ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গত ৭ ফেব্রুয়ারি আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ইবি ও লালন শাহ হল প্রশাসনের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটিগুলো সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সম্পৃক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর ও উজ্জল হোসেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আগামী শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটি জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুদাসসির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেয়।
সেখানে তারা ওই শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে মধ্যরাত থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে নির্যাতিত অভিযুক্তদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে অস্বীকার করলে স্টিলের লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে।
এর আগে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুম, মিম, উর্মি ও মাওবিয়া জাহানের নির্যাতনের শিকার হন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২১ আগস্ট অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় স্থায়ীভাবে অভিযুক্ত পাঁচজনের আবাসিকতা (হলের বরাদ্দকৃত সিট) বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এতে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন উর্মি, ইশরাত জাহাম মীম ও মোয়াবিয়ার সিট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস: ব্যক্তিগত সহকারীকে অব্যাহতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য এবং একজন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ( পিএসকে) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
জানা যায়, বুধবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম পিএস আইয়ূব আলীকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, ‘ভিসি স্যার গতরাতে (বুধবার) আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি। তাই সকালে এসে অব্যাহিতর আদেশপত্র প্রস্তুত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসি স্যার শুধু তাকে অব্যাহত দেওয়ার কথা বলেছেন। কোন কারণ জানাননি।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর ইবির তিনটি বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া মোট পাঁচটি অডিও ক্লিপের মধ্যে তিনটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন চাকরিপ্রার্থী অলিউর ও উপাচার্যের মধ্যে হওয়া কথোপকথন এবং বাদি দুটি উপাচার্যের সঙ্গে একটি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কথোপকথন।
অডিও ক্লিপগুলোতে, কথিত উপাচার্য অলিউরকে বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের শর্ত অনুসারে আরও দু'জন প্রার্থী যোগাড় করতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নির্দিষ্ট সময়ে মেগা প্রকল্পে নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ইবি
ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবস কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২২ স্বর্ণপদক অর্জন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা।
তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়ার হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমস হকি বাছাইপর্ব: ইন্দোনেশিয়াকে ৩-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুডু অ্যান্ড কারাতে ক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে পরাজিত করে সিনিয়র-৫০ কেজি (মহিলা) কুমি ইভেন্টে স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার গুলিস্তানের ব্যাডমিন্টন স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কারাতে বিষয়ক বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এ প্রতিযোগিতায় মার্শাল আর্ট সায়েন্স (এমএসএ) টিম তিনটি স্বর্ণপদক, তিনটি রৌপ্যপদক ও নয়টি তাম্রপদক অর্জন করে।
তানজিনা এমএসএ টিমের হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
স্বর্নপদক অর্জনের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তানজিনা বলেন, আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি।
কোনো প্রস্তুতি ছাড়া নেমে এতো ভালো অর্জন পেয়ে যাবো ভাবিনি। এই অর্জন সামনের জাতীয় প্রতিযোগিতার অনুপ্রেরণা হবে আমার জন্য।
উল্লেখ্য, ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মার্শাল আর্ট এন্ড সাইন্স এসোসিয়েশন’ এর প্রতিষ্ঠাটা জান্নাতুল ফেরদৌস তানজিনা।
ইবিতে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রথমবারের মতো কারাতে, মার্শাল আর্ট বা সেল্ফডিফেন্সের প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন তিনি।
তানজিনা বাংলাদেশ কারাতে কনফেডারেশনের সিনিয়র প্রশিক্ষক, সিনিয়র খেলোয়াড় এবং এরআগে জাতীয় পর্যায়ে তিনবার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কারাতে কনফেডারেশন থেকে ব্লাক বেল্ট ফাস্ট ড্যানের অধিকারী।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
দক্ষিণ এশিয়া অনূর্ধ্ব-১৫ ব্যাডমিন্টন: গালিব-মুস্তাকিম জুটির শিরোপা জয়
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১ আগস্ট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভূক্ত ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।
রবিবার সন্ধ্যায় ’ডি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটিরসদস্য অধ্যাপক ড. এম ইয়াকুব আলী ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদ না থাকায় স্বতন্ত্রভাবে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে পারবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এবছর ১২৫০টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া ভর্তিপরীক্ষাসংক্রান্তযাবতীয় তথ্যবিশ্ববিদ্যালয়েরওয়েবসাইট www.iu.ac.bd-থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ইবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ মার্চ
ইবি খুলছে শনিবার
ইবি খুলছে শনিবার
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামী শনিবার খুলছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
বৃহস্পতিবার ইবির তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হবে। ১৬ জুলাই শনিবার যথারীতি অফিসসমূহ এবং ১৭ জুলাই রবিবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই থেকে এ ছুটি শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইবির জন্য প্রায় ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলো ইউজিসি
ইবিতে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু ২ জুলাই
ইবির জন্য প্রায় ১৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলো ইউজিসি
২০২২-২৩ অর্থবছরে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জন্য ১৫৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ বছর গবেষণা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ টাকা (শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: ইবিতে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু ২ জুলাই
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক রাজিবুল ইসলাম কনক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূইয়া জানান, তারা ২১০ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করলেও ইউজিসি ১৫৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে।
ইবি উপাচার্যের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তুরস্কের চানকিরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসের কনফারেন্স রুমে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
তুরস্কের প্রতিনিধিদলে সদস্যরা হলেন- ড. সারকান কোলডাস, ড. ইফেহান উলাস ও এইস নূর।
এসময় ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো.আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতাউর রহমান, আইআইইআর-এর পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. মেহের আলী, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যৌথ গবেষণা, ক্রেডিট ট্রান্সফার এবং গবেষণাগার উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ গত ২৮ মে থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সঙ্গে শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
ছাত্রাবাস থেকে ইবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তৃতীয় মেধা তালিকার পরও ইবিতে ১২৭০ আসন শূন্য
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির পরও আরও এক হাজার ২৭০টি আসন শূন্য রয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগদান করে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে তারা সময় মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব স্বতন্ত্র হারিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান জানান, বুধবার অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় তারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে যোগ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইবির ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি ড. মেহের
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট দুই হাজার ৯৫টি আসনের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেধা তালিকা থেকে ৮২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিভাগের পরিচালক এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, শূন্য থাকা এক হাজার ২৭০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘ক’ ইউনিটে ২৭৫টি; কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অধীনে ‘বি’ ইউনিটে ৭৪৬টি এবং ব্যবসায় প্রশাসনের অধীনে ‘সি’ ইউনিটে ২৫০টি আসন খালি রয়েছে।
আসন্ন মেধা তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে এসব শূন্য আসন পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইবির আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক এম আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তৃতীয় মেধা তালিকার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
তিনি বলেন, তৃতীয় মেধা তালিকার পরও আসন শূন্য থাকলে সংশ্লিষ্ট অনুষদ তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো তথ্য নিয়ে কাজ করছি। কয়েকদিনের মধ্যে ওয়েবসাইটে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
প্রথম হয়েও মিলছে না স্বর্ণপদক!
অনুষদে প্রথম হয়েও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী। সময়মতো সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ফল প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ’মেধার মূল্যায়নে আমরা অনুষদে প্রথম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক আমাদের প্রাপ্য। কিন্তু সেশনজট ও ফলাফল প্রকাশে বিভাগের ব্যর্থতায় আমরা এ পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যা কাম্য নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষদে সর্বোচ রেজাল্টধারীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি। সেই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। কিন্তু বিভাগগুলো সেই ফলাফল প্রকাশ করে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। এদিকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। একই বছরে দুই শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় পদকের তালিকা থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
৪ জানুয়ারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পদকের জন্য ইউজিসি বরাবর চূড়ান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি শাখা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এবছরে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদ থেকে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের রুবাইয়া ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত ফলাফলে তার সিজিপিএ ৩.৫৯। অপরদিকে একই অনুষদের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল ইসলামের ফলাফল প্রকাশিত হয় একই বছরের শুরুর দিকে। তার মোট সিজিপিত্র ৩.৫৯। ফলাফল একই হলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আশরাফুল।
একইভাবে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ইলিয়াস আলমগীরের প্রাপ্ত সিজিপিত্র ৩.৬২। কিন্তু তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালে। যা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালে। বিভাগের ভুলে তিনিও পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একইভাবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের একজন, জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজনসহ ধর্মতত্ত্ব অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ’শিক্ষা জীবনের সবথেকে বড় অর্জন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। সেশনজটের কবলে পড়ে আমরা মেধাবী হয়েও এই পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগকে অভিহিত করেছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আমাদের মেধার মূল্যায়ন করা হোক।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি শাখার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, ’ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী আমরা প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের তালিকা পাঠিয়েছি। নীতিমালা অনুযায়ী, একই বর্ষে একাধিক ফলাফল প্রকাশিত হলে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারীকে মনোনীত করা হয়। সেই হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম বাদ গেছে।’
এ বিষয়ে আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি আনোয়ারুল ওহাব বলেন, ’করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণের কারনে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে কোনোরকম ভুল নেই। বিভাগুলোকে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা বলেছি। যাতে সেশনজট না হয়।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ