সন্ত্রাসবাদ
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতায় রয়েছে ঈর্ষনীয় সফলতা। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশে যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মতৎপরতা দেখা দিয়েছিল, তা পুলিশ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আরও পড়ুন: আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
শুক্রবার সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবন স্টুডিও এপার্টমেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে পার্বত্য জেলা বান্দারবানের গহীন জঙ্গলে অনেক শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ তাও সফলভাবে প্রতিহত করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি বলেন, আমি যখনই শাল্লায় আসি, মা ও মাটির গন্ধ পাই। আমি শাল্লার সন্তান, এখানের কাদামাটি, আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। দিনের পর দিন হাওরের মুক্ত বাতাসে চষে বেড়িয়েছি। তাই শাল্লা নিয়ে আমি সর্বদাই গর্ববোধ করি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। পরে শাল্লা থানা পুলিশের আবাসিক ভবন স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় নিজ বাড়ি শ্রীহাইল গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব: মহাপরিচালক
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে র্যাব ডিজি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে র্যাব-৯। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের তরে কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কমনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: জঙ্গিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সব অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার কেউ আইনবিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব তার নীতিতে অবিচল উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিষেধাজ্ঞায় নাম থাকা ৭৬ জনের তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বান্দরবনের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গহীন অরণ্যে শুধু নয়;জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে র্যাব হবে আতঙ্কের নাম।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্রগ্রামে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আটক ১০
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
আধুনিক সন্ত্রাসবাদ দমনে জাতিসংঘকে ৫ লাখ ডলার দেবে ভারত
আধুনিক সময়ের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জাতিসংঘকে পাঁচ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, সমাজকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে মৌলবাদ ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইন্টারনেট এবং সামাজিক মাধ্যমগুলো সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবে ভারত: জয়শঙ্কর
শনিবার জয়শঙ্কর ভারতের রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ দমন কমিটির এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। শুক্রবার মুম্বাইয়ে এটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোকে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানে ইউএনওসিটি-এর প্রচেষ্টা বাড়াতে ভারত এ বছর স্বেচ্ছায় জাতিসংঘের ট্রাস্ট ফান্ড ফর কাউন্টার টেরোরিজম-এ পাঁচ লাখ ডলার প্রদান করবে।’
প্রথমবারের মতো ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাউন্টার টেরোরিজম কমিটির এ বৈঠকের আয়োজন করছে। এ বছরের থিম হলো- ‘ সন্ত্রাসবাদি কর্মকাণ্ডে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ করা’।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ও চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসা জাতিসংঘের
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) ভ্লাদিমির ইভানোভিচ ভরনকভ সন্ত্রাস দমন ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
ভরনকভ ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রধানদের আসন্ন উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে নিজেদের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল সন্ত্রাসে অর্থায়ন, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কারিগরি সহায়তাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বজায় রেখেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিবৃতিটি কোনো বৈশ্বিক প্রতিবেদন ছিল না: জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়
মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সন্ত্রাসবাদ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আজকের বিশ্বে গণতন্ত্র, শান্তি এবং মানব নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ একটি। বৈশ্বিক হুমকি হওয়ায় বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে মামলা ব্যবস্থাপনা এবং প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের ওপিডিএটি-এর সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত ছয়মাস মেয়াদি এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও প্রসিকিউটরগণ অংশ নেন।বক্তৃতার প্রারম্ভে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি বন্দুকধারীর গুলিতে নিরপরাধ ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের স্মরণে কিছু সময় দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনের আহ্বান জানালে সকলে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাসবাদের প্রস্তুতি, সহায়তা এবং উস্কানিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধ দমনের জন্য ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। উভয় আইন অনুসারে, সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধের সুষ্ঠু ও কার্যকর বিচারের জন্য সারা দেশে সাতটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।আনিসুল হক বলেন, করোনার মহামারির সময়েও জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায়, ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ’ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত চালু করা হয়েছিল। করোনার মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি করেছে যা জরুরি সমস্যা মোকাবিলায় এবং কারাগারে বন্দীদের ভিড় কমাতে অনেক অবদান রেখেছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, মার্কিন জেলা আদালতের বিচারক ডেভিড কার্টার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা মিশেল প্রিন্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আইনমন্ত্রী
একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি আরব
সৌদি আরবে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১২ মার্চ) ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা সংখ্যায় পুরো গত এক বছরের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে ইয়েমেন এবং সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ থেকে বিপথগামীতা, এরকম নানা 'জঘন্য অপরাধের' অভিযোগ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, আল কায়েদা, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সৌদি আরবে প্রায়শই অনেকে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার পান না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩ জন বিচারক এই ব্যক্তিদের বিচার করেছেন এবং তারা তিন ধাপের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছেন।
পড়ুন: সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে থাকে সৌদি আরব তাদের মধ্যে অন্যতম।
শীর্ষ পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ইরান, মিশর এবং ইরাক।
সৌদি আরবে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেশটিতে গত বছর ৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের তালিকা তৈরি করুন: কাদের
সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে উস্কানিদাতাদের তালিকা প্রস্তুত করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বুধবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘হেফাজতের’ হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি বলেন, 'আক্রমণ করলে তাদের কীভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানে।
কাদের বলেন, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি হেফাজত ইসলাম বিদ্যমান স্বস্তি ও শান্তি বিনষ্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে অব্যাহত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তা সহনশীলতার সকল মাত্রা অতিক্রম করেছে।
জনগণের জানমালের সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা দেশব্যাপী সহিংসতা চালিয়েছে বা এখনও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে বলেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিপরীতে আওয়ামী লীগ এখনও দায়িত্বশীল আচরণ করছে।
আওয়ামী লীগ নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ধর্ম পালন করে কিন্তু কোনো ধর্মান্ধতার সমর্থন করে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে সে আগুনে আপনাদের হাত পুড়ে যাবে।'
দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা, ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অবমাননা জাতি আর সহ্য করবে না।'
আরও পড়ুন: হেফাজতের কাঁধে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে: হানিফ
‘বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভাস্কর্যগুলোতে যারা হামলা করেছেন তাদের এই নৈরাজ্যের জবাব দেবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা,’ বলেন কাদের।
আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে বলে ওবায়দুল কাদের সারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
দুই-একদিনের মধ্যে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করার তথ্যটি সত্য নয় জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।
জয়পুরহাটে ‘জেএমবি সদস্য’ গ্রেপ্তার
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ জননিরাপত্তা নিশ্চিতে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত শাখা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) শনিবার ভোরে জয়পুরহাট জেলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের সাথে জড়িতদের ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে, যারাই এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকুক না কেন আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মসজিদ পুড়িয়ে আরও বেশি মুসল্লি হত্যার ইচ্ছা ছিল ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২০১৯ সালে দুটি মসজিদে ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামে এক শেতাঙ্গ ব্যক্তির ভয়াবহ বন্দুক হামলায় নিহত হন ৫১ জন। মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো ব্রেন্টনের সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে সোমবার।