বৈদেশিক মুদ্রা
নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নভেম্বর মাসে এক দশমিক ৫৯ বিলিয়ন (১৫৯ কোটি) মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রবাসী আয় প্রবাহ সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ প্রণোদনা এবং বিনা খরচে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগসহ অর্ধডজন সুবিধা ঘোষণার পর অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধির আশা করলেও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক সাড়া পায়নি।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ক্রমাগত কমছে।
অক্টোবরে প্রবাসীরা এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন(১৫২কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন। জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশ পেয়েছে যথাক্রমে দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেপ্টেম্বর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। প্রবাসীদের মধ্যে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানো নিরাপদ নয়, যা স্পষ্টতই রেমিট্যান্স প্রবাহকে প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ২ মাস চেয়ে আইনজীবীদের আবেদন
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে আট দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। যেখানে ২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল আট দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যায় যে প্রবাসীরা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩ অর্থবছরে দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
বিবির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের জন্য দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনা ছাড়াও, বেশ কয়েকটি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে অতিরিক্ত প্রণোদনাও প্রদান করে।
তিনি বলেন, আইনি কাঠামোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাংকগুলো কোনো ফি নেবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো হয় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বাজারে আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স; আমদানির তুলনায় উদ্বৃত্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সংকট থাকবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে আর্থিক খাতের অবস্থার ওপর বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রউফ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্তে দেখা গেছে যে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং আমদানিকৃত পণ্য যাচাই-বাছাই করায় আমদানি কমে গিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমরা দেখেছি যে কিছু পণ্য ২০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসিং দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের ঘটনা যাচাই করার কারণে আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং, বৈদেশিক মুদ্রা পাচার এবং রাজস্ব আয় উভয় রোধে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
গত এক বছরেরও বেশি সময় থেকে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) এর তথ্যানুসারে চলতি মাসের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২০ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন ৫২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস ধরে কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের সপ্তাহে ৫২৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২১ সালের অক্টোবরে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশিরভাগ বৈশ্বিক পরিস্থিতির চাপ মোকাবিলায় রুপিকে রক্ষা করতে তহবিল ব্যবহারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত আরবিআই-এর সাপ্তাহিক পরিসংখ্যানগত সাপ্লিমেন্টের তথ্যানুসারে ২১ অক্টোবরে শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (এফসিএ) মোট রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তিন দশমিক ৫৯৩ বিলিয়ন কমে ৪৬৫ দশমিক ০৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
এফসিএ’র ডলারের পরিভাষায় প্রকাশিত, ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো অ-মার্কিন মুদ্রার মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়নের প্রভাবকে অন্তর্ভুক্ত করে যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রাখা হয়।
এটি আরও বলছে, স্বর্ণের রিজার্ভ ২৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়ে ৩৭ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
শীর্ষ ব্যাংক জানিয়েছে, ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) বেড়ে ১৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আইএমএফের কাছে দেশের রিজার্ভের অবস্থান ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে চার দশমিক ৭৯৯ বিলিয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার বাস্তবায়ন করতে বলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪.৩৮% কমেছে: ইআরডি
বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। যা ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বৈদেশিক ঋণের ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ হ্রাস দেখায়।
বিগত আর্থিক বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহে লাফ দেয়া শুরু করেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে প্রায় ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ দেশে এসেছে যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু, আগস্টে তা কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। দাতারা এ মাসে ৩৭ দশমিক ৬৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠানো বন্ধ করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা: বিবি
করোনা মহামারির পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে উল্টে যাওয়া বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্বল্প সুদে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দাতারা এই অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ মওকুফ করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের শাখা ইআরডি বিদেশি ঋণ মওকুফের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাতাদের কাছ থেকে ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য এসেছে ৮৩ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রাপ্ত অনুদান হল তিন দশমিক ১৪ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
গত বছরের একই সময়ে প্রকল্প সহায়তা ছিল এক দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান এসেছে তিন দশমিক ৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বাড়তে থাকে। একই বছরে বৈদেশিক ঋণ এক লাফে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ছয় দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ ছিল ছয় দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি রোধের পদক্ষেপ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত সোমবার ছিল ৩৭ দশমিক শুন্য ৮ বিলিয়ন ডলার।
এই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) এর জুলাই-আগস্টের বকেয়া এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৩৭ দশমিক শুন্য ৬ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১১ দশকিম ৫ বিলিয়ন ডলার ।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক শুন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে 'স্থিতিশীলতা' আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এবং চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এ রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিটেন্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গেলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
সরকার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার কথা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈদেশিক বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার চিন্তা করছি। আজ বা আগামীকাল, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার-ভিত্তিক লেনদেনের জন্য যেতেই হবে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
সাম্প্রতিককালে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতার পটভূমিতে অর্থমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন। মুদ্রার বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ৮৫ টাকা থেকে ১১৯ টাকায় উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে ৯৫ টাকা, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১০৮ টাকায়।
ব্যাংক ঋণের সুদ হার পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমানত ও ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৬-৯ শতাংশ সুদের হারের বিপরীতে ঋণের হারে কোনো ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সুদের হার ৬-৯ শতাংশের মধ্যে ভাল কাজ করছে।’
মুস্তাফা কামাল বলেন, অনেক দেশ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বৃদ্ধির পথ অনুসরণ করে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশে সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুটি উপায়ে কাজ করে – আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ করে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ছে, রপ্তানি বাড়ছে এবং আমদানি কমছে।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কোনো সংকট নেই। শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।
রুবলে রাশিয়ান জ্বালানি আমদানির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে তা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়াকে প্রথমে আমাদের মুদ্রা গ্রহণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের ঋণের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের খবর নাকচ অর্থমন্ত্রীর
চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, এটির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের চা শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘চা শিল্প আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল। তাই এই শিল্পের ক্ষতি করা উচিত নয়; এটাকে অবশ্যই আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় চা শ্রমিকদের উন্নয়ন ও চা বাগান সম্প্রসারণে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের কাজের ধরন ও পরিবেশ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় ভিন্ন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিকত্ব ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে আমি মনে করি আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবসময় আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে চা শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বাড়ানোর দাবি উত্থাপন করলে তিনি চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, মালিকরা যাতে চা শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য বাড়ি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘সেই আঘাতের ঢেউয়ের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে, তাই আমরা সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের আয় দিয়েই নিজেদের পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
পরে তিনি চার জেলার চা শ্রমিকদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া, প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত চা পাতা তোলার সুবিধা), উৎসব বোনাস, অর্জিত ছুটি, অসুস্থতার সময় পাওয়া ছুটি ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, রেশন কার্ড এবং অবসর সুবিধাসহ শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধাগুলিও আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে আগস্টে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাইতে অভিবাসী শ্রমিকরা ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিল।
জুলাইতে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ছিল ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্সন্স আহরণ করেছে, যা ২১ অর্থবছরে আহরিত ২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আশার আলো দেখালেও ক্রমবর্ধমান আমদানি চাহিদা মেটানো কঠিন হয়েছে।
পড়ুন:দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহ তৈরিতে প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের মূল্যহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ও চাকরির সুযোগ ও রেমিটেন্স প্রবাহ গত অর্থবছরের তুলনায় আরও বাড়াবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে যা ২০১১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার।
পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
গত সাত বছরে বার্ষিক বৈদেশিক চাকরির এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
কর্মকর্তারা আশা করছেন, মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় জনশক্তি নেয়া শুরু করলে এই অর্থবছরে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫ জন চাকরি পেয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন, ২০১৯ সালে ছিল ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪ জন, ২০১৮ সালে ছিল ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন, ২০১৭ সালে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং ২০১৬ সালে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ জন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে এলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা এক মাসের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সচেতনতা বাড়াতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রদর্শনের জন্য সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা ১০ হাজার ডলারের বেশি নগদ বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার এক মাসের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক বা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বিক্রি বা রেসিডেন্ট কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখা প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত সীমার বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা রাখা ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭’-এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রাধিকারভুক্ত নয় এমন বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে বা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বিক্রি করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১২০ টাকা
জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১৫ শতাংশ বেড়ে ৩.৯৮ বিলিয়ন ডলার
২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
চলতি আগস্টের প্রথম ২৫ দিনে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই সময়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা সরকারি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এক দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
জুলাই মাসে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে। সেসময় বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পরিজনদের জন্য আরও বেশি অর্থ পাঠায়।
গত অর্থবছরের আগস্টে প্রবাসীরা এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
ক্রমবর্ধমান আমদানি বিলের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যেও বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক এখন সরকারি খাতের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স দেশে আনছে।
বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের চেয়ে বেশি হারে ডলার কিনছে, যা তাদের বেশি রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে সহায়তা করছে।
১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক ৩৫৬.২৩ মিলিয়ন ডলার, অগ্রণী ব্যাংক ১১০.১২ মিলিয়ন ডলার এবং সিটি ব্যাংক ১০৯.৪৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
পূবালী ব্যাংক ৫ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৯৫ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার এবং রূপালী ব্যাংক ৯৩ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.০৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে
জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার