স্বামী-স্ত্রী
বগুড়ার শেরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বগুড়ার শেরপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সেই দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন- উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মাস্টারের ছেলে রাকিবুল হাসান ও তার স্ত্রী মোছা. মীম খাতুন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আহত
শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালের দিকে নাস্তা তৈরি করতে রান্না ঘরে যান মিম খাতুন। এসময় চুলার সুইচে চাপ দিতেই হঠাৎ ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায়। এতে মীম খাতুন দগ্ধ হন।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে তার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা স্বামী রাকিবুল ইসলাম স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় ঢাকায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
দিনাজপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ২ কিশোর নিহত
বাস্তবে স্বামী-স্ত্রী হলেও কাগজ কলমে ভাই-বোন!
স্বামী-সন্তান সবই আছে, প্রতিবেশিরাও জানেন তারা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু কাগজে-কলমে তারা হলেন ভাই-বোন।
মুক্তিযোদ্ধার কোটা এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে এমন ব্যতিক্রম ঘটনাটি ঘটিয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
অভিনব প্রতারণার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এর আগে নিজের ভাইকে ভোটার আইডি এবং শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে বাংলাদেশ রেলওয়েতে মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকরি নিয়ে দেয়ার ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটিনাওডাঙ্গা আমিরটারী তালবেরহাট গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক ও জমিলা বেগম দম্পতির বাড়ি।
তাদের ছেলে-মেয়ে আটজনের মধ্যে বড় ছেলে আনিছুর রহমান। সে রংপুর বেতারে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন।
২০০৭ সালে আনিছুর জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুরা গ্রামের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত রবিউল ইসলাম-আছমা বেগমের মেয়ে সোনালী খাতুনকে বিয়ে করেন। সোনালী খাতুন সাত ভাই বোনের মধ্যে ছোট।
আনিছুর-সোনালী খাতুনের সংসার জীবনে তাদের ঘরে রয়েছে ১২ বছরের বড় ছেলে স্বাধীনসহ আরও জমজ দুই সন্তান।
বিয়ের পর সোনালী খাতুন তথ্য গোপন করে শ্বশুর-শাশুড়ি নিজের মা-বাবা দেখিয়ে ২০১৪ সালে ভোটার হন। এর আগে উপজেলার সাপখাওয়া দাখিল মাদরাসায় ২০১০-১১ সেশনে অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তি হন। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে মা-বাবা দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন। এই মাদরাসা থেকে সোনালী খাতুন ২০১৩ সালে জিপিএ-২.৯৪ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন।
ভোটার হওয়ার সময় সোনালী খাতুন তার এসএসসি সনদ, জন্ম নিবন্ধন, শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা এবং মুক্তিযোদ্ধাকে নিজের মা-বাবা এবং ২৫ মে, ১৯৯৪ সাল জন্ম তারিখ দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
এই বিষয়ে প্রতিবেশি হযরত আলী ও বেলাল বলেন, এনআইডিতে থাকা ছবি সোনালী খাতুনের। সে আনিছুর রহমানের স্ত্রী। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশি রাসেদ বলেন, নিজের বৌকে কেন বোন বানিয়েছে তা তো আমরা জানি না। এই বিষয়টি আগে জানতাম না। আজই প্রথম দেখলাম।
অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া এমনটি কেউ করতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বন্ধ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ
সন্তোষপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ জহুরুল হক বলেন, আনিছুর রহমান আমার বাল্য কালের বন্ধু। সোনালী খাতুন আনিছুরের স্ত্রী। সে উলিপুর উপজেলায় বিয়ে করেছে। সোনালীর বাবার বাড়ি সেখানেই। ভোটার আইডিতে সোনালী খাতুনের মা-বাবার জায়গায় আনিছুরের মা-বাবার নাম ব্যবহার করেছে এ ঘটনা আমি জানি।
ঝালকাঠিতে এসির বিষাক্ত গ্যাসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুরে এসি থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের ছেলেসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার সকালে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ফোরকান হাওলাদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪৫)।
দুর্ঘটনায় আহত ফোরকানের ছেলে মাঈনুল, নিহতের ভাইয়ের বউ মাহফুজা আক্তার ও ভাইজি সারা মনিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতুরিয়ার আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার জেনারেটর চালিয়ে বাড়ির একটি কক্ষে এসি চালু করেন। এরপর স্ত্রী মাহিনুর বেগম, ছেলে মাইনুল ইসলাম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাহফুজা বেগম ও ভাইয়ের মেয়ে সারামণি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসিতে বিকট শব্দ হয়। এরপরই ওই কক্ষে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বড়ভাই সেলিম হাওলাদার বেলা ১১টার দিকে অন্য লোকজনের সহযোগিতায় গেটের তালা ভেঙে বিষাক্ত কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ফোরকান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেনারেটর দিয়ে এসি চালানোর কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
অভিনেত্রী শাওনের বাসায় এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন
গাজীপুরে এসি বিস্ফোরণে আহত ৪
চট্টগ্রামে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
ডেভেলপার ব্যবসার নামে ১২ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় চেক প্রতারণা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবরশাহ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পোর্ট সিটি বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুহিব খান ও তার স্ত্রী দিলশাদ বেগম।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তারা সাতটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবকের ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
গ্রেপ্তার মো. মুহিব খান আকবর শাহ এলাকার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির মুজিব খানের ছেলে ও দিলশাদ বেগম তার স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, মুহিব খান ও তার স্ত্রী আবাসনের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় প্লট বা ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কিস্তিতে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত দু’জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। তারা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বেশ কিছুদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
পুলিশ আরও জানায়, মুহিব খানের ছয়টি সাজা পরোয়ানার মধ্যে দু’টি সাজা পরোয়ানায় এক বছর ১০ মাস এবং ২৩ লাখ ৫২ টাকা জরিমানার কথা উল্লেখ আছে। এছাড়া দিলশাদ বেগমের দু’টি সাজা পরোয়ানায় এক বছর ১০ মাসের সাজার কথা উল্লেখ আছে। দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার
পরকীয়ার জেরে স্বামী গুম, ৮ বছর পর প্রেমিক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের মুখে ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী -স্ত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কনক্রিট মিক্সার ট্রাকটি জব্দ করেছে।
নিহতরা হলেন- মো. ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী (৪৭) ও তার স্ত্রী সখিনা ফাতেমী (৩৫)। ইফতারের আগে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ট্রাকচাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। চাপা দেয়া ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুইজন স্বামী ও স্ত্রী। তাদের লাশ চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতরা নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়।
আর পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি
নীলফামারীতে ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
নীলফামারী সদর উপজেলায় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টার দিকে কাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বাঁশদাহ গ্রামের স্বপন রায় (৩০) ও তার স্ত্রী সুমি রায় (২৫)। তারা উত্তরা ইপিজেডের সনিক কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, নিহত স্বামী-স্ত্রী অপর একজনের মোটরসাইকেলযোগে কাজে যোগ দেয়ার জন্য উত্তরা ইপিজেডে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কাজীরহাট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়। এসময় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মোটরসাইকেল চালক সতিশ চন্দ্র।
নীলফামারী থানার ওসি (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
পড়ুন: ফেসবুকে কমেন্ট নিয়ে দ্বন্দ্ব, গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩
নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ১, আহত ৫
বরগুনায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরগুনায় স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেতাগী উপজেলার জোয়ার করুনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার মো. মনিরের ছেলে আসলাম তার স্ত্রী ও এলাকার হিরু হাওলাদারের মেয়ে তামান্না আক্তার। নিহত আসলাম পেশায় দিন মজুর ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান জানান, সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে জোয়ার করুনা এলাকায় যায় পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। আসলাম ঢাকায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো। দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: নবীনগরে নৌকাডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, সন্তান নিখোঁজ
পতেঙ্গায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা স্টিল মিল বাজার এলাকার একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে পতেঙ্গা থানার সামনে মকবুল হাউজিং সোসাইটির মান্নান ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- আকতার হোসেন (২৬) ও সালমা আকতার। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভবনের ছয়তলায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। ওই বাসা থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বাসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ শিশু নিহত
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
কুষ্টিয়ায় একই ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের আবাসন-২ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমন শেখ (২৫) ওই আবাসনের জামাল শেখের ছেলে ও তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন সনি (২০)খোকসার হেলালপুরের লিটন হোসেনের মেয়ে।
এবিষয়ে আবাসনের সভাপতি আজিবর রহমান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সুমনের বাবা তাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করলে তিনি দোকান বন্ধ করে সুমনের বাড়িতে এসে দেখেন সুমনের স্ত্রী হাতের আঙ্গুলে বৈদ্যুতিক তার পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে এবং সুমনের নিথর দেহ বারান্দায় পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয় ডাক্তার এসে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে কুমারখালী থানায় খবর দেয়া হলে রবিবার সকালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
সুমনের বাবা জামাল শেখ জানান, তিনি তার ছেলের ঘরের ভিতর থেকে তার দুই বছর বয়সী নাতির কান্নার আওয়াজ শুনে বাইরে থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ছেলের বউকে বিদ্যুতের তার আঙ্গুলে পেঁচানো অবস্থায় মৃত দেখতে পান এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তারা নামিয়ে আবাসনের সভাপতিকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
তবে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে নিহত সোনিয়ার বাবা জানান, চার বছর আগে আইসক্রিম বিক্রেতা সুমনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে আছে। তার জামাই ও মেয়ের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে বাড়ির আশেপাশের লোকজন তাকে জানিয়েছেন তার মেয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মা-মেয়ে ও ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতির কাটা জঙ্গল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কুমিল্লা সদর উপজেলার রত্নাবতী গ্রামের আছমত আলীর ছেলে আবু সাঈদ(৫০) ও তার স্ত্রী রুমি আক্তার (৪৫)।
পড়ুন: ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, কুমিল্লা- সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি এলাকায় কোম্পানীগঞ্জগামী তিশা গোল্ডেন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস একইমুখী একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্শাকে পেছন দিক থেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নারী নিহত হয়। এছাড়া ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর একজন পুরুষ নিহত হন। এ ঘটনায় বাস ও অটোরিকশার অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়।
নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পড়ুন: খুলনায় চালকদের প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে
বাগেরহাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত