ডিএসসিসি মেয়র
ইশরাকের শপথ প্রশ্নে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় স্থানীয় সরকার বিভাগ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠ আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন অধিশাখা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২২ মে হাইকোর্টে করা একটি রিট খারিজ হওয়ার পর ইশরাকের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে ২৫ মে ইশরাক নিজেই হাইকোর্টে তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।
এর পরদিন (২৬ মে) এক নাগরিকের পক্ষে ২২ মের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। এতে বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট স্থগিতের আপিল শুনানি মঙ্গলবার
এ অবস্থায়, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ইশরাক হোসেনের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ অপেক্ষমাণ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।
১৯২ দিন আগে
ইশরাকের শপথ নিয়ে আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণে হাইকোর্ট যে পথ খুলে দিয়েছে, তাকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ড থেকে ফোনে ইউএনবিকে তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটি হওয়া উচিত, সেই ধরনের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। এতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটি বিজয় হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে- যখন মেয়র নির্বাচন হয়, তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি জোর করে এই ফলাফল কেড়ে নিয়ে গিয়েছিল। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিল।’
ইশরাক হোসেনের শপথ নেওয়ার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করব, মন্ত্রণালয় আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রিট খারিজ: ইশরাক হোসেনের শপথে বাধা নেই
এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে, তাই আর সড়ক অবরোধের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি সরকার এখন সংবেদনশীল আচরণ করবে এবং ইশরাকের শপথ নিশ্চিত করবে। আমাদের কর্মীদের উচিত এখন জনদুর্ভোগ এড়াতে সড়ক থেকে সরে আসা।
এর আগে, আজ (বৃহস্পতিবার) ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ ঠেকাতে করা একটি রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এতে মেয়র হিসেবে তার শপথ গ্রহণে আর কোনো বাধা রইল না।
নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান
রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
আরও পড়ুন: রাস্তা না ছেড়ে আরও জোরদার আন্দোলনের আহ্বান ইশরাকের
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটাও সুপারিশ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে, তারা অতি দ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সে গুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটি নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা, কিংবা টানাহেচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।’
‘সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতি দ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো, যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না, সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
১৯৬ দিন আগে
ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনে ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘নির্ধারিত সময়ে মার্কেট নির্মাণ শেষ করে তা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিসহ অন্যান্যদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জনেও ডিএসসিসি ইতিহাস রচনা করেছে।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আজিমপুরে ‘আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের শুভ উদ্বোধন এবং দোকানের চূড়ান্ত বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
তাপস বলেন, ‘এই মার্কেটটি তুলা মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। এখানে মাত্র ১৫ জন দোকানি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনোরকমে তাদের দোকানের কার্যক্রম চালাতেন। করোনার মাঝেই ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মার্কেট নির্মাণে আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। তখন অনেকেই শঙ্কিত ছিল। কারণ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অতীতের ইতিহাসে দেখা যায় যে, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্তই থেকে গেছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। এক মেয়র গিয়ে আরেক মেয়র আসে। ১৩, ১৫ ও ১৮ বছর হয়ে গেলেও মার্কেট নির্মাণ শেষ হতো না। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা শঙ্কায় ছিলেন যে, তারা আর ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন কি না?’
‘আমরা কথা দিয়েছিলাম, নির্ধারিত সময়ের মাঝেই নির্মাণ সম্পন্ন করব এবং আবারও এখানে ব্যবসা পরিচালনার সুব্যবস্থা করে দেব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছে। অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক এই নগর মার্কেট শুধু ক্ষতিগ্রস্তরাই নয়, আমরা ১১৭ জনের রুটিরুজির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’
স্বাক্ষর জাল করে বিনা অনুমতিতে ওয়াসার সড়ক খননের ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এসময় মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমরা লক্ষ করলাম, ওয়াসা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে বিনা অনুমতিতে সড়ক খনন করা হয়েছে। একটি সংস্থা কীভাবে আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সই জাল করে ভুয়া কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে এ ধরনের কাজ করে? এটি খুবই ন্যাক্কারজনক, দুঃখজনক! এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে যদি কোনো সংস্থা লিপ্ত হয়, তাহলে সমন্বয়ের কোনো সুযোগ থাকে না। এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে যাত্রাবাড়ী সড়ক খননের জন্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং লালবাগের ঘটনায়ও ওয়াসা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে (প্রতিষ্ঠানকে) কালো তালিকাভুক্ত করবে বলে আমি আশা করি। এ ছাড়াও, এ বিষয়টি আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবগত করব। আশা করব, মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ বরাদ্দপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মাঝে বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
৫১৩ দিন আগে
রাজস্ব আদায়ে ফের নতুন মাইলফলক সৃষ্টি: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএসসিসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।’
সোমবার (১ জুলাই) মেয়রের কাছে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ এবং স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর থেকে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ডিএসসিসি।
এসময় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোনো ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি করেছিলাম, তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও গাফিলতি রোধের মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় ও সকলের কর্মতৎপরতায় এবার আমরা গত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ এবং কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
এর ফলে ঢাকাবাসীকে আরও বড় পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫১৩ কোটি ৯৬ লাখ, ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ, ৮৭৯ কোটি ৬৬ লাখ এবং ১ হাজার ৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
৫২১ দিন আগে
২৪ ঘণ্টার আগেই পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হব: ডিএসসিসি মেয়র
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের এবারের প্রস্তুতি আগেরবারের চেয়ে আরও ভালো। আমাদের সক্ষমতা আরও বেড়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা অনেক যান ও যন্ত্রপাতি আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে অনেক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলে রূপান্তরিত হয়েছে। দুপুর ২টার জন্য অপেক্ষা না করে তার আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আমরা এবার আত্মবিশ্বাসী যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি, তার অনেক আগেই আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব।’
ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী গতবারের মতো এবারও বর্জ্য অপসারণে সফল হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীর যে প্রত্যাশা এবং আমাদের যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, সেটি হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাতে বর্জ্য অপসারণ হয়, শহর পরিষ্কার হয়।’
এ সময় তিনি ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি 'বৃষ্টি হলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাই যেন এ ব্যাপারে সজাগ থাকে' সেলক্ষ্যে নানাবিধ দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
৫৩৫ দিন আগে
ডিএসসিসির কর্মচারীদের আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কর্মরত সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের পরে পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান: ডিএসসিসি মেয়র
সিটি করপোরেশনের বাসা বরাদ্দ দেওয়া দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ডিএসসিসির আপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি।
মেয়র আরও বলেন, করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দেব না।
আরও পড়ুন: নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
মুগদায় দ্বিতীয় দিনের মতো ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
৫৭৬ দিন আগে
নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ: ডিএসসিসি মেয়র
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়, সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফল ও জরিপে আমরা দেখেছি, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে।
সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণসংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করব।
সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জমতে না দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব।
এছাড়াও মেয়র বুধবার গুলিস্তান মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
৫৮৯ দিন আগে
দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন মার্কেটগুলোতে অবৈধ দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপণী বিতান এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি এখনো বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারেরা নিয়ন্ত্রণ ওপরিচালনা করছে। আমরা সেটা ভাঙার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, প্রতিটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হবে। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবে।’
মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি যথানিয়মে নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইনশাআল্লাহ এটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয় মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহির মাঝে আসবে।’
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। তাদের নির্ধারণ করার পরেই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি।
আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদের অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটাও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন।
অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম কোনো হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে এরকম কোনো নজির নাই। আগে দেখা গেছে, যে (জামানতের) অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর হয়েছে। কিন্তু সে অর্থ ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।
শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরোনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো মার্কেট নির্মাণ করছি। ইতোমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটা হস্তান্তর করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘মেরাদিয়া কাঁচা বাজারও নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি তার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো মার্কেটগুলোও দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে আমরা সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপণী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
সিসিকের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
৭৫৩ দিন আগে
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, যদিও ছোটখাটো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তারপরও ঢাকা নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করছি এবং সেগুলো সংশোধন করছি।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনে বিআরটিসি'র মাধ্যমে আমরা ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করব। এর মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
বায়ু দূষণের যে তকমা আমরা শুনি, সেখান থেকেও আমরা বেড়িয়ে যেতে পারব, বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারব।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২১ নাম্বার যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই পুরো যাত্রাপথটি এখন বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিআরটিসি সেটা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ট্রান্স সিলভার সকল অনুমতি আমরা বাতিল করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা নগর পরিবহনে তাদের যে সকল বাস ছিল, যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আমরা জব্দ করব।
সুতরাং ২১ নম্বর যাত্রাপথ এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথ বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরবান ক্লাস্টারের ছয়টি এবং সাব আরবানের তিনটি মিলে ৯টি ক্লাসটার করা হবে।
প্রথমে গ্রীন ক্লাস্টার নিয়ে আমরা কাজ করছি।
যেখানে ২১ থেকে ২৮ নম্বর মোট আটটি রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। তার পরিকল্পনা হিসেবে আমরা ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং আজকে ২৭ ও ২৮ এই মোট আটটি রুট অন্তর্ভুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এছাড়া আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুট চালুর লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
আজকের সভার একটি সার্থকতা বলতে চাই-আমরা টোটাল গ্রীন ক্লাস্টার যেটা আছে, এটি একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে বেশ অগ্রসর হতে পারছি।
ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর সিটির মেয়র আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে। আমরা এ সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি।
এসব বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২১, ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে যথাক্রমে ২১ মে থেকে ১ জুন, ১১ জুন থেকে ১৫ জুন ও ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথভাবে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করবে।
পুরাতন রুটপারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। নগর পরিবহনে কোন পুরতন বাস অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র নতুন বাস দিয়েই নগর পরিবহন পরিচালিত হবে।
২১ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর।
২৭ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, শিয়া, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান-১, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, স্টাফ কোয়ার্টার।
২৮ নম্বর যাত্রাপথ:
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, খিলগাঁও তালতলা ও স্টাফ কোয়ার্টার।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
৯৪০ দিন আগে
ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিন: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাস্তবায়িত জলাবদ্ধতা নিরসনসহ চলমান অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকে যথাযথভাবে কাজ আদায় করে নিতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের অষ্টাদশ বোর্ড সভায় তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আবারও বর্ষা মৌসুম সমাগত। জলাবদ্ধতা নিরসন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর আমরা অনেক সফলতার পরিচয় দিয়েছি। এ বছর আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। যার যার এলাকায় খাল আছে-আপনারা দয়া করে আপনাদের চাহিদা দিয়ে, একটু নজরদারি করে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা আছে। কিন্তু কিছু সময় হয়তো অবহেলা হয়। ঠিকাদাররা এক থেকে দুই দিন কাজ করলো আবার হয়তো পরের দিন কাজ করলো না-এ ধরনের বিষয়ও মাঝে মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং আপনাদেরকে একটু নজরদারি বাড়িয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: দিনে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধে ডিএসসিসি মেয়র
জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ভোগ করতে নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম তদারকির ওপর জোর দিয়ে তাপস বলেন, আমরা সকল নর্দমা পরিষ্কারে ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে তা এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আপনারা অবশ্যই আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার ওয়ার্ডের নর্দমাগুলো পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। কোথায় কোথায় বর্জ্য জমে ভরাট হয়ে গেছে তা আপনাদের নখদর্পনে আছে। অবশ্যই সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমাগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
খাল ও নর্দমা পরিষ্কার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে চলমান সকল উন্নয়ন কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য সব কাউন্সিলরকে সজাগ থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ আদায় করিয়ে নেয়ার তাগাদা দিয়ে মেয়র বলেন, এতে করে ঢাকাবাসীকে সেবা দেয়ার যেন মহত ব্রত আমাদের রয়েছে, তা পূর্ণতা পাবে।
এছাড়াও আজকের বোর্ড সভায় দুই বছর ছয় মাসের মেয়াদকাল অতিক্রম করায় স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশনের আইন, ২০০৯ এর ৫০(১) ধারা অনুযায়ী অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
সভায় মেয়র সাধারণ আসনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমকে সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল সরদার এবং সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১৪ নম্বর আসনের লাভলী চৌধুরী, ২০ নম্বর আসনের নাছরিন আহমেদ ও ১৭ নম্বর আসনের সাথী আক্তারকে পুনর্গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে নাম প্রস্তাব করলে কাউন্সিলররা তা একযোগে অনুমোদন দেন।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
রাজধানীর খাল-কালভার্ট পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত দুরূহ: ডিএসসিসি মেয়র
১০২৪ দিন আগে