ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়, সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফল ও জরিপে আমরা দেখেছি, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।
সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণসংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করব।
সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জমতে না দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব।
এছাড়াও মেয়র বুধবার গুলিস্তান মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপণী বিতান এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনো বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারেরা নিয়ন্ত্রণ ওপরিচালনা করছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, প্রতিটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবে।’
মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি যথানিয়মে নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ এটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয় মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহির মাঝে আসবে।’
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদের নির্ধারণ করার পরেই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি।
আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদের অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটাও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন।
অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম কোনো হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে এরকম কোনো নজির নাই। আগে দেখা গেছে, যে (জামানতের) অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর হয়েছে। কিন্তু সে অর্থ ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।
শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরোনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটা হস্তান্তর করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘মেরাদিয়া কাঁচা বাজারও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি তার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো মার্কেটগুলোও দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে আমরা সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপণী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, যদিও ছোটখাটো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তারপরও ঢাকা নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করছি এবং সেগুলো সংশোধন করছি।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনে বিআরটিসি'র মাধ্যমে আমরা ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করব। এর মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
বায়ু দূষণের যে তকমা আমরা শুনি, সেখান থেকেও আমরা বেড়িয়ে যেতে পারব, বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারব।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২১ নাম্বার যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই পুরো যাত্রাপথটি এখন বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিআরটিসি সেটা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ট্রান্স সিলভার সকল অনুমতি আমরা বাতিল করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা নগর পরিবহনে তাদের যে সকল বাস ছিল, যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আমরা জব্দ করব।
সুতরাং ২১ নম্বর যাত্রাপথ এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথ বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরবান ক্লাস্টারের ছয়টি এবং সাব আরবানের তিনটি মিলে ৯টি ক্লাসটার করা হবে।
প্রথমে গ্রীন ক্লাস্টার নিয়ে আমরা কাজ করছি।
যেখানে ২১ থেকে ২৮ নম্বর মোট আটটি রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। তার পরিকল্পনা হিসেবে আমরা ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং আজকে ২৭ ও ২৮ এই মোট আটটি রুট অন্তর্ভুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এছাড়া আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুট চালুর লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
আজকের সভার একটি সার্থকতা বলতে চাই-আমরা টোটাল গ্রীন ক্লাস্টার যেটা আছে, এটি একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে বেশ অগ্রসর হতে পারছি।
ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর সিটির মেয়র আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে। আমরা এ সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি।
এসব বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২১, ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে যথাক্রমে ২১ মে থেকে ১ জুন, ১১ জুন থেকে ১৫ জুন ও ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথভাবে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করবে।
পুরাতন রুটপারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। নগর পরিবহনে কোন পুরতন বাস অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র নতুন বাস দিয়েই নগর পরিবহন পরিচালিত হবে।
২১ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর।
২৭ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, শিয়া, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান-১, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, স্টাফ কোয়ার্টার।
২৮ নম্বর যাত্রাপথ:
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, খিলগাঁও তালতলা ও স্টাফ কোয়ার্টার।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাস্তবায়িত জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টাদশ বোর্ড সভায় তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আবারও বর্ষা মৌসুম সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছর আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। যার যার এলাকায় খাল আছে-আপনারা দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে, একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে। কিন্তু কিছু সময় হয়তো অবহেলা হয়। ঠিকাদাররা এক থেকে দুই দিন কাজ করলো আবার হয়তো পরের দিন কাজ করলো না-এ ধরনের বিষয়ও মাঝে মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং আপনাদেরকে একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: দিনে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধে ডিএসসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে তাপস বলেন, আমরা সকল নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। কোথায় কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে তা আপনাদের নখদর্পনে আছে। অবশ্যই সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
খাল ও নর্দমা পরিষ্কার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে চলমান সকল উন্নয়ন কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য সব কাউন্সিলরকে সজাগ থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করিয়ে নেয়ার তাগাদা দিয়ে মেয়র বলেন, এতে করে ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার যেন মহত ব্রত আমাদের রয়েছে, তা পূর্ণতা পাবে।
এছাড়াও আজকের বোর্ড সভায় দুই বছর ছয় মাসের মেয়াদকাল অতিক্রম করায় স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশনের আইন, ২০০৯ এর ৫০(১) ধারা অনুযায়ী অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সভায় মেয়র সাধারণ আসনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমকে সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল সরদার এবং সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৪ নম্বর আসনের লাভলী চৌধুরী, ২০ নম্বর আসনের নাছরিন আহমেদ ও ১৭ নম্বর আসনের সাথী আক্তারকে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করলে কাউন্সিলররা তা একযোগে অনুমোদন দেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
রাজধানীর খাল-কালভার্ট পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত দুরূহ: ডিএসসিসি মেয়র
দিনে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধে ডিএসসিসি মেয়র
দিনের বেলায় উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় বর্জ্য না ফেলতে ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মশা সমস্যা সমাধানে লড়তে প্রস্তুত ডিএসসিসি: তাপস
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সম্ভাব্য ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা ঢাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। তবে সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএসসিসি)।