বাজার
‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
খুলনার কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দুই গুণ আবার কোনোটিতে দাম বেড়েছে দেড় গুণ। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি। এতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২৪ জুন) খুলনার নতুনবাজার, দৌলতপুর বাজার, গললামারী বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার ঘুরে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ আবু নাসের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসে এই মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরছি। কিছু কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
দৌলতপুর বাজারের রহমান শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ঢেঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, ডাটাশাক ৩০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
চাঁদপুরের মাছ বাজারগুলোতে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে।
এদিকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মাছের আড়ত ও বাজারগুলোতে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে দাম কমের দিকে।
ইলিশ মাছের দাম কমায় ইলিশ প্রিয় ভোজন রসিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির ইলিশ মাছ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ছয় থেকে সাত দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
জেলা শহরের ব্যস্ততম বিপনীবাগ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মিজি, সাজাহান সরদার, জাকির হোসেন, জলিল মিয়া ও আ. হামিদ বাবু জানান, এসব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার, চরফেশন, হাতিয়া, লালমোহন, নোয়াখালী বরগুনা ও স্বন্দীপের। এছাড়া পাল বাজার, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারলেসবাজার, বাবুরহাট, বহরিয়া, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পুরানবাজারের গরিব-দুঃখীদের বাজার নামে খ্যাত ‘বউ বাজারে’ একটু নরম বা রিজেক্টেড ইলিশ মাছ সস্তায় (৩০০/৪০০/৫০০ টাকা) পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আ. সোবহান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান ও খোকন মিয়া জানান, চাঁদপুরে ঝকঝকে সাদা পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খুব কম। বলতে গেলে ১০ শতাংশ। এদিকে শনিবার সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ পদ্মার ইলিশ আমদানি হয়েছে এ মাছ ঘাটে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, এখনো ইলিশের সিজন শুরু হয়নি। শুরু হবে ঈদের পরে। তাছাড়া, এখন বৃষ্টি নেই। তাই নদীর স্রোত কম, স্রোতের উল্টোদিকে ইলিশ বেশি বেশি আসে, নদীতে এখানে সেখানে চর জেগেছে, নদীর পানির গভীরতা কম, তাই সাগর থেকে ইলিশ স্রোতের উল্টাদিকে এদিকে (চাঁদপুরের দিকে) তেমন আসছে না। নদীর পানির নিচে চর জেগে উঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ওদের বিচরণের পথ পাল্টেছে।
মুন্সীগঞ্জের ব্যাংক অফিসার মিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ চাঁদপুরে নদীর মোহনায় সারাদিন ঘুরেছেন এবং টাটকা ইলিশ দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছেন। বিকালে চারটি টাটকা ইলিশ কিনে ফিরছেন সন্ধ্যার লঞ্চে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, শনিবার সারাদিনে মাছ ঘাটে প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ মাছ এসেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে। চাঁদপুরের পদ্মা নদীর মাছ খুবই কম। সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ ইলিশ মাছ ঘাটে এসেছে। দাম কেজি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
একজন ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা থেকে ইলিশ মাছের আমদানি বাড়লে পদ্মার ইলিশের দাম আরও কমবে।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, এবার ইলিশের সিজন এখনো শুরু হয়নি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে, নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানির দূষণ রোধে বাস্তব পরিকল্পনা জরুরি। নদী দূষণে ইলিশ মাছ স্বস্তি পায় না, ফিরে যায়। বৃষ্টি কম হলে নদীর পানির গভীরতাও কম থাকে। ইলিশ তো গভীর পানির মাছ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ানের বাজার ধরতে পারে বাংলাদেশ: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতির দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর আসিয়ান বাজারের কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি বলেন, ‘এফটিএ আপনাদের কাছে বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেয়। আপনাদের খুব চ্যালেঞ্জিং বাজারে খুব প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এফটিএ এমন একটি মাধ্যম, যা বিশেষ ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠার এবং মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ান বাজারকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হলো দু'দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়াকে দেওয়া সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতার আরও দুটি ক্ষেত্র শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল ট্যুরিজম)খাত নিয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার হাজনাহ।
শিক্ষা খাতের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যের সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই, নারী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, তারা সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যয়ের বিষয়ে সরকারের জোরালো নজরদারি রয়েছে এবং এর সুবিধা নিতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং তার দেশই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম মুসলিম দেশ।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখি।
হাইকমিশনার ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের কথা স্মরণ করেন, যা সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি।
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার
হালাল খাদ্যের বাজার ধরতে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার আহ্বান ব্যবসায়ীদের
খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (মে ১২) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে হালাল ফুড বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ কথা বলেন তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ইউসুফ। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মুনতাকিম আশরাফ টিটু।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
ব্যবসায়ীরা বলেন, হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ৗ ও উদ্যোক্তারা। তবে সেজন্য খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তারা। এমন পরিস্থিতে, বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যের বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে ইকো-সিস্টেম উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মানব স্বাস্থ্যের জন্য হালাল খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে মুসলিমদের পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমরাও হালাল খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বেশকিছু দেশ হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এই বাজারে বাংলাদেশেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। খাদ্যসহ হালাল শিল্পের উন্নয়নে দেশে সুনির্দষ্ট নীতিমালা হওয়া জরুরি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিএসটিআই ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই দুটি প্রতিষ্ঠান দেশে বর্তমানে হালাল সার্টিফিকেট দিচ্ছে। সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজ করা, গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে হালাল সনদ প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
এ সময়, হালাল শিল্পের উন্নয়নে কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সেসব পরামর্শ বিশ্লেষণ করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন ও তা বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, হালাল ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সবার আগে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে নিরাপদ এবং গুণগত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারসহ এই খাতের বড় অংশীজনদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময়, বিএসটিআই ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করাসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও হালাল শিল্পের জন্য নীতি সুবিধা আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি হালাল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলা, অর্থায়ন সুবিধা, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা।
সভায় ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার, মহাসচিব মো. আলমগীর, স্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান রাখায় দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগ রয়েছে বলে এক সেমিনারে এমনি মতামত তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে 'দক্ষিণ এশিয়া কি কর্মহীন উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে?' ‘বিশ্ব ব্যাংকের 'দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন হালনাগাদ' ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও বিশ্বব্যাংক।
সেমিনারে অন্যান্য উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার আশাবাদী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কারের অভাববেই দায়ী করেছেন।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফ্রান্সিসকা ওনসর্গ তার 'রিপোর্ট ফোকাসিং অন জব রেজিলিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া এপ্রিল-২০২৪' শীর্ষক উপস্থাপনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির বাধা দূর করতে নীতি সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ওনসর্গের মতে, অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা এবং জিডিপিতে এর ন্যূনতম অবদান দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।
বাণিজ্য উন্মুক্ততা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গুণমানকে এই অঞ্চলে কাজের সুযোগকে জোরদার করার মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ড. ওনসোর্গ দক্ষিণ এশিয়ায় নিম্ন বাণিজ্য-জিডিপি অনুপাত তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত এবং ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) শিল্পের মতো প্রবৃদ্ধির নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উচ্চ বাধা আরোপের জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হ্যাভেন।
প্যানেলিস্টরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কাজের গুণগত মান এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে কর্মশক্তিতে একীভূত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বার্নার্ড হ্যাভেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের উপর জোর দিয়েছিলেন, আরও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের পক্ষে ছিলেন। তিনি কর্মী ও দৃঢ় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মানব মূলধনে বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন।
হ্যাভেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উৎপাদনশীল জনশক্তি নিশ্চিত করতে উন্নত দৃঢ় ব্যবস্থাপনা, নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের জন্য সমর্থন, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
বেকারত্বহীন প্রবৃদ্ধির ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে বিমা খাতকে আকর্ষণীয় করার তাগিদ
টেকসই ও উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা বাজারে আনার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাপনকে আরও সহজ ও উন্নত করতে বিমা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে গ্রাহক ও বিমা প্রতিষ্ঠান উভয়ই ব্যাপকভাবে লাভবান হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
শনিবার (১৬ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে জাপানের বিমা কোম্পানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি বলেন,
মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দ্রুত বাড়ছে। দিন দিন মানুষের জীবনযাপনেও পরিবর্তন আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি জাপানের মতো নিত্য নতুন এবং উদ্ভাবনী বিমা পণ্য ও সেবা বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে মানুষ বিমা করতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি বলেন, বিমা নিষ্পতির দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা, জনসচেতনতার অভাব ও আস্থার সংকট এ খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের বিমা খাতের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, মহাসচিব মো. আলমগীর ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে, কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়ায়। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল।’
বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। মজুতদারদের বিরুদ্ধে এবার খুবই সতর্ক সরকার। এছাড়া পণ্য মজুত করে ভোক্তাদের কৃত্রিম সংকটে ফেলতে দেওয়া হবে না।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্ট্যান বর্ন -এর নেতৃত্বে ইউএস কৃষি বিভাগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস পৃথক বৈঠক করেছেন।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাস আসছে, জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে- এ বিষয়ে আমরা খুব সজাগ আছি।
সম্প্রতি আমরা তিন মন্ত্রী (খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী) মিটিং করেছি। যখনই প্রয়োজন হবে আমরা আবার একত্রে বসব।
প্রয়োজনে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও মিটিং করব।
ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে বিপদে না পড়ে- সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। শিগগিরই পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একসময় মিশরে পাটের চাষ হতো, এখন হয় না। বর্তমানে মিশরে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণের ভালো ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে। আমরা মিশরে পাটের চাষ পুনরায় শুরু করতে চাই। এক্ষেত্রে জাত, বীজ ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিশরের প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
সেটিকে কাজে লাগিয়ে তুলা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য মিশরকে অনুরোধ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে টিটু তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এদিকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ সরকারকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু