জলাবদ্ধতা
রাজধানীতে ১২ ঘণ্টায় ১০৭ মি.মি. বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি
রাজধানী ঢাকায় গত ১২ ঘণ্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু করে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ ও মৌচাকসহ বেশিরভাগ এলাকার রাস্তায় হাঁটু-সমান পানি জমেছে।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, মনিপুরী পাড়া, নিউমার্কেট, আসাদগেট ও জিগাতলাসহ বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমতে দেখা গেছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আবার কোমর সমান।
আজ রাজধানীর বংশালের নাজিরাবাজার এলাকায় রাস্তার বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আমিন (৩০) নামের এক বাইসাইকেল আরোহী যুবক মারা গেছেন।
আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী জিসান জানান, পুরান ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হলেই নাজিরা বাজার এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গতকাল সারারাত বৃষ্টিতে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বংশালে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, আমিন নামের ওই ব্যক্তি সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আমরা একটি বাঁশ দিয়ে তাকে টেনে দূর থেকে কাছে এনে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক জানান, ওই যুবকের বেঁচে নেই।
একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা কেয়া সরকার বলেন, ‘আমার প্রতিদিন অফিসে যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট। সেখানে আজ এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। কাকরাইল থেকে মৌচাক অবধি বাসে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমি কোনো নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে শান্তিনগর মোড় এলাকায় পৌঁছালে দেখি মালামালসহ একটি ভ্যানগাড়ি পানির মধ্যে পড়ে গেছে। পানির কারণে রাস্তার গর্ত বুঝতে পারেনি ভ্যানচালক। এতে আবার বেঁধে যায় জ্যাম।’
রাজধানীর এই জলাবদ্ধতা সমস্যাকে অনেক রসিকতার সুরে ফুটিয়ে তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তুলি নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সাড়ে ৮টায় ক্লাস। ঘুম থেকে উঠে দেখি দ্বীপের মধ্যে ভাসছি, হল ভর্তি পানি। কোনোমতে সাঁতরে বের হলাম। নিউমার্কেটের সামনে গিয়ে দেখি সাঁতরেও পার হওয়া সম্ভব না। রিকশাওয়ালাদের পায়ে ধরা বাকি ছিল শুধু, তবুও আসবে না। একজন রাজি হলো, সরাসরি না করতে কষ্ট হচ্ছিল বিধায় ভাড়া চাইলেন ৮৫০ টাকা।’
নানা ভোগান্তি পোহানোর পর সাড়ে ৮টার ক্লাসে পৌঁছাতে তার বেজে যায় সকাল ৯টা ১৮ মিনিট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই আজ বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল নাগাদ বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭৪ দিন আগে
চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্পে আবারও সংশোধন, খরচ কমল ১৯.৪০ কোটি টাকা
বছরের পর বছর দেরি আর একের পর এক সংশোধনের পরও এখনো আলোর মুখ দেখেনি চট্টগ্রামের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যাশিত বহদ্দারহাট-বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প। তৃতীয়বারের মতো আবারও প্রকল্পটিতে সংশোধন করা হয়েছে। তবে এবার ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে (সিসিসি) বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের খরচ এখন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদন পায়। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরপর একাধিকবার সংশোধনের কারণে প্রকল্পটি বিলম্বের শিকার হয়। সর্বশেষ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, খালের দুই পাশে সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা, যানজট কমানো এবং হাঁটার পথ তৈরির মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য বিনোদনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নানা ড্রেনেজ প্রকল্প হাতে নিলেও বর্ষাকালে চট্টগ্রাম নগরীতে এখনও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে খালটির সুপারিশ করা হলেও গত ৩০ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ উদ্যোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি, দুর্বল নগর পরিকল্পনা এবং জনসচেতনতার অভাবে জলাবদ্ধতার এই সমস্যা শহরবাসীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
মাস্টার প্ল্যানে বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণে বিদ্যমান প্রাকৃতিক খাল সংস্কার, নতুন খাল খনন এবং পানি ধরে রাখার জন্য পুকুর খননের সুপারিশ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নভেম্বরে একনেক সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদিত হয়। সংশোধনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এ সময় এক লাফে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়ে যায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। পরে করোনা মহামারির কারণে সময়সীমা ফের ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন হয় ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি। প্রকল্প ব্যয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে তখন ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা হয়। সে সময় ২০২৬ সালে জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্প শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নতুন সংযোজন থাকা সত্ত্বেও ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খনন যন্ত্রপাতি রাখার জন্য মেইনটেন্যান্স ইয়ার্ড এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সাড়ে ৫ হাজার মিটার ওয়াকওয়ের পাশে রেলিং স্থাপন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
সংশোধিত নকশায় খালের দুই পাশের সড়কগুলোতে টেকসই রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিট (আরসিসি) ব্যবহার করা হবে, যাতে এক্সকাভেটর ও ডাম্প ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
প্রকল্পটি শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং নগরবাসীর জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
১০১ দিন আগে
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নাগরিক জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি।
এতে নগরীর মেহেদীবাগ, জিইসি, চকবাজার, মুরাদপুর, বাদুরতলা, বড়গ্যারেজ, সিরাজদৌল্লাহ রোড, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, বড়পোল, হালিশহর, দেওয়ানহাট, কাতালগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তিনপুল, জামাল খান, প্রবর্তক মোড় এলাকার সড়কে বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি মিশে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে রিকশা ও সিএনজি চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই রওনা দেন। আবার অনেকে মাঝপথে গাড়ি পেয়ে দেরিতে পৌঁছান পরীক্ষা কেন্দ্রে। সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে গাড়ি ভাড়ায় বাড়তি টাকা গুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবক।
চট্টগ্রামের কাপাসগোলা এলাকার এক অভিভাবক ইউএনবিকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে সিএনজিতে চড়েছি। সিএনজিচালক সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া চেয়েছেন। বাধ্য হয়ে দিয়েছি।’
১৩০ দিন আগে
যশোরের ভবদহে জলাবদ্ধতা, পানিবন্দি শত শত পরিবার
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে যশোরের অভয়নগরের ভবদহ এলাকায় ফের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার; তলিয়ে গেছে সবজি ও ধানের খেত, ভেসে গেছে মাছের ঘের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার প্রেমবাগ, সুন্দলী, চলিশিয়া ও পায়রা ইউনিয়নসহ নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বহু নিচু এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে তারা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল ও নদীতে অবৈধ নেট, পাটা ও কারেন্ট জাল বসিয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছেন। ফলে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা জমে গেছে। আবার মৎস্যঘের মালিকরা বালুর বস্তা ফেলে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করছেন।
অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামের শারমিন বেগম বলেন, ‘রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত যেতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি হয়েও সরকারি কোনো সহযোগিতা মেলেনি।’
ডুমুরতলা গ্রামের ললিতা রাণী বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধন হবে কি? জন্মের পর থেকে ভবদহের একই চিত্র দেখে আসছি। সরকার আসে সরকার যায়, কিন্তু ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হয় না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
কোটা গ্রামের মৎস্যঘের মালিক দেলবার বলেন, ‘৩০০ বিঘা জমিতে পাশাপাশি দুটি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ঘেরে অর্ধকোটি টাকার মাছ ছিল।’
১৪২ দিন আগে
ডিএসসিসিতে জলাবদ্ধতা: রেসপন্স টিম গঠন ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার (৯ জুলাই) ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করার কারণে আজ এসব এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাসসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
১৪৯ দিন আগে
বেনাপোল বন্দরে হাঁটুপানিতে পণ্য খালাস, দুর্ভেগে পরিবহন কার্যক্রম
টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দরটিতে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, রেল কর্তৃপক্ষ কালভার্ট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে বৃষ্টির পানিতে বন্দরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটু ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, একই সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের চলাফেরাও দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি কোথাও কোথাও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি জমে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চর্মরোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও গুদামে হাঁটুপানি জমে থাকায় পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে কয়েকটি প্রবেশগেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ইয়ার্ডগুলো জলাশয় মনে হলেও যেখানে ট্রাক পার্কিং ও আমদানি পণ্য খালাস হয়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে কাজ করতে গিয়ে চুলকানিসহ নানা অসুস্থতায় পড়তে হচ্ছে। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে গুদামগুলো নিচু হওয়ায় পানির স্বাভাবিক নিষ্কাশন সম্ভব হয় না। ফলে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে এবং চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ছে। বন্দরে আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কেমিক্যাল সামগ্রী এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা বৃষ্টির পানিতে মিশে শ্রমিকদের চর্মরোগে আক্রান্ত করছে।
এ নিয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালকরাও একই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
১৬৯ দিন আগে
পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের সতর্কতা, সাগরে ৩ নম্বর সংকেত
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপটি গভীর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ওই অঞ্চলে আগামী তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুধু তা-ই নয় ভারী বর্ষণের কারণে দেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে ভূমিধ্বস এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
বুধবার (১৮ জুন) আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে দেশের পার্বত্য জেলা-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এদিকে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলেছে, এই লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের বিহার, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের এই ধারা আগামী রবিবার (২২ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি, তার পরের পাঁচ দিনও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
এই সময়ের মধ্যে সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা সই করা পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনা জেলায়। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দবার জেলায়, ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গরম অনুভব করেছে সিলেটবাসী।
১৭০ দিন আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানীতে কন্ট্রোল রুম চালু
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার তাৎক্ষণিক প্রতিকারে দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করতে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীল কাকরাইল এলাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে (দ্বিতীয় তলা) নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি স্থাপন করা হয়েছে। এটি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের সেবা দেবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বস্তির বৃষ্টিতে অস্বস্তিতে নগরবাসী
জরুরি যোগাযোগের সুবিধা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান আল মাসুদের (মোবাইল: ০১৭৩৯৮২৪৮৬) সঙ্গে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়ার (মোবাইল: ০১৯৬৮৪৬৮৩৬৭) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১৮৯ দিন আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন চলমান থাকবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৬টি খালের চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একারণে খাল খনন কার্যক্রম চলমান রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
শহরের জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখতে খালগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি বলে অভিমত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকার ১৯ খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে: রিজওয়ানা
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬টি খাল খননের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই মোট ১৯ খাল খননের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার খালগুলো খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে।
ঢাকার খালগুলো খননের পর খালের পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা এবং পাখিদের খাওয়ার উপযোগী ফলদ বৃক্ষরোপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
খাল খনন পরিদর্শনকালে বাউনিয়া খালের সাগুফতা সেতুর পাশে এবং উত্তরা ১০ নাম্বার সেক্টর সংলগ্ন খিদির খালের পাড়ে ২টি গাছের চারা রোপণ করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থপতি ফজলে রেজা সুমনসহ ডিএনসিসি ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৭৪ দিন আগে
১৫টি খাল খনন করলেই দূর হবে ঢাকার ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা
রাজধানীর দখল হয়ে যাওয়া খালগুলোর মধ্যে মাত্র ১৫টি খাল খনন করলেই অবিরাম জলাবদ্ধতা সমস্যার প্রায় ৮০ শতাংশের সমাধান হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) সম্প্রতি রাজধানীর ৯টি জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে চলমান সমস্যার সমাধান দিয়েছে।
আরডিআরসি যেসব খাল খননের জন্য সুপারিশ করেছে সেগুলো হলো- রূপনগর মেইন খাল, বাউনিয়া খাল, বাইশতেকি খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, কল্যাণপুর খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, পান্থপথ বক্স কালভার্ট খাল, রায়েরবাজার খাল, জিরানী খাল, রামপুরা খালের দক্ষিণ প্রান্ত, দোলাই খাল, কদমতলী খাল ও মান্দা খাল।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
গবেষণায় যে ৯টি জলাবদ্ধতার ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হয়েছে: পল্লবী শিয়ালবাড়ি, রূপনগর ও ইস্টার্ন হাউজিং; কালশী ও মিরপুর ১১; টোলারবাগ, আহমেদনগর ও পাইকপাড়া; শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও কাফরুল; কলাবাগান, ধানমন্ডি ২৭, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড ও হাতিরপুল; হাজারীবাগ, নবাবগঞ্জ, রায়েরবাজার, পশ্চিম ধানমন্ডি ও ঢাকা নিউমার্কেট; রামপুরা ও বাড্ডা; সূত্রাপুর, ওয়ারী, নবাবপুর, কাজী আলাউদ্দিন রোড, সিদ্দিক বাজার, নারিন্দা ও তাঁতীবাজার এবং জুরাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ, জাকের মঞ্জিল, শ্যামপুর, পূর্ব জুরাইন, সাদ্দাম মার্কেট ও রায়েরবাগ।
চলতি বছরের জুলাই মাসে 'ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা ও আমাদের দখলকৃত খাল' শীর্ষক গবেষণাটি করা হয়।
আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, একসময় ঢাকা থেকে বৃষ্টির পানি সরতে পারে এমন ৭৭টি খাল ও লেক ছিল। এখন এগুলোর বেশিরভাগই আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে দখল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চিহ্নিত ১৫টি খাল খনন করতে পারলে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার ৮০ শতাংশ সমাধান হবে।
এসব জলাশয় পরিষ্কার করতে হলে স্থানীয় জনগণ ও কমিউনিটির সম্পৃক্ততা এবং দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: একাধিক মাস্টারপ্ল্যান, ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ডুবছে ঢাকা
৪২৫ দিন আগে