মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে জেলে নিহত, ৭ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরের আক্রমণে সুব্রত মণ্ডল (৩২) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল খালে ওই ঘটনা ঘটে। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার হয়েছে।
নিহত সুব্রত খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারী এলাকার কুমুদ মণ্ডলের ছেলে। পেশায় তিনি একজন জেলে ছিলেন। সুব্রত মণ্ডল সুন্দরবনে নদী–খালে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন থেকে সরকারি রাজস্ব দিয়ে পাশ সংগ্রহ করে সুব্রতসহ কয়েকজন জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। আমুরবুনিয়া গ্রাম থেকে হেঁটে জোংড়া এলাকায় যান তাঁরা। পথে নদী–খাল সাঁতরে পার হন তাঁরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গরু বিক্রির দ্বন্দ্বে নিহত দুই ভাই
কাঁকড়া ও মাছ সংগ্রহ করে সুন্দরবন থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে করমজল খাল সাঁতরে পার হওয়ার সময় একটি কুমির সুব্রতকে কামড়ে ধরে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য জেলেরা চেষ্টার পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা খালে তল্লাশি শুরু করেন।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে করমজল খালের গজালমারী এলাকায় পানির নিচ থেকে গ্রামবাসীরা সুব্রতের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই সুব্রত মণ্ডল মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করেছিল। কুমিরের হামলায় নিহত হওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে বলে আশ্বাস দেন।
৬৫ দিন আগে
ভাড়া বাসা থেকে মিলল কুবি শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ
কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিয়াজুরি খেলার মাঠসংলগ্ন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—তাহমিনা বেগম ফাতিমা (৫০) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের ছেলে তাজুল ইসলাম ফয়সল জানান, গতকাল (রবিবার) রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে আলাদা দুটি কক্ষে মা ও বোনের মরদেহ দেখতে পান। তাদের মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ফয়সলের ভাষ্যে, পারিবারিক শত্রুতা কিংবা এলাকার কারো সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল না।
বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানান, প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার বছর আগে কুমিল্লা আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা বেগম, মেয়ে সুমাইয়া ও আরও দুই ছেলেসহ পরিবারটি ওই বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। কীভাবে হত্যাটি সংঘটিত হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
৮৮ দিন আগে
চাঁদপুরে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া আব্দুল মান্নান (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে তিনি নিখোঁজ হন। বিকেল ৫টার দিকে চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল প্রায় এক ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুল মান্নান মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলি নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে আব্দুল মান্নান ধনাগোদা নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তলিয়ে যান।
পরবর্তীতে মতলব উত্তর ফায়ার স্টেশনের মাধ্যমে চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশনে খবর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে বাবা-ছেলের মৃত্যু, দুই দিনে প্রাণ গেল ৪ জনের
চাঁদপুর নৌ ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, গতকাল (রোববার) বিকাল ৪টার দিকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় ৫টার দিকে তারা আব্দুল মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উদ্ধার শেষে মতলব উত্তর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হাকিমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক জানান, মৃত্যুর ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
৯৫ দিন আগে
ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় মো. সাইফুল্লাহ আরিফ নামে (৩০) এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ-সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
একমাত্র ছেলের এমন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা, ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল তারা।
আরিফের বাবা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতের খাবার শেষে মাকে পানি খাইয়ে ১২টার দিকে আরিফ তার রুমে ঘুমাতে যান। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গেইট খুলে বাইরে বের হলে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
স্থানীয় ও স্বজনদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা আরিফকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর ভোলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন নিহতের পরিবার।
ভোলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
৯৭ দিন আগে
সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
সাভার পৌর এলাকা ও আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে পৃথকভাবে এক অজ্ঞাত যুবক ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দোতলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবকের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে, আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় অপহরণের ১৩ দিন পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু জোনাইদ হোসেনের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
র্যাব-৪ এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাজমুল ইসলাম জানান, গত ১৬ আগস্ট আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে শিশু জোনাইদকে অপহরণ করে তার প্রতিবেশী মোরছালিন। পরে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ একটি জঙ্গলে ফেলে দেয়।
অপহরণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে, তদন্তে নামে র্যাব-৪। পরে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের ফারুকনগর এলাকা থেকে অপহরণকারী মোরছালিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আসামির দেওয়া তথ্যে রাতেই শ্রীপুরের একটি জঙ্গল থেকে শিশু জোনাইদের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
৯৭ দিন আগে
শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিএনপি নেতা খবির উদ্দিন সরদার হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমাস সরদারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি কান্দি এলাকার জব্বার মাষ্টারের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমরদি মাদবরকান্দি এলাকায় মসজিদের মাইকের আজানে ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে অভিযোগ তুলে ইমামকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আলমাসের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিল নিহত আলমাস।
নিহত খবির সরদার বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দানেশ সরদার বাদী হয়ে আলমাসসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অভিযুক্ত আলমাস সরদার। তাকেও হত্যা করে গুম করে কোথাও রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহটি ওই পরিত্যাক্ত ভিটার মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত আলমাসের পরিবারের সদস্যরা এসে লাশটি তার বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা খবির সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯৮ দিন আগে
শেরপুরে নিখোঁজের চার দিন পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিখোঁজের চার দিন পর বাড়ির পাশের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে মাইমুনা খাতুন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাইমুনা ওই গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় কালাপাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাইমুনা। এরপর খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবার মতো কচুরিপানা ভর্তি নিচু জমির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে যান। সেখানে বিবস্ত্র অবস্থায় একটি অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে তারা চিৎকার করতে থাকেন।
পরে নিহতের চাচা আলী হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি মাইমুনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নিহত মাইমুনার আরেক চাচা শুক্কুর আলী বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না এটি হত্যাকাণ্ড নাকি দুর্ঘটনা। সেটি পুলিশি তদন্তের পর জানা যাবে। হত্যাকাণ্ড হলে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি পুলিশ ঘটনাটির প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার তদন্তকাজ চলছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তদন্তকাজ শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
১০০ দিন আগে
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত ২২০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ধসে পড়া বাড়িগুলো থেকে আরও ৬৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। শুক্রবার রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেখানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ জনে।
তবে গত ২ জুন থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ তত্ত্বাবধান কর্তৃপক্ষ। এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তানের জরুরি সেবা দপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ সুহেইল জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রবল বর্ষণের ফলে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনার জেলায় বন্যার পানি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় বহু বাড়িঘর ভেসে গেছে।
বুনার জেলা প্রশাসক কাশিফ কাইয়ুম বলেন, পীর বাবা ও মালিকপুরা গ্রাম দুটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবারই এসব গ্রামে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে পাকিস্তানজুড়ে বন্যা, নিহত বেড়ে ১৮০
পীর বাবা গ্রামের ৫৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ খান বলেন, ‘কোথা থেকে হঠাৎ করে বানের পানি চলে আসল, তা আমরা বুঝতেই পারিনি। মানুষ সরে যাওয়ার মতো সুযোগ পায়নি। এত দ্রুত চারদিক পানিতে ভরে যায় যে অনেকে ঘর ছেড়ে বের হতেই পারেনি।’
বুনার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ তারিক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তার ভাষ্যে, ‘নিহতদের মধ্যে অনেকই পুরুষ, শিশুও ছিল কিছু। তবে নারীরা ওই সময়র জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ ও গবাদিপশু চরাতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন বলে রক্ষা পেয়েছেন।’
প্রাদেশিক দুর্যোগ তত্ত্বাবধান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া ও উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও সাম্প্রতিক বন্যায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানেও শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন।
ভারতের হিমালয় অঞ্চল ও পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এ ধরনের মেঘভাঙা বৃষ্টি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ফলে এই প্রবণতা আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যায় নিহত চার, নিখোঁজ শতাধিক
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। সরকার বন্যাকবলিত এলাকা এড়িয়ে চলার ব্যাপারে সতর্ক করলেও সেই সতর্কবার্তা অনেকেই উপেক্ষা করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ঘটনায় ১ হাজার ৭০০–এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেবার প্রায় ৪০০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
১১১ দিন আগে
রাজশাহীতে এক পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন— মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটে মিনারুল লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’
‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
১১২ দিন আগে
ওয়ারীতে বাসা থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার, পাশে ছিল চিরকুট
রাজধানীর ওয়ারীতে নিজ বাসা থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে হেয়ার স্ট্রিট রোডের পঞ্চম তলার একটি বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তাদের মরদেহ পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, মোহাম্মদ মুঈদ (৩৫) ও তার স্ত্রী আইরিন আক্তার (৩২)।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওয়ারি থানার ডেপুটি কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে বাসার দরজা না খোলায় সেখানকার লোকজন আমাদের জানালে আমরা গিয়ে গতকাল রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি।’
‘মৃত্যুর আগে একটা চিরকুট লিখে যান তারা। তবে আমরা হাতের লেখা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সেটা স্ত্রীর লেখা। কারণ, স্বামী আগে মারা গিয়েছেন। তার শরীরে পচন শুরু হলেও স্ত্রীর বডি এখনো ফ্রেশ।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চিরকুট থেকে জানা যায় মুঈদ অনেকদিন ধরে ক্যান্সারের রোগী ছিলেন। প্রায় চার বছর তিনি বাসা থেকে বের হননি। এটি সুইসাইড কি না; বোঝা যাচ্ছে না। যেহেতু মুঈদ অসুস্থ ছিলেন এবং আগে মারা গিয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘দুজনের পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না। কারণ, তাদের বিয়ে কেউ মেনে নেয়নি। চিরকুটে লেখা ছিল, মরদেহ যেন গ্রামে পাঠানো না হয় এবং একই সাথে দুজনকে শায়িত করে কবর দেওয়া হয়।’
মুঈদ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আড়াইকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ মুসার ছেলে এবং স্ত্রী আইরিন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াজি বাড়ির জয়নাল আবেদীনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ এসিস্ট্যান্ট বাবুল আলী জানান, ‘গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ দুটি নিয়ে আসে পুলিশ। তারা দুই/তিন দিন আগেই মারা গেছেন। একজনের শরীরে পচনও ধরেছে।’
স্ত্রী কীভাবে মারা গেছেন, সেটা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বলা যাবে বলে জানান ডিসি হারুন অর রশীদ।
২২৯ দিন আগে