মার্কিন রাষ্ট্রদূত
দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ দুর্নীতি নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ফলে বাংলাদেশিরা মর্যাদাকর জীবন উপভোগ করতে এবং আরও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারে যে অন্য বাজারের তুলনায় এখানে দুর্নীতি কম, তাহলে এটি আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং দেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
মঙ্গলবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে ‘কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন সামিট;- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে এবং সব দেশের মানুষই জানে এটা কেমন।
হাস বলেন, ‘একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে 'ঘুষ' দিতে হচ্ছে, আপনি যদি পাসপোর্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান তবে আপনার অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে এমনকি আপনার কেনা জমি রেজিস্ট্রি করার জন্যও কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি পরজীবী, যা একটি সমাজের সম্পদ খায় ও এর শক্তিকে শুষে নেয় এবং এটি ব্যবসা ও সরকারের প্রতিটি স্তরকে ধ্বংস করতে পারে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমার নিজের দেশেও কিছু কুখ্যাত কেলেঙ্কারি ঘটেছে।’
তিনি বলেন, এসব দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ও অপরাধীদের জবাবদিহিতা করার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যন্য দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ যখন এই ধরনের চেষ্টা চালায়, তখন তারা উন্নতি লাভ করে। আমি নিশ্চিত যে এটি বাংলাদেশেও হতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে আগ্রহী।’
হাস বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে মার্কিন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করি যা বাংলাদেশি ব্যবসাগুলোকে আন্তর্জাতিক মান ও নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করে এবং যা তাদেরকে বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নৈতিক ব্যবসা চর্চা প্রচারের মাধ্যমে আমরা সব আকারের ব্যবসার জন্য আরও বেশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারি এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করতে পারি।’
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) নতুন ব্যবসার জন্য একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করতে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি নতুন ব্যবসা নিবন্ধনকে আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
ইউএসএআইডি অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গেও কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
হাস বলেছেন, প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হয়েছে এবং বেসরকারি খাত ও সরকারের মধ্যে আস্থার পরিমাণ বাড়িয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সিএলডিপি) বাংলাদেশের আইনি ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য কর্মশালা পরিচালনার জন্য প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে।
সিএলডিপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গেও কাজ করে, যাতে আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নত করে পৌর শাসনের উন্নতি হয়।
এই কর্মসূচির অধীনে, সিএলডিপি জানুয়ারিতে মিয়ামিতে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রসহ একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তকারী ও অ্যাটর্নিদের প্রশিক্ষণ দেয়- কীভাবে অর্থ পাচারের তদন্ত এবং বিচার করতে হয়, কীভাবে ইলেকট্রনিক প্রমাণ ব্যবহার করতে হয় এবং কীভাবে আর্থিক অপরাধের তদন্ত করতে হয়।
হাস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্রের মধ্যেও একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি বিভিন্নভাবে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে বাংলাদেশের: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন আইনে যেমন আমেরিকান নাগরিক ও ব্যবসাগুলোকে দুর্নীতির জন্য দায়বদ্ধ থাকে, তেমনি আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতি চর্চাকারী অ-নাগরিকদের জন্যও আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতি কমাতে কী করতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলা করতে এবং শাসন ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে ভাবা যেতে পারে।’
হাস বলেন, একটি উপায় হলো নগদ আর্থিক লেনদেনগুলো অনলাইনে সম্পন্নের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা ইলেকট্রনিকভাবে বিল, জরিমানা ও কর পরিশোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের টাকায় আমলাদের পকেট ভরার সুযোগ কমে যাবে।
হাস দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত ও উন্মোচনে একটি সক্রিয় নাগরিক সমাজ এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সুবিধা রয়েছে, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হবে। ‘কিন্তু আমেরিকান ব্যবসায়ী নেতারা আমাকে বলছেন: বহু-জাতীয় সংস্থাগুলোর কাছে বিনিয়োগের অনেক বিকল্প রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যে দেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে কম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কম, আইনের শাসনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা এবং তাদের ব্যবসার জন্য সর্বোত্তম লজিস্টিক অবকাঠামো আছে, স্বভাবতই এমন কোনও দেশকেই তারা বেছে নিতে চাইবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করলো হংকংয়ের বেইজিং অফিস
একজন চীনা কূটনীতিক হংকংয়ে নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেলকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন যে, মার্কিন কনসাল জেনারেলের কর্মকাণ্ডে তার শহরের স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে এবং তিনি তাকে রাজনীতির ‘চূড়ান্ত সীমা’ লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করেছেন।
মার্কিন কনসাল জেনারেল গ্রেগরি মে গত মাসে একটি ভিডিও বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি হংকং-এর ক্রমহ্রাসমান স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে এর খ্যাতি আন্তর্জাতিক মান ও আইনের শাসন মেনে চলার ওপর নির্ভর করে।
হংকংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে কার্যালয়ের কমিশনার লিউ গুয়াংইয়ুয়ান সম্প্রতি তার ‘অনুপযুক্ত’ কথা ও কাজের বিষয়ে আপত্তি জানাতে মে-এর সঙ্গে দেখা করেছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রশ্নের উত্তরে তার অফিস বলেছে, ‘লিউ হংকংয়ে মার্কিন কনসাল জেনারেল এবং মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের জন্য তিনটি চূড়ান্ত সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এগুলো হলো- চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে না, হংকংয়ে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশে জড়িত হবেনা এবং হংকংয়ের উন্নয়নের সম্ভাবনার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াবে না বা ক্ষতি করবে না।’
অফিস আরও বলেছে, লিউ মে-কে কূটনৈতিক নৈতিকতা মেনে চলারও আহ্বান জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কনস্যুলেটের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা সাধারণত ব্যক্তিগত কূটনৈতিক বৈঠকে মন্তব্য না করলেও, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অবক্ষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করতে তারা দ্বিধা করবে না।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
মে, ইউএস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে তার ভাষণে চীনের আইনসভার একটি সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন।
যাতে হংকংয়ের নির্বাহী শাখা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে বিদেশি আইনজীবীরা শহরের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে জড়িত হতে পারবে কিনা।
শহরের শীর্ষ আদালত গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশক জিমি লাইকে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দেয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
লিউয়ের কার্যালয় মে-কে হংকংয়ে আইনের শাসন এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। কেননা তিনি বেইজিংয়ের আইনি সিদ্ধান্ত এবং হংকংয়ের শাসন ব্যবস্থায় অন্যান্য পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য গণতন্ত্র চর্চাকারী দেশগুলো প্রাক্তন এই ব্রিটিশ উপনিবেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতার ওপর চীনের আধিপত্যের সমালোচনা করেছে।
প্রযুক্তি ও বাণিজ্য, মানবাধিকার, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে হুমকি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিসহ যেসব সমস্যা বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে চূড়ান্ত খারাপ করে তুলেছে হংকং তার মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন: দেশের আকাশসীমায় ১০টিরও বেশি মার্কিন বেলুন উড়েছে: চীন
চীনের বেলুন গোয়েন্দা সংকেত সংগ্রহ করতে সক্ষম: যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেখে রোমাঞ্চিত। যারা তাদের সম্ভাবনা উন্নত করতে এবং তাদের আবেগ খুঁজে পেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পড়াশোনা করতে বেছে নিয়েছেন। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যবান অবদান রাখে।’
মঙ্গলবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার বিষয়টি তুলে ধরে জানান যে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৩তম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যণীয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই রূপান্তরের গর্বিত অংশীদার।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৫০ বছর এবং তারপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্যানেলে ‘মবিলাইজিং ইনফ্রাস্টাক্চার ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ এন্ড দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হাস বলেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এ ধরনের আরও অনেক সমস্যা মোকাবিলায় আট বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আরও দক্ষ লজিস্টিক সিস্টেম তৈরি করতে এবং ক্লিন এনার্জি, বন্দর এবং রেলওয়ের মতো ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে প্রযুক্তিগত সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।’
সমগ্র অঞ্চলের অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মতো বাংলাদেশেও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ।
অবকাঠামো শ্রমিকদের ভালো কাজের সঙ্গে সংযুক্ত করে; ব্যবসা বৃদ্ধি ও উন্নতি লাভের সুযোগ দেয় এবং সমাজের সকল অংশের জন্য সুযোগ তৈরি করে। যার মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোও রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিন্তু উচ্চ-মানের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কেবলমাত্র আর্থিক বিনিয়োগই না, এর চেয়েও বেশি কিছু লাগে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি কাঠামো, নিয়ন্ত্রক পরিবেশ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রকল্প গঠনের জন্য মানব ক্ষমতা সমর্থন করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিত করতে এর জন্য শক্তিশালী প্রকৌশল, পরিবেশগত, সামাজিক, শাসন ও শ্রমের মান প্রয়োজন।
হাস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে অবকাঠামোর চাহিদা পূরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের বিকল্প প্রয়োজন।
মার্কিন দূত বলেন, ‘কোনও দেশ একা চলতে পারে না। সে কারণেই ২০২২ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষণা করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্টের অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়েছেন।’
হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন অর্থায়নের শক্তিশালী সমর্থক।
আরও পড়ুন: জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
তিনি বলেন, শেভরন, জিই ও এক্সেলরেটের মতো কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্য ভালো চাকরি তৈরি করে এবং বাংলাদেশি জনগণকে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানি সাবকম বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কাছ থেকে পরবর্তী সমুদ্রের তলদেশে যোগাযোগের তার নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, ‘স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের মতো উদ্ভাবনী পণ্যগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে নির্ভরযোগ্য উচ্চ-গতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সরবরাহ করতে সহায়তা করতে পারে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই প্রযুক্তিগুলো বাংলাদেশের বিশাল ডিজিটাল ব্যবহারকারীর ভিত্তিকে সমর্থন করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি সম্প্রসারণে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: র্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এর ব্যানারে সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় গেলে তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে 'মায়ের কান্না' সংগনের সংগঠকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কামরুজ্জামান লেনিনের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান, যিনি পরে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ‘অন্যায্যভাবে’ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদনে, ‘মায়ের কান্না’ আয়োজকরা লিখেছেন: ‘আমরা সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনার কাছে এসেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনি জিয়ার এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে এবং বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন সরকার এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে বিবেচনা করবে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার জোরদার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বাধীন গবেষকদের মতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর তার আদেশে ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা জানান, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ সম্পর্কে অনেকেই এখনও অবগত নন।
১৯৭৭ সালে ‘জাপানি রেড আর্মি কর্তৃক ঢাকায় একটি জাপানি বিমান ছিনতাই ও অবতরণ’- এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেনারেল জিয়ার অনুগত বাহিনী’ ঢাকায় একটি অভ্যুত্থানের নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শত শত অফিসারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জিয়া অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
‘মায়ের কান্না’-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কের বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বিতর্কিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) ছিল শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন সবাই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনেক সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও সেখানে শ্রদ্ধা জানান। যদি মার্কিন রাষ্ট্রদূতও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যেতেন, তাহলে সেটি অনেক ভালো হতো এবং বাঙালি জাতির যে স্বাধীনতা এবং এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে যে বাঙালি জাতির যে কষ্ট-ত্যাগ, সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো।
মন্ত্রী বলেন, আমি জানি না তাকে কে পরামর্শ দিয়েছে সেই দিনে মায়ের ডাক নামের সংগঠনের কো অর্ডিনেটরের বাসায় যেতে। যারাই এ পরামর্শ দিয়েছে তারা সঠিক পরামর্শ দেয়নি।। আমি মনে করি, যে-ই পরামর্শ দিক না কেন; সিদ্ধান্ত তো নিজের। কাজেই তারও আসলে দিবসের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার ছিল।
আরও পড়ুন: একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নেপথ্যে থাকা জামায়াত বিএনপির প্রধান সহযোগী: তথ্যমন্ত্রী
‘তিনি যে সেখানে যাবেন এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কিছু জানতো না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেটিই বলেছেন। ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন তারাই করেছে, যারা গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করছে। যারা গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের অনেককেই আবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। অনেকে খুনের মামলার আসামি, অনেকে মাদক মামলার আসামি। তাদেরকে বিএনপি গুম হয়েছে বলে বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে ,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল যারা মান্যবর মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে গেছেন, তারা তাকে বিতর্কিত করেছেন। এখানে বিতর্কিত করা সমীচীন হয়নি। তিনি সেখানে গেছেন এটি শুনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের ৫০ জনের মতো গিয়েছিলেন। তারা গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি দিতে। যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তারা সে সুযোগ দেননি। যে কারণে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠকরা পারেননি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মার্কিন রাষ্ট্রদূত যদি তাদের স্মারকলিপিটা নিতেন এবং তাদের সঙ্গে দুটি কথা বলতেন; তাহলে তার যাওয়া নিয়ে যে প্রচন্ড সমালোচনা হচ্ছে, সেটি হতো না।’
অবশ্য এ ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অবনতি হবে না বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান।
তিনি বলেন, অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাদেরও বিরাট ভূমিকা আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ।
মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এ ঘটনায় সম্পর্কে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। মার্কিন দূতকে আমি অনুরোধ করবো, তাকে যদি কেউ ভুল পরামর্শ দেয়, তাকে যদি এভাবে একপেশে করে তোলার চেষ্টা করে; সেটির বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ তাকে জানাবো।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কি করবেন সেটি তারা বলতেই পারেন। এটি বলা কোনো অপরাধ না। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে আর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে না।
হাছান মাহমুদের মতে, যারা মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, যারা মানুষকে জিম্মি করে রাজনীতি করে, তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয়নি, দেবেও না। ১০ তারিখ সরকার পতন ঘটাতে এসে নিজেদের পতন ঘটিয়ে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: তদন্তের স্বার্থে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ: তথ্যমন্ত্রী
সরকারের পতন ঘটাতে এসে বিএনপি নিজেদের পতন ঘটিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মায়ের ডাক’ -এর সমন্বয়কের বাসা থেকে ফেরার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার তিনি জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একথা বলেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জরুরি ভিত্তিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন সেখানে অনেক লোক ছিল, বাসার বাইরেও অনেক লোক ছিল। তারা ওনাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে। এসময় তার সিকিউরিটির লোকেরা ওনাকে বলেছে আপনি তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যান। কারণ ওরা আপনার গাড়ি ব্লক করে দেবে। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় তিনি তাড়াতাড়ি চলে আসেন। এতে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অবস্থা জেনে তাকে বলেছেন, আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের।
পিটার হাস ও তার লোকদের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে কি না পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা জানতে চাইলে জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, না হামলা হয়নি। তবে গাড়িতে হয়তো দাগ লেগেছে। তাও সেটি নিশ্চিত নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আবারও আশ্বস্থ করে বলেন, আমরা আপনাকে ও আপনার লোকদের নিরাপত্তা দেবো। আপনি অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে আমরা দিবো। তবে আপনি ওখানে গেছেন এই খবরটা কে প্রচার করলেন? আমি তো জানি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাননি। আমরা কিছুই জানি না। আপনি যাবেন আপনি এই তথ্য উল্লেখ করলো কে? ওইটার উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেছেন যে আপনি ওখানে গেছেন এটা কেমন করে প্রচার হলো। আপনি এটা বের করেন। আপনার লোকেই তো প্রকাশ করতে পারে। তিনি একটু দুশ্চিন্তায় আছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়াকে আটকাতে পারবেন না, তারা খুব সোচ্চার। আপনারা যদিও বলেন বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা নেই। আমাদের মিডিয়া খুব সোচ্চার। যখনি যা হয় তারা এইটার পিছনে লেগে থাকে।
নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রী বলেন, আপনি যদি চান আমি তাদের ১০ ফুট বা ১৫ ফুট দূরে রাখতে পারি। কিন্তু আমি তাদের কোথাও বাধা দিতে পারবো না। আর ওখানে লোকজন গেছে সে লোকজনকেও বাধা দিতে পারবো না। আপনার নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের দূরে রাখবো। আপনি জানেন এটি বাকস্বাধীনতার দেশ। তারা তাদের বক্তব্য দিবে, কর্মসূচি করবে আমি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবো না। আর যদি আপনি বা আপনার লোকের ওপর কোনো আক্রমণ হয়ে থাকে, জনগণের জানমাল ধ্বংস করে থাকে আমি তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো। এছাড়া আমি তাদের কিছু করতে পারবো না। তবে আপনার নিরাপত্তা আমরা দিবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াতে অনেক বানানো বানোয়াট তথ্য বিভিন্ন মিডিয়াতে আসে, ইউটিউবে আসে, আর বিদেশিরাও ওইসব দেখে ওখান থেকে রিপোর্ট করে ফেলে।
আরও পড়ুন: আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটি লজ্জার বিষয় যে জাতিসংঘের মতো একটা সংস্থা, যাদেরকে আমরা অত্যন্ত বিশ্বাস করি, তারাও আমাদের একটা খবর দিলো যে বাংলাদেশ থেকে ৭৬ জন লোক নিখোঁজ হয়ে গেছে। ওই ৭৬ জনের নামের তালিকা দেখে ১০জনকে পাওয়া যায়। তারা বেশ শান্তিতে আছে। আর ইন্ডিয়ানরা বললো তাদের দেশের দুই নাগরিক আমাদের লিস্টে ঢুকতে দেখেছে। ওরা খারাপ কাজ করেছিল তারা এখন দেশে আছে।
‘যারা অপকর্ম করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘের মতো একটি সম্ভ্রান্ত সংস্থা আমাদের প্রশ্ন করে, তখন আমার দুঃখ লাগে এই জন্য যে জাতিসংঘকে পয়সা আমরা দেই, তারা যাচাই বাছাই না করেই কেমন করে এরকম অভিযোগ করে। যারা এ ধরনের কাজটা করেছে ওদের চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ। কারণ অনেকে অনেক কিছু বলবে। তাদের দায়দায়িত্ব তারা তথ্যটা যাচাই বাছাই করে আমাদের কাছে পেশ করবে। আমাদের যদি কোনো অসুবিধা থাকে, আমরা তা গ্রহণ করবো। সংশোধনমূলক কিছু বললে আমরা সেটা চেষ্টা করবো।
গুমের বিষয়ে তিনি বলেন, দুনিয়ার সব দেশে কিছু লোক গুম হয়, কিছু লোক হারিয়ে যায়, তার চেয়ে বাংলাদেশ ভালো, আমেরিকায় তো অনেক বেশি লোক গুম হয়।
মোমেন বলেন, আমেরিকার তথ্যানুযায়ী প্রতিবছর কোনো আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই আমেরিকান পুলিশ এক হাজার লোককে মেরে ফেলে। কত লোক মলে যায়, স্কুলে যায়, তাদের মেরে ফেলে। আমরা চাই না আমাদের দেশে একটা লোকও মারা যাক। বিনা বিচারে লোক মারা যাক। দুর্ঘটনা হলে আমরা তার বিচার করি। এবং যদি আমাদের সিকিউরিটির কেউ মারে অবশ্যই তার দায়ভার নিতে বাধ্য হবে। কোনো উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষ খুব সাবধান। ইউটিউবে অকামা বক্তব্য দিলে কেউ বিশ্বাস করবে না। দিন শেষে ওরাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার তার বাসভবনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সংবাদদাতারা যে কাজ করে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চান।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রদূত হাস ডিক্যাবের সদস্যদের বলেন, ‘আপনাদের এটি একটি মহৎ পেশা এবং ক্রমবর্ধমানভাবে সারা বিশ্বে এটি একটি কঠিন ও বিপজ্জনক পেশা।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের দেশে ঘটতে থাকা ঘটনা সম্পর্কে তাদের নিজ নাগরিকদের অবহিত করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য মিশনের বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারকে রাজি করাতে বিএনপির পরিকল্পনা’ ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, এখন সেমিফাইনালের সময়: কাদের
কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওয়াশিংটন মিশন ব্যর্থ হয়েছে। তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও বাংলাদেশের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকায় ছিল না। তারপরও টাকা কোথা থেকে আসে আমরা জানি না ভেবে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করেছে। দুবাই থেকে টাকা ভর্তি বস্তার... ঘটনাটা আমরা জানি।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের, জামায়াতের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের তীব্র সমালোচনা করেন।
কাদের বলেন, ‘টবি ক্যাডম্যান আল জাজিরাকে বলেছেন যে তিনি সেই দলের অংশ ছিলেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সরকারকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল। র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এই তদবিরের ফল।’
বলপূর্বক গুমের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তার নিজের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
কাদের বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে না গিয়ে হাস শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- আপনার দেশে প্রতি মাসে কত মানুষ গুম হয়? বিরক্ত করবেন না, আমাদের কাছে ইতোমধ্যেই সিএনএন থেকে পরিসংখ্যান রয়েছে।’
কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার আগে পিটার হাসকে গুম ও হত্যার প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অতীতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার নিখোঁজ হয়েছেন। পরে আমরা তাকে খুলনাগামী একটি বাসে পাই। আমি সালাহউদ্দিনের কথাও বলতে চাই। প্রথমে সবাই বলছিলেন তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি যে তিনি তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলা এড়াতে স্বেচ্ছায় ভারতে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো পিটার হাসকে অবশ্যই জানতে হবে।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় হচ্ছে: কাদের
বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
বাংলাদেশের নির্বাচন ও আইনের শাসন নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট না করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করবেন না। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও হয়।
যুক্তরাষ্ট্রেও একটি দল আছে, যারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাস শুটিংয়ের ঘটনা সাধারণ। প্রতিদিনই গুলিতে দুই,তিন বা পাঁচজন নিহত হচ্ছে। আর আপনি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারও হুকুম শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে তাদের ভূমিকা দেখেছি। এতসব ঘটনা সত্ত্বেও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই।’
তিনি আরও বলেন যে এ ধরনের মন্তব্য করে কারও কোনো লাভ হবে না। এগুলো সুসম্পর্কের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন যে তারা সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহিংসতার এই প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করতে এবং মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে রক্ষা করতে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তি জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্তর্ভুক্ত
শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় বাংলাদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব নয়েস