্যু হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
৫১৭ দিন আগে
কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার হোমনায় ব্যবসায়ী সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
খালাস দেওয়া হয়েছে একজনকে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত (এপিপি) রেবেকা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই টাকা পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন হোমনা উপজেলার ছোট গানিয়ারচরের ব্যবসায়ী সাদেক।
ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে সাদেক মিয়ার হাত পা কেটে ফেলে রাখা হয় ধনিয়া খেতে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল ৮টায় মার যান সাদেক মিয়া।
আরও পড়ুন: ২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
৫৬৫ দিন আগে
মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ আব্দুস সালাম নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
আব্দুস সালাম মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে।
স্বজনরা জানান, আব্দুস সালাম ভূঁষিমাল কিনে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রচণ্ড গরমে বাইসাইকেল থেকে পড়ে যান।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সউদ কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, তার পারিবারের লোকজন মারা যাওয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে ধারণা করা হচ্ছে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া বলেন, আব্দুস সালামের লাশ পারিবারিকভাবে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে এক শিশুর মৃত্যু, আরেকজন নিখোঁজ
সিলেটে মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
৫৮৬ দিন আগে
ঈদে ১৫০-১৬০ কোটি টাকার জামদানি বিক্রির আশা রূপগঞ্জের তাঁতী-ব্যবসায়ীদের
ঈদে ভালো বিক্রির আশায় নতুন ও রুচিশীল জামদানি শাড়ি তৈরিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া জামদানি পল্লীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা।
সরেজমিনে জামদানি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁতীরা হাতে সুতা কাটার কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রমিকরা বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই ব্যস্ততা। কখনো ঘড়ির কাঁটা রাত ১০টা থেকে রাত ১১টা এমনকি রাত ১২টাও ছাড়িয়ে যায়। ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায় প্রায় প্রতিদিনই চলছে এমন ব্যস্ততা।
জামদানির ব্যবসায়ী ও বিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবারের ঈদে অন্তত ১৫০ থেকে ১৬০ কোটি টাকার বিক্রি হবে।
বিসিক জামদানি শিল্পনগরীর আওতাধীন এলাকায় ৪০৭টি প্লটে ৪০৭ জন উদ্যোক্তা রয়েছেন। তাদের মোট ১ হাজার ৬৬৫টি তাঁত রয়েছে এবং এখানে প্রায় সাড়ে ৩ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মেশিন ছাড়াই তাদের সব কাজ করতে হয়।
জামদানি পল্লীতে ২০-২২ বছর ধরে শাড়ি বুননের কাজে নিয়োজিত মাইদুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদের কারণে কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘কাজের চাপে বিশ্রামের সুযোগ নেই।’
তাঁতী নাদিম বলেন, 'আমি ১৭ বছর ধরে জামদানি শাড়ি বুনছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও কাজ বেড়েছে। আমরা চাই কাজের পরিধি বাড়ুক। কাজ বাড়লে মালিক, বিনিয়োগকারী ও শ্রমিকদের জন্য ভালো হবে।’
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের জামদানি কারিগররা ব্যস্ত
জামদানি পল্লীর আরেক শ্রমিক শামীম বলেন, ‘আগে আমি সকাল ৯টায় কর্মস্থলে আসতাম। এখন আসতে হচ্ছে ভোর পাঁচটায়। আগে সন্ধ্যায় বাসায় যেতাম। এখন মাঝে মাঝে রাত ১০টা বা ১১টার মধ্যে বাসায় ফিরতে হয়। এখন কাজের চাপ বেড়েছে।’
জুনায়েদ জামদানি তাঁতের মালিক রুহুল আমিন বলেন, ‘ভারতীয় জামদানির কারণে আমাদের বাজার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা মেশিনে জামদানি বুনছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় তারা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। কিন্তু আমরা পারছি না। তারা একটি শাড়ি দুই হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু জামদানি শাড়ি বুনতে দুই হাজার টাকার সুতা লাগে। আমরা পাঁচ হাজার টাকার নিচে শাড়ি বিক্রি করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা প্রতি মাসে ১০০টি শাড়ি বিক্রি করতাম, কিন্তু এখন ভারতীয় শাড়ির কারণে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে।’
জামদানি কারিগর পরিবারের সন্তান শাহ আলম বলেন, 'এখন দেখছি অনলাইনে জামদানি বিক্রি হয়। কিন্তু জামদানি শাড়ির কথা অনেকেই জানেন না। ভারতের মেশিনে তৈরি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে জামদানি নামে। আসলে ওগুলো জামদানি শাড়ি নয়। অরিজিনাল জামদানি শাড়ি কিনতে হলে বিসিক আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জামদানি শাড়ি রপ্তানি হচ্ছে। ঈদকে টার্গেট করে আমরা নতুন শাড়ি বুনছি। এখন পল্লীতে এলে ভালো শাড়ি পাবেন।’
রূপগঞ্জ জামদানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটির কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, এখানে সব ধরনের উদ্যোক্তা রয়েছেন। কেউ বেশি বিক্রি করে, কেউ কম।
তিনি বলেন, ‘যাদের ১৫-২০টি তাঁত আছে তারা ঈদুল ফিতরে এক থেকে দেড় কোটি টাকার শাড়ি বিক্রি করবে বলে ধারণা করা যায়। আর যাদের তাঁত কম তারা একটু কম বিক্রি করবেন। জামদানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে এ বছর মোট ১৫০-১৬০ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
৬১৩ দিন আগে
রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে আরও সতর্ক থাকতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান আসছে। এ মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভ-লালসা সংবরণ করার পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
বুধবার(৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ শুরু করে, দাম বাড়ায় এবং নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।
র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এসব অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতেও র ্যাব সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং আমি আপনাদের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
৬৩৯ দিন আগে
আ. লীগের ইশতেহারে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপের অঙ্গীকার
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নারীদের সুবিধার্থে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সরকারের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে নারীদের জন্য নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে বলে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে বলা হয়, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা অর্জন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নারীর উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
এতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ আসনগুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় নারীরা নির্বাচিত হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা, বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মপরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা ও জেলা সদরে শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেলের বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার মানব পাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করেছে এবং তা আরও সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে।
এতে বলা হয়, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতে নারী উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা, উপদেষ্টা সেবা ও সম্পদ নিশ্চিত করা হবে। অনুদান, ঋণ ও বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে ই-কমার্স বা মালিকানাধীন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীদের মূলধনের প্রাপ্যতা সহজ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
ইশতেহারে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় সমান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীর সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে জয়িতা ফাউন্ডেশনের ভূমিকা সম্প্রসারণ করা হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় সব বিভাগীয় সদর, জেলা ও উপজেলায় নারীবান্ধব বিপণন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে, তা ছাড়া নারী হয়রানির মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালতে বাদীদের সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তার বিধান আরও কার্যকর করা হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার
৭০৯ দিন আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
৭১৮ দিন আগে