ড্রাইভিং লাইসেন্স
অটোরিকশা চলবে নির্দিষ্ট রুটে, নিবন্ধন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক
দেশে অটোরিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর নীতিমালা আসছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় সেইসঙ্গে করা হচ্ছে নানা নিয়ম।
মহাসড়ক বাদে নির্ধারিত রুটে চলতে পারবে এসব যানবাহন। তবে কত সংখ্যক অটোরিকশা চলবে, তা ঠিক করবে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি মধ্যম গতির ও পাঁচটি ধীরগতির অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন। যাত্রাপথের ভাড়া নির্ধারণ করবে বিআরটিএ এবং এক বছরের মধ্যে সব অটোরিকশাকে নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করতে হবে। মধ্যম গতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার ও ধীরগতির জন্য ৩০ কিলোমিটার নির্ধারিত হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক নিয়মের মধ্যে আনতে ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’–এর খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশার নিবন্ধন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। কোনো এলাকায় কত সংখ্যক অটোরিকশা নিবন্ধন পাবে বা চলাচল করবে, সেই সীমা নির্ধারণ করবে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী গঠিত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি।
কোনো ব্যক্তি মধ্যম গতির ৩টি ও ধীরগতির ৫টির বেশি অটোরিকশার মালিক হতে পারবেন না। এ যানগুলো কোথায় চলাচল করতে পারবে, কোথায় পারবে না—সেটিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অন্যের টাকায় বাঁচতে চাই না,’ বাবার কথায় যা করলেন অটোরিকশাচালক
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে জানা যায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী, এ জাতীয় মোটরযানকে ফিটনেস সনদ নিতে হবে। অটোরিকশা চালকেরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসবেন।
মধ্যম ও স্বল্পগতির অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক) রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও আন্দোলনের মুখে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারগুলোর জন্য কোনো আইন, নীতিমালা বা বিধিবিধানও নেই।
কোনো সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিআরটিএ বলছে, সারা দেশে ৬০ লাখের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রয়েছে। মনে করা হয়, এর মধ্যে ঢাকাতেই রয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে, কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত ডিজাইন অনুসরণ করে এসব যানবাহন তৈরি করে। সড়কের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এ ধরনের যানের সংখ্যা নির্ধারণ করে মহাসড়ক ছাড়া সুনির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও সড়কের ধারণক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক কারিগরিভাবে ত্রুটিমুক্ত বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহসানুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘বহুসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক রাজধানীসহ সারা দেশে চলাচল করছে। ফিটনেসবিহীন এ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সংখ্যায় এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি।’
সচিব বলেন, ‘থ্রি-হুইলার বা অটোরিকশাগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন পর্যায় থেকে একটি নীতিমালা করার দাবি ছিল। আমরা একটি নীতিমালার খসড়া করেছি। বাস্তবতার নিরিখেই খসড়াটি করা হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। খুব শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত নীতিমালাটি হলে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে বিশৃঙ্খলা, তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।’
আরও পড়ুন: অটোরিকশা চলাচল বন্ধে শিগগিরই অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক
নীতিমালার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বল্প নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতাসম্পন্ন, ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের সঙ্গে একই মহাসড়কে চলাচলের সময় গতির পার্থক্যের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচল করায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে যা ভ্রমণ সময় ও বিদ্যুতের অপচয় বাড়াচ্ছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএ নির্ধারিত নমুনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার তৈরি হতে হবে এবং এর টাইপ বিআরটিএ অনুমোদিত হতে হবে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারে ব্যবহৃত দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক মোটর, কন্ট্রোলার, গিয়ার বক্স, এক্সেল, হুইল রিম, ব্রেক, স্পিডোমিটার, হেডলাইট, শক অ্যাবজরভার, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি বিএসটিআই অনুমোদিত হতে হবে। তবে বিএসটিআই এ ধরনের মোটরযানের যন্ত্রাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিআরটিএর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনুমোদিত মডেল বা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারককে বিআরটিএর তালিকাভুক্ত হতে হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত না হয়ে কোনো প্রস্তুতকারী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারবে না। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের মোটরযান বা এর যন্ত্রাংশ বাজারজাত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, উৎপাদনকারী অথবা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো আমদানিকারক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ আমদানি কিংবা বাজারজাত করলে বিআরটিএর অনুমোদন নিতে হবে। তবে শুধুমাত্র নতুন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা বিএসটিআই অনুমোদিত মানসম্পন্ন নতুন যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে। এ জাতীয় মোটরযানের নির্দিষ্ট স্থানে খোদাই করা বডি বা চেসিস নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযানের ব্যাটারি চার্জের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বৈদ্যুতিক যান চার্জিং নির্দেশিকা, ২০২১’ অনুসরণ করে নির্ধারিত স্থানে চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে।
বিআরটিএ নিবন্ধন লাগবে
সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী বিআরটিএ মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা নিবন্ধন দেবে। তবে সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, সড়ক নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সীমা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি নিজের নামে মধ্যম গতির তিনটির বেশি বা গঠিত পরিবহন কোম্পানির নামে ২৫টির বেশি অটোরিকশা ক্রয় ও নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। অন্যদিকে ধীরগতির অটোরিকশার ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি কিনতে ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অনুমোদিত ডিলার বা বিক্রেতা নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যসম্পন্ন না করে মধ্যম ও ধীরগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে পারবেন না।
এ জাতীয় মোটরযান বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ধীরগতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার, প্রস্থ ১.৫ মিটার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উচ্চতা ২.১ মিটার, সর্বোচ্চ ওজন (ব্যাটারিসহ) ৫০০ কেজি হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় না চড়তে ডিএনসিসি প্রশাসকের আহ্বান
বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত হারে কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ, হালনাগাদ ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন আবশ্যক হবে।
সর্বোচ্চ গতিসীমা
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, মোটরক্যাব রিকশা ও অটোটেম্পু এবং থ্রি-হুইল ভ্যান সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ধীরগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
এ জাতীয় মোটরযানের ইকনোমিক লাইফ ‘সড়ক পরিবহন আইন–২০১৮’ এবং ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
কোথায় চলাচল করবে, কোথায় চলতে পারবে না
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। তবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে।
মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। সিটি করপোরেশন ও ‘এ’ ক্যাটাগরির পৌরসভার ভেতরে মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও মোটরক্যাব রিকশা এবং থ্রি-হুইল ভ্যান চলাচল করতে পারবে। এর বাইরে জেলা ও উপজেলার নির্ধারিত রুটেও চলাচল করতে পারবে।
ধীরগতির অটোরিকশা শুধু জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় রুটে চলাচল করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট জেলা, মেট্রোপলিটন, উপজেলা ও ইউনিয়ন এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি এ জাতীয় মোটরযানের সংখ্যার সীমা ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রুট নির্ধারণ করবে বলে জানানো হয়েছে প্রস্তাবিত নীতিমালায়।
অপরাধের শাস্তি কী
বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করে অটোরিকশা মোটরযান চলাচল করবে এবং এর কোনো ধরনের ব্যত্যয় হলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এ বর্ণিত অপরাধের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির পরামর্শে বিআরটিএ জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ জাতীয় মোটরযানের অভ্যন্তরে যাত্রীর দৃশ্যমান স্থানে মোটরযানের মালিক ও চালকের মোবাইল ফোন নম্বর প্রদর্শন করতে হবে।
এ জাতীয় মোটরযান চালকের জন্য বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। চালনার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই চালকের সঙ্গে থাকতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরাপদ মডেলে রূপান্তরে সময় এক বছর
বিদ্যমান অনিরাপদ ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে স্বউদ্যোগে নিরাপদ মডেলের থ্রি-হুইলার মোটরযানে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় পার হওয়ার পর অননুমোদিত মোটরযানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষিকাজে ও নৌযানে ব্যবহৃত ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিন দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা অননুমোদিত যান্ত্রিক যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি উপযুক্ত অনুমোদিত যানবাহন চালুর উদ্যোগ নেবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২৩ দিন আগে
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
বহুজাতিক কোম্পানি উবারের দৌলতে রাইড শেয়ারিং এখন জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। ধরাবাঁধা কোনো সময় না থাকায় একজন উবার ড্রাইভার মুক্তপেশার মতোই উপার্জন করতে পারেন নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী। তবে এর জন্য কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এগুলো নির্ধারিত হয় মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবহন অধিদপ্তর প্রণীত বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আজকের নিবন্ধে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে জেনে নেওয়া হবে- প্রয়োজনে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার পর কীভাবে তা পুনরায় চালু করবেন।
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করার পূর্বশর্ত
মোটর বাইক বা কার থাকুক বা না থাকুক, উভয় ক্ষেত্রেই ড্রাইভার হিসেবে উবারে যোগ দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যানবাহনটির জন্য বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তি সনদপত্র নিতে হবে। নিজের গাড়ি থাকলে মালিক নিজে এই সনদপত্র নিবেন।
আর গাড়ি না থাকলে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান তথা উবার সেই গাড়ির জন্য বিআরটিএর রাইড শেয়ারিং-এ তালিকাভূক্ত করবে। এই সনদপত্র নেবার পর উবার ড্রাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করা যাবে।
এছাড়া বিআরটিএ মতে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছরের যে বয়ঃসীমা আছে, উবার বাংলাদেশের ড্রাইভারদের বেলায়ও তা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
চালক হিসেবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত পরিচিতিপত্র:
- প্রোফাইল ছবি (চালকের পুরো মুখমণ্ডলসহ কাঁধের শীর্ষভাগ ফোকাসে থাকা চশমাবিহীন উজ্জ্বল ছবি হতে হবে, যেখানে ফ্রেমে শুধুমাত্র চালকের মুখ থাকবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি বা অন্য কোনও মুদ্রিত ছবি হওয়া যাবে না।)
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স
গাড়ির (মোটর বাইক/কার) প্রয়োজনীয় নথি:
- নিবন্ধনপত্র
- ফিটনেস সনদপত্র
- ট্যাক্স টোকেন
- ইনস্যুরেন্স
যানবাহন না থাকলে আবেদনকারীকে শুধু নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
ধাপে ধাপে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি
বিআরটিএ রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে নিবন্ধন
প্রথমেই বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/register) যেয়ে ‘নিবন্ধন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ‘নিবন্ধন করুন’ এ ক্লিক করার পর ইমেইল ঠিকানা যাচাই করা হবে।
এ সময় প্রদানকৃত ইমেইলে বার্তা প্রদান এবং মোবাইল নম্বরে ওটিপি প্রদানের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হবে। যাচাই শেষে পুনরায় ইমেইল ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
এরপর প্রথমে ড্যাশবোর্ডের বাম পাশে ছবির উপরে ক্লিক করে সকল তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে।
মোটরযান নিবন্ধন
হোম পেজের ‘মোটরযান নিবন্ধন’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান সংযুক্তকরণ’ এ যেতে হবে। এখানে মোটরযানের মালিকের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চেসিস নম্বর, উৎপাদনের বছর ও ইঞ্জিন নম্বর দিতে হবে।
তারপর বাম পাশের মেনুগুলো থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সে মেনুর অধীনে ‘ড্রাইভার সংযুক্তকরণ’-এ যেতে হবে। এখানে আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। মোবাইল নম্বর ওটিপির মাধ্যমে যাচাই করা হবে।
এবার বাম পাশের ‘রাইড শেয়ারিং’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান নিবন্ধন’-এ যেতে হবে। এখানে পূর্বের ন্যায় মোটরযান নম্বর সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্যাবলি প্রদান করতে হবে।
অতঃপর রাইড শেয়ারিং কোম্পানির তথ্যে উবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং আবেদনের সময়কাল এক বছর দিতে হবে। সকল তথ্য দেয়ার পর সাবমিট করলে আবেদনটি উবারের অনুমোদনের জন্য গৃহীত হবে। অনুমোদন করা হলে তা ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
৮১০ দিন আগে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি হওয়া সত্ত্বেও কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্স তোলা নিয়ে ছিলো হাজারও ঝামেলা। গ্রাহকদের অনেকবার দ্বারস্থ হতে হতো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএর।দেশের ডিজিটালকরণ কার্যক্রম অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলোর মত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিকেও সহজ করতে শুরু করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ডের মত ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যও প্রস্তুত করা হয়েছে স্মার্ট কার্ড। এই বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সারা দেশ জুড়ে গাড়ি চালনায় বৈধতার স্বীকৃতি দিবে। চলুন, এই স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড পাওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স কী
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে এর তদারকের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিআরটিএর নতুন পরিষেবা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এই স্মার্ট কার্ডে একজন গাড়ি চালকের জীবন বৃত্তান্ত সহ গাড়ি চালনার সব তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। এর মাধ্যমে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় চালকের বৈধতা যাচাইয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের তদারকের কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
২০১৬ সালে এই কার্যক্রম শুরু হলেও স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি নিয়ে ছিলো সমূহ জটিলতা। পূর্বে বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আলাদা ভাবে আবেদন করতে হতো।
কিন্তু ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এই দুটিকে একত্রীত করে একটি কম্বাইন্ড অনলাইন ফর্ম চালু করা হয়। শুধু তাই নয়, আবেদন পদ্ধতি এবং স্মার্ট কার্ড প্রদান আরও সহজতর করার জন্য এসময় আরও কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।
চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেই বিধিমালা।
বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর সুবিধাগুলো
১) নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে ৩ থেকে ৪ বারের পরিবর্তে শুধুমাত্র একবার পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়। আর এই একদিনেই লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টও সম্পন্ন করা হয়।
২) বিএসপি পোর্টালে নিবন্ধনকারীগণ ঘরে বসেই অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড কিউআর কোড সম্বলিত লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যান। এটি মুলত স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দেশে মোটরযান চালনার অস্থায়ী অনুমতিপত্র।
৩) এছাড়াও এই পোর্টালের সেবার মধ্যে আছে লাইসেন্স ফি প্রদান, পরীক্ষার ফল জানা, স্মার্ট কার্ড আবেদন দাখিল, এবং আবেদনপত্র বা স্মার্ট কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস জানার সুবিধা।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর এই স্মার্ট কার্ড প্রতিটি গ্রাহকের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্তগুলোই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ গাড়ি চালনার জন্য আবেদনকারীর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা থাকতে হবে। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১ বছর এবং অপেশাদারের বেলায় ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো-
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন, তার অধিকাংশই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও দরকার। অর্থাৎ-
১) আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩০০/৩০০ পিক্সেল)
২) রেজিষ্টার্ড ডাক্তারের নিকট থেকে সংগৃহীত মেডিকেল সনদপত্র
৩) আবেদনকারীর এনআইডি
৪) আবেদনকারীর গ্যাস/বিদ্যুৎ/পানি যে কোন ১টি (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা তার এনআইডি থেকে ভিন্ন হলে, বর্তমান ঠিকানার ১টি ইউটিলিটি বিল)
৫) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অতিরিক্ত নথি হিসেবে লাগবে
১) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসের প্রমাণপত্র
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য এই লিঙ্কগুলো দেখুন-
http://www.brta.gov.bd/site/page/511a7af4-20c8-4450-b4a6-5f92dde1b23f/-
http://www.brta.gov.bd/site/page/4258fc8f-8aec-4895-b11d-a0b33b489af2/-
উল্লেখ্য, এই নথিগুলো অনলাইন আবেদনের পূর্বেই স্ক্যান করে প্রস্তুত রাখতে হবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যান করা ফাইল ১৫০ কেবি(কিলোবাইট), আর বাকি সবগুলো ফাইলের সাইজ ৬০০ কেবির বেশি হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
অনলাইনে বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে বিএসপি পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/)।
আবেদনের জন্য প্রথমেই নিবন্ধনের মাধ্যমে এই পোর্টালের অধীনে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এই অ্যাকাউন্টে ড্রাইভিং সম্পর্কিত গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে। চলুন, ধাপে ধাপে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি জেনে নেয়া যাক-
নিবন্ধন
প্রথমে বিএসপি পোর্টালের একদম উপরে ডানদিকে ‘নিবন্ধন’ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। পুরো নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহকের জন্ম তারিখ, এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
মোবাইল নাম্বারে আসা ওটিপি (ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড)- এর মাধ্যমে মোবাইল নাম্বারটি যাচাই করে নিতে হবে। তারপর পাসওয়ার্ড নির্ধারণের মাধ্যমে শেষ হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
এখন প্রদত্ত মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে বিএসপি পোর্টালে। যারা ইতিপূর্বে নিবন্ধন করেছেন, তারা এই সাইটের ‘প্রবেশ করুন’ মেনুতে যেয়ে লগইন করে সরাসরি নিজেদের অ্যাকাউন্টে চলে যেতে পারবেন।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
লগইনের পরপরই আসবে গ্রাহক ড্যাশবোর্ড। এর বামদিকে প্রদর্শিত মেনুগুলো থেকে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’- এর সাবমেনু ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’-এ ক্লিক করতে হবে।
এবার যে নতুন পেজটি আসবে, তাতে আবেদনের পূর্বশর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট দেখানো হবে। ‘এখানে ক্লিক করুন’ লিঙ্ক থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই ফর্মের ভিত্তিতে রেজিস্টার্ড ডাক্তার বা মেডিকেল অফিসারের নিকট থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
উপরন্তু, পেজে উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে ‘আমি সম্মত’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুয়া এনআইডি-ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, আটক ৫
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য
এই ধাপের মাধ্যমেই শুরু হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৫টি ধাপ সমন্বিত আবেদন প্রক্রিয়া। যেহেতু পূর্বে একবার এনআইডি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাই এখানে সে অনুসারে প্রাথমিক তথ্যাবলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে। তারপর ২য় ধাপে যাওয়ার জন্য ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্য
এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভাষা, ধরণ, মোটরযানের শ্রেণি, আবেদনকারির ধরণ বাছাই করতে হবে। শিক্ষানবিশ বা লার্নার এবং স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি এখানেই নির্ধারণ করতে হবে আবেদনের ধরণ নির্বাচনের মাধ্যমে।
তারপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করলে তথ্য সফলভাবে সংরক্ষিত হয়েছে- এই মর্মে একটি পপআপ বার্তা আসবে। তাতে ‘ওকে’ করে পরের ধাপে যেতে হবে।
আবেদনকারির প্রাথমিক তথ্য
এখানে কিছু তথ্যাদি এনআইডি অনুসারে আগে থেকে প্রদর্শিত থাকবে। কিছু তথ্য টাইপ করে লিখতে বলা হবে। তন্মধ্যে লাল তারকা চিহ্নিত বক্সগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এনআইডির বাইরে আবশ্যিক তথ্য হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা এবং দ্বৈত নাগরিকত্ত আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। এরপর ‘নেক্সট’- এ ক্লিক করে পূর্বের ন্যায় পপআপ বার্তায় ‘ওকে’ করতে হবে।
ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য
এই ধাপে আবেদনকারির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সহ জরুরি যোগাযোগের তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এনআইডিতে থাকা স্থায়ী ঠিকানা বামদিকে বাংলায় প্রদর্শিত থাকবে, আর ডানদিকে সেগুলো ইংরেজিতে লিখতে হবে।
বর্তমান ঠিকানা যদি এখনও অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে ডান দিকে একইভাবে ইংরেজিতে লিখতে হবে। তা না হলে ‘না’ বাটনে ক্লিক করে পরিবর্তিত বর্তমান ঠিকানা বাম পাশে বাংলায় আর ডান পাশে ইংরেজিতে টাইপ করে লিখে দিতে হবে। তারপর সেই আগের মত ‘নেক্সট’ এবং ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
সংযুক্তি ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ তথ্য
এই শেষ ধাপে আগে থেকে সংগ্রহে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপিগুলো সংযুক্ত করতে হবে। ‘চুজ ফাইল’-এ ক্লিক করে সফলভাবে আপলোড করার পর ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করলে ফাইলগুলো সংযুক্ত হয়ে যাবে। ‘দেখুন’ বাটনে ক্লিক করে তা একবার দেখে নেয়া যেতে পারে।
ডাকযোগে কার্ড প্রেরণের জন্য ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্দিষ্ট করা থাকবে। তবে গ্রাহক কার্ড প্রাপ্তির জন্য নিজের সুবিধা মত স্থায়ী বা বর্তমান যে কোন ঠিকানা বাছাই করতে পারেন। এমনকি এর বাইরে অন্য জায়গাও তিনি ঠিক করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘আদার্স’ নির্বাচন করে পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করে দিতে হবে।
সবশেষে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করার পর শেষ বারের মত তথ্য যাচাই করতে বলা হবে। এখানে কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন হলে আবেদনকারি প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে নিতে পারবেন। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ‘ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ফি জমা
এখানে মনে রাখা জরুরি যে, এখানে শুধুমাত্র লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
পুরো আবেদনটি প্রথমে এক নজরে দেখানো হবে। সব ঠিক থাকলে ‘ফি জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘পেমেন্ট কনফারমেশন’ পেজে যেতে হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার সহ ফি জমা দেয়ার মাধ্যম উল্লেখ করার পর পেমেন্ট শর্তাবলির পাশের বক্সটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। তারপর ‘নিশ্চিত’ বাটনে ক্লিক করলে ফি সফলভাবে জমা হওয়ার একটি পেজ প্রদর্শিত হবে।
এখানে ‘প্রিন্ট লার্নার’ বাটনে ক্লিক করলে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ‘হেয়ার’ বাটনে ক্লিক করলে মানি রিসিপ্ট প্রিন্ট হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য আবেদন
অনলাইন আবেদনের এই অংশে আসার পূর্বে অবশ্যই ড্রাইভিং- এ দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিএসপি পোর্টালে গ্রাহক ড্যাশবোর্ডে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’ মেনুতে ক্লিক করলে দেখা যাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ হওয়ার বার্তাটি। এছাড়া আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারেও জানানো হবে পরীক্ষার ফলাফল।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তি
‘দেখুন ও পরবর্তী ধাপ’ বাটনে ক্লিক করলে সংযুক্তির পেজটি প্রদর্শিত হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় সংযুক্ত নথিগুলো এখানে আগে থেকেই সংযুক্ত দেখাবে।
আলাদা ভাবে আপলোড করতে হবে পাস লার্নার; তথা ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা উত্তীর্ণের প্রমাণপত্র। এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথির সংযুক্ত করা যেতে পারে।
ফি পরিশোধ
ব্যাংকের মাধ্যমে ফি দিতে হলে ‘ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা’ আর অনলাইনে দিতে হলে ‘অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনের ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট পেজে ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করে পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে।
আর ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রদত্ত মানি রিসিপ্টে উল্লেখিত ই-ট্র্যাকিং নাম্বারটি সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর তা ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর প্রবেশ করুন’ ঘরে লিখে ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর যাচাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরিশোধের যাবতীয় তথ্য এক নজরে প্রদর্শন করা হবে। তারপর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলেই চূড়ান্ত ভাবে সম্পন্ন হবে ফি পরিশোধ।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন দাখিল করা শেষ। এখন এটি বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত হলে ড্যাশবোর্ডে ই-পেপার লাইসেন্স ফর্ম প্রদর্শন করা হবে। এটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও স্মার্ট কার্ড আসার আগ পর্যন্ত লাইসেন্সের সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে ড্যাশবোর্ডে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতির সার্বিক কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে ড্যাশবোর্ডে তা প্রদর্শন করা হবে। পরিশেষে আবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডটি।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শুধুমাত্র বিএসপি পোর্টালের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। যে কোনও একটি মোটরযানের জন্য ফি ৫১৮ টাকা, আর দুইটি মোটরযানের জন্য ফি ৭৪৮ টাকা।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় ১০ বছর মেয়াদী অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য দিতে হবে ৪ হাজার ৫৫৭ টাকা। আর ৫ বছর মেয়াদের পেশাদার লাইসেন্সের জন্য খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৮৩২ টাকা।
শেষাংশ
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় প্রথম সতর্কতা হলো প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া। কোনও ভুয়া তথ্য দেওয়া হলে লার্নার এবং স্মার্ট কার্ড উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্যদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি আমলে নিতে হবে। কেননা অকৃতকার্য হলে আবার নতুন করে পরীক্ষার জন্য তারিখ চেয়ে আবেদন করতে হবে। তাই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড হাতে পেতে হলে এই বিষয়গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
৮১৪ দিন আগে
সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সিলেটে রবিবার সকাল থেকে আহুত অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
শনিবার (৯) বিকেল ৪টার দিকে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সানাউল হকের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিক ফেডারেশন ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে সিলেট বিআরটিএতে সৃষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বেশ কয়েকটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং পরিবহন শ্রমিকদের বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হয়। বিআরটিএ সিলেট অফিসের সংশ্লিষ্টরা পরিবহন শ্রমিকদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা সজীব আলী উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে আগামীকাল রবিবারের ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট প্রত্যাহার: ৩ দিন পর রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু
এর আগে বিআরটিএ’র দুই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিলেট বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী দেলোয়ার সঠিক প্রক্রিয়ায় কোনো গাড়ির কাগজপত্র বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট সময়ে দেন না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
১৩৩৫ দিন আগে
ভুয়া এনআইডি-ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, আটক ৫
ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার র্যাবের প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-প্রতারণা চক্রের মূলহোতা মো. গোলাম মোস্তফা (৬০), তার সহযোগী মো. জালাল বাশার (৫৪), মো. মুসলিম উদ্দিন, মো. মিনারুল ইসলাম মিন্নি (২২), ও মো. তারেক মৃধা (২১)।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে খুলনায় আটক ১১
র্যাব জানায়, সম্প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে বিভিন্ন দ্রব্য বেচাকেনার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন প্রকার জাল সনদ তৈরি করে আসছেন। বর্ণিত বিজ্ঞাপণটি র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের নজরে আসলে র্যাব উক্ত চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আটকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার র্যাব-৩ রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, শাহজাহানপুর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করে র্যাব।
এছাড়া অভিযানে দুটি কম্পিউটার, ২ হাজার ৪৬০টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের জাল প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ, ২৬টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যামেরা, কার্ড প্রিন্টার, ১৮টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৮০টি সাদা রঙের প্লাস্টিকের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ব্লাঙ্ক কার্ড, ৫০টি স্বচ্ছ কার্ড হোল্ডার, দুই রিল সিকিউরিটি লেমিনেটিং পেপার, চারটি সফটওয়্যারের সিডি, চারটি পেনড্রাইভ, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী ও তার বর্তমান স্বামী আটক
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছে, তারা সাত জনের একটি চক্র। গত আট বছর যাবৎ ভুয়া এনআইডি কার্ড, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট ও অন্যান্য জাল নথিপত্র তৈরি করে আসছে।
আটক বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১৩৫৪ দিন আগে
খুলনায় মাঠেই পচছে তরমুজ
করোনাভাইরাসের থাবায় দিশেহারা খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপের তরমুজ চাষিরা। ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় ও পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না থাকায় মাঠেই পচতে শুরু করেছে কৃষকের উৎপাদিত তরমুজ।
২০৩২ দিন আগে