লিবিয়া
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৪ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
তাদের বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
শুক্রবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককেই পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন।
তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন মোস্তফা জামিল খান।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১৩৯ অনিয়মিত বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৪০ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে আরও ১৪০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১১৩ জন লিবিয়ার দারনা শহরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৭জন বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে সকাল সাড়ে ৬টায় দেশে ফেরেন তারা।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই লক্ষ্যে দূতাবাসের টিম একাধিকবার দারনা শহর সফর করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
এছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে দারনা ও আল-বাইদা শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জরুরি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে দারনা শহরে বন্যাকবলিত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বৈধ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে দেশে প্রত্যাবাসনে কিছুটা বিলম্ব হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৫ হাজার ৯১৯ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান বিমানবন্দরে ফিরে আসা অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বেনগাজীর গানফুদা বন্দিশালায় আটক অভিবাসীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর লিবিয়াতে তাদের ভংঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ত্রিপলি ও বেনগাজীর বন্দিশালায় আটকসহ বিপদগ্রস্থ মোট ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
খুব শিগগিরই অনিয়মিত সব বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
এরআগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী বন্দিশালায় আটক ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাবার উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নেন।
তিনি বাড়ি ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে মোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
লিবিয়া থেকে আরও ১৪৫ অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজির বন্দিশালায় আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের (ইউজেড ০২২২) চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং কিছু খাদ্য সমগ্রী দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া অন্য বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান। এরই ধারাবহিকতায় খুব শিগগিরই অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে।
এর আগে ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা বন্দিশালায় আটক ১৪৩ জন এবং ৩০ নভেম্বর আরও ১১০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয় বুরাক এয়ারের চার্টার্ড ফ্লাইটে।
এ নিয়ে সর্বশেষ মোট ৩৯৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে তা করা হবে। ডিটেনশন সেন্টারে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন বাংলাদেশিকে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১১০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের।
আইওএম তাদের প্রত্যেককে ৫৮৯৬ টাকা পকেট মানি ও কিছু খাবার দিয়েছে।
বিকল্প মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
লিবিয়ায় বন্যা: নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ১০ হাজার নিখোঁজের অনুসন্ধান চলছে
লিবিয়ার প্লাবিত শহরে অনুসন্ধানকারীরা ১০ হাজারেরও বেশি নিখোঁজদের সন্ধান করছে। এরই মধ্যে যেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজারে।
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বন্যাকবলিত দেরনা শহরে প্রবেশ সীমিত করেছে, যাতে অনুসন্ধানকারীরা এখনও নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধারণা করা ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাদা সরিয়ে ফাঁকা ভবনগুলোতে সহজে অনুসন্ধান করতে পারে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং সোমবার ভোরে দুটি বাঁধ ধসে পড়ায় শহরের ভেতরে পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে জুলাই থেকে অস্থিরতায় নিহত ১৮৩: জাতিসংঘ
তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ায় এই বিপর্যয় কিছু বিরল ঐক্য নিয়ে এসেছে। যা বছরের পর বছর যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধের পর দেশের পূর্ব ও পশ্চিমে বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিভক্ত। কিন্তু বিরোধী সরকারগুলো এই সঙ্কটের মোকাবিলায় লড়াই করেছে। তবে বিভ্রান্তিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে সহায়তা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সেতু সহ দেরনার অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
সাহায্যদানকারী গোষ্ঠীগুলো শহরে তাদের প্রবেশের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যাতে তারা খারাপভাবে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করতে পারে। সঙ্কটের চার দিন পরে কেন্দ্রীয় তদারকির অভাব স্পষ্ট ছিল। ডের্নার কিছু অংশের মানুষ কিছু সরবরাহ এবং সম্পদ পেয়েছিল। তবে অন্যগুলোতে তাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
লিবিয়ায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর মানোয়েল কার্টন বলেন, শহরে প্রবেশের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় এবং ভেতরে প্রবেশের পর সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে পাওয়া যায়, যারা মাঝে মাঝে দের্নায় মানবিক কর্মীদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘সবাই সাহায্য করতে চায়। কিন্তু এটা বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে।’ ‘সমন্বয়ের একটি বড় প্রয়োজন আছে।’
পূর্ব লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওথমান আব্দুলজালিল বলেছেন, দলগুলো শহরের বাইরে এবং আশেপাশের শহরগুলোতে গণকবরে লাশ দাফন করেছে।
তবে কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে আরও হাজার হাজার মানুষকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক ফরেনসিক ম্যানেজার বিলাল সাবলুহ বলেন, 'লাশগুলো রাস্তায় পড়ে আছে, তীরে ভেসে যাচ্ছে এবং ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে আমার একজন সহকর্মী দেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০ টিরও বেশি মৃতদেহ গণনা করেছেন।’
ডুবুরিরা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহরের পানিতেও অনুসন্ধান করছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
কার্টন শুক্রবার বলেন, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস টিমমের পরিদর্শন করা এলাকার রাস্তা থেকে বেশিরভাগ মৃতদেহ পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অন্যান্য গুরুতর লক্ষণও দেখা গেছে, যার মধ্যে রয়েছে যে তিনটি মেডিকেল সেন্টারের মধ্যে একটিতে তারা গিয়েছিল ‘কারণ প্রায় সমস্ত চিকিৎসা কর্মী মারা গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, বন্যায় বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে বা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছে।
বন্যা থেকে বেঁচে যাওয়া আদেল আয়াদ তার ভবনের চতুর্থ তলায় পানি উঠার সময় দেখার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ঢেউগুলো মানুষকে ভবনের ওপর থেকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, এবং আমরা দেখতে পেলাম মানুষ বন্যার পানিতে ভাসছে।’ তাদের মধ্যে প্রতিবেশীও ছিল।
পূর্ব লিবিয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার মহাপরিচালক সালাম আল-ফারগানি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, দেরনা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কেবল অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শুক্রবার এ ধরনের প্রত্যাবাসনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জমে থাকা পানিবাহিত রোগ বিস্তারের পথ খুলে দেয়। তবে তিনি বলেছেন, মৃতদেহগুলো তাড়াহুড়ো করে দাফন বা গণকবরে রাখার দরকার নেই। কারণ এই জাতীয় ক্ষেত্রে মৃতদেহগুলো সাধারণত ঝুঁকি তৈরি করে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডাঃ মার্গারেট হ্যারিস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আপনার কাছে প্রচুর জমে থাকা পানি রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে মৃতদেহগুলো একটি ঝুঁকি তৈরি করে, তবে এর অর্থ এই যে পানি নিজেই সমস্ত কিছু দ্বারা দূষিত।’ ‘সুতরাং আপনাকে সত্যিই নিশ্চিত করতে হবে যে মানুষের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ রয়েছে।’
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের মুখপাত্র আইমিন ট্রাবেলসি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কাদায় আরেকটি বিপদ লুকিয়ে আছে। আর তা হলো দেশটির দীর্ঘায়িত সংঘাতের কারণে ফেলে যাওয়া ল্যান্ডমাইন ও অন্যান্য বিস্ফোরক।
লিবিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে অবশিষ্ট বিস্ফোরক রয়েছে, তবে বেশিরভাগই ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের। আন্তর্জাতিক ল্যান্ডমাইন অ্যান্ড ক্লাস্টার মিউনিশন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে লিবিয়ায় ল্যান্ডমাইন বা অন্যান্য অবশিষ্ট বিস্ফোরক অস্ত্রের আঘাতে প্রায় তিন হাজার ৪৫৭ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
বন্যার আগেও, ট্রাবেলসি বলেছিল যে এলাকাগুলো থেকে মাইন শনাক্ত এবং অপসারণের ক্ষমতা সীমিত ছিল। বন্যার পরে তিনি বলেছিলেন, বিস্ফোরক ডিভাইসগুলো ‘নতুন, অনাবিষ্কৃত এলাকায়’ নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যেখানে তারা অনুসন্ধান দলগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী হুমকি তৈরি করতে পারে।
কার্টন শহরে পানি-সম্পর্কিত রোগের প্রাদুর্ভাবের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করেছে। এর বাইরে, তিনি বলেছিলেন, বেঁচে থাকা, প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার বিশাল প্রয়োজন’ রয়েছে।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেরনায় বন্যায় ১১ হাজার ৩০০ জন মারা গেছে। আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও তাদের মধ্যে অনেককে জীবিত পাওয়া যাবে এমন আশা নেই বলে জানিয়েছে সাহায্যকারী দলটি। ঝড়টিতে দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
লিবিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্যোগে কয়েক ডজন সুদানী অভিবাসী নিহত হয়েছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। যারা সংঘর্ষ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপে একটি উন্নত জীবন খোঁজার জন্য পাড়ি জমায়।
বর্ষাকালে লিবিয়ায় প্রায়ই বন্যা দেখা দেয়। তবে খুব কমই এত ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঝড়টি জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং অত্যন্ত উষ্ণ সমুদ্রের পানি ঝড়টিকে আরও শক্তি দিতে পারে। এটি আরও ধীরে ধীরে চলতে পারত বলেও মনে করেন তারা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাও প্রাণহানির জন্য ভূমিকা রেখেছে। দেরনার বাসিন্দা খলিফা ওথমান বলেছেন, তিনি বিপর্যয়ের মাত্রার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
ওথমান বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে এই বছরেই ডাক্তার হিসেবে স্নাতক হয়েছেন। আমার ভাগ্নে এবং তার সমস্ত পরিবার, আমার নাতি, আমার মেয়ে এবং তার স্বামী সবাই নিখোঁজ, এবং আমরা এখনও তাদের সন্ধান করছি।’ ‘কোনো প্রস্তুতি না থাকায় সকল মানুষ বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ।’
আরও পড়ুন: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে দ্রুততার সাথে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিশ্ববাসীর কাছে লিবিয়ার রাষ্ট্রপতির মানবিক সহযোগিতার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে ঝড়ের আঘাতে এবং সৃষ্ট বন্যায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের সি-১৩০ এয়ারক্রাফট শিগগিরই ঢাকা থেকে যাত্রা করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ, শুকনো খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হবে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
লিবিয়ার তাবরুক এয়ারপোর্টে লিবিয়া সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণসমূহ গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে আসছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
ইতালিতে সমুদ্রপথে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি
ইতালিতে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইতালির দক্ষিণ উপকূলে ৮৯ হাজার ১৫৮ অভিবাসী পৌঁছেছে বলে নিবন্ধন করা হয়েছে। ২০২২ সালের এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৪৩৫ জন। এতে দেখা যায়, অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসে যেসব দেশ থেকে ইতালিতে শরণার্থীরা এসেছেন তার মধ্যে প্রবেশের প্রধান তিউনিসিয়া। আর ২০২২ সালে একই সময়ে প্রবেশের প্রধান দেশ ছিল লিবিয়া।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সমুদ্রপথে আসা ৬৪ হাজার ৭৬৪ জন অভিবাসী এবং শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অভীবাসী ও শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ১৯ হাজার ১৭১ জন। যা ছিল মোট সমুদ্র আগমনের ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
সমুদ্র থেকে উদ্ধারের পর তাদের মধ্যে ৫ দশমিক ৮ শতাংশকে এনজিওর মানবিক জাহাজ সহায়তার মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আশ্রয়ের জন্য আবেদনের সংখ্যাও ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ হাজার ৪৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আশ্রয় চাওয়ার পর নেতিবাচক ফলাফলের কারণে প্রায় ২ হাজার ৫৬১ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: গ্রিসের উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩৫০ জন পাকিস্তানি অভিবাসী ছিল: কর্মকর্তারা
এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে লিবিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অপ্রচলিত বাজারগুলোকে ধরতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার সময়োচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করে বাণিজ্য জোরদারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বুধবার লিবিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রনিক পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ইউরোপ, আমেরিকার প্রচলিত বাজারের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের অপ্রচলিত এসব বাজারকে ধরতে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা একক বাজার নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসায় তা বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাজারজাতকরণ কৌশলেও বাংলাদেশকে দক্ষতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর তথ্য তুলে ধরে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পের বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখানে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ঔষধ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হালকা প্রকৌশল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক এবং প্লাস্টিক পণ্যের সম্ভাবনাও অপরিসীম।’ লিবিয়ায় এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়ার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত খায়রুল বাশার বলেন, ‘লিবিয়াতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। উল্লেখিত খাতসমূহ সহ দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়েও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবো আমরা। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই এর মূল্যবান পরামর্শ এবং মতামত পেলে দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও তরাণ্বিত করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।’
সরকার ও বেসরকারি খাত সমন্বিতভাবে কাজ করলে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার অগ্রযাত্রা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, অ্যাম্বাসেডর মাসুদ মান্নান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে এফবিসিসিআই প্রধানের শোক
লিবিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩০, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
লিবিয়ায় সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হওয়ার একদিন পর সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী রবিবার রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবারের প্রথম দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের সঙ্গে জোটবদ্ধ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গত এক মাস মোটামুটি স্থিতিশীল থাকার পর এ সংঘর্ষ লিবিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের দিকে ফিরে যেতে পারে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে দীর্ঘকালীন স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও নিহত করার পর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবাহের পদত্যাগে অস্বীকৃতির কারণে বর্তমান অচলাবস্থা বেড়েছে।
শনিবারের সংঘর্ষে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষে শত শত লোক আটকা পড়েছে এবং হাসপাতাল, সরকারি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষের এলাকায় পোড়া যানবাহন ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
লিবিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিশেল সার্ভেদেই বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর এবং পাঁচ বছর বয়সী আরও চারজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মুস্তফা বারাকা নামে একজন রয়েছেন। তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা যিনি মিলিশিয়া এবং দুর্নীতিকে উপহাস করার জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিমিং করার সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকে টার্গেট করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কয়েক ডজন বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে। তারা তাদের বাড়ি, সরকারি ভবন ও হাসপাতালে আটকে পড়া নারী ও শিশুসহ মানুষের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে অনেক পরিবারের সাথে আটকে পড়া একজন নারী বলেন, ‘আমরা আমাদের চোখের সামনে আমাদের বাচ্চাদের চোখে মৃত্যু দেখছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেই নিরপরাধ শিশুদের রক্ষা করা, যেমনটি তারা গাদ্দাফির সময় করেছিল।’
পড়ুন: পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা