প্রতিপক্ষ
নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
নাটোরের লালপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের আঘাতে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আছিয়া বেগম (৭০) ওই গ্রামের সাফায়েত উল্লার স্ত্রী।
লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জালাল উদ্দিন জানায়, সকালে জমিজমা নিয়ে উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের সাফায়েত উল্লার ছেলে রায়হানের সঙ্গে প্রতিবেশি আব্দুল মান্নানের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য আছিয়া বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় প্রতিপক্ষের ধাক্কায় সে মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। দ্রুত আছিয়া বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন, আটক ৫
জমি নিয়ে বিরোধ: মুন্সীগঞ্জে টেঁটাবিদ্ধ যুবক নিহত, আহত ১১
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
মাগুরা সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্যসহ তিন জন। সোমবার রাতে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শহীদুল ইসলাম (২৫) গাংনী গ্রামের বাদশা মোল্যার ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আট গ্রামবাসীকে আটক করেছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী ও পাটখালী গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্টুর ছেলে বিপ্লব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ দিন আগে ভিলেজ পলিটিক্স নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় গাবতলা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠান নিয়ে গাংনী, পাটখালী গ্রামে সামাজিকভাবে বিভক্ত দুই পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুর রহমান সমর্থক শহীদুল ইসলাম ও মানিক মোল্যা স্থানীয় বাজার থকে বাড়ি ফেরার পথে পাটখালী তেঁতুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপ্লব হোসেন সমর্থক গাংনী গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আম্মানসহ একটি গ্রুপ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের দুজনকে কুপিয়ে জখম করে।
ওসি বলেন, এ সময় ঘটনাস্থলেই শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত মানিক মোল্যাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মাগুরা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়।
জব্বারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সামজিক বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সদরের গাংনী গ্রামের শহীদুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় মানিক মোল্যা নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছেন। পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে রকিবুল ও মাছুম বিল্লাহ নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত তিনজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আট গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে কৃষকের নিহত
বরগুনার বামনায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সালিশ ব্যবস্থা শেষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে তিনি নিহত হন।
নিহত ওই কৃষকের নাম মো. ইউসুফ চৌকিদার (৫৫), তিনি ওই গ্রামের শের আলী চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ট্রেনের ধাক্কায় কৃষক নিহত
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ চৌকিদার ও প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা তাদের জমিজমা নিয়ে সালিশ ব্যবস্থায় বসেন। তাদের সালিশ শেষে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাক বিতণ্ডা ঘটে। একপর্যায়ে ইউসুফ চৌকিদারকে লক্ষ্য করে রাহাত চৌকিদার তাকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়।
ধারালো দায়ের কোপে তার মাথার খুলি ফেটে মগজ বেড় হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাত সারে ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারকে থানায় এনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
বগুড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জহুরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত জহুরুল শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা চককান পাড়া এলাকার কুদ্দুস আলীর ছেলে। তিনি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:ছুরিকাঘাতে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত
এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় হোটেল নাজ গার্ডেনের পেছনে চককান পাড়ায় গাড়ির ইন্ডিকেটর ভাঙাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন জহুরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
শাজাহানপুর থানার কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু কামাল জানান, এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়েছে।
হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!
মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন বোনকে জবাই করে হত্যা!
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আপন বোনকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আতাহার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম নারজু খাতুন (২৮)।
এসআই জানান, শাহজাদপুর উপজেলার বৃ-আঙ্গারু গ্রামের নিজাম গং আতাহার-আলীম গংয়ের পাল্টাপাল্টি মামলা ও বিরোধ মীমাংসার জন্য ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর শালিস বৈঠকে বসে দু’গ্রুপের লোকজন। ওই বৈঠক চলাকালেই তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং নিজাম গ্রুপের আওয়াল নামের একজন খুন হয়। সেই হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় আতাহার-আলীম গংয়ের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছে, আবার অনেকেই গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে নিজাম গ্রুপকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে আতাহার ও তার লোকজন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আতাহার ও তার লোকজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর আপন প্রতিবন্ধী বোন নারজু খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা সবুজ বাদী হয়ে নিজাম গ্রুপের ১৩ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। থানা পুলিশের তদন্তের একপর্যায়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটি সিআইডি পুলিশ গ্রহণ করে। পরে সিআইডি পুলিশের সিরাজগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের দিক-নির্দেশনায় তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে দুই গ্রুপের বিরোধ ও আওয়াল হত্যার বিষয়টি সামনে চলে আসায় গত ১৫ জুলাই এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি সরোয়ার হোসেন সঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১৬ জুলাই তাকে আদালতে সোপর্দ করার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানা যায়।
অপরদিকে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রতিবন্ধী বোন নারজু খাতুনকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার আপন বড় ভাই আতাহারসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওহেদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ৩৬ বছর বয়সী এক যুবক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহত মো.সোহেল বুধপুরা গ্রামের মৃত আজাহার মিয়ার ছেলে ও কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় একটি গ্যাস পাম্পের ব্যবস্থাপক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পুলিশ জানায়, রাত ১০টার দিকে বুধপুরা বাজারে সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারাবির নামাজের পর প্রতিপক্ষ শরীফের সঙ্গে সোহেলের ভাই ও কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের কথা কাটাকাটি হয়।
পরে সোহেল তার লোকজন নিয়ে শরীফের কাছে তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণ জানতে চায় এবং এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে শরীফ ও তার অনুসারীরা সোহেল এবং আরও তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
গুরুতর আহত সোহেল ও তার লোকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
আহতরা হলেন- সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম (৩০) ও জয়নাল (৩৪)। তারা হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রামপালে প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ কর্মী নিহত, আটক ৬
বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ ঢালী (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এসময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রামপাল উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজ ঢালী রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া এলাকার আশ্বাদ আলীর ছেলে। আহতরা হলেন, কাদিরখোলা এলাকার আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) ও আকরাম ঢালী (৪৭)।
রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে বাড়ির গেটে নামিয়ে দিয়ে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটর সাইকেল যোগে কাদিরখোলা এলাকায় ফিরোজদের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরে বেলাল ব্যাপারী এবং তার ভাইসহ ৩০-৪০ জন ফিরোজদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলা, আহত ব্যক্তির মৃত্যু
তবে বেলাল ব্যাপারী তার বিরুদ্ধে আনা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ১০
ভাসানীর মাজারে হামলার শিকার রেজা কিবরিয়া ও নুর
নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনীতে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে ‘হত্যা’ করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলাগ্রামে এই ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে জাহারুল ইসলাম (৫৫) ও তার ভাই সাহাদুল ইসলাম (৫০)।
আরও পড়ুন: সাবেক নারী ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে ইউপি সদস্যের লাশ
কাথুলী ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর ধলাগ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান ইউপি সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাষ্য, গ্রামের মধ্যে ভোট চাইতে গেলে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থী আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় তার কর্মী ও চাচাতো দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। এ সময় তিনি প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার ভাষ্য, কয়েক বছর আগে আমার ছোট ভাই এনামুল হোসেন নইলুকে কুপিয়ে হত্যা করে আতিয়ার রহমানসহ তার সহযোগীরা। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
তবে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে আতিয়ার রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রহমান জানান, সহিংসতার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু’সহদরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে আছেন। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এখনো মামলা দায়ের হয়নি। এছাড়া আহত ছয় জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নেত্রকোণায় প্রতিপক্ষের হামলায় দোকানদার খুন, আটক ৩
নেত্রকোণার মদনে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় দিলোয়ার হোসেন(৪০) নামে এক মুদি দোকানদার খুন হয়েছে।
শুক্রবার ঈদুল ফিতরের দিন বিকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের সামনের হাওর আব্বানী ভিটা নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত দোকানদার কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রামে মুদির দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন
এ ঘটনায় মূল হামলাকারী আল আমিন(৩৫), আবুল কাশেম (৫৫), আয়াতুলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
মদন থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) ফেরদৌস আলম শুক্রবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের হাতে মা হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে কৃষ্ণপুর গ্রামের আন্তু মিয়ার ছেলে আল আমিনের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে দিলোয়ারের কৃষি জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা স্থানীয় মাতব্বররা মীমাংসা করে দেয়। শুক্রবার ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে দিলোয়ার গরু নিয়ে হাওরে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে আল আমিনসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায় তার উপরে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দিলোয়ার গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে মদন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শান্তুনু শাহা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
ওসি জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় দিলোয়ার নিহত হয়েছে। মূল হামলাকারী আল আমীনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। বাদী পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেত্রকোণায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত এক
নেত্রকোণার মদনে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে রবিবার এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।