ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে গভীর রাতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত শুশুক প্রজাতির ডলফিন। ৯ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর ডলফিনটির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ডলফিনটি ভেসে এসেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে মৃত ডলফিনটি জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে আটকে পড়ে। এটির মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি শুশুক প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘আমি রাতে খবর পেয়ে ওখানকার বিট কর্মকর্তাকে মৃত ডলফিনটি বালুচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির ডলফিন (গাঙ্গেয় শুশুক)। রবিবার সকালে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর এলাকায় জেলেদের জালে ডলফিনটি ধরা পড়ে।
ডলফিনটির ওজন প্রায় ২১ কেজি। এ ডলফিন দেখতে এলাকার নারী পুরুষেরা ভিড় জমায়।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় জেলেদের জালে ওই ডলফিন ধরা পরার পর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী তিন হাজার টাকায় ডলফিনটি কিনে নেয় এবং একই এলাকার নৌকা ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ প্রাণীটি এখন প্রায় বিপন্ন। এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের এবং এদের প্রধান খাদ্য ছোট মাছ। বিপন্ন প্রায় প্রাণীর শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতায় নির্বিচারে প্রতিদিন অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্ব অনেক।
এছাড়া ডলফিনকে বলা হয় উপকূলীয় প্রতিবেশের প্রহরী।
তবে স্থানীয় মৎস্যবিদ বলছেন, নদীর মিলনস্থল, নদীর মোড় এবং নদীর গভীর অংশে এ প্রাণী বেশি দেখা যায়।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির এ ডলফিন ধরা পড়েছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং প্রাণী বৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হতে হবে। যমুনায় নির্বিচারে প্রাণীহত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে বলে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামেও পরিচিত প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ‘হালদা নদী’ বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।
এই হালদায় বসবাসকারী গাঙ্গেয় ডলফিন (প্লাটানিস্টা গাঙ্গেটিকা) বাংলাদেশের একটি বিপন্ন প্রজাতির স্বাদু পানির স্তন্যপায়ী প্রাণি। হালদা নদীকে ডলফিনের ‘অভয়াশ্রম’ হিসেবেই ধরা হয়। অথচ এই অভয়াশ্রমই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে ডলফিনের জন্য। পাঁচ বছর ধরে এই নদীতে প্রাণ হারাচ্ছে মিঠাপানির অতি বিপন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীটি।
স্থানীয় ভাষায় উতোম কিংবা শুশুক নামে পরিচিত মিঠাপানির এই প্রাণী হচ্ছে গাঙ্গেস বা গাঙ্গেয় ডলফিন। সাধারণত দূষণমুক্ত পরিষ্কার পানিতে গাঙ্গেয় ডলফিনের বিচরণ। কিন্তু মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে হালদার জলজ পরিবেশ ডলফিনের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে যা পরিবেশ ও হালদা জন্য সামগ্রিক অশনিসংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট সাত প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রধান গাঙ্গেয় ডলফিন। তবে দেশে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে আইইউসিএনের লাল তালিকাভুক্ত এটি। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি সাধারণত দেশীয় মিঠা পানির নদীতে পাওয়া যায়।
হালদা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভূক্ত (অতি বিপন্ন প্রজাতি) জলজ প্রাণী হলো ডলফিন। বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র এক হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত চার বছরে হালদায় ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি বছরে প্রাপ্ত মৃত ডলফিনের সংখ্যা ৬ টি। এরমধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত তিনটি উদ্বার করা হয়েছিল গত জুলাই মাসে।
আরও পড়ুন: ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
সর্বশেষ মৃত ডলফিনটি (৩৯ তম) উদ্ধার করা হয়েছে গত ৩রা নভেম্বর-২০২২। হাটহাজারীর পুরাতন হালদা নদীর দক্ষিণ বাড়িঘোনা উত্তর মসজিদের পাশে খালের ধারে আটকে ছিল। উদ্ধার করা ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। একের পর এক এ জলজ প্রাণীর মৃত্যু হলেও যেন দেখার কেউ নেই।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলামের মতে প্রতিনিয়ত হালদা নদী ও এর শাখাখালের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের জাল,বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে। এসব অবৈধজাল হালদায় ডলফিন মৃত্যুর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি ডলফিনের বয়সবৃদ্ধি, খাদ্যের অভাব, দুষণ, পানির গুণাবলি পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সম্পৃক্ত। হালদার বাস্ততন্তুকে ডলফিনের নিরাপদ আবাসস্থল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা সম্পৃক্ত সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি সূত্র জানা গেছে, নৌযানের প্রপেলার, বালু–পাথর পরিবহনের ইঞ্জিনচালিত নৌকা–বাল্কহেড ও বালু তোলার যন্ত্র ড্রেজারের আঘাত, দূষণ, লবণাক্ততা এবং জালে আটকে ডলফিন মারা যাচ্ছে।
তারা জানায়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯টি ডলফিন মারা গেছে।
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জীবিত একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ইনানী পাটুয়ারটেক থেকে কিছু দূরে সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
জানা যায়, পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে একটি ডলফিন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বিচ কর্মীরা। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ২ জেলের লাশ উদ্ধার
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। যার কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে যায়। পরে ডলফিনটি মারা যায়।
সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট , বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ডলফিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই করেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো জেসিআইয়ের সাধারণ সদস্য সভা
হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে একদিনের ব্যবধানে আরও একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় মৃত ডলফিনটি ভেসে আসে।এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে একই উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মৃত ডলফিন ভাসতে দেখা যায়। পরে উদ্ধার করে দেখা যায় মৃত ডলফিনের দাঁতসহ মুখের একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হালদায় বড় আকারের তিনটি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। কেন, কিভাবে এসব ডলফিনের মৃত্যু হচ্ছে তার কারণ জানা যায়নি।বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া মৃত ডলফিনটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা এবং ওজন ৬০ কেজি। পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।এর আগে গত ১৪ জুলাই রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গহিরা এলাকায় হালদার সংযোগ খাল বুড়িসর্তায় প্রায় সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ১২০ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়।এটিসহ হালদা নদীতে এ পর্যন্ত ৩৮টি এবং কর্ণফুলি নদীতে ২টিসহ মোট ৪০টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেলে। ২০২০ সালে সর্বশেষ জরিপ চালিয়ে হালদায় ১২৭টির মতো ডলফিনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।এবিষয়ে জানতে চাইলে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসার্চ কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হালদায় ৩৮টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এভাবে চলতে থাকলে হালদা ডলফিন শূন্য হয়ে যাবে। এখনই আমাদের হালদার ডলফিন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
তুরাগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার
কক্সবাজার সাগর তীরে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন ও বিপুল পরিমাণ মাছ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উখিয়ার পাটোয়ারটেকে একটি ডলফিনের মরদেহ ও দরিয়ানগর পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ মৃত মাছ ভেসে এসেছে।
মেরিনড্রাইভ সড়কের উখিয়ার পাটোয়ারটেক সৈকতে ডলফিনের মরদেহটি ভেসে এসেছে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে। জোয়ারের পানিতে মৃত এ ডলফিনটি ভেসে এসে বালিয়াড়িতে আটকে যায় বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।
অপরদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ভাটার সময় দরিয়ানগর পয়েন্টে বিপুল পরিমাণ মৃত ছোট মাছ ভেসে আসে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দরিয়ানগর সৈকতের বেশকিছু এলাকাজুড়ে ভেসে আসে ছোট আকৃতির চামিলা মাছ। মূলত মাছ ধরার একটি ফিশিং ট্রলার উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরার সময় জালে বেশি পরিমাণের ছোট মাছ আটকা পড়ে। জেলেরা তাদের ট্রলারে মাছ সংকোলন করতে না পেরে জালের গিট খোলে দেয়। এতে জোয়ারের পানিতে মাছগুলো সৈকতের বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে। স্থানীয়রা বেশ কিছু মাছ কুড়িয়ে নিলেও জোয়ারের পানিতে কিছু ভেসে যায়।
তুরাগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২টি মৃত ডলফিন উদ্ধার
মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সাভারের আশুলিয়া বাজার এলাকার তুরাগ নদী থেকে দুটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে স্থানীয় জেলেরা তিন মণ ওজনের একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করার পর সোমবার দুপুরে ফেলাঘাট এলাকার কাছে স্থানীয়রা আরেকটি মৃত ডলফিন ভেসে থাকতে দেখেন।
এই ডলফিনটির ওজন প্রায় পাঁচ মণ বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলার ঊর্ধ্বতন মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার।
তিনি জানান, রবিবার উদ্ধার হওয়া ডলফিনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকের মতে গাঙ্গেয় ডলফিন (প্ল্যাটানিস্তা গ্যাঙ্গেটিকা)।
আরও পড়ুন: হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
কামরুল বলেন, বাংলাদেশের পদ্মা ও যমুনা নদীতে এই ডলফিনের অভয়ারণ্য ছিল কিন্তু গত ১০-১৫ বছরে এই প্রজাতির ডলফিন এই অঞ্চলে দেখা যায়নি।
তিনি জানান, সোমবার পাওয়া ডলফিনের প্রজাতি শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা। বিশেষজ্ঞরাও ডলফিনগুলোর মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন।
সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে বারবার ডলফিন হত্যার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশে ডলফিনের আবাসস্থল রক্ষায় গত ১৯ অক্টোবর সরকার ‘ডলফিন সংরক্ষণ কর্ম পরিকল্পনা’ অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: ‘ডলফিন কনসারভেশন অ্যাকশন প্লান’ অনুমোদন
হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট, ওজন প্রায় ১৫ কেজি।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া এলাকার হালদা নদী থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, উদ্ধার করা ডলফিনের দেহটি পচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। ডলফিনটিকে রাম দাস মুন্সির হাট এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল আলমমের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের রামদাস মুন্সিরহাট এলাকায় নদীর মাঝখানে ভাসমান একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি ডলফিন মরে ভেসে ওঠে হালদা ও এর শাখা খালে। এগুলোতে দু-একটি বাদ দিলে প্রায় সব মরা ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করেছিল উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একাধিক ডলফিন কেটে হত্যাও করা হয়েছিল।
সমুদ্রতীরে ডলফিনের খেলা, বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে পর্যটকদের
কক্সবাজারের সমুদ্রতীরে আবারও দেখা মিলেছে ডলফিনের। এবার নিরিবলি পরিবেশে নয় মানুষের কোলাহলে বিচরণ করছে ডলফিনগুলো। সৈকত তীরে ডলফিনের খেলায় আনন্দে মেতে উঠেছে পর্যটকরা।
কক্সবাজার অঞ্চলে শীত শুরু হতেই সমুদ্রে ডলফিনের পাল দলবেঁধে খেলায় মেতেছে। সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্টের মাঝামাঝি সমুদ্র সীমানায় সূর্যের রশ্মিতে কয়েকটি ডলফিনকে খেলা করতে দেখা গেছে।
এর আগে সর্বশেষ করোনার লকডাউন সময়ে যখন সমুদ্রসৈকত বন্ধ ছিল তখন ডলফিনের নাচ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার শীতের শুরুতে অদূর সমুদ্রে দলবেঁধে দাপাদাপি করছে ডলফিনগুলো।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
শুক্রবার ও শনিবার (১২ ও ১৩ নভেম্বর) ভোরে ও সকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টের কিছুদূর সমুদ্রে ডলফিনের খেলা দেখেন পর্যটকরা।
তারা জানান, ভোরের কুয়াশা ছেদ করে যখন সূর্যরশ্মি সাগরের নীল জলে পড়ে তখন লোকজনের আনাগোনা কম থাকায় ডলফিনগুলো সমুদ্রকূলের কাছে এসে আপন মনে খেলা করছে। কখনও দু’একটা আবার কখনও দলবেঁধে সাগরজলে খেলায় মেতে উঠছে এই স্তন্যপায়ী প্রাণিগুলো।
হালদা নদী থেকে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আরও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নদীর মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়া এলাকা থেকে নৌ-পুলিশ সদস্যরা এই মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করেছে।৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির ওজন প্রায় ৪০ কেজি। এসময় হালদা নদী থেকে ৫ হাজার মিটার ঘেরা জালও জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় নৌ পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রনগরীর সদরঘাট নৌ-পুলিশের (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নৌ-পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়ার সময় মৃত ডলফিনের বাচ্চাটি উদ্ধার করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া স্যারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৯ফুট, ওজন ৩৫-৪০ কেজি।হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির পরিচালক অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদা থেকে উদ্ধার হওয়া ডলফিনটি ল্যাবরেটরিতে নিয়ে আসা হয়েছে। ডলফিনটি পচে যাওয়ায় দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন