সম্মেলন
ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে রবিবার
রবিবার (৩ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। এ সম্মেলন শেষ হবে বুধবার (৬ মার্চ)।
এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫০টি প্রস্তাবনা পাওয়া গেছে।
শনিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মাহবুব হোসেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, এবার সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে।
অন্যান্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি।
এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুইটি অধিবেশন হবে।
মাহবুব হোসেন বলেন, এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগসংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি। কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মত বিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
কপ-২৮ সম্মেলনে স্থানীয় জলবায়ু নেতৃত্বে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ
চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ইনোভেশন ইন ডেভেলপিং ফাইন্যান্স ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) লোকাল লেড অ্যাডাপটেশন (এলএলএ) চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত স্থানীয় সরকার ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প এ সম্মান অর্জন করে। এই লজিক প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইডেন, ডেনমার্ক, জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল (ইউএনসিডিএফ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রেসিলিয়েন্স হাবে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন ও সহনশীলতা বিনির্মাণে বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সৃজনশীল, প্রশংসনীয় এবং সম্প্রসারণযোগ্য প্রকল্পগুলোকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং জনগণকে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে জিসিএ এলএলএ চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ডস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ৯টি প্রধান জলবায়ু ও ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ৪ লাখেরও বেশি পরিবারের ক্ষমতায়ন করেছে।
এই মানুষগুলো এখন জলবায়ু-সহনশীল জীবিকায় বিনিয়োগ করতে পারেন, বৈচিত্র্যময় আয়ের উৎস বেছে নিতে পারে্ন এবং অভিযোজনের চর্চাগুলো বাড়ানোর জন্য বাজার এবং বিনিয়োগে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের স্বীকৃতি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফসল। এই পুরস্কার স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর উন্নয়ন অংশীদারদের নিষ্ঠার স্বীকৃতি।এটি জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনের শক্তিকে একটি নজির হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের জন্য টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতে অবদান রাখতে রূপান্তরমূলক উদ্যোগকে সহায়তা যোগাতে ইউএনডিপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, জিসিএ অ্যাওয়ার্ডস কেবল বিজয়ীদের অর্জনকেই স্বীকৃতি প্রদান করে না বরং স্থানীয় পর্যায়ের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকেও বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। টেকসই আগামীর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং উদ্ভাবন এর যোগান দেওয়ার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই ধরনের পুরষ্কারগুলোর অনন্য ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ২৮-এ বিশুদ্ধ জ্বালানির বিষয়ে অগ্রগতি আনতে হবে: যুক্তরাজ্য
ইউএনআইডিও’র সম্মেলনে টেকসই সাপ্লাই চেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধির বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত
ভিয়েনায় জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনআইডিও) ২০তম সাধারণ সম্মেলনে 'উৎপাদনশীল, সহনশীল ও টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি' শীর্ষক বাংলাদেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে ইউএনআইডিও’র ১৭২টি সদস্য দেশের সরকার প্রধান, মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার(২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে উৎপাদক, শিল্প ও ভোক্তাদের প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
এই প্রস্তাবটি ইউএনআইডিও-কে জাতিসংঘের অন্য যেকোনো শাখার তুলনায় বেসরকারি খাতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে পারে। দেশ ও অর্থনীতিকে সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিশীলতার প্রচারে সহায়তা করবে এবং এইভাবে ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তাদের প্রস্তুত করবে।
প্রস্তাবটি প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংলাপকে উৎসাহিত করবে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থায়িত্ব, স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া উৎপাদক দেশ ও সরবরাহকারীদের সহায়তার উপরও বিশেষ জোর দেবে এটি।
এই প্রস্তাবটি ইউএনআইডিওকে সরবরাহ শৃঙ্খলে তার ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করবে। এছাড়াও সমস্ত অংশীজনদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত মুনাফা বিনিময় করবে- যা ন্যায্য মূল্য, দক্ষতা ও জ্ঞান হস্তান্তর সুরক্ষিত করতে অবদান রাখবে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর জন্য বাজার ও প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সাপ্লাই চেইন নিয়ে সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেশ করা প্রস্তাবটিই ছিল আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত একমাত্র প্রস্তাব।
মেক্সিকো ও নরওয়ের পেশ করা লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও বৃত্তাকার অর্থনীতির উপর আর্মেনিয়ার পেশ করা আরেকটি প্রস্তাব সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবস্থান বা দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র পার্থক্যের কারণে গৃহীত হয়নি।
গত চার সপ্তাহ ধরে অবিচল প্রচেষ্টার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গ্রহণে সব সদস্য রাষ্ট্রকে সম্মত করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ‘ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া
‘ওয়েমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলন: মুসলিম নারীদের অধিকার রক্ষায় ওআইসি প্রধানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ওআইসি মুসলিম নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করে আসছে।
তিনি বলেন, এই অঙ্গীকারটি ওআইসি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব উইমেন (ওপিএএডব্লিউ) কর্তৃক গৃহীত হয়েছে, যা মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে একটি রোডম্যাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
সোমবার জেদ্দায় 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী প্রতিনিধি দল এবং ইসলামী বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবের আমন্ত্রণে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ওআইসি সাধারণ সচিবালয় তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
হিসেইন ব্রাহিম তাহা বলেন, এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ফিলিস্তিনিরা নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখোমুখি হচ্ছে এবং নারীরা, বিশেষ করে গাজার নারীরা, পাশাপাশি শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা বোমা হামলার শিকার হয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজার পরিস্থিতি সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা সম্মেলনের আলোচনাতেও বর্তায় এবং ইসরায়েলি বর্বরতা উন্মোচন ও ফিলিস্তিনি নারী, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আশীর্বাদপ্রাপ্ত আল-আকসা মসজিদের অধিকার রক্ষার জন্য তীব্র প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানান, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ভয়াবহ বাস্তবতা থেকে ভূমি বা ভূমি থেকে জনগণকে পৃথক করা অসম্ভব।
মহাসচিব আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন ও সকল স্তরে শিক্ষা গ্রহণ এবং জনজীবনে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে গঠনমূলক সংলাপ অব্যাহত রাখার ওআইসির দৃঢ় সংকল্পের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই সম্মেলন ইসলামে নারীর অধিকার প্রচার ও নিশ্চিতকরণের জন্য ওআইসি ও অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর ইতিহাসে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে এবং এই সম্মেলন ইসলামে নারীদের অধিকার সম্পর্কিত জেদ্দা ডকুমেন্ট গ্রহণ করবে।
ওআইসি প্রধান সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকল নারী ব্যক্তিত্বকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নারী ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী এবং নারী অংশগ্রহণকারী ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে ডিপিআই ও এআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ডিজিটাল বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহযোগিতায় ও এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’শিরোনামে দুই দিনব্যাপী (৩০-৩১ অক্টোবর) এ আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা প্রয়োজন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ পুরো দেশের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবকাঠামোর নাম ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)। দেশের প্রেক্ষাপটে ডিপিআই কোনো স্বপ্ন নয়, বরং একে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মাধ্যমে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জুডিশিয়ারিসহ সব খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে সহজ, পরিমাপযোগ্য ও টেকসই সমাধানসমূহ দুর্বল ও প্রান্তিকদের উন্নয়নের গল্পে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে তুলবে।
দেশের সমৃদ্ধ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিপিআই ও এআইয়ের সর্বোত্তম ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডিপিআইয়ের তিন স্তর নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। এগুলো হলো- ডিজিটাল পরিচয়, ডিজিটাল পেমেন্ট ও ডাটা বিনিময়।
দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডিপিআই ও এআই নির্ভর আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সেক্টরভিত্তিক ১৪টি বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সেশনগুলোতে অংশ নেবেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সিনিয়র সহসভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকার সঞ্চালনায় জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রযুক্তিবিষয়ক দূত আমানদীপ সিং গিল বিশ্বে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।
ঢাকায় টেক্সাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৮.০ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাব ১০১ জন সম্ভাব্য উদ্ভাবনী মাস্টারমাইন্ড নির্বাচন করতে 'টিটিএইচ ৮.০ জাতীয় সম্মেলন-প্রতিযোগিতা দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবির কাউন্সিল হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২ আগস্ট রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্ট্রো ও পাওয়ার্ড বাই আর্করোমার উপস্থাপনায় টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট (টিটিএইচ) ২০২৩-২৪ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে সারা দেশের প্রায় ২৫টি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও অডিশন, ইনোভেটিভ আইডিয়া অডিশন ও এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১০১ জনকে জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ ২৫ জনকে ১ লাখ ২৫ হাজার করে টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে সারা দেশ থেকে ৩০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে টিটিএইচ ক্যাম্পাস ড্রাইভ ও সেমিনারে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
১০১ টি ইনোভেশন মাস্টারমাইন্ডের মধ্যে পাঁচটি জোন থেকে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন হলেন- বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন এম আজিজুর রহমান; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খালিদ জামান মুমিত; আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবির হোসেন; মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহাম্মদ আসিফ এবং নোয়াখালীর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের মহাব্যবস্থাপক ইউসুপ নোভি বাবলু পরিচালিত 'ট্রান্সফরমেশন টু ইনোভেশন' সেশনে অংশগ্রহণের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রকল্পটি শেষ হলে নির্বাচিত ১০১ জনকে ইনোভেশন ব্ল্যাক বেল্ট প্রদান করা হবে। ইনোভেশন ব্ল্যাক বেল্ট টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্পের জন্য টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের একটি এক্সক্লুসিভ উদ্যোগ যা টেক্সটাইল শিল্পের বিভিন্ন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ২৫৬ ঘন্টাব্যাপী ফ্যাক্টরি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং বাস্তব হাতে-কলমে সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এই ইনোভেশন মাস্টারমাইন্ডদের উন্নয়নে মোট ৪৯ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পুরস্কার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে।
ফতুল্লা ডায়িং অ্যান্ড ক্যালেন্ডারিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক মিনহাজুল হক বলেন, শিল্পকে চাহিদার নির্ভুলতা জানতে হবে। গুণমান নিশ্চিত করা অপরিহার্য এবং পেশাদারদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
সকল অংশগ্রহণকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল কলেজের সেরা ২৫ জনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টসের (আইটিইটি) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান সিআইপি বলেন, 'আপনাদের নেতৃত্বে আমাদের ১০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আমাদের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে - যা শিল্পকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ‘টেক্সটাইল প্রকৌশলী ও এ খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে তুলছে। আপনাকে শিল্পের ভবিষ্যত নেতা হতে হবে। অতীত ছিল উৎপাদন কেন্দ্রিক। কিন্তু এটা টেকসই, উদ্ভাবন। নেতা তৈরির এই উদ্যোগটি টিটিএইচ। আমি টিটি টিমের কাছে কৃতজ্ঞ। উদ্ভাবন ছাড়া আমাদের শিল্প বিকল হয়ে পড়বে। তাই আমি মনে করি এই জাতীয় সম্মেলন একটি পার্থক্য তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টেক্সটাইল টুডে ইনোভেশন হাবের জিএম ইউসুপ নভি বাবলু।
টিটিএইচ ৮ম সিজনের অন্যান্য স্পন্সররা হলেন- প্লাটিনাম স্পন্সর ডাইসিন গ্রুপ এবং জে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড; প্রাইজ মানি স্পন্সর আপনা অর্গানিকস প্রাইভেট লিমিটেড; স্পন্সর হিসেবে থাকছে সামিত ডাই কেম ও সূতা ঘর কালার হাউজ। কোয়ালিটি পার্টনার এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেড এবংনেটওয়ার্কিং পার্টনার হলো টেক্সমেটা।
আরও পড়ুন: নটরডেম ইউনিভার্সিটির সিএসই ফেস্টের আইডিয়াথনে চ্যাম্পিয়ন বিডিইউ
ঢাকায় জাতীয় যুব উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দেশের উদীয়মান তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় যুব উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০২৩। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সোসাইটি ফর বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বিএইএন) এর সহায়তায় এগ্রিন ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, এই ধরনের উদ্যোগ উদীয়মান উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের গেম-চেঞ্জার করার চেষ্টা দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হতে পারে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানিক মাহমুদ, প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ইনোভেশন, এটুআই এবং নির্বাহী সদস্য, স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এবং কে এম হাসান রিপন, কান্ট্রি ডিরেক্টর, জিইএন বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে বড় 'ফ্রিল্যান্সারস সম্মেলন’ হচ্ছে ঢাকায়
দেশের প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা, অভিজ্ঞ বক্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ২০ জন আলোচক কৃষি, ই-কমার্স ও রিয়েল এস্টেট সেক্টরের উপর তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
যেখানে এসএমই, টিম বিল্ডিং ও নেটওয়ার্কিং, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ব্যবসা এবং অর্থায়নের সুযোগ, বিক্রয়ের বৃদ্ধির কৌশল এবং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পায়।
এছাড়া বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, লজিস্টিক, সাপ্লাই চেইন, কাস্টমার সার্ভিস, অর্থায়ন, ব্র্যান্ড, মার্কেটিং, জনসংযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক ধারণা দিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক্সপার্টদের অংশগ্রহণে প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সেক্টরে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী দেশের ১৬টিরও বেশি সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা, বিজনেস এবং ক্যারিয়ার ক্লাব থেকে নির্বাচিত ২০০ সদস্য ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিডিডিএল সম্মেলনের টাইটেল স্পন্সর এবং স্মার্ট ভিলেজ সোসাইটি এবং আদি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড প্লাটিনাম স্পন্সর। আউটরিচ পার্টনার ছিল র’দিয়া আইএনসি।
আরও পড়ুন: মেলবোর্নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
৭তম ফোবানা সম্মেলন ১ সেপ্টেম্বর কানাডায় শুরু
জি২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না শি, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে: চীন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতে এই সপ্তাহের গ্রুপ অব-২০ (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বেইজিং বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দুই এশিয়ান জায়ান্টের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চীন ঘোষণা করেছে, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং নয়াদিল্লিতে ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সীমান্ত বিরোধের কারণে চীন ও ভারতের সম্পর্ক এখনও হিমশীতল। এমনকি বছর তিনেক আগে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষেও জড়ায় এই দুই পরাশক্তি। সে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনা নিহত হয়েছিল।
এমনকি সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দুই পক্ষ কামান, ট্যাঙ্ক, ফাইটার জেট এবং কয়েক হাজার সামরিক কর্মী মোতায়েন করেছে।
বিরোধের উল্লেখ না করে বা প্রেসিডেন্ট শি’র অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখ না করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, চীনা নেতারা ‘সর্বদাই ভারতের এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনকে সমর্থন করেছেন এবং জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল করতে সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত।’
মাও একটি দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে এবং সকল স্তরে সংলাপ ও যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীন-ভারত সম্পর্কের বৃহত্তর এবং ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের জন্য ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাণিজ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
ভারত ও চীন উভয়ই একে অন্যের সাংবাদিকদের বহিষ্কার করেছে এবং একসময় এক দেশের প্রচুর শিক্ষার্থী অন্য দেশে পড়তে যেত, কিন্তু এখন শিক্ষা বিনিময় শূন্যের কোঠায়।
ভারত সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে এবং কম্পিউটার, ইস্পাত তৈরি, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।
ভবিষ্যতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমানোর জন্য চীনা ও ভারতীয় সামরিক কমান্ডাররা গত মাসে বৈঠক করেন এবং লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার’ প্রতিশ্রুতি দেন।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল পশ্চিমে লাদাখ থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের চীন ও ভারত-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে পৃথক করেছে। অবশ্য চীন সম্পূর্ণ অরুণাচল প্রদেশের মালিকানা দাবি করে।
জি২০-এ যোগ না দিয়ে শি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটি সুযোগ প্রত্যাখান করেছে। যখন চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এছাড়া, চীন আরও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে শি নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার নেতাদের বৈঠকেও যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল বিশ্বে আরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র লাভের দিকে নজর দেবে রাশিয়া ও চীন। এ সময় পশ্চিম-বিরোধী যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে কাছে টানতে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে তারা।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস অর্থনৈতিক ব্লকের নেতারা জোহানেসবার্গের স্যান্ডটনে তিন দিনের বৈঠক করবেন। গত দেড় দশকে চীন এই ব্লকে কূটনৈতিক মূলধন বিনিয়োগ করেছে এবং এটা নিয়ে তাদের উচ্চাকাক্ষা রয়েছে তার প্রমাণ ওই বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি।
ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। একারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ক্ষেত্রে জটিলতা থাকায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন তিনি। এ ছাড়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার প্রধান শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সাইডলাইন বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পশ্চিমা আধিপত্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে সাধারণ আহ্বান জানানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাশিয়া ও চীন সবেচেয়ে বেশি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় পুতিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন উন্নয়নশীল দেশের নেতা বা প্রতিনিধিরা সাইডলাই বৈঠকে যোগ দেবেন।
ব্রিকস ব্লকের সম্ভাব্য সম্প্রসারণসহ একটি সুনির্দিষ্ট নীতির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের উদীয়মান বাজারভিত্তিক দেশগুলোর সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত হয়েছিল ব্রিকস। পরের বছর সংস্থাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যুক্ত করেছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা বলছেন, আরেকটি সম্ভাব্য সম্প্রসারণে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনকারী ২০টিরও বেশি দেশের মধ্যে একটি হলো সৌদি আরব। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক ব্লকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উত্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করার যে কোনো পদক্ষেপ স্পষ্টতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। অতিরিক্ত শীতল ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ এবং পারস্য উপসাগরে কিছুটা প্রভাব বিস্তারের জন্য বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এরই মধ্যে অনেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
সৌদি আরবে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত তালমিজ আহমেদ বলেছেন, ‘যদি সৌদি আরব ব্রিকসে প্রবেশ করে তবে এটি এই গ্রুপিংকে অসাধারণ গুরুত্ব দেবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত ব্রিকস সম্প্রসারণের নীতিতে একটি চুক্তিও জি-৭ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্লকের জন্য রাশিয়ান ও চীনা দৃষ্টিভঙ্গির জন্য একটি নৈতিক বিজয়।
ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধের মতো স্থবিরতার মধ্যে উভয়ই এক ধরনের জোটকে শক্তিশালী করার জন্য আরও দেশকে যুক্ত করার পক্ষে -- এমনকি এটি শুধুমাত্র প্রতীকী হলেও৷
আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে আলজেরিয়া, মিশর, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত সব দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদির সঙ্গে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে এবং সম্ভাব্য নতুন সদস্যও হতে পারে।
জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের অধ্যাপক অ্যালেক্সিস হাবিয়ারেমি বলেছেন, ‘যদি তাদের মধ্যে কয়েকটি দেশকে নেওয়া হয়, তাহলে এটি একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক ব্লকে পরিণত হবে এবং সেখান থেকে শক্তির উৎস তৈরি হবে।’
যদিও ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রসারণে কম আগ্রহী এবং বর্তমানে একটি একচেটিয়া উন্নয়নশীল বিশ্ব সংগঠনে তাদের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে। যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং পাঁচটি দেশকে প্রথমে নতুন সদস্য হওয়ার যে মানদণ্ড পূরণ করতে হবে তাতে একমত হতে হবে। বেইজিংয়ের চাপের মধ্যে এটি জোহানেসবার্গের এজেন্ডায় রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জিয়াওডং বলেছেন, ‘ব্রিকস সম্প্রসারণ এই মুহূর্তে শীর্ষ আলোচিত বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’ সম্প্রসারণই ব্রিকসের মূল কার্যক্রম বাড়ানোর চাবিকাঠি। আমি বিশ্বাস করি আসন্ন এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন একটি নতুন ও দৃঢ় পদক্ষেপের সাক্ষী হবে।’
ব্রিকস থেকে উদ্ভূত যে কোনো রুশ ও চীনা প্রভাবকে বন্ধ করার প্রয়াসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ভারতের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনের আগেই স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রিকস অ্যাসোসিয়েশনের অনেক নেতৃস্থানীয় সদস্যদের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত আছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
ইউরোপীয় ইউনিয়নও জোহানেসবার্গের ঘটনাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করবে, তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের উপর প্রায় একমাত্র মনোযোগ এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য ঐক্যবদ্ধ নিন্দা জানাতে ব্লকের অব্যাহত প্রচেষ্টা এখনও পর্যন্ত অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে।
শি, লুলা, মোদি ও রামাফোসা একত্রিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের এই মুহূর্তটি আন্তর্জাতিক আইন বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
স্ট্যানো বলেছেন, ‘আমরা পুতিনকে তার অবৈধ, অস্থিতিশীল আচরণ বন্ধ করতে তাদের ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছি।’
মূল শীর্ষ সম্মেলনের আগে জুন মাসে কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যদি কোনো সমাধান হয়ে থাকে, তাহলে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া বা পুতিনের প্রকাশ্য সমালোচনা হবে না। স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারের বাইরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাইটস গ্রুপ এবং ইউক্রেনীয় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ আফ্রিকার ঘোষিত প্রতিবাদ সম্ভবত একমাত্র নিন্দা জানাবে।
যদ আগের বৈঠকে কোনো সমাধান হয়, এই শীর্ষ সম্মেলন থেকে কিছু সুবিধা পেতে পারে রাশিয়া।
ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামে ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো মারিয়া স্নেগোভায়া বলেছেন, গত মাসে ইউক্রেনের বাইরে শস্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার একটি চুক্তি স্থগিত করার পরে পুতিন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বিনামূল্যে রাশিয়ান শস্যের চালান ঘোষণা করতে ব্রিকস সমাবেশ ব্যবহার করতে পারেন। তিনি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের জন্য করেছেন।
স্নেগোভায়া বলেন, ইউক্রেনকে প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার সময় এটি পুতিনকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে ‘সদিচ্ছা’ প্রদর্শনের অনুমতি দেবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,পুতিন একটি ভিডিও লিঙ্কে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও শীর্ষ সম্মেলনে ‘সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ’ করবেন এবং একটি বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জোহানেসবার্গে তিন দিন ধরে নিয়মিতভাবে যা সম্প্রচারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা হলো বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার উপর উন্নয়নশীল বিশ্ব আঁকড়ে ধরা। শীর্ষ সম্মেলনের আগের কয়েক মাস ও সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বিশ্বের মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের আধিপত্যের সমালোচনা চলছে।
পাঁচটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কারণে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে নীতি বাস্তবায়নে ব্লকের যে অসুবিধা রয়েছে তা নির্দেশ করতে ব্রিকস বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ঐক্যবদ্ধ।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রজেক্টের বিশ্লেষক কোবাস ভ্যান স্টাডেন বলেন, স্থানীয় মুদ্রায় আরও বেশি বাণিজ্যের দিকে মনোনিবেশ করা এমন একটি বিষয় যা তারা সকলেই পিছনে ফেলতে পারে।
তিনি দেখেছেন যে ব্রিকস বিশ্বের কিছু অংশে আঞ্চলিক বাণিজ্যে ডলারের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, ঠিক যেভাবে তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনকে সামগ্রিকভাবে দেখেন।
ভ্যান স্ট্যাডেন বলেন, ‘এগুলোর কোনোটিই বড় অস্ত্র নয় যা ডলারকে মোকাবিলা করতে চলেছে। এটা নাটক নয়।’ ‘এটি একটি বড় তরবারির ক্ষত নয়, এটি অনেকগুলো কাগজ কাটার মতো। এটি ডলারকে দমাবে না, তবে এটি অবশ্যই বিশ্বকে আরও জটিল করে তুলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের ডলারকে হারানোর দরকার নেই এবং তাদের জি-৭ কে পরাজিত করার দরকার নেই। তারা বিশেষভাবে যা করতে চায় তা হলো এর একটি বিকল্প উত্থাপন। এটা অনেক দীর্ঘ কাজ।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী
জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সংগঠন ব্রিকসের ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপের পর এটিই হবে সশরীরে আয়োজিত প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।
আফ্রিকার দেশটিতে ভ্রমণকারী বিশ্ব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে পাওয়া সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটসের একটি নিয়মিত ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) থেকে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার বেশি যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৮টা ৫০ মিনিটে জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে নিয়ে যাওয়া হবে।
এরপর ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রেডিসন ব্লু হোটেলের কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’-এ প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী দুপুর সাড়ে ১২টায় রেসিডেন্স প্রাসাদ রিভোনিয়ার সপ্তম তলায় অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকান দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে’ বক্তব্য দেবেন।
পরে বিকালে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্ধ্যায় জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং একটি ‘রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়’ যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
২৪ আগস্ট দেশগুলোর ৭০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া 'ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ' (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ) ‘ব্রিক্সের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিনে শেখ হাসিনা স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ আগস্ট কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করবেন।
আগামী ২৬ আগস্ট দুপুর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর তিনি ২৭ আগস্ট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইসএসআইএ) পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি