টানা বৃষ্টি
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নাগরিক জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি।
এতে নগরীর মেহেদীবাগ, জিইসি, চকবাজার, মুরাদপুর, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, সিরাজদৌল্লাহ রোড, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, বড়পোল, হালিশহর, দেওয়ানহাট, কাতালগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তিনপুল, জামাল খান, প্রবর্তক মোড় এলাকার সড়কে বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি মিশে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে রিকশা ও সিএনজি চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই রওনা দেন। আবার অনেকে মাঝপথে গাড়ি পেয়ে দেরিতে পৌঁছান পরীক্ষা কেন্দ্রে। সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে গাড়ি ভাড়ায় বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক।
চট্টগ্রামের কাপাসগোলা এলাকার এক অভিভাবক ইউএনবিকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে সিএনজিতে চড়েছি। সিএনজিচালক সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া চেয়েছেন। বাধ্য হয়ে দিয়েছি।’
১৩০ দিন আগে
তিস্তায় বাড়ছে পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের ৪৪ গেট
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১ জুন ) সকাল ৯টায় তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৬ মিটার (অটো গেজ), যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।
তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের নদীপাড়ের চরাঞ্চলে বন্যা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নদীটির তীরে রয়েছে ৭৬টি চর, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিচু জমিতে বসবাস করেন। ফলে এসব এলাকায় দ্রুত প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই তবুও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নদীভাঙন, দারিদ্র্য আর অবহেলার মাঝেও স্বপ্ন দেখে যারা
হাতীবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে। তাই তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
১৮৭ দিন আগে
সিলেটে ভূমিধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু
টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১ জুন) রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে উপজেলার লাক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই এলাকার রিয়াজ উদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), মেয়ে সামিয়া খাতুন (১৫) ও ছেলে আব্বাস উদ্দিন (১৩)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে একটি টিলার নিচু অংশে বসবাস করে আসছিল। টানা ভারী বৃষ্টির কারণে রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে টিলার একটি বড় অংশ ধসে পড়ে তাদের বাড়ির ওপর, এতে তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অতি ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা: বিএমডি
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশের ধারণা, দীর্ঘস্থায়ী ভারী বৃষ্টি টিলার কাঠামোকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং সেটি হঠাৎ ধসে পড়ার কারণ হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সুরক্ষার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি ঢালের কাছে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তরের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১৮৭ দিন আগে
নদীভাঙন ও তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে দিশেহারা কুড়িগ্রামবাসী
বর্ষা এখনো ঠিকঠাক এসে পৌঁছায়নি। তবুও আগেভাগেই কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন আর দুর্ভোগ। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষজন এখন আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত কয়েক দিনেই ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লার হাট, রসুলপুর, কড্ডার মোড়সহ সদর, চিলমারী, রাজারহাট, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার একাধিক এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর, আবাদি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে স্থানীয় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।
নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, যদি ভাঙন ঠেকানো যেত, তাহলে ঘরবাড়ি আর ফসলের এমন ক্ষতি হতো না। সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনাও রক্ষা পেত।
১৯৩ দিন আগে
টানা বৃষ্টিতে ঢাকায় বিপর্যস্ত জনজীবন
টানা বর্ষণে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা ও যানজট সৃষ্টি হওয়ায় নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, মালিবাগ, মৌচাক, নিউমার্কেট, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গলিগুলো ডুবে গেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় দুই মিলিমিটার ও সিলেটে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর কিছু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা
শনিবার অনেক বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় পরিবহন সংকটনের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসগামীদের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসও হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে পূর্বাভাসে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থানে রয়েছে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
৪২৬ দিন আগে
যশোরে টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি ৮৫০০ মানুষ
টানা বৃষ্টিতে যশোরের ভবদহ অঞ্চলের অভয়নগর উপজেলা অংশের ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২৬ গ্রামের ২ হাজার ২০০ পরিবারসহ আনুমানিক সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের। আমন ধানসহ তলিয়ে গেছে কয়েকশ হেক্টর সবজি ও ফসলের খেত।
এছাড়া স্কুলের মাঠ, বসতবাড়ির উঠান পানিতে থই থই করছে। কোথাও কোমর কোথাও বুক পর্যন্ত পানি জমেছে। ঘরের মধ্যেই ঢুকে পড়েছে পানি।
আরও পড়ুন: পানিবন্দি চাঁদপুরের লক্ষাধিক বাসিন্দা, পানি ও খাবারের তীব্র সংকট
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টির কারণে অভয়নগরের প্রেমবাগ, সুন্দলী, চলিশিয়া, পায়রা ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌরসভার নিচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে ১ নম্বর প্রেমবাগ ইউনিয়নের জিয়াডাংগা (আংশিক), মাগুরা (আংশিক), বনগ্রাম (আংশিক), বালিয়াডাংগা (আংশিক) এই ৪টি গ্রামের আনুমানিক ২০০ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২ নম্বর সুন্দলী ইউনিয়নের লক্ষীপুর, ডাংগা মশিয়াহাটি, ডহর মশিয়াহাটি, ভাটবিলা, ধোপাদী (আংশিক), সুন্দলী (আংশিক), এই ৬টি গ্রামের আনুমানিক ৫০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ নম্বর চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা, আন্ধা, বেদভিটা, কোটা (আংশিক), বলারাবাদ, চলিশিয়া (আংশিক), বাগদাহ (আংশিক), এই ৭টি গ্রামের আনুমানিক ৭০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ নম্বর পায়রা ইউনিয়নের দিঘলিয়া (আংশিক), বারান্দী (আংশিক), আড়পাড়া (আংশিক) এই ৩টি গ্রামের আনুমানিক ২৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নওয়াপাড়া পৌরসভার বুইকারা (আংশিক), সরখোলা (আংশিক) আমডাংগা, লক্ষীপুর (আংশিক), ধোপাদী (আংশিক), গাজীপুর (আংশিক) এই ৬টি গ্রামের আনুমানিক ৫৭০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৫৫ জন শিশু আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩, পানিবন্দি ১২ লাখেরও বেশি পরিবার
সরেজমিনে ৪ ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। বাড়ির উঠানেই কোমর পর্যন্ত পানি জমে রয়েছে। স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছেন না। গবাদিপশু ও মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে।
অভয়নগর উপজেলা ঘের মালিক সমিতির সভাপতি মো. রবিউল আলম বলেন, ঘেরগুলো ভেসে গিয়ে মালিকরা শেষ হয়ে গেছে। তাদের পুনর্বাসন দরকার। সরকারি সহায়তা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, অভয়নগরে ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১১৪ দশমিক ৫০ হেক্টর আয়তনের ৩৩২টি মাছের ঘের এবং ২৪ দশমিক ১৫ হেক্টর আয়তনের ১৮০টি পুকুর/দীঘি/খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য আমরা সব সময় প্রনোদনা বা সহায়তা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলে থাকি।
এবারও অনুরোধ করেছি বলে জানান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, রোপা-আমনের ১ হাজার ৫৮১ হেক্টর, সবজির ১৩৬ হেক্টরসহ ১ হাজার ৭১৭ হেক্টর জমির ফসল ও সবজির থেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, অভয়নগরের জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে যশোরের ডিসি সোমবার এসেছিলেন। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
৪৪২ দিন আগে
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাগুলো।
গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল এলাকার নিচু এলাকায় পানি উঠেছে।
ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে মানুষ।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর প্রায় তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
এই নিয়ে গত দুই মাসে ৪ বার বন্যা কবলিত হলো এই পার্বত্য জেলা।
৪৭০ দিন আগে
টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা, স্থবির জনজীবন
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে কুমিল্লায় টানা বৃষ্টিপাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রবিবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে জেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
নগরীর নজরুল এভিনিউ, বিসিক সড়ক, শহরের চানপুর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া লুঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত আরও দুই দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ
ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
৪৭২ দিন আগে
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ চাঁদপুর নগরী
মুষলধারের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুর নগরীতে। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচল কমে গিয়েছে, বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবীরা।
এদিকে শহরের নাজির পাড়া, মাদরাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, মোল্লাবাড়ি রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় মুষলধারের বৃষ্টিতে সড়কে প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে আছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম নগরী, বিপাকে কর্মজীবীরা
মোহাম্মদ হোসেন গাজী নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘মুষলধারের বৃষ্টিতে দিনমজুর ও শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না।’
পুরান বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। যারা নির্মাণশ্রমিক তারাও কাজে যেতে পারেনি।’
মাদরাসা রোডের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠে গেছে।’
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
রহমতপুর আবাসিক এলাকাল বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে এলাকার সড়ক ডুবে গেছে। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে।’
৪৮৯ দিন আগে
টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে মৌসুমি পেঁয়াজের বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গেছে। ফলে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন জানান, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপণ করছি। এতে করে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ব।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি, তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপণ করা্ সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব। কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪০ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলার নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে একই চিত্র সালথা উপজেলায়।
বৃষ্টিপাতের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বীজতলা আবাদ করা হয়েছে ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এসব মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও বীজতলার বেশিরভাগ খেত তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, খেতের পানি দ্রুত নামিয়ে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি আর বৃষ্টি না হয়, তাহলে তেমন ক্ষতি হবে না। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬.২০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
৭২৭ দিন আগে