রাজউক
প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭, টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ ছাড়াও মামলার অন্য ১৪ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল গত ১৩ জানুয়ারি। গত ২৫ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে এই মামলায় ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে
প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর কারাদণ্ড
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকের করা তিন মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় মামলাটিতে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসেবে আসামির সংখ্যা ২৩। প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।
তিন মামলায় রাজউকের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে প্রতিটি মামলায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসব মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত রবিবার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি এবং তারা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ পাননি।
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক সচিব ও কর্মকর্তা এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তাদেরও আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৪ অভিযোগ গঠন করেন।
১৪ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও চারজনকে যুক্ত করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
১২ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্তে আরও দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের বিভিন্ন সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ, সাবেক সদস্য তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন এবং পরিচালক ও উপপরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যদিও তাদের অনেকেই বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।
৭ দিন আগে
নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণাধীন ৩৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান
নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভেঙে সঠিক জায়গায় নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা: সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে তিনি একথা জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।
তিনি জানান, ‘রাজউক এলাকায় নির্মানাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি যেগুলো নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো।
আরও পড়ুন: রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তিনি বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাবো। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক তাদেরকে নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে, যত পরিকল্পনাই করা হোক না কোনো কাজে আসবে না। সকল কাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সকল সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন,‘এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছেন, সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নিব। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে নির্মাণাধীন ভবনে কোনো ব্যতয় ঘটবে না—সেটা নিশ্চিত করছি।’
তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।
সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের উপদেষ্টা হেলিমুল আলম বিপ্লব এর ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত ‘ঢাকা’স ক্যানেল অন দিয়ার ডাইং ব্রেথ, অ্যান ইন-ডেপথ লুক অ্যাট হাউ দ্য ক্যাপিটল’স ওয়াটারওয়েস আর বিং কুকড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ‘ঢাকাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করতে গিয়ে সমস্যায় জর্জরিত করে ফেলেছি আমরা। ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ঢাকার ড্যাপের পরিকল্পনায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে জোনভিত্তিক পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। সুশাসন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ঢাকার বাসযোগ্যতা ফেরানো সম্ভব।’
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র-ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা শহর প্রকৃতি, মায়া, ব্যবস্থাপনায় ঢাকা থাকার কথা। কিন্তু ঢাকা এখন বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, জলজটে, শীষা দূষণে ঢাকা। আমাদের আর কতদিন এই অপরিকল্পিত নগরের সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের শিশুদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে? শহরের অর্ধেক মানুষ ঘুমাতে পারেন না আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিলের পোড়ানো বর্জ্যের দূষিত ধোয়ার কারণে। শব্দ দূষণ ৮০ শতাংশ হয় যানবাহনের কারণে। ঢাকা শহর এখন তাপের শহর হয়ে গেছে। এই শহরে আড়াই কোটি মানুষকে নিয়ে পরিকল্পনা করা যাবে না। যদি সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তাহলে সূচকে তলানি থেকে উপরে উঠতে পারবে না।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘দেশের জিডিপির এক পঞ্চমাংশ আসে ঢাকা থেকে। ঢাকার চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘনবসতি, যানজট, দূষণ, জলাবদ্ধতা প্রভৃতি। এর অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে ঢাকার ওপেন স্পেসগুলো দখল করা, খালগুলো দখল করা, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভবন গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের নামে রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ
তিনি বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেনি গত আট মাসে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরের মধ্যে বস্তি ছিলো৷ কিন্তু তারা সেই জায়গা থেকে ফিরে এসেছে। তারা কমিউনিটি বেইজড হাউজিং করেছে। তারা পরিবর্তন এনেছে রাজউকের মতো সংস্থার মাধ্যমে। ঢাকায় ৮ ধরনের মহল্লা আছে। সেগুলোতে তিনটি করে উদাহরণ হিসেবে হাউজিং করা যায়, তাহলে অনেকেই এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল্লাহ ও স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান প্রমুখ।
২২৭ দিন আগে
রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মামলায় আলাদা করে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
জয়কে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় সহায়তায়কারী হিসেবে শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ার) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে, জয়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জি), পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক নুরুল ইসলামও রয়েছেন এই মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় এবং তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইনবিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৬১/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জন রাজউক ও গৃহায়নের কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩২৪ দিন আগে
রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
রাজধানী ঢাকায় কয়েক দশক ধরেই ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড গটে চলেছে। পর্যবেক্ষণ ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বার বার প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ক্রমাগত অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবের ফল এসব ঘটনা।
রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। এসব ভবনে অগ্নিসংকেতের ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে নিজেও পুড়ে মরল যুবক
আগুনের ঘটনায় গাফিলতির জন্য রাজউকসহ সংশ্লিস্ট সংস্থা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত নজির সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির কারণে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে বলে নগর পরিকল্পনাবিদদরা মনে করেন।
প্রায় প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেন বললেই চলে।
নানা অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন এবং রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদনের বাইরে ভবন ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ, গুলিস্তান ট্রাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে ঢাকার বাসিন্দাদের। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডি। নতুন করে মারা গেছেন ৪৬ জন। এসব প্রতিটি ট্রাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই মুখেই ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় ইমারত অনুমোদন ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্হা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে, না হলে অতীতের মতো ছাড় দিলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে।’
এসব অগ্নিকাণ্ডের দায় রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা, ভবন মালিকের পাশাপাশি জেনে শুনে ভাড়া নেওয়া দোকান মালিকদের নিতে হবে বলে জানান তিনি।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মিশ্র ব্যবহার রাজধানীকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীর কোথাও ঢাকার মতো মিশ্র ব্যবহারের উদাহরণ নেই। রাজউক বাইরের দেশের উদাহরণ দিচ্ছে, কিন্তু বাইরে হয়তো আবাসিক জোনে ছোট্ট একটা কফি শপ বা ছোট্ট কোনো দোকান আছে। কিন্তু ঢাকায় রাজউক যেভাবে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকে রূপান্তরের বৈধতা দিচ্ছে, এতে রাজধানীকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৬৪১ দিন আগে
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৬টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরও বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে ও সব শর্ত মেনে চলা দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬৪২ দিন আগে
রাজউক অধিক্ষেত্র সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে: সংসদকে জানান প্রতিমন্ত্রী
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকার পূর্বদিকে মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পদ্মাসেতু পর্যন্ত তার অধিক্ষেত্র সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে।
মঙ্গলবার সংসদে রাজশাহী থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এনামুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এ কথা বলেন।
রাজউকের এখতিয়ার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে শরীফ আহমেদ বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরাণীগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা রাজউকের আওতাধীন ৮টি অঞ্চলের ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটারে অবস্থিত। সাভার উপজেলার পুরো এলাকা রাজউকের অধীনে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যে এলাকা রাজউকের আওতাধীন রয়েছে তা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ওই এলাকা বাদ দিয়ে রাজউকের অধিক্ষেত্র পুনর্নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারের নির্দেশে রাজউক প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাইকা ও রাজউকের আয়োজনে টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া উপস্থাপন
রাজউকের ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন দুটি আপাতত ভাঙা হচ্ছে না: রাজউক
৮৯৮ দিন আগে
জাইকা ও রাজউকের আয়োজনে টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া উপস্থাপন
ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে সম্প্রতি ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপলমেন্টের (টিওডি) দ্বিতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজউক ও জাইকা প্রকল্প দলের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জাইকার চলমান টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রকল্প ‘দ্য প্রজেক্ট ফর ডেভেলপমেন্ট অব পলিসি অ্যান্ড গাইডলাইন্স ফর ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেপল্পমেন্ট (টিওডি) অ্যালং মাস ট্রানজিট করিডরস’-শীর্ষক এই সেমিনারে টিওডি নির্দেশিকা ও পাইলট প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: জাইকার সঙ্গে সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন বৃত্তির চুক্তি সই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া, বিপিএএ এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে ।
জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মুখ্য প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদেএই প্রকল্পের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে জানান, ‘টিওডি’র আওতা সম্প্রসারিত হলে ও তা প্রচার করা গেলে নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিকাশের মধ্যদিয়ে ঢাকা বা স্মার্ট ঢাকার মানুষদের জীবন আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও কার্যকর করে তোলা যাবে।’
টিওডি’র সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে তিনি সমন্বিত লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
৯১৩ দিন আগে
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি দেওয়ার বিষয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
তলবের আদেশটি বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাজউকের চেয়ারম্যানকে পাঠানোর জন্যে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গোলাম রসূল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
আইনজীবীরা ব্যারিস্টার নুরুল আজিম জানান, ২০০৪ সালের পূর্বে ফরিদা বেগম নামে এক ব্যক্তি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া প্লটটি (নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনে ফারুক সরণির নং ১৯ প্লটে ২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদ) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন।
এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন। তবে এ বিষয়ে রাজউক একটি চিঠি দিয়ে খালেদ মাহমুদসহ ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করে।
বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল।
পরে রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসিন্দা খালেদ মাহমুদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাইকোর্টের ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
ওই রুলের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথি প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সে আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন।
আগামী ১৮ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
৯৩৩ দিন আগে
রাজউকের ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাজউক। মঙ্গলবার (২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানিয়েছেন রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাসান।
তিনি আদালতকে জানান, হ্যাকাররা সার্ভার থেকে নথি হ্যাক করেছিল। সব নথি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এরপর এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিকে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন রেখেছেন।আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, আর রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
‘রাজউক থেকে ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’ শিরোনামে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ২ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি দুদককে অনুসন্ধান করতে বলেন।সে অনুসারে মঙ্গলবার রাজউক একটি হলফনামা দেন। আর দুদক জানায়, তারা তিন সদস্য দিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধান করছে। ইতোমধ্যে কমিটির পক্ষ থেকে রাজউকের কাছে এ ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজউক আওতাধীন এলাকায় ৬৬ শতাংশ ভবন অপরিকল্পিত: মন্ত্রী
অন্যদিকে, রাজউকের হলফনামার একটি অংশে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর ম্যালিসিয়াস অ্যক্সেস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রাজউকের কনস্ট্রাকশন পারমিট (সিপি) সিস্টেম শীর্ষক সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিডিসিএসলের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি মুছে যায় এবং সিপি সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২১ ডিসেম্বর সিস্টেমটি পুনরায় চালু করা হয়।এ বিষয়ে ২২ ডিসেম্বর রাজউক মতিঝিল থানায় জিডি করে। পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে বুয়েটের সঙ্গে একটি চুক্তি করে রাজউক।
বুয়েটের তদন্ত টিম ২৯ এপ্রিল এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেয়। শীঘ্রই বুয়েটের তদন্ত টীম চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। মুছে যাওয়া সকল ফাইল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ৬ ডিসেম্বর বিষয়টি প্রথম জানতে পারে রাজউক। এটি নিছক কারিগরি ত্রুটি, নাকি এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, সে বিষয়ে এখনো অন্ধকারে রাজউক। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ের কারণ উদঘাটনে রাজউকের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ঘটনার তিন সপ্তাহ পরও সরকারি এই সংস্থা কোনো তদন্ত কমিটিও করেনি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে থেকে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে আবেদন করেছিলেন।
রাজউক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি হারিয়ে যাওয়ার কারণে ওই গ্রাহকেরা নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। তবে নথি গায়েবের ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে স্থাপনা নিষিদ্ধ: আপিলের অনুমতি পেল রাজউক
ঢাকার দুই মেয়র ও রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল
৯৪৭ দিন আগে