কর্মকর্তা
সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে সুন্দরবনের বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার জসিম বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের নিয়ামুলের ছেলে এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদের সমর্থক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
জানা যায়, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে শরণখোলা বাজারে সুন্দরবন বিভাগের স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বন বিভাগের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ৩ জন আহত হন।
আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান এবং স্প্রীডবোর্ড চালক সিরাজুল ইসলাম। এদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া সাইফুল ইসলাম রুবেল, মাকসুদুর রহমান রনি ও আমির হাসান চয়নের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা সবাই আসাদের সমর্থক। এদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শরণখোলা বাজারে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ঠেকাতে এসে আরও তিনজন গ্রামবাসী আহত হয়। বন বিভাগের পক্ষ্য থেকে একরাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় অটোরিকশাচালক নিহত, আহত ভাই-ভাতিজা
তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরতে না দেওয়ায় আসাদ তার লোকজন নিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার পর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগীত) আসাদ জানান, দুই বছর ধরে সে সুন্দরবনে মাছ ধরার ব্যবসা করে। বন বিভাগ থেকে সরকারি অনুমতি (পাশ) নিয়ে তার জেলেরা সুন্দরবনে মাছ আহরণ করে। সুন্দরবনের ধানসি এবং দুধরাজ এলাকায় তার জেলেরা মাছ ধরছিল। এসময় অন্য জেলেরা তাদেরকে সেখান থেকে তুলে দিয়েছে। বিষয়টি বন বিভাগের স্টাফদের কাছে জানতে চেয়ে ছিল। এনিয়ে বন বিভাগের স্টাফদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। তার দাবি, অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে তার জেলেরা অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ ধরে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে ব্যাধা দেওয়ার অভিযোগে থানা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজাহার নামীয় আসামি জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে তাকে বাগেরহাট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
কর্মঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক, নার্স-কর্মচারী উপস্থিত থাকে না বলে নানা সময় অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে দায়িত্ব পাওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকার পরও কেউ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কতটি বেড ভর্তি বা কতটি খালি আছে তা জানা থাকে। কিন্তু জরুরি বিভাগে কতজন রোগী আসবে তা ঠিক থাকে না। আর আমাদের হাসপাতালগুলোতে কোনো রোগী এলে তাদের ফিরিয়েও দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার সরকারি হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায় সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে যত বেড আছে, রোগী তার থেকে অনেক বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সময় রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। তাদেরও চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দেন। কিন্তু এসব অতিরিক্ত রোগীর সেবার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ কর্মচারী কেউই অতিরিক্ত বেতন-ভাতা পায় না।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা সবসময় তাদের দায়িত্ববোধ থেকেই সব রোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। আমরা যদি তাদের মূল্যায়ন করি, তাহলে যারা নিয়মিত কাজ করে না, তারা সবাই অন্যদের দেখে আগ্রহ পাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এখনও অফিস শুরু করতে পারিনি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে আজকের ডিসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।
তার দায়িত্বপালনে অগ্রাধিকার কী থাকবে জানতে চাইলে ডা. রোকেয়া বলেন, আমি গুণগত এবং মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ থাকবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দিকে সবাইকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও চিকিৎসক হিসেবে ৩৩ বছর চাকরি করেছি। আমি জানি, আমাদের চেষ্টা থাকে কতটা। তবে, এখন সময় এসেছে আমাদের অন্যান্য সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো একযোগে সমাধান করা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি ফুটবল বা ক্রিকেট টিমের মতো এক হয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করলে স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি সমস্যা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা ত্যাগ কাদেরের
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-সন্তান ও যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার একমাত্র আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌমেন রায় মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে।
তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন, আসমার ছেলে রবিন এবং আসমার প্রেমিক শাকিলকে সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগজিনসহ আটক করে। পরে সেদিন বিকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই দিন রাতে এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। পরদিন ১৪ জুন বিকালে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন। ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর থেকেই পলাতক সৌমেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে, তার ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সৌমেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ভারতে পালিয়েছে।
এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামিকে জামিন দেওয়ায় আমি হতাশ।
তিনি আরও বলেন, আদালত সৌমেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমি খুশি। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া আইনমন্ত্রী মামলা জট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এরপর আইনমন্ত্রী তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালতভবন ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলা জট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
অবসরের ৩ বছরের আগে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না- মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পার না হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
পৃথক রিটের উপর সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অবসরে যাওয়া সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর গ্রহণ করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।
এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এছাড়া, ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরও অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। একত্রে সবগুলো রুলের ওপর গত ৭ নভেম্বর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের
জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারা।
তারা জানান, বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বাজার সৃষ্টি করতে তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন অপপ্রচার ও কৌশলী ভূমিকার কারণে জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই তামাক পণ্যের প্রতি তরুণ প্রজন্ম আসক্ত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান সম্বলিত ই-সিগারেট বাংলাদেশে বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় যথাযথ আইনের অনুপস্থিতি ই-সিগারেটের প্রাদুর্ভাব আরও মারাত্মকভাবে বাড়াতে পারে। তাই এখনই প্রয়োজন আইনের মাধ্যমে ই-সিগারেটের আমদানি, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বন্ধ করা।
শনিবার (২৫ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডর্প) এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে ডর্প-এর প্রোগ্রাম কোওর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম বলেন, গতানুগতিক তামাক পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহারও ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। ই-সিগারেটকে তামাকপণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং সেই লক্ষ্যে প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের সোচ্চারও হওয়ার আহ্বান করেন।
আলোচনায় বক্তারা এই বক্তব্য ও দাবিকে সমর্থন করে বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে বাংলাদেশে এখনই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্পেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ড. শহীদুল ইসলাম, সাবেক উপসচিব মো. মহসীন আলী সরদার বীরপ্রতিক, সাবেক উপ-সচিব প্রফেসর ড. আব্দুল মালেক, সাবেক যুগ্ম সচিব খোন্দকার মো. মতিয়ার রহমানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাবের পরও নতুন পন্থায় আনছে বহুজাতিক কোম্পানি’
সভাপতির বক্তব্যে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ই-সিগারেট বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
ই-সিগারেটের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আইনের সংশোধন এবং কঠোর প্রয়োগ না করা হলে এই দুর্যোগ কাটবে না। এখনই ই-সিগারেটে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ই-সিগারেট আমদানি, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর শিগগিরই চিঠি দেবে।
এম মিজানুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো ই-সিগারেটকে কম ক্ষতিকর হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলেও, তা সঠিক নয়। বরং এটি খুবই ক্ষতিকর একটি পণ্য, যা তরুণ প্রজন্মের তামাক আসক্তি বাড়াবে।
ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে জনস্বাস্থ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেক বলেন, বাংলাদেশে নীরবে ই-সিগারেটের বাজার ব্যাপক আকারে সম্প্রসারিত হচ্ছে, কিন্তু এটি বন্ধে নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান নয়।
তিনি সরকারের প্রতি শিগগিরই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনস্বার্থেই ই-সিগারেটের প্রসার রোধে নীতিনির্ধারকদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে: ই-ক্যাব
ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, তামাক কোম্পানি দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে। ই-সিগারেট নিষিদ্ধে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আইন পাস করতে হবে।
মো. মহসীন আলী সরদার বলেন ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়ার কোনো উপায় হতে পারে না। যারা ধূমপান ছাড়তে চায় তাদেরকে প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেট আমদানি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ভয়াবহতার ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন এবং এটি রোধে সকল পর্যায়ে সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের সক্রিয় হবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জনাব মো. আজহার আলী তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি’র সদস্য আলী কবির হায়দার, শ্রী বসুদেব গাঙ্গুলী, ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, এসকে হাবিবুল্লাহ এবং ডা. মো. তৌহিদ হোসাইন।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশান অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত খসড়ায় যে বিষয়গুলো প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
আরও পড়ুন: তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার বাড়ছে: ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা
শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবন থেকে এসব চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সেখান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালের বস্তাগুলো জব্দ করে বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাদ্যগুদাম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে সরকারের বিভিন্ন চাল মজুদ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া এখান থেকে একটি বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিজ বাসভবনে নিয়ে চালগুলো রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে চালগুলো জব্দের পর বাসভবনটি সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশা করে- যে কোনো দেশের সরকার তাদের কর্মকর্তা ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশন ও এর অধীনে বিদ্যমান কূটনৈতিক কনভেনশনগুলোর অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শোকজ নোটিশ দেবে এবং মুজিবুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করবে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ও কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক, তাদের কর্মকর্তা এবং তাদের স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরী তার এক জনসভায় 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে মারধরের' হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন স্তর এবং সেই স্তরের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিই না। আওয়ামী লীগও কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়; অতএব, তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের এই নেতার আপত্তিকর বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের সকল তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা এবং সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও অংশীজনদের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা যে দিকে কাজ করে যাচ্ছি তা হলো- এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
রাষ্ট্রদূত হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন ৪ কর্মকর্তা
কয়েকেটি রাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চারজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগের এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা হোসেনকে পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আগামী ছয় মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার নিয়োগ আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে অথবা যোগদানের পর থেকে কার্যকর হবে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আগামী ১৭ নভেম্বর বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের সুদানে ভ্রমণ না করার পরামর্শ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অপর প্রজ্ঞাপনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বাংলাদেশে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আগামী (ছয় মাসের জন্য) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। আগামী ১ ডিসেম্বর বা যোগদানের পর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের মানহানির অভিযোগে দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
মিয়ানমারের রাখাইনকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দুই কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
র্যাব-১৫-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে আরসার দুই শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযানে আরসার একটি টর্চার সেলের সন্ধান মিলেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন হলেন- আরসার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার, ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র্যাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওসমান গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী