জনসভা
পাঁচ বছর পর কক্সবাজারে জনসভায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, প্রস্তুতি সম্পন্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সমুদ্র তীরের পর্যটন শহর কক্সবাজার উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বুধবার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম জনসভায় ভাষণ দিতে আসছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই স্থানটি স্বাগত তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কক্সবাজার জেলা শাখার নেতাকর্মীরা তাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে বড় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আ.লীগের জেলা শাখার পক্ষ থেকে এ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সাধারণত মানুষ পর্যটনের জন্য কক্সবাজারে আসলেও বুধবার সারা জেলা থেকে তারা শহরে আসবেন আ.লীগ সভানেত্রীকে সরাসরি দেখতে ও তার কথা শুনতে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে লোক আনার দরকার নেই, বিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণ করতে জেলার মানুষই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রিয় নেতাকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নগরীর পাশাপাশি জেলায় গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল শহরটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত ১৪ বছরে জেলায় তিন লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর কিছুর দরকার নেই। প্রয়োজনে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) অবশ্যই দেবেন।’
পাঁচ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম জনসভার জন্য প্রস্তুত কক্সবাজার।
জেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনগণ প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগ নেতার নির্দেশনার জন্য আগ্রহী।
জনসভা উপলক্ষে আ.লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাইকিং ও প্রচারণার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
শহরের বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানারে বর্ণিল তোরণ ও গেট স্থাপন করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিনব্যাপী সফরে বুধবার সকালে কক্সবাজারে পৌঁছাবেন।
সফরকালে তিনি চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ-২০২২-এ যোগ দেবেন।
বিকালে তিনি তার সফরের প্রধান কর্মসূচি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে স্থানীয় প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর ৭ ডিসেম্বরের জনসভা 'সর্বকালের বৃহৎ' জনসভা হওয়ার আশা
ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজারের বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) জনসভা জনসমুদ্র পরিণত হবে। এটি হবে সর্বকালের বৃহৎ জনসভা।
জেলার প্রতিটি মানুষ উৎসুক হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য। কারণ কক্সবাজারবাসীকে শেখ হাসিনা যা দিয়েছেন তা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিয়েছেন। গৃহহীনরা পেয়েছেন ঘর, ভূমিহীনরা পেয়েছেন জমি, বাস্তুচ্যুত পেয়েছেন ঘরবাড়ি, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই উপকৃত হয়েছেন। তাই দরদী ও উপকারী বন্ধু দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কক্সবাজারের প্রতিটি মানুষ জনসভায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতারা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার আগমন ও জেলা আওয়ামীলীগের জনসভার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এসময় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক (এমপি) জাফর আলম (এমপি),প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, হাসান জাহিদ তুষার,সহকারি প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৮ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে যেকোনো মূল্যে তাদের দল রাজধানীতে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের পাশাপাশি সারা বিশ্ব নজর রাখছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আমাদের সমাবেশের দিকে। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই সমাবেশকে সফল করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, জনসভা সফলভাবে করতে পুলিশের গুরুতর বাধা ও গ্রেপ্তার অভিযানের মধ্যেও বিএনপি নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন এবং জনগণের কাছে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে হলে ১০ ডিসেম্বর আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও সফল সমাবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
বিএনপি’র সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
ফখরুল পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি তাদের দলের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগদান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের বর্তমান আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি পূনরায় আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে অতীতে যখনই দেশ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে তখন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা এগিয়ে এসেছেন এবং অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। ‘আমরা আশা করি তারা এবারও এগিয়ে আসবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের পিঠ এখন দেয়ালের বিপরীতে এবং আমরা ঘাটের একেবারে কিনারায়। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে এবং যে স্বপ্নের জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এই শাসনামল দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে কারণ লুটপাট আওয়ামী লীগের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তারা দু’টি কাজে লিপ্ত হয়- জনগণের টাকা লুটপাট এবং তাদের দুঃশাসন অব্যাহত রাখতে জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ানো।’
আওয়ামী লীগের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের দুঃশাসনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এই দলটি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তারা মানুষের সঙ্গে একত্রে এগোতে পারে না। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে এবং কৌশল অবলম্বন করে তারা ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতায় এলে তাদের আসল রূপ উন্মোচিত হয় যা এখন স্পষ্ট।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের নয়টি বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে পুরো বাংলাদেশ এখন জেগে উঠেছে। ‘১০টির মধ্যে আমরা ইতোমধ্যে ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি এবং অনেক বাধা অতিক্রম করে জনগণ তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই কর্মসূচিগুলোকে সম্পূর্ণ সফল করেছে। তারা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সমাবেশে যোগ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তবে সরকারের অন্যান্য সমাবেশস্থলের পরামর্শ বিবেচনা করবে বিএনপি: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে: ফখরুল
চট্টগ্রাম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, আ.লীগের জনসভা বিকালে
চট্টগ্রামের জনসভায় দশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রবিবার বরণ করে নিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি। প্রায় ১০ লাখ লোক জনসভায় যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ দেবেন নৌকা আকৃতির ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চে। নগরীর পলোগ্রাউন্ডে জনসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
তার দিনব্যাপী সফরে শেখ হাসিনা ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি প্যারেড-২০২২ এ অংশ নেবেন। তিনি প্যারেডে সালাম গ্রহণ করবেন।
সরকার চট্টগ্রামের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যা এখন বাস্তবায়নাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ.লীগের সমাবেশ: প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিকাল ৩টায় রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানার সংবলিত রঙিন তোরণ ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে।
নগরীতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
সমাবেশকে সামনে রেখে ফুটপাথ পরিষ্কার ও রঙ করা, রঙিন আলো দিয়ে ফ্লাইওভার সাজানো এবং বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ সড়ক মেরামতসহ বিভিন্ন সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০ বছর পর এখানে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্থানীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠের বাইরেও দশগুণ মানুষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, শহরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাত হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার। এরই অংশ হিসেবে যশোর স্টেডিয়ামে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোরে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারণা।
আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের আরেকটি জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে: আ.লীগ
দেশকে অস্থিতিশীল করতে নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকার নয়াপল্টনে জনসভা করতে চায় বিএনপি।
রবিবার চট্টগ্রাম জেলার উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিটের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য জনসভার আগে নগরীর পোলো গ্রাউন্ডে শনিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের আবেদনের ভিত্তিতে বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপি-জামায়াত জোটকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার চিন্তা অলীক ও উদ্ভট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া বিএনপির জনসভায় যাওয়া না যাওয়ার আলোচনা অবাস্তব ও এটি উদ্ভট অলীক চিন্তা।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আদালত থেকে কোনো জামিন পাননি। তিনি নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয় সেই দিনটিতে জন্মদিনের কেক কাটেন। এরপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এখন যদি তারা এ রকম চিন্তা করে থাকে তাহলে সরকার তাকে কারাগারে পাঠাতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের পুণর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে তিনি ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে বেগম জিয়ার অংশ নেয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি শীতের পাখি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদ দিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে কেন-এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত: নয়া পল্টনের সামনে বড় জোর পঞ্চাশ হাজার মানুষ ধরে। অর্থাৎ তাদের জনসভায় যে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ হবে না এটি তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়ত: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, কার্যত স্বাধীনতাই ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সেখানেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিএনপি তো পাকিস্তানের দোসর, তাদের মহাসচিব বলেছেন পাকিস্তানই ভালো ছিল। সেই কারণে এই উদ্যান তাদের পছন্দ নয়।
কিন্তু বড় জনসভার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই হচ্ছে উত্তম এবং তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল, তাদের চাওয়া অনুযায়ী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে কি ব্যবস্থা-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি তো বিশৃঙ্খলাই করতে চায়। সে কারণেই তারা নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেয়া হবে না। জনগণই তাদের প্রতিহত করবে।
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে পুরো চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের মাঝে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, এতে আমরা নিশ্চিত যে এটা স্মরণকালের বৃহত্তম এবং লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে ইনশাল্লাহ।
এর আগে মহসিন কলেজের প্রাক্তনীদের পুণর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো বিদ্যাপীঠের কার্যক্রম শুধুমাত্র পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেখানে একজন ছাত্র অনেক কিছু শেখে, তার বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
তিনি বলেন, আমার স্কুলই আমার জীবনের ভিত রচনা করে দিয়েছে। একইভাবে কলেজেও সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি স্যারসহ আরও অনেক শিক্ষক ছিলেন যাদের সান্নিধ্য না পেলে আমি আজকের এই জায়গায় দাঁড়াতে পারতাম না। চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা এই কলেজের অ্যলামনাই এসোসিয়েশন আরও সমাজহিতৈষী কর্মসূচি নেবে যেগুলো সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে, আশাপ্রকাশ করেন ড. হাছান।
মহসিন কলেজ অ্যলামনাই এসোসিয়েশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
আরও পড়ুন: এদেশের জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে: আ.লীগ
৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনে দলটির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনও জনসভা হয় না। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আইন অনুযায়ী এসএসএফ নিয়োজিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় অনেক বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকে। কোনও এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে তিন-চার মাস আগে প্রস্তুতি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আলফাডাঙ্গার মেয়রের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল, বিব্রত আ.লীগ
তিনি আরও বলেন, এই হিসাবটা এখন না বলি। এই হিসাবটা আপনারা করবেন, জনসভা হলে আপনাদের মুখ থেকে আসবে মানুষের সংখ্যা, সেটার অপেক্ষায় আছি। চট্টগ্রামে অতীতে অনেক জনসভার ইতিহাস রয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের জনসভা অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী দলীয় সভায় বলেছেন, ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার জনসভা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রমাণ করব যে ওইদিন চট্টগ্রামের জনতা মহাপ্লাবনের মতো জেগে উঠবে। চট্টগ্রাম শহরে ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। সুতরাং ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করা কোনো ব্যাপার নয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, পলোগ্রাউন্ডে বিএনপি সমাবেশ করেছে, সেটা ছিল বিভাগীয় মহাসমাবেশ। এর সঙ্গে আমাদের সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি একটি জেলার জনসভা। বিভাগীয় জনসভার সঙ্গে একটি জেলার জনসভার তুলনা কিংবা পাল্টা কর্মসূচি হয় না।
বিএনপি মহাসমাবেশ করবে, তাদের জন্য মাঠ প্রস্তুত করে রেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে তাদের জনসমর্থন প্রকাশ করতে পারবে। আমাদের চট্টগ্রামের জনসভা পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাড়িয়ে যাবে। চট্টগ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দিবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়: সিএমপি কমিশনার
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জনসভার স্থান রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জনসভাকে ঘিরে গড়ে তোলা হবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। নগর জুড়ে মোতায়েন থাকবে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ।
এসময় সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: করোনা জয় করে এবার প্লাজমা দিতে চান সিএমপি কমিশনার
সিএমপি কমিশনার বলেন, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আমরা যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে আছি এবং শুধু পলোগ্রাউন্ড মাঠ নয়, পুরো নগর নিরাপত্তার চাদরে রাখতে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ পুরো চট্টগ্রাম মহানগরে আমাদের ছয় হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে বাইরে আরও দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) পুরো আয়োজনটাই তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ মোতাবেক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন থাকবে। মোটকথা, পুরো শহর জুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকবে। সমাবেশের দিন যারা মিছিলে আসবেন, গাড়ি কোথায় রাখবেন সেটা পরে জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ওইদিন স্কুলের পরীক্ষা আছে। সেদিকে আমাদের নজর আছে। আমরা অভিভাবকদের বলব আপনারা হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। তবে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের খবর দিলে আমরা গাড়ি করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেব।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সবদিকে নজর রেখেছি। খোঁজ খবর রাখছি। তাই আমরা বলতে পারি নাশকতা হতে পারে এমন কোনও খবর বা শঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
সিএমপি কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, চলছে বিরামহীন প্রচারণা
দীর্ঘ ১০ বছর পর বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই জনসভাকে ঘিরে চলছে পক্ষকালব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি। আগামী ৪ ডিসেম্বর নগরীর ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ জনসভা।
শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে এখন বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করতে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ব্যানার-পোস্টার ও বিলবোর্ড লাগাতে। জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জনসভা সফল করতে দিন-রাত নগর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ এগিয়ে চলেছে। নৌকার আদলে ১৬০ ফুট দীর্ঘ মঞ্চটি তৈরির কাজ চলছে। মঞ্চের মাঝখানের ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে ২০০ অতিথি বসবেন। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট। ১৫ নভেম্বর থেকে ভেন্যু তৈরির কাজ শুরু হয়। জনসভার জন্য ঢাকা থেকে আসছে দেড়শ মাইক। মূলমঞ্চ ছাড়াও জনসভাস্থলের আশপাশে বসানো হচ্ছে সাতটি বড় পর্দা। এসব পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের বক্তব্য।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দফা পৌর নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শনিবার
এছাড়াও মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও নারীদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ মানুষ এ সমোবেশে জড়ো হবেন বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নগরীর প্রেসপাড়া খ্যাত আন্দরকিল্লাস্থ বিভিন্ন ছাপা খানায় ঘুরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে চলছে শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট তৈরির ধুম। এদিকে নগরীর সড়কে সড়কে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের ব্যানার-পোস্টার। যেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন রকমের শুভেচ্ছা বার্তা। এছাড়া জনসভার স্থানে চলছে তুমুল প্রস্তুতি। প্রতিদিনই চলছে সভা-সমাবেশ মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা ধরণের প্রচার প্রচারণা। নগরীর ২০টি স্পটে চলছে টানা মাইকিং।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভা সফলে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
এছাড়া ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগর জুড়ে ঘোড়াগাড়ি ও ট্রাক নিয়ে ব্যাতিক্রমী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে পলোগ্রাউন্ডের জনসভার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক এমপি এবং নেতারা নিজ নিজ এলাকা থেকে লোকজন আনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে প্রচুর লোকজন আসবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসভায় আসবেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও ১০ দশ গুণ লোকের সমাগম হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের গৌরবময় ভূমিকা আছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও হয়তো চট্টগ্রামবাসীকে নিরাশ করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ উপক্ষে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। নতুন করে রঙ করা হয়েছে নগরীর প্রধান ও বড় দুই ফ্লাইওভার, নগরীর প্রতিটি সড়ক ডিভাইডার, সরকদ্বীপসমূহ নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আপামর জনগণের সংগঠন। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। সুতরাং ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসবেন তা নয়। প্রিয় নেত্রীকে দেখতে চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলে আসবে। আর এতে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে আশেপাশের এলাকাও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর একই মাঠে আবারও ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এ জনসভা সফল করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ বুধবার, আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
যশোরে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি রেখে বৃহস্পতিবারের জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আশা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিবেন।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলে ইতোমধ্যে নৌকা আকৃতির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ প্রায় ‘দশ লাখ’ লোক সমাবেশে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মঞ্চ সজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জানান, সমাবেশ সফল করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আগামীকাল যশোর স্টেডিয়াম জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে মিলন বলেন, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশ করতে বাড়তি প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
আ.লীগের এই নেতা বলেন, ‘যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রমাণ করবে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আর দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
সমাবেশ সফল করতে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা সমাবেশে আগতদের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক সুখেন মজুমদার।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলের সংযোগস্থলে আবদুর রাজ্জাক কলেজের মাঠে খাবার পানি ও স্যানিটেশনের প্রস্তুতিও যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ।
যশোর বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দেয়াল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও দলের বিভিন্ন স্লোগান ও রঙে রাঙানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
যশোর সদরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সি জানান, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে ১২টি নির্দিষ্ট রুট দেয়া হয়েছে। সমাবেশের দিন শহরে কোনও যানবাহন প্রবেশ করবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ২০টি পার্কিং এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী