ক্যাম্প
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পাঁচ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সবাই রোহিঙ্গা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
আহতদের প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক হাসিনা জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাসের চুলার আগুনে নারীসহ ৩ জন দগ্ধ
নির্বাচনের আগে সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে: র্যাব
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সারাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মোতায়েন করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা সব সংসদীয় আসনে মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে ২৫টি অস্থায়ী র্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
তারা ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট গণনায় ভূমিকা রাখবে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুটি করে টহল দল মোতায়েন করা হবে এবং প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দুটি করে টহল দল রাখা হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোট ৭০০টির বেশি টহল দল দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে র্যাবের অভিযানে ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিজস্ব সুইপিং ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল প্রস্তুত রাখা হবে।
এছাড়া, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে।
র্যাব ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্সের বিশেষ বাহিনী যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
৭টি জোনে বিভক্ত র্যাব ফোর্সেস হেড কোয়ার্টার্সের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েনের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
ডগ স্কোয়াডের ১০টি দলকে র্যাব ফোর্স হেড কোয়ার্টারে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।
সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে: র্যাব
রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার: র্যাব
ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগর প্রতীকের প্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৫টি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজিব দাবি করেন, ফরিদপুর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের শোভারামপুর ও সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর এলাকায় গভীররাতে অগ্নিসংযোগ করে ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ও পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
এদিকে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ১নং কেন্দ্রের সদস্য সচিব এবং বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মী সিদ্দিক শেখ, আব্দুল আজিজকে মারধর করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সম্বনয়কারি সোয়েবুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, কোনো উস্কানি ছাড়াই নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোফাজ্জল হোসেন সকালের দিকে লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় ।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় ঘটনাই পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
বিকেএসপিতে প্রতিবন্ধী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষ হলো
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রতিবন্ধী ৩০ জন ফুটবলারের আট দিনব্যাপী (২-৯ অক্টোবর) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষ হয়েছে।
সমাপনী দিনে সোমবার (৯ অক্টোবর) তারা একে অপরের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে সুবর্ণ নাগরিক ফাউন্ডেশন (এসএনএফ) টাইব্রেকারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডকে (সিআরপি) পরাজিত করে।
আরও পড়ুন: বিকেএসপিতে অনুশীলনে ফিরেছেন সাকিব
সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসকে (আইসিআরসি) তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য আইসিআরসি'র প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়াতে এবং তাদের অ্যাম্পুটি ফুটবলের ধারণার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সহায়তা করার জন্য ২ থেকে ৯ অক্টোবর বিকেএসপি প্রশিক্ষণ গ্রাউন্ডে প্রতিবন্ধী ফুটবলারদের সমন্বয়ে গঠিত তিনটি দলের জন্য এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে আইসিআরসি প্রতি বছর ১৪ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অ্যাম্পুটি ফুটবলের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজনে সিআরপিকে সহায়তা করেছিল।
আরও পড়ুন: সব বিভাগে বিকেএসপির মতো ইনস্টিটিউট হবে: শেখ হাসিনা
লিটন বিশ্রামে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন শান্ত
উখিয়ায় ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক সাব মাঝিকে (রোহিঙ্গা নেতা) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উখিয়া ১৮নং ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/৫৬ এর কোডেক স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনায় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিহত ব্যক্তি মো. মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৫) ১৮নং ক্যাম্পের সাব মাঝি হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন।
হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলি।
তিনি জানান, নিহত আয়ুব মাঝি আরসা বিরোধী ছিল। মঙ্গলবার বিকালে নিজের ঘরে ফেরার পথে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দুষ্কৃতকারী দল তাকে কুপিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।
আরও পড়ুন: জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
এ সময় তাদের স্বাগত জানান ইউএনএইচসিআর, আইএমও ও আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পরে প্রতিনিধি দলটি সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন এবং সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের বাইরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে দেড়টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন চাকমারকুল-২১ নম্বর ক্যাম্পের ই/২ ব্লক এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।
তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে চাকমারকুল-২১ নম্বর ক্যাম্পের কাঁটাতারের ৪০০ মিটার বাইরে থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হত্যা করে লাশটি রেখে চলে গেছে। আমরা এই লাশের পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, লাশটির সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, আরসা কমান্ডার নিহত
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে গেলে হাসপাতালে নেয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হাফেজ মাহবুব (২৭) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করার পর দ্রুত ক্যাম্পের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জি-৭ ব্লকের কাছে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। এছাড়া পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবককে গুলি করে হত্যা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, দুই শিশু গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উখিয়ার ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন গুলিবিদ্ধ
গুলিবিদ্ধ দুই শিশু হলো- ৮নং ক্যাম্পের ওবায়দুল হকের মেয়ে উম্মে হাফসা (১১) ও একই ক্যাম্পের আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল ফয়েজ (৮)।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপে সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের আবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২
মুন্সীগঞ্জে যুবলীগ নেতার গুলিতে যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ
তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে ১৮০ রোহিঙ্গাকে
কক্সবাজারের উখিয়ার পাশ্বর্বতী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুইটি গোষ্টির মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।তুমব্রু কোনার পাড়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়।
রবিবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছেন।এদেরকে ঘুমধুমসহ ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়।পর্যায়ক্রমে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প হস্তান্তর করা হবে।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: ‘তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না যাচাই করা হবে’
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর শুরু হয়। এখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) ২ কর্মকর্তার অধীনে ডজনাধিক স্টাফ কাজ করেন। প্রথমদিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। নম্বর উল্লেখ আছে। আর এসব স্লিপের নিচে সই করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) এর কর্মকর্তা প্রিতম সাহা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক খুন
উল্লেখ্য, বর্তমানে তুমব্রু ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের দুই হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত।গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন তারা।