স্বামী-স্ত্রীর
সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রী শিপা তালুকদার সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে এবং স্বামী রিপন দাস জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসের বাসা থেকে প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘরের ভেতর থেকে তাদের ছোট্ট মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ডাকাডাকি করেন বাসার অন্যান্যরা। এসময় অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তারা পুলিশে খবর দেন। পরে বেলা ১১টার পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থায় আলাদা দুই কক্ষ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, শয়ন কক্ষের খাটের ওপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানের খেয়াল রেখো। তবে চিরকুটটি কার লেখা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
রিপন দাস একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। নিহত দম্পতির দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
তার নাম ঋত্বিক তালুকদার।
নিহতদের প্রতিবেশী শিল্পী সরকার বলেন, প্রায় সাত মাস ধরে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। কখনো ঝগড়া বিবাদ শুনিনি। সকাল ৯টার দিকে বন্ধ ঘরে শিশুটির কান্না শুনতে পান। বাইরে থেকে তারা অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানানো হয়।
খবর পেয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ঘরের জানালা খুলে দুই কক্ষে স্বামী-স্ত্রী দুই জনের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
নিহত শিপা দাসের ভাই নিবারণ দাস বলেন, আমার বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরপর ভগ্নিপতি রিপন আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি।
নিহত রিপনের জ্যাঠাতো ভাই অনুকূল তালুকদার বলেন, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানির পরিবেশকের অধীনে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু কি কারণে তারা গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে মেয়ের কান্না শুনতে পান। পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেবসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
তবে কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে।
ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আর বন্ধ ঘর থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গৃহহীনদের আশ্রয়ণ বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর সমান মালিকানা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকের নিজস্ব বাড়ি, জমি এবং ঠিকানা তিনি নিশ্চিত করতে চান। কারণ তার সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য বাংলাদেশে একজনও গৃহহীন থাকবেন না, তা নিশ্চিত করা। ভূমিহীন পরিবারের স্বামী ও স্ত্রীর সমান মালিকানার অধিকার প্রদান করা।’ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধারণা কীভাবে তার কাছে এসেছিল তাও তিনি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
আশ্রয়ণ প্রকল্প-গৃহহীনদের জন্য বাড়ি- একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে দেখা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি তার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন এবং ১০ লাখ পরিবার বাড়ি পেয়েছে। ‘ আর যদি আমরা গণনা করি তাহলে দেখা যায় প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ স্থায়ী আশ্রয় পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু গৃহহীনদের বাড়িই দিচ্ছেন না, জনগণকে আয়বর্ধক কাজে যুক্ত হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ নগদ সহায়তা এবং বাজারে তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগও করে দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালে সারাদেশে সফরের মাধ্যমে কিছু জায়গায় মানুষকে বাড়ি পেতে সাহায্য করার কথাও স্মরণ করেন। কিন্তু তিনি দেখলেন যে সে বাড়িগুলো কয়েকদিন পর বিক্রি করে দিয়েছেন তারা।
এরপরেই তিনি কিছু উপায় বের করলেন, যাতে অসহায় মানুষদের তাদের বাড়ি বিক্রি করতে না হয়।
তিনি ১৯৯৭ সালে একটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সফরে গিয়ে ৭০টি পরিবারকে ঘরবাড়ি ছাড়া অবস্থায় বসবাস করতে দেখার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন।
তিনি সেসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করলে আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের জমি নিয়ে এগিয়ে আসেন। ‘আমি বাড়িগুলো ডিজাইন করেছি। শুরুটা এভাবেই হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ির মালিকানা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েরই তা তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা স্বামী স্ত্রীকে ত্যাগ করলে মালিকানা স্ত্রীর কাছে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
ময়মনসিংহে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহ, ১৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- ফুলবাড়ীয়ার কান্দানিয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।