স্কুল
রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক এবং ও ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহমুদা খানম এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান জানান, হাইকোর্ট প্রাথামিক ও মাধ্যমিক স্কুল রোজার মধ্যে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন।
এছাড়া দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ জারি করে রুল দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে রোজার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে শুরু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায় জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের এই বিজ্ঞপ্তি দুইটি চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে ১৫ দিন খোলা থাকবে স্কুল
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়। সেই রিটের উপর রবিবার শুনানি হয়।
বুধবার থেকে শুরু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ চূড়ান্ত পর্বের খেলা।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল ৯টায় চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ময়নমনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ভোলা সদর উপজেলার ব্যাংকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় ফুটবলার নিহত
অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় চট্টগ্রাম বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এবারের প্রতিটি টুর্নামেন্টে ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। উভয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ ২২ হাজার, ২৬ জন।
ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শেষে এখানে চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উভয় টুর্নামেন্টের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন স্কুলসমূহ চূড়ান্তপর্বের খেলায় অংশ নিচ্ছে।
বিশেষ অতিথি থাকবেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং সভাপতিত্ব করবেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল: সিঙ্গাপুরকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু রবিবার
১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে একটি সেতুর অভাবে ভেলায় চড়েই গত ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে খাল।
এছাড়া মঠবাড়ি গ্রামটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫০ মিটার চওড়া একটি খাল। ২০০৯ সালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ওই খালের সৃষ্টি হয়।
এক বছর পর বাঁধ মেরামত হলেও খালটি ভরাট করা হয়নি। ফলে গত ১৪ বছর ধরে গ্রামের মানুষ ভেলায় চড়ে ও নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হচ্ছেন। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, কত মানুষ এসে দেখে গেছে প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছে, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও গবেষণায় ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ প্রকাশ
তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনো একটা উপায় হলে বই খাতা নিয়ে কোনো আতঙ্ক ছাড়াই স্কুলে আসতে পারতাম।
গ্রামবাসী জানান, খালটির পশ্চিম পাড়ে প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে সেখানে। প্রথমদিকে খালের অন্য পাড় থেকে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েরা ডিঙি নৌকায় পারাপার হতো। কিন্তু নৌকা সব সময় পাওয়া যায় না। জেলেরা নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে চলে গেলে কলার ভেলায় পার হতে হয় তখন। এতে ঝুঁকি ছিল বেশি। পরে প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের তক্তা দিয়ে স্থায়ীভাবে ভেলা বানানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম চারকোনা করে বেঁধে উপরে তক্তার পাটাতন বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এই ভেলা। খালের দুই পাশে একটি লম্বা রশি আড়াআড়িভাবে খুঁটির সঙ্গে টানিয়ে রাখা হয়েছে। লোকজন ভেলায় চড়ে নিজেরাই রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের ভেলায় খাল পেরিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
প্রায় পাঁচ হাজার জনসংখ্যার বড় এ গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাকবাড়িয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবন। রয়েছে একটি বাজার ও ফরেস্ট স্টেশন। খালের পূর্ব পাড়ে সুপেয় পানির সংকট থাকায় বাসিন্দারা ভেলায় খাল পেরিয়ে পশ্চিম পাড় থেকে পানি নিয়ে আসেন।
খালের পশ্চিম পাড়ের মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বছরের শুরুতে ছেলে মেয়েরা নতুন বই নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে এখানে।
তিনি আরও জানান, ভেলায় পার হওয়ার সময় সেটি উল্টে শিক্ষার্থীরা খালে পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে ছোট ছোট শিশুদের উদ্ধার করলেও তাদের নতুন বইগুলো ভিজে গেছে।
তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা বর্ষাকালে বেশি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সেতু নির্মাণ না হলে এখানকার দুর্ভোগ কমবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক দিঘিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হলো সাম্পান বাইচ
প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার বলেন, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন খাল পার হয়ে যাতায়াত করে।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের খাল পারাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঠবাড়ি গ্রামের খালে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া জরুরি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, সুভাষ মণ্ডলসহ কয়েকজন জানান, প্রতিদিন ভেলায় খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে যেতে ভয় লাগে তাদের। ভেলা থেকে পড়ে গেলে বই, খাতা ভিজে যায়। অনেক সময় ভেলায় লোকজন বেশি উঠলে পার হতে পারে না তারা। এজন্য অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুর আলম বলেন, ‘১৪ বছর ধরে শুনতেছি, এ জায়গায় ব্রিজ হবে। আবার শুনি খালের ওপর আড়াআড়ি বাধ হবে। কিন্তু কিছুইতো হয় না। উপায়ন্তর না দেখে স্কুলের বাচ্চাগের পারাপারের জন্যি(জন্যে) ড্রামের ভেলা বানাই দিছি। তাতেই এখন গ্রামের সব মানুষ পার হই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, সাড়ে ১৪ বছর আগে তৈরি হওয়া খালটির পাড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পারাপারে ভোগান্তি লাঘবে খালের উপর একটি সেতু হলে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট দিয়ে এত বড় খালে সেতু বানানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে দেখব।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
আপাতত ভাসমান সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পতেঙ্গা এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় জয়া মজুমদার (২২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকার ২ নম্বর গলিত থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
জয়া মজুমদার পতেঙ্গার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তার স্বামীর নাম সুজিত মজুমদার।
পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, এক নারীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ওই নারীকে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে কী কারণ তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনো বলতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
তুরস্কে ভূমিকম্পের ৮ দিন পর আরও জীবিত মানুষ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় ৬০ট স্কুল বন্ধ
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
এছাড়া ওই সব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলা এবং নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কয়েক হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
পানি ওঠার ফলে ১৬৫ চরাঞ্চলের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে কড়াইবাড়ি, খারজানি, পারদিয়ারা ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষরা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান।
এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দে্ওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই চার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলার জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৫০টি শুকনা খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়েদের বোরকা (মুসলিম নারীদের পরা আপাদমস্তক ঢেকে রাখা নির্দিষ্ট ঢিলেঢালা পোশাক) পরা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল।
সোমবার (২৮ আগস্ট) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্রান্সে ১৯ শতকের সকল আইন রদ করা হয়েছে এবং দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা থেকে গোঁড়া ক্যাথলিক প্রভাব দূর করার চেষ্টা হচ্ছে।
তাই দেশটির সরকারি স্কুলে ধর্মীয় পরিচয় বহনকারী সবকিছু কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার জন্য তারা আধুনিক আইন প্রণয়নে সমস্যায় পড়ছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ঘরের বাইরে নারীদের বোরকা পরার নির্দেশ
আল-জাজিরার তথ্যমতে, ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে খ্রিষ্টানদের ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পা অথবা মুসলমানদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ।
ফরাসি সরকার ২০০৪ ও ২০১০ সালে জনপরিসরে মুসলিম নারীদের পুরো মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্ত দেশটির পাঁচ মিলিয়ন মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে ফ্রান্সের টিএফ১- টিভিকে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের কথা বলা হয়েছে।
যেখানে শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেছেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্কুলে আর বোরখা পড়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের কে কোন ধর্মের তা আলাদাভাবে চোখে পরা ঠিক নয়। সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হলেও এতদিন বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়নি।
ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম) অনুসারে, পোশাক শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয় নয়।
সিএফসিএম একটি জাতীয় সংগঠন, যা অনেকগুলো মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরও পড়ুন: নারীরা বোরকা না পরলে জেল হতে পারে পুরুষদের!
সুইজারল্যান্ডে মুসলিমদের বোরকা-নিকাব পরা নিষিদ্ধের পক্ষে রায়
চট্টগ্রামে এক স্কুলেই ১০৭ শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত!
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে (বাওয়া) ১০৭ শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের দামপাড়া এলাকার বাওয়া স্কুল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অভিভাবকদের ধারণা, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
বিদ্যালয়টিতে দুই শিফটে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ১৪২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির। এর মধ্যে মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থী রয়েছে ৬৮ জন ও ডে শিফটের শিক্ষার্থী ৩৯ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে নবম শ্রেণির মর্নিং শিফটে ১৪ শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফ উল হাছান চৌধুরী বলেন, মর্নিং শিফটের ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ছয় শিক্ষক ও এক আয়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষকদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়েছেন। দু’জন চিকিৎসাধীন। এক মাসের মধ্যে তারা সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, ডে শিফটের ৩৯ শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত। তারা চিকিৎসা নিচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ে আসছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। পাশ দিয়ে গেছে নালা। সেটিও আবর্জনায় ভর্তি। বিদ্যালয়ের শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন। বিভিন্ন স্থানে ময়লা জমে আছে। তাদের দাবি, দিনের একাংশ সন্তানরা বিদ্যালয়ে কাটায়। এখানে তাদের মশা কামড়াতে পারে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, এক বিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। বিদ্যালয়টিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর পাশাপাশি মশার ওষুধ ছিটানো জরুরি।
বিদ্যালয়ে মশকনিধনের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হয়েছে বলে দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মশা যেকোনো জায়গা থেকে কামড়াতে পারে। বিদ্যালয়ে দুদিন আগেও মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। শিক্ষকেরাও শ্রেণিকক্ষে ডেঙ্গু সম্পর্কে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৩ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা
বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারের উর্ধ্বগতি, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র
চীনে স্কুলে জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত
চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের কিকিহার শহরে একটি মিডল স্কুলের জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি সিনহুয়া’র তথ্যমতে, স্কুলের ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শ্রমিকেরা জিমের ছাদে নির্মাণ সামগ্রী জমা করে রাখায় সেগুলো বৃষ্টির পানি শুষে নেয়।
সিনহুয়া জানায়, ৩৪ নম্বর মিডল স্কুলের জিমনেসিয়ামে ১৯ জন ছিলেন। কিন্তু এদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী ছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খনির ছাদ ধসে ৫জন নিহত
চীনে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৮
নির্মাণ ও শিল্প দুর্ঘটনা চীনে নিয়মিত ঘটনা। মূলত কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা বিধি না মানা এবং দুর্নীতি বা স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্বহীনতার অভাবের ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসব সমস্যা বিশেষত দ্বিতীয় ও তৃতীয়-স্তরের শহরগুলোতে তীব্র। যেমন-কিকিহার, যা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী হেইলংজিয়াংয়ের চীনা রাস্টবেল্ট প্রদেশে অবস্থিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে বড় আকারের অর্থনৈতিক পতন এবং বহির্মুখী অভিবাসন ঘটেছে।
চট্টগ্রামে এক স্কুলের ১৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি!
শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বিরোধের জেরে জেলার পটিয়া পৌর সদরের শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষককে (১৭ জন) একযোগে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আদেশ পেয়ে বদলিকৃত শিক্ষকরা গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭,৯২৬টি পদ শূন্য: প্রতিমন্ত্রী
এর আগের দিন বুধবার (২১ জুন) তাদের বদলির এ আদেশ পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, গত এক বছর পটিয়া পৌরসদরের শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা চৌধুরী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এমপি মনোনীত সহ-সভাপতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক বিঘ্নিত হয়। এই প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই ১৭ শিক্ষকের বদলির আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ১৭ শিক্ষককে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বদলি করে সেখান থেকে একজন করে শিক্ষককে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন ক্রমে প্রশাসনিক কারণে তাদেরকে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জুড়ে দোকান-বাজার, থিয়েটার ও কর্মক্ষেত্রে দুর্বৃত্তদের গণবন্দুক হামলায় কয়েকশ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে দেশটির স্কুল ও কলেজে বন্দুক হামলায় কোমলমতী শিশুদের হত্যার ঘটনাগুলো সবচেয়ে মর্মস্পর্শী।
যদি দুর্বৃত্তের গুলিতে একসঙ্গে চার বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তবে তাকে গণবন্দুক হামলা বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ সালে কলাম্বাইন হাইস্কুলের গণবন্দুক হামলা থেকে টেনেসির ন্যাশভিলে সোমবারের হামলা পর্যন্ত এ ধরনের ১৫টি ঘটনায় ১৭৫টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সংকলিত তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
দ্য কনভেন্ট স্কুলে ২০২৩ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশভিলের একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুলে ২৮ বছর বয়সী এক নারী বন্দুকধারী দুটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল নিয়ে তিনজন ছাত্র এবং তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। সন্দেহভাজন নারী পুলিশের গুলিতে মারা যান।
রব এলিমেন্টারি স্কুলে ২০২২ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ২১ জনের মৃত্যু
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেক্সাসের উভালদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার একজন ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারীর হামলা চালিয়ে ১৯ শিশু এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে।
অক্সফোর্ড হাইস্কুলে ২০২১ সালের নভেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
মিশিগানের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওই স্কুলের চারজনকে গুলি করে হত্যা এবং একজনকে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
সান্তা ফে হাইস্কুলে ২০১৮ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ১০ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একজন বন্দুকধারী হিউস্টন-এলাকার একটি হাইস্কুলে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের ছাত্র। ১৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চকলেট কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৯
মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু
ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্কুলে এক হামলায় ১৪ জন ছাত্র এবং তিনজন স্টাফ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। হামলাকারীকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ইউএমপিকিউইউএ কমিউনিটি কলেজে ২০১৫ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
ওরেগনের রোজবার্গের স্কুলে এক ব্যক্তি ৯জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এসময় ৯জন আহত হয়। এরপর বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।
মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ২০১৪ অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
ওয়াশিংটন রাজ্যের মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু চারজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এরপর সে নিজেও আত্মহত্যা করে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৪ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
২২ বছর বয়সী এক কলেজছাত্র ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলা ভিস্তাতে স্কুলের কাছে ছয়জন ছাত্রকে হত্যা করে এবং আরও অনেক জনকে আহত করে। সবশেষে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ২৭ জনের মৃত্যু
একজন ১৯ বছর বয়সী তরুণ কানেকটিকাটের নিউটাউনে তাদের বাড়িতে প্রথমে তার মাকে হত্যা করেছিল। তারপরে কাছের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ২০ জন প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং ছয়জন শিক্ষককে হত্যা করেছিল। এরপর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ফ্লাইট বিধ্বস্ত, রোগীসহ নিহত ৫
ওইকস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৭ জনের মৃত্যু
ক্যালিফোর্নিয়ার ইস্ট ওকল্যান্ডের একটি ছোট বেসরকারি কলেজে সাবেক নার্সিং ছাত্র সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে তিনি কারাগারে মারা যান।
উত্তর ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
একজন ২৭ বছর বয়সী প্রাক্তন ছাত্র আত্মহত্যা করার আগে ইলিনয়ের ডিকালবের স্কুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন।
ভার্জিনিয়া টেকে ২০০৭ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৩২ জনের মৃত্যু
২০০৭ সালের এপ্রিলে ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাকসবার্গে ক্যাম্পাসে ২৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ৩২ জনকে হত্যা করেছিল এবং আরও দুই ডজনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন। এরপর বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেন।
ওয়েস্ট নিকেল মাইনস অ্যামিশ স্কুলে ২০০৬ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
পেনসিলভানিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের কাছে ৩২ বছর বয়সী এক লোক একটি অ্যামিশ স্কুল হাউসে ঢুকে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পাঁচজনকে আহত করেন। এরপর আত্মহত্যা করেন।
রেড লেক হাইস্কুলে ২০০৫ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী তার মিনেসোটার বাড়িতে দাদা ও তার বন্ধুকে হত্যা করে। এরপর কাছের রেড লেক হাইস্কুলে গিয়ে পাঁচজন ছাত্র, একজন শিক্ষক এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যা করে।
কলাম্বাইন হাইস্কুলে ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু
দুই শিক্ষার্থী কলোরাডোর লিটলটনের স্কুলে তাদের ১২ জন সহকর্মী এবং একজন শিক্ষককে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা করার আগে আরও অনেককে আহত করে।