বাজার
কিছুতেই নাগালে আসছে না সবজির দাম
গত তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সবজির দাম। কিছুতেই ক্রেতাদের নাগালে আসছে না দাম, বেশিরভাগ সবজিই কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে সবজি কিনতে এসে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা।
শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ক্রেতা শামীমা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, ‘এখনো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। বেগুনের দাম এত কীভাবে হয়? যে পটল সারাবছর ৫০ টাকা কেজি ছিল, তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এভাবে সবজির দাম বাড়তি থাকলে নিম্নআয়ের মানুষ খাবে কী?’
বাজার ঘুরে এই ক্রেতার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায়, ভালো মানের গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে, লম্বা বেগুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা ও সাদা বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
বেগুনের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও। কেজিপ্রতি পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, জালি কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজারে আগুন দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি, ঊর্ধ্বমুখী প্রতিটি পণ্যের দাম
সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। তবে আগের সপ্তাহগুলোর তুলনায় পেঁপের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে উঠেছে নতুন শিম, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি।
উত্তর বাড্ডার সবজি বিক্রেতা আসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্যান্য সময়ের তুলনায় সবজির সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। বছরের এ সময়ে এমনিতেই সবজির সরবরাহ কম থাকে। এর মধ্যে প্রতি ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হচ্ছে। এতে করে দাম বেশি।’
আরেক সবজি বিক্রেতা মনসুর বলেন, ‘আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাজারে বাড়বে সরবরাহ। তখন সবজির দাম কিছুটা কমে আসবে। তার আগে সবজি এমন বাড়তি দামেই বিক্রি হবে।’
সবজির উচ্চমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে শাকেরও। প্রতি মুঠো কলমি, পালং, হেলেঞ্চা শাক আগে ১০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
লাউ শাক, কুমড়া শাক মুঠোপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ ছাড়া কাঁচামরিচ বাজারে এখনো উচ্চদরেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে।
তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি।
মসুর ডালও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বড় দানার মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং ছোট দানার মসুরের ডাল কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: দাম কমেছে ইলিশের, উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার
মুরগি, গরু, খাসি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। দাম অপরিবর্তিত আছে ডিমেরও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি স্থানভেদে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০ টাকা। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসী ৯০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।
মাংসের মতো মাছের বাজারেও আসেনি তেমন কোনো পরিবর্তন। আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এক কেজির ওপরে ইলিশের কেজি দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজির নিচে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা এবং ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।
গলদা চিংড়ি কেজিপ্রতি সাইজভেদে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ থেকে হাজার টাকা। রুই মাছ কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কালবাউশ ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবজির দাম না কমলে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। আবার ডিম থেকে মুরগি থেকে মাছ এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম না কমলে আগামী মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
৯৮ দিন আগে
পলিথিনমুক্ত মডেল বাজার কমিটিকে পুরস্কৃত করা হবে: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ বন্ধে আগে নিজেকে বদলাতে হবে, পরে সমাজ বদলাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকমুক্ত মডেল বাজার গড়া সম্ভব। এ রকম বাজার গড়ে উঠলে কমিটিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হবে। তিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংগঠনকে যুক্ত করে কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, নদী-খাল ভরাট হচ্ছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহে প্রবেশ করছে। সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান পরিচালনা করছে এবং পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শব্দদূষণকারীদের প্রতিহত করতে হবে: পরিবেশ সচিব
পরিবেশ সচিব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোরভাবে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’ অনুসরণ করার নির্দেশ দেন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।
সভার সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু মূল প্রবন্ধে পলিথিনের ক্ষতি ও সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, বন বিভাগ, সরকারি দপ্তর, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত দেন। প্রধান অতিথি জানান, উপস্থাপিত মতামত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২১৯ দিন আগে
সীমান্তে আটকে ৬ শতাধিক ট্রাক, আমদানির সময় শেষের আগেই চালের বাজার গরম
দেশে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে সরকারের শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী পরশু (১৫ এপ্রিল)।
কিন্তু ২ আগে এরই মধ্যে আমদানি করা চালের কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ২ থেকে ৩ টাকা করে। ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে পয়লা বৈশাখের সরকারি ছুটি দিনেও সোমবার বন্দরে ভারত থেকে চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে আজ (রবিবার) বিকাল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এ বিষয়ে অনুমতি মেলেনি।
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এই অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে বেশি পরিমাণে চাল আমদানি করা হচ্ছে। এর আগে সরকার দুই দফায় আমদানির সময়সীমা বাড়িয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। মেয়াদ বাড়ানো হলেও আমদানিকারকরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এলসি জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে আমদানি করতে পারেননি। তাই তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো গেলে বরাদ্দকৃত চালের চালান দেশে পুরোপুরি আমদানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
তারা আরও জানান, বেশ কিছুদিন থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি অব্যাহত রাখা হলেও দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের হিলি ট্রাক পার্কিংয়ে ৬ শতাধিক আমদানিকৃত চালবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
আজ (রবিবার) হিলি স্থলবন্দরের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোপূর্বে ভারত থেকে যেখানে ৪০-৫০টি ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করত, সেখানে ঈদের ছুটির পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১২০টি ট্রাক দেশে ঢুকছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমাদের দেশের কৃষকের উৎপাদিত বোরো চাল বাজারে আসতে এখনো অন্তত মাসের অধিক সময় লাগবে। এদিকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা রয়েছে। আমদানির মেয়াদ শেষ হওয়ার খবরে ইতোমধ্যে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে; অনেক চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, স্বর্ণা ৫ জাতের চালের দাম ছিল ৫২ টাকা, এখন সেই চাল ৫৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সম্পা কাটারি জাতের চাল বিক্রি হচ্ছিল ৬৭ টাকায়, এখন কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে।
এই আমদানিকারকের দাবি, বাজার আরও অস্থির হয়ে পড়তে পারে। ভারতের হিলিতে পাইপলাইনে ৬ শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সরকারের উচিত হবে সেগুলো দেশে প্রবেশে আমদানির মেয়াদ আরও অন্তত ১৫ দিন বাড়ানো।
হিলি বন্দরে নওগাঁ থেকে চাল কিনতে আসা পাইকার তোতা কুমার দাস বলেন, ‘২/৩ দিন আগে ৬৭ টাকা কেজি দরে ১২০ টন সম্পা কাটারি জাতের চাল কিনেছি। অথচ গত শনিবার তা ৬৯ টাকা দরে কিনতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে দাম বাড়েনি, কিন্ত দেশে কেন দাম বেড়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না।’
হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন কুমার পাল জানান, ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা ৫ জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, সম্পা কাটারি জাতের চাল ৩ টাকা বেড়ে ৭১ টাকা, মিনিকেট ৫ টাকা বেড়ে ৭৪ টাকা, গুটি জাতের চাল ৪ টাকা বেড়ে ৫৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আটদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু হিলি স্থলবন্দরে
হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মো. শফিউল বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নন-বাসমতি দুই ধরনের চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত ১১ নভেম্বর থেকে এই শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত ৪ হাজার ৯২৬টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ লাখ ৮ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল এবং ৯৪৮টি ট্রাকে ৪০ হাজার টন নন-বাসমতি আতপ চাল শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাল (সোমবার) পয়লা বৈশাখের দিন সরকারি ছুটি। এদিনও ভারত থেকে চাল আমদানি করার জন্য বন্দরে আমদানিসহ কার্যক্রম চালু রাখতে আজ দুপুরে বন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনারের সঙ্গে বন্দরের ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠক করেছেন।’
২৩৫ দিন আগে
টানা পতনে ঢাকার বাজার, সূচক কমলো চট্টগ্রামেও
টানা দুই দিন পতনের মুখে পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক। অন্যদিকে প্রথম কার্যদিবসে উত্থান হলেও দ্বিতীয় দিনে পতন হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে সিংহভাগের। ৯৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২২১ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির।
‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৭ কোম্পানির ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড সর্বোচ্চ ৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
প্রথম ঘণ্টার পর দর কমতে শুরু করলে ডিএসইতে রীতিমতো শেয়ার বিক্রির ধুম নামে। এতে করে বাজার আরও পয়েন্ট হারিয়েছে। সূচক কমলেও শেয়ার বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে ঢাকার বাজারে।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইতে ৫০৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতদিন ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৪৮ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সোমবার ডিএসইর শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলস লিমিটেড এবং সাড়ে ৪ শতাংশের ওপর দাম হারিয়ে তলানিতে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯৯, বেড়েছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের জায়গা করে নিয়েছে আইসিবি এএমসিএল থার্ড মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে সমরিতা হাসপাতাল।
২৬৩ দিন আগে
ভরিতে ২৬১৩ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুসের রবিবারের (১৬ মার্চ) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (১৭ মার্চ) থেকেই কার্যকর হবে নির্ধারিত নতুন এই মূল্য।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বাড়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সবশেষ গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে ভরিতে ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ বার এবং ৪ বার কমানো হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
২৬৩ দিন আগে
‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাং-জুস-গ্লুকোজে সয়লাব রমজানের বাজার
জিনজিরা; ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের এই স্থানটির খ্যাতি এক বিশেষ কারণে—নকল পণ্য উৎপাদনে এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার। মেশিনারি, গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে প্রসাধনী, নকল খাদ্যসামগ্রী—কী উৎপাদন হয় না সেখানে! স্থানটির এতই খ্যাতি যে, দেশে নকল কোনো পণ্য বোঝাতে ‘মেইড ইন জিনজিরা’ ট্যাগ লাগিয়ে দেন অনেকে।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পবিত্রে রমজান মাসে জিনজিরায় তৈরি নকল ট্যাং, জুস ও গ্লুকোজে ইতোমধ্যে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় নকল ও ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সেসব সরবরাহ করছে। মফস্বল পর্যায়ের গ্রাহকরা এসব নকল খাদ্যসামগ্রী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন, পড়ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
চিকিৎসকদের মতে, এসব ভেজাল পণ্য পাকস্থলি ও ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি জেনেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, মান্দাইল, আমিরাবাগ, বোরহানিবাগ, শুভঢ্যা, আগানগর, কালীগঞ্জ ও কাজিরগাঁও এলাকায় রমজান মাসে সৃষ্ট চাহিদার কথা মাথায় রেখে নকল ও ভেজাল অরেঞ্জ ও ম্যাংগো ড্রিঙ্কস পাউডার (ট্যাং) এবং বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির মোড়ক নকল করে কিটক্যাট, মিমিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট তৈরি ও বিক্রি চলছে দেদারসে।
বিগত সময়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় এই সমস্ত ভেজাল খাদ্য উৎপাদন কারখানা প্রায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর র্যাবের পক্ষ থেকে ভেজালবিরোধী তৎপরতা একেবারেই নেই। এই সুযোগে আসাধু ব্যবসায়ীরা আবার জেগে উঠেছে নতুন রূপে।
সরজমিনে উপজেলার গদাবাগ, মুক্তির বাগ, আমিরাবাগ, নেকরোজ বাগ, খোলামোড়া, জিয়ানগর ও তেঘরিয়া, শুভঢ্যা, আগানগর কালীগঞ্জ, কাজিরগাঁও ও আব্দুল্লাহপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল ও নকল শিশুখাদ্য তৈরি করে অতি চতুরতার সঙ্গে সেসব বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া চলছে।
মুক্তিরবাগ এলাকায় একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক হাত দিয়েই বোতলে ভরছেন ভেজাল জুস। এই কাজে হাতে গ্লাভস পরার প্রয়োজনীয়তাও মনে আসেনি তাদের। মাথায় চুলের জাল (হেয়ারনেট) না পরেই অরেঞ্জ ড্রিংকস বোতলজাত করছেন তারা। আবার অরেঞ্জ ড্রিংকস পাউডার মোড়কজাত করার সময় বাতাসে তা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না যায়, সেজন্য ফ্যান বন্ধ করে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এতে করে তারা ঘেমে একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে যাচ্ছেন।।
সেখানে কথা হয় কারখানাটির ম্যানেজার শাকিল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, তাদের বিএসটিআই ও পরিবেশ ছাড়পত্র আছে। তবে দেখতে চাইলে সেগুলো দেখাতে পারেননি তিনি।
ল্যাব আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি অকপটে ল্যাব না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কাছে রেসিপি আছে। সেই অনুযায়ী আমরা ড্রিংকস পাউডার প্রস্তুত করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাই। পরে আমাদের বিক্রয়-প্রতিনিধি পণ্যগুলো বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করেন।’
এ সমস্ত ভেজাল ও কৃত্রিম রং মিশ্রিত অরেঞ্জ ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই ভালো। এখানে সবকিছুই হজম হয়ে যায়। কয়েক বছর যাবত তো এই প্রোডাক্ট মার্কেটে বিক্রি করছি; কোথাও থেকে কখনও কোনো দুঃসংবাদ এখনও পাইনি।’
তবে এসব ভেজাল খাদ্যসামগ্রী স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আমিন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনায় মুখ থুবড়ে পড়েছে নরসিংদীর বিসিক শিল্পনগরী
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম রং মিশ্রিত ভেজাল ড্রিংকস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব ড্রিংকস সবচাইতে বেশি লিভার ও কিডনিকে আক্রান্ত করে এবং শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।’
এই চিকিৎসকের মতে, ‘ছোট শিশুদের জন্য এগুলো আরও বেশি ভয়াবহ, কারণ এতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।’
২৭৩ দিন আগে
মতলব বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ দোকান ভস্মীভূত, আহত ১৫
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের মতলব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। আগুন নেভাতে গিয়ে বিভিন্ন দোকানের ১০-১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাজারের পূর্ব দিকে অবস্থিত মাইকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা ফায়ার ফাইটার ও ব্যবসায়ীদের। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে তা দোকান থেকে দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে বাজারে আগুন লাগার কথা ঘোষণা করা হলে বাজারের ব্যবসায়ীসহ উপস্থিত লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে যান।
এরপর খবর পেয়ে চাঁদপুরের সহকারী উপপরিচালক সৈয়দ মোরশেদ হোসেনের নেতৃত্বে মতলব দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনের একটি দল অগ্নিনির্বাপণে যোগ দেয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একটি পাম্প হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়ায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতেও ফায়ার ফাইটারদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের দলটি। এ সময় বিভিন্ন দোকানের ১০-১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে আগুন, অধিকাংশ দোকান ভস্মীভূত
বাজারের ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম জানান, বাজারের মাহিন মাইক সার্ভিস ব্যাটারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তারপর আগুন পাশের হরিজন পল্লীতে ছড়িয়ে পড়ে।
মাহিন মাইক সার্ভিসের মালিক মেহেদি জানান, তার দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় তার স্ত্রী আগুনের ভয়াবহতা দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে জানান তিনি।
আগুনে একটি মাইকের দোকান, তিনটি মুদি দোকান, তিনটি কাপড়ের দোকান, দুটি হার্ডওয়ারের দোকান এবং আশপাশের আরও ৬টি দোকান ও বসতঘরও পুড়ে গেছে। এ দুর্ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোর্শেদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।’
২৮০ দিন আগে
বাজার তদারকি বাড়াচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আসন্ন রমজান মাসে জোরদার হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি। আগামীকাল থেকে ঢাকা মহানগরীর বাজার তদারকিতে কাজ শুরু করবে তিনটি টিম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে গঠিত টিমের টিম লিডারদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আব্দুর রহিম কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন। টিম লিডারদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম নিয়মিতভাবে ঢাকা মহানগর এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় স্পেশাল টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার তদারকি করে থাকে। এর পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বাজার তদারকি করে থাকে। এতে করে অবৈধ মজুতদার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করতে পারে না। রমজানকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আরো নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত অভিযানে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে নিয়মিত দুটি টিম বাজার মনিটরিং করলেও রমজান উপলক্ষে আগামীকাল থেকে প্রতিদিন তিনটি টিম বাজার মনিটরিং বা তদারকি করবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে ছয়টি টিম কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে তদারকিতে থাকবে তাদের দশটি টিম। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় লিফলেট বিতরণ ও স্থানীয় বাজার কমিটির মাধ্যমে মাইকিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ও সুপারশপে তদারকি কার্যক্রম চলবে।
২৯০ দিন আগে
নতুন বছরে সঞ্চয় বাড়ানোর কয়েকটি উপায়
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালেও জনজীবনের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ হিসেবে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান নিষ্পেষণ। জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ক্রমশঃ হুমকিতে ফেলছে। মৌলিক চাহিদা মেটাতেই যেখানে ঋণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা, সেখানে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। আবার সঞ্চয় ব্যতীত জীবন আরও অবনতির দিকে ধাবিত হয়।
তবে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও চরম সংকট মোকাবিলায় মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। চলুন, আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে সঞ্চয় বৃদ্ধির কয়েকটি প্রয়োজনীয় উপায় জেনে নেওয়া যাক।
সঞ্চয় বৃদ্ধির ৫টি কার্যকর কৌশল
জীবনের দৈনন্দিন লেনদেনে নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতি অবলম্বনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের নির্ভরযোগ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে-
সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট তৈরি
প্রত্যেকটি ছোট ছোট বিষয়কে বিবেচনায় রেখে একটি বিশদ বাজেট পরিকল্পনা গড়ে দিতে পারে আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি। এখানে আয়ের উৎসের বিপরীতে ব্যয়ের শ্রেণি বিভাজন হওয়ার কারণে সম্ভাব্য খরচের খাতগুলো স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
আরো পড়ুন: ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বাজেটে সঞ্চয়ের জন্য জায়গা রাখার কৌশল হচ্ছে শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় ব্যয়ের খাতগুলোকে আমলে নেওয়া। সেই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচগুলো চিহ্নিত করে রাখা উচিত, যেন সেগুলো থেকে দূরে থাকা যায়।
আকস্মিক জটিলতাগুলোর জন্য আগে থেকেই বিকল্প রাস্তা বের করে রাখা জরুরি। বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে এমন সময় আসা খুবই স্বাভাবিক যখন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে না। এই বিষয়গুলোকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে সেগুলোর প্রতিটির জন্য একটি বিকল্প নিরাপদ পন্থা বের করে রাখতে হবে। এর জন্যও কিছু জরুরি তহবিল রাখা বাঞ্ছনীয়।
স্প্রেডশিটযুক্ত (এক্সেল) মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপটি সহজেই নেওয়া যায়। এই সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এগুলো রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সম্পন্ন, অর্থাৎ তাৎক্ষণিক নিজের তৈরি করা বাজেটের ওপর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়। ফলে শুধু পরিকল্পনাই নয়, সে অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যানগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখা সম্ভব হয়। প্রতিটি ব্যয়ের খাতের জন্য মাসিক আয়ের যে শতাংশ বরাদ্দ ছিল, সেই সীমা অতিক্রম করছে কিনা তা নজরে আসে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচ কমানো
প্রয়োজনীয়তার মাত্রার নিরিখে প্রতি মাসের জন্য অবধারিত খরচগুলোর শ্রেণিবিন্যাস করা উচিত। এগুলোর মধ্যে কিছু থাকে যেগুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না, যেমন: বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল। আবার এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং এনার্জি সেভিং যন্ত্রাদি ব্যবহারের মাধ্যমেও খরচ অনেকটা কমে আসে।
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচের কিছু খাত রয়েছে যেগুলো মূলত জীবনধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট বিল, ফোন বিল, ওটিটি সাবস্ক্রিপশন এবং জিমের সদস্যতা। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক পরিষেবা বাদ দিয়ে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিশেষ করে আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ক্যাবল টিভি ও ওটিটি বিলের পুরোটাই বাদ দেওয়া যায়। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হলে ফোনের বিলের ওপর থেকেও চাপ কমে যাবে।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
তাছাড়া নিতান্তই বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে বা দর কষাকষির মাধ্যমে কম খরচের পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে।
কৌশলগত বিনিয়োগ
বিনিয়োগ আসলে সঞ্চয়ের কোনো প্রত্যক্ষ উপায় নয়। কিন্তু এই বিচক্ষণ কার্যক্রমটির পথ ধরে আসে সঞ্চয়ের সুযোগ। সঞ্চয়পত্র বা সরকারি বন্ডের মতো তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করা হলে সঙ্গতিপূর্ণ রিটার্ন দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনে।
ঝুঁকি বেশি থাকা খাতগুলোর মধ্যে স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ড বা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড দিয়ে সর্তকতার সঙ্গে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও গড়া যেতে পারে। এগুলো সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে টেক্কা দিতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। মোটা দাগে বলতে গেলে, এ বছরের শুরু থেকে সঞ্চিত ১০০ টাকা নতুন বছরে গিয়ে হয়ে যাবে ৮৮ টাকা। ফলে ১০০ টাকা দামের কোনোকিছু কিনতে গেলে তার সঙ্গে আরও ১২ টাকা যুক্ত করতে হবে। তাই কমপক্ষে ১৩ শতাংশ রিটার্ন দেওয়া কোনো খাতে বিনিয়োগ করা হলে প্রাপ্ত মুনাফা থেকে লেনদেনের পরও ১ টাকা সঞ্চয় হিসেবে থেকে যাবে।
এভাবে সুচিন্তিত বিনিয়োগ পরোক্ষভাবে সঞ্চয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে। এছাড়া সরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াতের সুবিধাটিও অর্থ সঞ্চয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম।
ডিসকাউন্ট ও ফ্রি অফারে গুরুত্বারোপ
দৈনন্দিন কেনাকাটার সময় মূল্যহ্রাস ও ফ্রি সামগ্রীগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া টাকা বাঁচানোর সবচেয়ে পুরনো ও সহজ উপায়। ব্র্যান্ড, সাধারণ, খুচরা ও পাইকারি-নির্বিশেষে প্রতিটি বিপণী বছরজুড়ে নানা উপলক্ষে ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক বা রিডিমযোগ্য পয়েন্টের ব্যবস্থা রাখে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দৌলতে এগুলো আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থাকার কারণে যাতায়াত খরচ বাঁচিয়ে ঘরে বসেই হ্রাসকৃত মূল্যে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ব্যবহারেও থাকে মূল্যছাড়ের অফার।
এছাড়া সিজনাল সেলস ও স্টক ক্লিয়ারেন্স ইভেন্টগুলোর প্রতিও নজর রাখা উচিত। সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য এটি সবচেয়ে আদর্শ উপায়।
সর্বদা সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম সহনীয় যতক্ষণ না সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে, ততক্ষণ অপেক্ষা করা উচিৎ। বিশেষ করে সাধারণ মুদিপণ্যের ব্যাপারে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। দাম না কমলে তা পরিহার করতে হবে। মৌসুমি সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
যাতায়াতের যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা উচিত। বর্তমানে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা সর্বত্র বিদ্যমান। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যতটা সম্ভব কম যাতায়াত করে প্রাত্যহিক কর্ম সম্পাদনের চেষ্টা করা উচিত। একটি ছোট ফোন কল বা হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব, যার জন্য আগে সশরীরে দেখা করার কোনো বিকল্প ছিল না।
এই কার্যক্রমগুলো প্রতিদিনের যাতায়াত খরচকে অল্প অল্প করে কমিয়ে দেয়। অথচ সপ্তাহ ও মাসের হিসাবে এগুলোই খরচের বোঝাও ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করে।
এই পন্থাগুলো মূলত জীবনধারণ পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে। পরিমিত বাজেট অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে সঞ্চয়ের অভ্যাসের জন্য মনকে প্রস্তুত করাও জরুরি।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
২০২৫ সাল আসতে আর বেশি দেরি নেই। প্রত্যেকের আর্থিক জীবনপ্রবাহেও পড়বে নতুন বছরের প্রভাব। তাই এখন থেকেই ব্যয়ের বাজেট প্রণয়ন ও সঞ্চয় বৃদ্ধির বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।
শেষাংশ
সঞ্চয় বৃদ্ধির উল্লিখিত কৌশলগুলোকে সমন্বয় করা মূলত আর্থিক স্থিতিশীলতারই নামান্তর। বাজেট প্রাথমকিভাবে আর্থিক স্বচ্ছতার ভিত্তি স্থাপন করে। পুনরাবৃত্তিমূলক খরচগুলো কমানো গেলে তা দিন শেষে অতিরিক্ত সঞ্চয়ের জন্যই জায়গা তৈরি করে।
এছাড়া, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো কৌশলগত বিনিয়োগ। ডিসকাউন্ট, ফ্রি অফারের পাশাপাশি যেকোনো কাজে সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন অনাকাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদ্ধতিগুলো বাজেটবান্ধব জীবনধারণের প্রতি তাগিদ দেয় যেখানে থাকবে না ঋণের দুশ্চিন্তা ও অপ্রাপ্তির বিড়ম্বনা।
৩৪২ দিন আগে
খুলনার বাজারে শীতকালীন সবজি আসলেও দামে নাগাল পাচ্ছে না ক্রেতারা
শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে খুলনা মহানগরীসহ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন নানা সবজি। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসেনি।
মাঝে মধ্যে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর অতিরিক্ত মূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে ফেলেছে বেকায়দায়। তাই চড়া বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: যশোরে ৪৩২৩ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ
এদিকে পাইকগাছা উপজেলা সদর চাঁদখালী বাঁকা কপিলমুনিসহ বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে দোকানির ওপরে ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শীতের শুরুতেই বাজারে সকল ধরনের সবজির দাম আকাশ ছোয়া। যা নাগালের বাইরে।
বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ১২০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাটেঙ্গা বাজারে বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা বলেন, ‘সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেনার সাধ্য নেই। আগে যে টাকায় সকল কিছু হয়ে যেত এখন আর সেই টাকা দিয়ে খাওয়াটাই হচ্ছে না। তাহলে কেমনে বাঁচব।’
এছাড়া সকল জায়গায় ভোগান্তি, তবুও বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ কখনোই দেখলাম না বলে জানান বাজার করতে আসা শাহিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান উন্নত করতে পারেনি শীতকালীন বৃষ্টি
দামের বিষয়ে চাঁদখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদুল বলেন, ‘গেল কয়েকদিন ধরে সবজির দামটা অনেক বেশি। কারণ উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা শীতকালীন শাকসবজি বাজারে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বাজারের ৭ থেকে ৮ ধরনের সবজির দাম ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই এবং বাকি সকল সবজির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে হবে বলে জানান তিনি।
সচেতন মহলের লোকজন বলছেন, বাজারে সবজির দাম বেড়ে চলেছে। এই সময় বেশিরভাগ নতুন সবজি বাজারে আসে। কিন্তু বাজারের দাম চড়া।
তবে আমরা মনে করি বাজার যদি ঠিক মতো তদারকি করা হয় তবে দামটা অনেকটাই কমবে। তবে পুরোপুরি শীত চলে আসলে নতুন সব সবজি বাজারে উঠবে, তখন সবজির দাম অনেক কমে যাবে। বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম, সে কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজগঞ্জে শীতকালীন পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত কৃষক
৩৮৪ দিন আগে